নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের কর্ণধার। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর পরিবার তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের কর্ণধার। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর পরিবার তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের কর্ণধার। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর পরিবার তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের কর্ণধার। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টুর পরিবার তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
এই স্ট্যাটাসে তাজনূভা বলেন, ‘আরেকটা কথা, আমি এনসিপি ছেড়েছি, রাজনীতি না। সংসদ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য যে লড়াইটা চালাতে হয় এরা একটাও সে লড়াই করে নাই। লড়াই, সংগ্রাম, মজলুম ছাড়া সংসদে যাওয়া টেকসই না, জনপ্রতিনিধি হওয়া টেকসই না। আমি টেকসই কিছু চাই। এই পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমার আসল লড়াই শুরু। আমার রাজনীতির শেষ না, এটা শুরু।’
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তাজনূভা জাবীন জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিক্স’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতের সাথে এই জোট কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘পুরো জুলাইকে (গণঅভ্যুত্থান) রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে জামায়াতের হাতে।’
তাজনূভা জাবীনের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘আপনারা অনেকে ভাবছেন, হয়তো জামায়াতের সাথে জোটে ঐতিহাসিক কারণ বা নারী বিষয়ের কারণে আমার আপত্তি। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর যে কারণ, সেটা হল যে প্রক্রিয়ায় এটা হয়েছে। এটাকে রাজনৈতিক কৌশল, নির্বাচনী জোট ইত্যাদি লেভেল দেয়া হচ্ছে। আমি বলব এটা পরিকল্পিত। এটাকে সাজিয়ে এ পর্যন্ত আনা হয়েছে।
এটা আদর্শের চেয়েও অনেক বড়, সেটা হল বিশ্বাস। মাত্র কিছুদিন আগে সমারোহে সারাদেশ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক দিয়ে ১২৫ জনকে মনোনয়ন দিয়ে ৩০ জনের জন্য সীট সমঝোতা করে বাকিদের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তে সীল মোহর বসানো হয়েছে। বিষয়টা ঠেলতে ঠেলতে একদম শেষ অবধি এনেছে যাতে কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনও করতে না পারে। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ। আমার অবশ্য এই মুহূর্তে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ইচ্ছা নাই। পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় নানান খবর প্রকাশিত হচ্ছে। আমি মনোনয়ন হারানোর ভয়ে জোটের বিরোধিতা করছি। আমি কিছুদিন আগে লিখেওছিলাম আমার আসনে নেগোনিয়েশন হলে আমি নির্বাচন করব না, যত কঠিন প্রতিপক্ষ হোক আমি ফাইট দেব। দিলো না। তাদের গোষ্টীর ভাইরা তাদের পক্ষে দিস্তায় দিস্তায় লিখে ভরায় ফেলছে কেন আর কিভাবে এই জোট। কিন্তু কোন জেনারেল, ইসি মিটিং এর সিদ্ধান্ত এরকম ছিল না জোট হলে বাকি আসনে প্রার্থীকে বসে যেতে হবে। আবার বাকি আসনগুলোতে জামায়াতের হয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করতে হবে। জামায়াতের সাথে চরমোনাই পীরের ৭০টা আসনে সমঝোতা হচ্ছে। আর গণঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেয়া দলের ৩০টা আসনে।
এনসিপি শুরু থেকে যে গণপরিষদ, সেকেন্ড রিপাবলিক মধ্যপন্থার, নারী, বিভিন্ন জাতিসত্তাকে নিয়ে রাজনীতি করার কথা বলছে সেটা ধারন করে যে কয়জন পার্টিতে ছিল তাদের মধ্যে আমি একজন। এই পার্টির একজন ফাউন্ডার মেম্বার আমি। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ মন খারাপ। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোন সম্মানজনক অপশন নাই। দলের খারাপ সময়ে দল ছেড়ে দিয়ে অরাজনৈতিক, অপরিপক্কতার পরিচয় ইত্যাদি বয়ান দিবে অনেকে। জাস্ট বুলশিট। শুধু এটুকু বলি, আমি বহিরাগত ওখানে, আমাকে প্রতারিত করলে মেইক সেন্স। কিন্তু এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সাথে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে সেটা ভয়ঙ্কর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এতো ব্যস্ত এরা কখনো দেশের জন্য নতুন একটা মধ্যপন্থার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে পারবে না।
সবাই খুব বলছেন কালকে থেকে, রাজনীতি লম্বা, অনেক দূর যেতে হয়। একদম ঠিক। কিন্তু সেই নীতি এনসিপির নিজেরই নাই। নেতারা বিতর্কের পর বিতর্ক জন্ম দিয়ে সেটাকে বিপ্লব নাম দিয়েছে আর আমাদের মত যারা আসলেই এনসিপির নীতি ধারণ করেছি তাদের আবেগী লেবেল দেয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে সবশেষ ডেইলি স্টারের ডিবেটে বলা কথা শীর্ষ নেতারা কতটুকু ধারণ করে সময় মতো মিলিয়ে নিয়েন।
ওই পুরোনো ফাঁকা বুলির রাজনীতি করতে হলে পুরোনো দলই করতাম, নতুন কেন? এবার আবারও আসি, জামায়াতের সাথে জোট প্রসঙ্গে, এনসিপি স্বতন্ত্র স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে যে কারো সাথে রাজনৈতিক জোটে অসুবিধা ছিল না। সেটা ৫ বছর পরে হতো, ঠিক প্রথম নির্বাচনেই কেন? কিন্তু আর সব অপশনকে ধীরে ধীরে রাজনীতি করে বাদ দেয়া হয়েছে যাতে জামায়াতের সাথে জোট ছাড়া কোন উপায় না থাকে। সুনিপুণভাবে এখানে এনে অনেককে জিম্মি করা হয়েছে। যাই হোক। এটা কোন রাজনৈতিক কৌশল না। এটাই পরিকল্পনা।
এই লেখার পরে আমার উপর অনেক আক্রমণ আসবে। আমার অনেক ব্যথতার ঢালি সাজানো হবে। চরিত্রহননের চেষ্টা হবে। কিন্তু নিজের কাছে নিশ্চিত। আমি এদের সাথে রাজনীতি করতে এসেছিলাম, এদের বিরুদ্ধে না। আমার আজকে মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করার কথা, আর আমি এখানে বসে এসব লিখছি। জোট নাকি হবে দেড় মাসের, তারপর তারা মধ্যপন্থায় ব্যাক বাউন্স করবে। ট্রু। ব্যাক করে আবার দ্বিচারিতা, ভন্ডামি শুরু করবে। যে জবাবদিহিতার কথা বলে এরা মুখে ফেনা তুলে, সেটা নিজেদের কেউ করলে তাকেই মাইনাস করে।
আমি আগে রাজনীতি করি নাই, ঠিক। কিন্তু এরা কে আগে জাতীয় রাজনীতি করেছে? আমি নিজে বের হয়ে দলের বদনাম করছি, বলতে পারেন। বিষয়টা আমারও ভালো লাগছে না। কিন্তু সেটার থেকে আমার কাছে বেশি জরুরি মানুষ যে এনসিপির দিকে তাকিয়ে আছে, এনসিপিকে এটা সেটা ভেবে, এনসিপি ওটা না। এনসিপিকে আমরা যারা ওটা করতে চেয়েছি তাদেরকে ট্যাগিং করা হয়েছে নানাভাবে। আমরা যারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, তারা একে একে ছাড়ছি। যাতে এই এনার্জিটা গঠনে ব্যয় হয়, এই চেষ্টাটা প্রোডাকটিভ ভাবে করতে পারি। এখন কলুর বলদ খাটছি।
নিজেরও ভাল লাগছে না, এভাবে ছেড়ে যেতে। কিন্ত যারা এই দেশ, এই সংসদই চায় নাই তাদের সমঝোতায় একদম শুরুতেই এমপি হতে চাওয়া, বা যারা এদের কল্যাণে এমপি হওয়ার জন্য হাভাইত্তার মতো করছে তাদের নেতৃত্ব মানা আমার পক্ষে ঠিক গণঅভ্যুত্থানের পরের বছর অসম্ভব। এই জিনিস হজম করে মরতেও পারব না আমি। আমার নেতা হবে মাজাওয়ালা, জুলাই রাজনীতির ধারক। কিন্তু পুরো জুলাইকে নিয়ে রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দিচ্ছে জামায়াতের হাতে। আবার নাকি বাউন্স ব্যাক করবে। হাস্যকর। বিএনপি, এই জামাতের সাথে জোট করে ১৭ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে ছিল। আর বিএনপির অধীনে জামায়াতের সাথে জোট হয়েছিল। জামায়াতের অধীনে না। যেখানে এনসিপিকে বলাই হয় জামায়াতের আরেকটা দোকান, তাহলে কেন এনসিপি আগে নিজের স্বকীয়তা, নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নিতে মরিয়া হয়ে যাচ্ছে? তিনজন মন্ত্রী ছিল না ক্ষমতায়? পারে নাই তো।
ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা যায় কৌশল করে, কিন্তু সংগঠন দাঁড় করাতে যোগ্যতা লাগে। আপনারা মিলায় নেবেন, যারা এনসিপি ছাড়ছি তারাই এনসিপির বলা নয়া বন্দোবস্তের রাজনীতি করেছি। কিন্তু ছাড়তে হচ্ছে আমাদের। পার্টিতে থাকা অবস্থায় কোন শোকজ না পেয়ে, সম্পূর্ণ পার্টির ইন্টিগ্রিটি মেনে যখন ছেড়ে আসতে চাই, তখন “অরাজনৈতিক” তকমা পরে। আপনারা এটাও মিলায় দেখেন কত কয়েকমাসে কোন কোন নেতা কত অসংখ্যবার পাটির ইন্টিগ্রিটি ভেঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে, বিভিন্ন কাজ করেছে কিন্তু তারা মিলিয়ন ফলোয়ার ওয়ালা গণঅভ্যুত্থানের নেতা তাই তারা নির্বাচনী জোটের নামে বাকিদের নির্বাচন করার অধিকার কেড়ে নিয়ে এমপি হতে পারেন আর আমরা পদত্যাগও করতে পারব না। সেটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।
নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রচুর পজিটিভ পিআর হবে এসকল নেতাদের ঘিরে। কিন্তু আমি নিশ্চিত এরা নয়া বন্দোবস্ত না, এরা মধ্যপন্থার রাজনীতি না। আপনারা বলতে পারেন, এসব আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু এই দলে অনেকে আছে/ছিল যারা আদৌতেই এনসিপির রাজনীতি করেছে। তাদেরকে এম্পাওআরড করা হয় নাই ইচ্ছাকৃতভাবে। আপনারা তাদেরই চেনেন যাদের এনসিপি চেনাতে চেয়েছে। জুলাই এর যে স্পিরিট সেটা এনসিপিতে চর্চা করা হয় না, ব্যবহার করা হয়।
যারা চর্চা করত, তাদের “নীতি কথা বলা যায় অনেক, বিপ্লব দিয়ে রাজনীতি হয় না, আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না” ইত্যাদি বলে থামানো হয়, যাতে তারা নিজেদের ভন্ডামি চালিয়ে যেতে পারে।
আরেকটা বিষয় দেখলাম, বিএনপি গণভোটে না ভোটকে জেতায় আনবে তাই সেটা ঠেকানোর জন্য এই কৌশল। আমার প্রশ্ন, হ্যাঁ ভোট জেতানোর জন্য এনসিপিকে ৩০টা আসনে সীমিত হতে হল???? যে লিস্ট ঘুরছে তাদের ৬০-৭০% এর রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন। আমার চেয়ে ভাল জানবেন। এরপরও এনসিপির জোর করে চেপে বসে থাকা নেতাদের মধ্যে যদি এনসিপির রাজনীতি নিয়ে পরিকল্পনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখতাম, জবাবদিহিতা পেতাম, তাহলে আমি আরো চেষ্টা করতাম টিকে থাকার। এখন সময় নষ্ট না করি আর।
ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।
জামাতের সাথে জোট না চাওয়া মানে বিএনপির সাথে চাওয়া না। আমার রাজনীতিই সংস্কারের পক্ষে। নতুন সংবিধানের পক্ষে। আমি চেয়েছিলাম স্বতন্ত্র একটা নির্বাচন হোক, তৃতীয় জোট করে, বিএনপি/জামাতের বাইরে গিয়ে।
যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষ্যে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন্য সঠিক। এখানে ন্যুনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।
আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
শেষ কথা বলি, আমি আগে কখনো রাজনীতি করি নাই। জুলাই এ আমার রাজপথে নামা, পরিবর্তনের লক্ষ্যে নতুন কিছুর জন্য।
আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই চেষ্টা করতে থাকব। আমার আওয়াজ, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য কাজ আরো জোরালোভাবে জারি থাকবে। মধ্যপন্থার বাংলাদেশ পন্থী নয়া বন্দোবস্তের রাজনীতির জায়গাটা খালিই পরে থাকল। আমি ওই জায়গা পূরণ করার চেষ্টায় থাকব। সময় বলে দিবে বাকিটা।’

পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
এই স্ট্যাটাসে তাজনূভা বলেন, ‘আরেকটা কথা, আমি এনসিপি ছেড়েছি, রাজনীতি না। সংসদ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য যে লড়াইটা চালাতে হয় এরা একটাও সে লড়াই করে নাই। লড়াই, সংগ্রাম, মজলুম ছাড়া সংসদে যাওয়া টেকসই না, জনপ্রতিনিধি হওয়া টেকসই না। আমি টেকসই কিছু চাই। এই পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমার আসল লড়াই শুরু। আমার রাজনীতির শেষ না, এটা শুরু।’
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তাজনূভা জাবীন জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিক্স’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতের সাথে এই জোট কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘পুরো জুলাইকে (গণঅভ্যুত্থান) রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে জামায়াতের হাতে।’
তাজনূভা জাবীনের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘আপনারা অনেকে ভাবছেন, হয়তো জামায়াতের সাথে জোটে ঐতিহাসিক কারণ বা নারী বিষয়ের কারণে আমার আপত্তি। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর যে কারণ, সেটা হল যে প্রক্রিয়ায় এটা হয়েছে। এটাকে রাজনৈতিক কৌশল, নির্বাচনী জোট ইত্যাদি লেভেল দেয়া হচ্ছে। আমি বলব এটা পরিকল্পিত। এটাকে সাজিয়ে এ পর্যন্ত আনা হয়েছে।
এটা আদর্শের চেয়েও অনেক বড়, সেটা হল বিশ্বাস। মাত্র কিছুদিন আগে সমারোহে সারাদেশ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক দিয়ে ১২৫ জনকে মনোনয়ন দিয়ে ৩০ জনের জন্য সীট সমঝোতা করে বাকিদের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তে সীল মোহর বসানো হয়েছে। বিষয়টা ঠেলতে ঠেলতে একদম শেষ অবধি এনেছে যাতে কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনও করতে না পারে। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ। আমার অবশ্য এই মুহূর্তে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ইচ্ছা নাই। পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় নানান খবর প্রকাশিত হচ্ছে। আমি মনোনয়ন হারানোর ভয়ে জোটের বিরোধিতা করছি। আমি কিছুদিন আগে লিখেওছিলাম আমার আসনে নেগোনিয়েশন হলে আমি নির্বাচন করব না, যত কঠিন প্রতিপক্ষ হোক আমি ফাইট দেব। দিলো না। তাদের গোষ্টীর ভাইরা তাদের পক্ষে দিস্তায় দিস্তায় লিখে ভরায় ফেলছে কেন আর কিভাবে এই জোট। কিন্তু কোন জেনারেল, ইসি মিটিং এর সিদ্ধান্ত এরকম ছিল না জোট হলে বাকি আসনে প্রার্থীকে বসে যেতে হবে। আবার বাকি আসনগুলোতে জামায়াতের হয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করতে হবে। জামায়াতের সাথে চরমোনাই পীরের ৭০টা আসনে সমঝোতা হচ্ছে। আর গণঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেয়া দলের ৩০টা আসনে।
এনসিপি শুরু থেকে যে গণপরিষদ, সেকেন্ড রিপাবলিক মধ্যপন্থার, নারী, বিভিন্ন জাতিসত্তাকে নিয়ে রাজনীতি করার কথা বলছে সেটা ধারন করে যে কয়জন পার্টিতে ছিল তাদের মধ্যে আমি একজন। এই পার্টির একজন ফাউন্ডার মেম্বার আমি। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ মন খারাপ। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোন সম্মানজনক অপশন নাই। দলের খারাপ সময়ে দল ছেড়ে দিয়ে অরাজনৈতিক, অপরিপক্কতার পরিচয় ইত্যাদি বয়ান দিবে অনেকে। জাস্ট বুলশিট। শুধু এটুকু বলি, আমি বহিরাগত ওখানে, আমাকে প্রতারিত করলে মেইক সেন্স। কিন্তু এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সাথে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে সেটা ভয়ঙ্কর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এতো ব্যস্ত এরা কখনো দেশের জন্য নতুন একটা মধ্যপন্থার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে পারবে না।
সবাই খুব বলছেন কালকে থেকে, রাজনীতি লম্বা, অনেক দূর যেতে হয়। একদম ঠিক। কিন্তু সেই নীতি এনসিপির নিজেরই নাই। নেতারা বিতর্কের পর বিতর্ক জন্ম দিয়ে সেটাকে বিপ্লব নাম দিয়েছে আর আমাদের মত যারা আসলেই এনসিপির নীতি ধারণ করেছি তাদের আবেগী লেবেল দেয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে সবশেষ ডেইলি স্টারের ডিবেটে বলা কথা শীর্ষ নেতারা কতটুকু ধারণ করে সময় মতো মিলিয়ে নিয়েন।
ওই পুরোনো ফাঁকা বুলির রাজনীতি করতে হলে পুরোনো দলই করতাম, নতুন কেন? এবার আবারও আসি, জামায়াতের সাথে জোট প্রসঙ্গে, এনসিপি স্বতন্ত্র স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে যে কারো সাথে রাজনৈতিক জোটে অসুবিধা ছিল না। সেটা ৫ বছর পরে হতো, ঠিক প্রথম নির্বাচনেই কেন? কিন্তু আর সব অপশনকে ধীরে ধীরে রাজনীতি করে বাদ দেয়া হয়েছে যাতে জামায়াতের সাথে জোট ছাড়া কোন উপায় না থাকে। সুনিপুণভাবে এখানে এনে অনেককে জিম্মি করা হয়েছে। যাই হোক। এটা কোন রাজনৈতিক কৌশল না। এটাই পরিকল্পনা।
এই লেখার পরে আমার উপর অনেক আক্রমণ আসবে। আমার অনেক ব্যথতার ঢালি সাজানো হবে। চরিত্রহননের চেষ্টা হবে। কিন্তু নিজের কাছে নিশ্চিত। আমি এদের সাথে রাজনীতি করতে এসেছিলাম, এদের বিরুদ্ধে না। আমার আজকে মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করার কথা, আর আমি এখানে বসে এসব লিখছি। জোট নাকি হবে দেড় মাসের, তারপর তারা মধ্যপন্থায় ব্যাক বাউন্স করবে। ট্রু। ব্যাক করে আবার দ্বিচারিতা, ভন্ডামি শুরু করবে। যে জবাবদিহিতার কথা বলে এরা মুখে ফেনা তুলে, সেটা নিজেদের কেউ করলে তাকেই মাইনাস করে।
আমি আগে রাজনীতি করি নাই, ঠিক। কিন্তু এরা কে আগে জাতীয় রাজনীতি করেছে? আমি নিজে বের হয়ে দলের বদনাম করছি, বলতে পারেন। বিষয়টা আমারও ভালো লাগছে না। কিন্তু সেটার থেকে আমার কাছে বেশি জরুরি মানুষ যে এনসিপির দিকে তাকিয়ে আছে, এনসিপিকে এটা সেটা ভেবে, এনসিপি ওটা না। এনসিপিকে আমরা যারা ওটা করতে চেয়েছি তাদেরকে ট্যাগিং করা হয়েছে নানাভাবে। আমরা যারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, তারা একে একে ছাড়ছি। যাতে এই এনার্জিটা গঠনে ব্যয় হয়, এই চেষ্টাটা প্রোডাকটিভ ভাবে করতে পারি। এখন কলুর বলদ খাটছি।
নিজেরও ভাল লাগছে না, এভাবে ছেড়ে যেতে। কিন্ত যারা এই দেশ, এই সংসদই চায় নাই তাদের সমঝোতায় একদম শুরুতেই এমপি হতে চাওয়া, বা যারা এদের কল্যাণে এমপি হওয়ার জন্য হাভাইত্তার মতো করছে তাদের নেতৃত্ব মানা আমার পক্ষে ঠিক গণঅভ্যুত্থানের পরের বছর অসম্ভব। এই জিনিস হজম করে মরতেও পারব না আমি। আমার নেতা হবে মাজাওয়ালা, জুলাই রাজনীতির ধারক। কিন্তু পুরো জুলাইকে নিয়ে রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দিচ্ছে জামায়াতের হাতে। আবার নাকি বাউন্স ব্যাক করবে। হাস্যকর। বিএনপি, এই জামাতের সাথে জোট করে ১৭ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে ছিল। আর বিএনপির অধীনে জামায়াতের সাথে জোট হয়েছিল। জামায়াতের অধীনে না। যেখানে এনসিপিকে বলাই হয় জামায়াতের আরেকটা দোকান, তাহলে কেন এনসিপি আগে নিজের স্বকীয়তা, নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নিতে মরিয়া হয়ে যাচ্ছে? তিনজন মন্ত্রী ছিল না ক্ষমতায়? পারে নাই তো।
ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা যায় কৌশল করে, কিন্তু সংগঠন দাঁড় করাতে যোগ্যতা লাগে। আপনারা মিলায় নেবেন, যারা এনসিপি ছাড়ছি তারাই এনসিপির বলা নয়া বন্দোবস্তের রাজনীতি করেছি। কিন্তু ছাড়তে হচ্ছে আমাদের। পার্টিতে থাকা অবস্থায় কোন শোকজ না পেয়ে, সম্পূর্ণ পার্টির ইন্টিগ্রিটি মেনে যখন ছেড়ে আসতে চাই, তখন “অরাজনৈতিক” তকমা পরে। আপনারা এটাও মিলায় দেখেন কত কয়েকমাসে কোন কোন নেতা কত অসংখ্যবার পাটির ইন্টিগ্রিটি ভেঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে, বিভিন্ন কাজ করেছে কিন্তু তারা মিলিয়ন ফলোয়ার ওয়ালা গণঅভ্যুত্থানের নেতা তাই তারা নির্বাচনী জোটের নামে বাকিদের নির্বাচন করার অধিকার কেড়ে নিয়ে এমপি হতে পারেন আর আমরা পদত্যাগও করতে পারব না। সেটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।
নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রচুর পজিটিভ পিআর হবে এসকল নেতাদের ঘিরে। কিন্তু আমি নিশ্চিত এরা নয়া বন্দোবস্ত না, এরা মধ্যপন্থার রাজনীতি না। আপনারা বলতে পারেন, এসব আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু এই দলে অনেকে আছে/ছিল যারা আদৌতেই এনসিপির রাজনীতি করেছে। তাদেরকে এম্পাওআরড করা হয় নাই ইচ্ছাকৃতভাবে। আপনারা তাদেরই চেনেন যাদের এনসিপি চেনাতে চেয়েছে। জুলাই এর যে স্পিরিট সেটা এনসিপিতে চর্চা করা হয় না, ব্যবহার করা হয়।
যারা চর্চা করত, তাদের “নীতি কথা বলা যায় অনেক, বিপ্লব দিয়ে রাজনীতি হয় না, আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না” ইত্যাদি বলে থামানো হয়, যাতে তারা নিজেদের ভন্ডামি চালিয়ে যেতে পারে।
আরেকটা বিষয় দেখলাম, বিএনপি গণভোটে না ভোটকে জেতায় আনবে তাই সেটা ঠেকানোর জন্য এই কৌশল। আমার প্রশ্ন, হ্যাঁ ভোট জেতানোর জন্য এনসিপিকে ৩০টা আসনে সীমিত হতে হল???? যে লিস্ট ঘুরছে তাদের ৬০-৭০% এর রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন। আমার চেয়ে ভাল জানবেন। এরপরও এনসিপির জোর করে চেপে বসে থাকা নেতাদের মধ্যে যদি এনসিপির রাজনীতি নিয়ে পরিকল্পনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখতাম, জবাবদিহিতা পেতাম, তাহলে আমি আরো চেষ্টা করতাম টিকে থাকার। এখন সময় নষ্ট না করি আর।
ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।
জামাতের সাথে জোট না চাওয়া মানে বিএনপির সাথে চাওয়া না। আমার রাজনীতিই সংস্কারের পক্ষে। নতুন সংবিধানের পক্ষে। আমি চেয়েছিলাম স্বতন্ত্র একটা নির্বাচন হোক, তৃতীয় জোট করে, বিএনপি/জামাতের বাইরে গিয়ে।
যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষ্যে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন্য সঠিক। এখানে ন্যুনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।
আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
শেষ কথা বলি, আমি আগে কখনো রাজনীতি করি নাই। জুলাই এ আমার রাজপথে নামা, পরিবর্তনের লক্ষ্যে নতুন কিছুর জন্য।
আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই চেষ্টা করতে থাকব। আমার আওয়াজ, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য কাজ আরো জোরালোভাবে জারি থাকবে। মধ্যপন্থার বাংলাদেশ পন্থী নয়া বন্দোবস্তের রাজনীতির জায়গাটা খালিই পরে থাকল। আমি ওই জায়গা পূরণ করার চেষ্টায় থাকব। সময় বলে দিবে বাকিটা।’

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪
নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
আজ রোববার এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি দল ছাড়ার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
তাজনূভা জাবীন তাঁর পোস্টে অভিযোগ করেন, জামায়াতের সঙ্গে এই জোট কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি লিখেছেন, ‘পুরো জুলাইকে (গণ-অভ্যুত্থান) রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে জামায়াতের হাতে।’
তাঁর দাবি, এনসিপির স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে প্রথম নির্বাচনেই কেন জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল হতে হলো, তা নিয়ে দলে কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি আরও বলেন, যেখানে এনসিপিকে জামায়াতের ‘বি টিম’ বা ‘অন্য দোকান’ বলা হয়, সেখানে আগে নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা না করে কেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নেওয়া হলো, তা প্রশ্নবিদ্ধ।
তাজনূভা জাবীন বলেন, সারা দেশ থেকে ১২৫ জনকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ডাক দিয়ে শেষ মুহূর্তে মাত্র ৩০টি আসনে সমঝোতা করা হয়েছে। বাকিদের নির্বাচন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়টি একদম শেষ সময় পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে না পারে। তার ভাষায়, ‘পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।’
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সাথে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে, সেটা ভয়ংকর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এত ব্যস্ত যে এরা কখনো দেশের জন্য নতুন কোনো রাজনীতি করতে পারবে না।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপির নেতারা জুলাইয়ের স্পিরিটকে চর্চা করেন না, বরং নিজেদের ফায়দাতে ‘ব্যবহার’ করেন। যারা দলের নীতিকথা বলেন, তাঁদের ‘আবেগি’ তকমা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়।
তাজনূভা জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন না। কারণ, সেটির কোনো পরিবেশ রাখা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংগৃহীত মানুষের অনুদান (ডোনেশন) তিনি একে একে সবাইকে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজেরও ভালো লাগছে না এভাবে ছেড়ে যেতে। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো সম্মানজনক অপশন নাই।’
যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারার পর তাজনূভা জাবীনের এই পদত্যাগ এনসিপির ‘মধ্যপন্থা’ ও ‘নতুন বন্দোবস্ত’-এর রাজনীতিকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলল। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল কেন প্রথম ভোটেই পুরোনো মেরুকরণে আটকা পড়ল, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
আজ রোববার এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি দল ছাড়ার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
তাজনূভা জাবীন তাঁর পোস্টে অভিযোগ করেন, জামায়াতের সঙ্গে এই জোট কোনো আকস্মিক রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি লিখেছেন, ‘পুরো জুলাইকে (গণ-অভ্যুত্থান) রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে জামায়াতের হাতে।’
তাঁর দাবি, এনসিপির স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে প্রথম নির্বাচনেই কেন জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল হতে হলো, তা নিয়ে দলে কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি আরও বলেন, যেখানে এনসিপিকে জামায়াতের ‘বি টিম’ বা ‘অন্য দোকান’ বলা হয়, সেখানে আগে নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা না করে কেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নেওয়া হলো, তা প্রশ্নবিদ্ধ।
তাজনূভা জাবীন বলেন, সারা দেশ থেকে ১২৫ জনকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ডাক দিয়ে শেষ মুহূর্তে মাত্র ৩০টি আসনে সমঝোতা করা হয়েছে। বাকিদের নির্বাচন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়টি একদম শেষ সময় পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে না পারে। তার ভাষায়, ‘পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।’
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সাথে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে, সেটা ভয়ংকর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এত ব্যস্ত যে এরা কখনো দেশের জন্য নতুন কোনো রাজনীতি করতে পারবে না।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপির নেতারা জুলাইয়ের স্পিরিটকে চর্চা করেন না, বরং নিজেদের ফায়দাতে ‘ব্যবহার’ করেন। যারা দলের নীতিকথা বলেন, তাঁদের ‘আবেগি’ তকমা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়।
তাজনূভা জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন না। কারণ, সেটির কোনো পরিবেশ রাখা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংগৃহীত মানুষের অনুদান (ডোনেশন) তিনি একে একে সবাইকে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজেরও ভালো লাগছে না এভাবে ছেড়ে যেতে। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো সম্মানজনক অপশন নাই।’
যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারার পর তাজনূভা জাবীনের এই পদত্যাগ এনসিপির ‘মধ্যপন্থা’ ও ‘নতুন বন্দোবস্ত’-এর রাজনীতিকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলল। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল কেন প্রথম ভোটেই পুরোনো মেরুকরণে আটকা পড়ল, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪
পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
৬ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
তাজনূভা লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।
যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন্য সঠিক। এখানে ন্যূনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।’
তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
তাজনূভা লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।
যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন্য সঠিক। এখানে ন্যূনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।’
তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪
পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দলের শীর্ষ নেতার পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল। তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঢাকা-১৭ আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে যে ৩টি বিএনপি ফাঁকা রেখেছিল, তার মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনও ছিল। গুলশান-বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভোলা-১ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দলের শীর্ষ নেতার পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল। তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঢাকা-১৭ আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে যে ৩টি বিএনপি ফাঁকা রেখেছিল, তার মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনও ছিল। গুলশান-বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভোলা-১ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁর পরিবারসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪
পদত্যাগ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এবার দিলেন নতুন ঘোষণা। আজ রোববার আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
৬ মিনিট আগে
নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিল নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের শীর্ষ নেতাদের ‘মাইনাস পলিটিকস’-এর অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে