Ajker Patrika

ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, দেশ স্বাধীনের পর আত্মগোপনে ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

বাসস
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, ২২: ১২
ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, দেশ স্বাধীনের পর আত্মগোপনে ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

‘এই বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটা পরিবেশ দেখতে চাইনি’—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কথার জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব অবচেতন মনে সত্য কথা বলেছেন। কারণ, উনি আর ওনার বাবা বাংলাদেশটাই চাননি। ওনার বাবা ছিলেন পাকিস্তানপন্থী। ফখরুল সাহেব কদিন আগে বলেছিলেন—পাকিস্তানই ভালো ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশটাই উনি চাননি। আর উনি তো কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। দেশ স্বাধীনের পর তিনি অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বর্তমান সরকারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে পালন করে, আমাদের দেশেও সংবিধান অনুযায়ী ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি যত ধরনের রূপরেখাই দিক না কেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।’ 

ঈদের পর বিএনপির এক দফা আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এক দফার আন্দোলন বিএনপি ২০১৩ সাল থেকেই শুরু করেছে। সেই আন্দোলনের নামে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশের মানুষ তাঁদের নৈরাজ্য দেখেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেই পরিস্থিতি আমরা সামাল দিয়েছি। এখন বিএনপি কতটুকু কী করতে পারে, সেটা নিয়ে আমাদের ধারণা আছে।’ 

তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এখন ‘খাঁচায় বন্দী বাঘ’ আর তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশান্তরি পলাতক আসামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবসহ তাঁদের অন্যান্য নেতৃত্ব কতটুকু কী করতে পারে, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে—সেটা আমাদের জানা আছে। তাঁদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তাঁদের এসব কথা বাগাড়ম্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ 

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি ও কয়েকজন অর্থনীতিবিদের কিছু মন্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তাঁরা যেসব সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁরা কোনো দিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেনি। কিন্তু তাঁদের এই ভালো না দেখার মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, এখন জিডিপিতে বিশ্বের ৩৫তম ও পিপিপিতে ৩১তম, খুব সহসাই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো কোনো দিন দেখেনি। তাঁদের চোখে ছানি পড়েছে কিংবা না দেখার দৈন্যের জন্য তাঁরা চিকিৎসক দেখাতে পারেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কষ্ট হয় যে বিএনপি নেতারা দেখেও দেখতে পান না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বে মাত্র ২০টি দেশে জিডিপি বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এগুলো যদি তাঁরা না দেখেন, তাহলে বলার কিছু নেই।’ 

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অর্থনীতি নানাভাবে চাপে ছিল। আমাদের অর্থনীতি সেটিও কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যেমন রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। সেটি এখন বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এত কিছুর মধ্যেও গত বছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো আছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা কামনা করেন অর্থনীতিটা খারাপ হোক। সে জন্যই তাঁরা এসব কথা বলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা। স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের তিনি এমন হিসাব দিয়েছেন।

হলফনামায় পেশা হিসেবে তারেক রহমান রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

হলফনামা অনুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

দেশে-বিদেশে আয়ের উৎসে দেখিয়েছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানির শেয়ার ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত ২০ হাজার ও অন্যান্য আমানত আছে ১ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গয়না ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্থাবর সম্পদে উল্লেখ করেছেন, নিজের কোনো কৃষিজমি নেই। ২ দশমিক ০১ একর ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষিজমি আছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। উপহারের আবাসস্থলের জমি আছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ ৷ স্ত্রীর আছে যৌথ মালিকানার ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি ও ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন; যার মূল্য অজানা।

তারেক রহমান তাঁর হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর নামে ৭৭টি মামলা করা হয়েছিল, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনোটি প্রত্যাহার, কোনোটি খারিজ, কোনোটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর একই সঙ্গে সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসনাতের বছরে আয় সাড়ে ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২৬ লাখ টাকার সোনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর বছরে আয় ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। তাঁর পেশা ব্যবসা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।

হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ। তিনি উল্লেখ করেছেন স্ত্রী সাবরিনা জাহান নুসরাত পেশায় গৃহিণী। হাম্মাম আব্দুল্লাহ হামজা নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদে হাসনাত উল্লেখ করেছেন, নগদ আছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। গয়না আছে ২৬ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক পণ্য আছে ৬৫ হাজার টাকার। আসবাব আছে ১ লাখ টাকার।

স্থাবর সম্পদে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। লিখেছেন, ‘প্রযোজ্য নয়’।

আয়কর রিটার্নে তিনি ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩১ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ছায়ানট জানায়, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সংগঠনটি কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করছে। শোকবার্তায় ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণ জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

এদিকে, এক পৃথক শোকবার্তায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি বর্ণিল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।

শোকবার্তায় উদীচীর নেতারা উল্লেখ করেন, ১৯৮০–এর দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া অনন্য ভূমিকা পালন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সক্রিয় হন। ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে হত্যার দায় থেকে হাসিনা কখনোই মুক্তি পাবেন না: নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে ‘হত্যা করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ হত্যার দায় থেকে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই মুক্তি পাবেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় খালেদা জিয়ার জানাজার আগে তাঁর জীবন ও কর্ম তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সে সময় এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলতেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে আবদ্ধ ছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দেশনেত্রী। সমগ্র দেশবাসী সাক্ষী যে, হেঁটে তিনি কারাগারে প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু নির্জন কারাগার থেকে তিনি বের হলেন চরম অসুস্থতা নিয়ে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের মতে, গৃহবন্দি থাকা চার বছরে তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা না দেওয়ায় তাঁর অসুস্থতা ক্রমে বেড়েছে। ফলে এভাবে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো এ অপরাজেয় নেত্রীর। তাই এ মৃত্যুর দায় থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা কখনো মুক্তি পাবেন না।’

বক্তব্যে খালেদা জিয়ার জন্ম, পারিবারিক পরিস্থিতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, রাজনীতিতে উঠে আসাসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত