নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
২৫ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
২৫ অক্টোবর ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনও তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনও আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এসময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনও তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনও আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এসময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
২৫ অক্টোবর ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
২৫ অক্টোবর ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩৬ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে