Ajker Patrika

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ২৩: ৪৩
যমুনায় চার দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে। ছবি: প্রেস উইং
যমুনায় চার দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে। ছবি: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠকের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ঠেকাতে দেশীয় ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অটুট রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় চারটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চারটি দল হলো বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পেছনে ফ্যাসিবাদী শক্তির চালানো অপপ্রচার ও বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা; বিশেষ করে গতকাল সোমবার মাইলস্টোন কলেজে ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র জোরালো হয়েছে।

আতাউর রহমান বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত নির্বাচনের সময় একে অপরের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও প্রচারণা চালিয়ে থাকে, যা স্বাভাবিক। তবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারবে না, সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা সবাই স্বীকার করেছে।

সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাহীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতে এমন অবস্থা দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে একাধিকবার সচিবালয় অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কি না, তা সরকারকে তদন্ত করতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নয়, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

অতীতে সরকারের পাশে থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপি দল হিসেবে সব সময় সরকারের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এভারকেয়ারের সামনে কড়া নিরাপত্তা, ভীড় বাড়ছে নেতাকর্মীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হসপিটালের সামনে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হসপিটালের সামনে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা দিয়েছে দলটির নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

এতে রামপুরা এলাকা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যান চলাচল। কুড়িল থেকে বিমানবন্দর এবং ৩০০ ফিট এলাকায় রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন অনেকেই। আবার দুপুর থেকে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে।

বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারেক রহমান রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরপাত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাসপাতালের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। সকালে হাসপাতালের সামনের সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলেও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করা হয়।

এভারকেয়ারের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা এখানে অবস্থান নিয়েছেন। ভোর ৫টা থেকেই অনেকে এখানে অবস্থান শুরু করেছেন।

বিএনপির ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী এমএ কাইয়ুমের অনুসারী মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মায়ের কোলে ছেলে ফিরে আসছে। এতে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা না পুরো দেশবাসী খুশি।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ভোর ৫টা থেকে এখানে অবস্থান নিয়েছি।

সকাল থেকে এভারকেয়ারের সামনে নেতাকর্মীদের ভীড় কিছুটা কম থাকলেও ৷ দুপুর বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নেতাকর্মীদের ভীড় ৷ হাসপাতালের মূল ফটকের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার একপাশে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের ফেরা উপলক্ষে ন্যান্সির গান ‘নেতা আসছে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমানের ফেরা উপলক্ষে ন্যান্সির গান ‘নেতা আসছে’

প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তৈরি হয়েছে বিশেষ আবেগ। সেই আবেগকে সুর ও কথায় বেঁধে নতুন গান প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন গান ‘নেতা আসছে’। গানটির কথা লিখেছেন মিজানুর রহমান। পলক হাসান সুমনের সুরে এর সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এন ফরহাদ। গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চিত্রনায়ক হেলাল খান। গানটি প্রকাশ করা হয়েছে বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।

গানের কথায় উঠে এসেছে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষা ও আশাবাদের বার্তা—‘নেতা আসছে, নেতা আসছে, মা-মাটি মানুষের কাছে। যেন বাংলাদেশ হাসছে, তার সূর্যসন্তান আসছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: সংবর্ধনা মঞ্চে শরিক দলের নেতারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা মঞ্চ। ছবি: বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা মঞ্চ। ছবি: বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে রাজধানীর পূর্বাচলের তিনশো ফিটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর নেতারা।

মঞ্চে আছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া রেদোয়ান আহমদ, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।

তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপি ছাড়লেন কেন্দ্রীয় নেতা, তারেক রহমানকে সমর্থন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৬
মীর আরশাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত
মীর আরশাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে অবশেষে নিজ দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

তারেক রহমানের ফেরার এই বিশেষ দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছেড়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। একই সঙ্গে তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এনসিপি ব্যর্থ হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফেসবুক পোশতে আরশাদ লিখেছেন, ‘আমি মীর আরশাদুল হক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব, নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য, মিডিয়া সেল ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, পরিবেশ সেলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারীসহ অন্যান্য সব দায়িত্ব ও পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি৷ আমি এই মুহূর্তে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলাম৷ চট্টগ্রাম-১৬ সংসদীয় আসনে (বাঁশখালী) এনসিপির হয়ে আমি নির্বাচন করছি না। আজকে একটি বিশেষ দিনে এই ঘোষণাটি দিচ্ছি, যেদিন দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। সুস্বাগতম।’

আরশাদ আরও লিখেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু এনসিপির প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত গত ১০ মাসের অভিজ্ঞতায় আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে এই দল ও দলের নেতারা সে প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন৷ যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলাম, তার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই৷ দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি। এই ভুল পথে আমি চলতে পারি না। এই মুহূর্ত থেকে এনসিপির সাথে আমার কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই৷ তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকবে৷ তাদের প্রতি শুভকামনা রইল৷’

এনসিপির ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা এই নেতা লিখেছেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতন ও পলায়নের দিন আমি এতোই অভিভূত হয়েছিলাম যে মনে হয়েছিল এবার নতুন একটি বাংলাদেশ হবে৷ যেখানে মানুষের ন্যূনতম অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে৷ কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার বিপরীত৷ জুলাই অভ্যুত্থানের ১৪০০ অধিক শহীদ, হাজার-হাজার আহত এবং এত আত্মত্যাগের পরও একটা শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্যতার বাংলাদেশ দেখতে পাইনি৷ এনসিপিও এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে৷ অস্থিরতা তৈরি করা, পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে সমাজে বিভাজন তৈরি করা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির একটি প্রবণতা বর্তমানে বাংলাদেশে লক্ষ করা যাচ্ছে৷ একটা গোষ্ঠী বা চক্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে৷ এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা৷ প্রয়োজন আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক সচেতন, উন্নত ও প্রগ্রেসিভ চিন্তার নতুন তরুণ নেতা, নতুন উদ্যোগ ও বর্তমান বাংলাদেশপন্থী দলগুলোকে সংগঠিত করা, শক্তিশালী করা।’

এই নেতা আরও লিখেছেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই আমি সচেতনভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতার সাথে যুক্ত ছিলাম৷ বহুবার আক্রমণ নির্যাতনের শিকার হয়েছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষের স্বার্থ৷ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার কোনো বিকল্প নেই৷ জুলাই অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রম ও বক্তব্য পর্যালোচনা করে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এই মুহূর্তে সবাইকে ধারণ করে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা ও সক্ষমতা তিনিই রাখেন৷ যখন অন্যান্য দল ধর্ম ও পপুলিজমকে প্রধান এজেন্ডা করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে, তখন তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে একটি ক্লিয়ার ভিশন জাতির সামনে উপস্থাপন করছেন৷ আগামী দিনে জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, সংস্কৃতি, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত সমাধানের কথাও তিনি বলছেন৷ এই স্মার্ট অ্যাপ্রোচ আমাকে আকৃষ্ট করেছে৷ তরুণদের উচিত হবে পপুলিজম বা কোনো হুজুগে প্রভাবিত না হয়ে দেশের সামগ্রিক স্বার্থ, ভবিষ্যত ও কল্যাণের কথা বিবেচনা করে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক ভিশন বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও সমর্থন জানানো৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রাখলাম৷ ধন্যবাদ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত