Ajker Patrika

সন্ধ্যায় যমুনায় বৈঠক, আসতে পারে বড় ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ১৭: ০৪
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা। ছবি: উইকিপিডিয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা। ছবি: উইকিপিডিয়া

গত কয়েক দিনের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বসছেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। এর মধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া এবং পরে মূল ধারার মিডিয়াতে আসার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে খবর বের হয়। বিষয়টি প্রথমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নাহিদ ইসলামের মাধ্যমে গণমাধ্যমে আসে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাহিদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন—এমন খবর পেয়েই তিনি সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বলে জানান নাহিদ।

এরপর সরকার ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা আরও বাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একে অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য পোস্ট করা হয়। জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব করে। চরমোনাই পীরের ডাকে এনসিপিসহ পাঁচটি দল বৈঠক করে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চান না।

সর্বশেষ আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকছেন।’

এই পরিস্থিতিতে নজর এখন যমুনায় বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠেয় বৈঠকের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। কী ঘোষণা আসতে পারে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রধান দুটি ইস্যু হলো—নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং সরকারের তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক। এ ছাড়া সংস্কার, জুলাই সনদ, স্থানীয় নির্বাচন—এই ইস্যুগুলোও আলোচনার টেবিলে রয়েছে।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাতে রাজধানীর রমনার একটি বাসায় বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির নেতাদের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এই বৈঠকের কথা স্বীকার না করলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক মিত্র থাকলেও বর্তমানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনের ব্যাপারে একক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে। তারা ডিসেম্বর অথবা বড় জোর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় দিতে রাজি। তবে এনসিপি তাদের অবস্থানের ব্যাপারে এখনো কিছুটা অনমনীয়। তারা নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা, সংস্কার, স্থানীয় নির্বাচন, গণপরিষদ নির্বাচন চায়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনেরও পুনর্গঠন চেয়েছে এনসিপি।

আজ দুপুরে বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে চায়।

ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পরই নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। এই বিষয়টিতে সব দলই মোটামুটি একমত। শুধু দিন তারিখ সুনির্দিষ্ট করা বাকি। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবে বিএনপি শুরু থেকেই ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে আসছে। জামায়াত ও এনসিপি আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। গতকালের ত্রিদলীয় বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে কত দূর আলোচনা হয়েছে সেটি স্পষ্ট নয়।

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান আগের মতোই। তাঁদের মতে, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সংস্কার প্রক্রিয়া দুটো সমান্তরালে চলতে পারে। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বহুবার বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার সরকার ততটুকুই করুক। বাকিটা নির্বাচিত সরকার করবে। এই বিষয়টিতে বিশেষ করে এনসিপি বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছে। তারা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সংবিধানসহ রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই করার পক্ষে। জামায়াতের অবস্থানও অনেকটা এনসিপির পক্ষে। ফলে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য এখনো অনিশ্চিত। এ বিষয়টি যমুনার বৈঠকেই খোলাসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বিশেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে নানা সময় আপত্তি জানাতে দেখা গেছে। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের নতুন দল গঠনের পর থেকে এই দুই উপদেষ্টার সরকারে থাকার নৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিএনপি। তাঁরা দায়িত্বে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন একাধিক নেতা। যদিও আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিএনপির প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও উঠেছে। এনসিপি তো বটেই, খোদ উল্লেখিত দুই উপদেষ্টার পক্ষ থেকেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবেই সরকারে গিয়েছিলেন। তাঁদের এনসিপির সঙ্গে যুক্ত করে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক।

সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি দুই উপদেষ্টা ইস্যুতে বিএনপি ও সরকারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সরকারের সূত্রও বলছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং বাইরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

এই দুই উপদেষ্টাকে নিয়ে সরকারও এখন বেশ চাপে রয়েছে। আজ যমুনায় দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরানোও হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে ইঙ্গিত মিলছে।

এদিকে অনেকে বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের সুযোগেই এমন পরিস্থিতি দানা বাঁধছে। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন ক্রমে জটিল রূপ ধারণ করেছে বলে মনে করেন অনেকে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৭৯ ব্যাচের পররাষ্ট্র কর্মকর্তা ড. খলিলুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অনেকে মনে করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এমন বেসামরিক পদ এতদিন না থাকায় এখন তা বেসামরিক ও সামরিক এখতিয়ারের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে। অনেক দিন ধরেই বিরোধ চড়ছিল বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকেরা। সেই বিরোধে ঘি ঢেলেছে রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে আলোচনা। একপর্যায়ে বিএনপি ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে।

নানামুখী আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ড. খলিলুর রহমানের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে। তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

মোটা দাগে বিএনপি সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং তিন উপদেষ্টাকে সরানো—এই দুই ইস্যুতে অনড় থাকবে বলেই মনে হয়।

এই পরিস্থিতিতে জুলাই সনদ, স্থানীয় নির্বাচন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের বিচার, সংস্কার ইত্যাদি বহুল আলোচিত ইস্যুগুলো অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়বে কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

  • জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত এনসিপির
  • ক্ষুদ্র একটি অংশ চায় বিএনপির সঙ্গে জোট
  • জামায়াত বলছে আলোচনা চলমান, অগ্রগতি ভালো
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ০৪
নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে। নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ কোনো ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে ভোটে যাওয়ার বিরোধিতা করলেও জামায়াতের সঙ্গী হতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। কিন্তু এই সমঝোতার রূপরেখা বা ধরন কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জুলাইয়ের তরুণ আন্দোলনকারীদের গড়া দলটি।

এদিকে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা কিংবা জোট করা নিয়ে গঠনের এক মাস না পেরোতেই ভাঙনের সুর বাজছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নির্বাহী কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু এই সমঝোতার ধরন কী হবে, কত আসনে সমঝোতা হবে, জোট হবে, নাকি শুধুই আসন সমঝোতা হবে; সেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা এখনো চলমান। আলোচনার অগ্রগতিও ভালোই।’ কত আসনে সমঝোতা হচ্ছে জানতে চাইলে আযাদ বলেন, ‘কত আসনে সমঝোতা হবে সে রকম আলোচনা এখনো হয়নি। আগে নির্বাচনী সমঝোতার আলোচনা চূড়ান্ত হবে, তারপর অবস্থা ও অবস্থান বুঝে আসন সমঝোতার আলাপ হবে।’

এনসিপিকে ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জনকে নাকচ করে দিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এ রকম আলোচনা আমাদের মধ্যে হয়নি।’

তবে আসনের বিষয়ে এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘৩০ আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত আলাপ হয়নি। কিন্তু সংখ্যার বিষয়ে প্রাথমিক একটি ধারণা পাওয়ার পরেই আলোচনা এগিয়েছে।’

এনসিপির নেতারা বলছেন, দলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। উল্লেখযোগ্য একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে থাকার পক্ষে। আর ক্ষুদ্র একটি অংশ চায় বিএনপির সঙ্গে জোট। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশের বিরোধিতার কারণে বৃহস্পতিবার রাতের পর জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে একটি ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। অনেক নেতা চাইছেন, জামায়াতকে সঙ্গী করার আগে এনসিপি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুক যে এটা শুধুই একটি নির্বাচনী কৌশলগত সমঝোতা। এ সমঝোতার সঙ্গে আদর্শগত কোনো সম্পর্ক নেই।

এনসিপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা, তাঁদের জিতে আসার সম্ভাবনা; এ রকম নানা বিষয় বিবেচনা করে কৌশলগত কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শগত জায়গা থেকে এক হওয়ার কোনো বিষয় জড়িত নয়। ভারতসহ নানা দেশে এ ধরনের জোট দেখা যায়। অনেক সময় বাম বা মধ্যপন্থীরাও নির্বাচনী কৌশলগত কারণে ডানপন্থীদের সঙ্গে এক হয়।’

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। দুই দলের নেতারাই বলেছেন, শেষ পর্যন্ত কত আসনে সমঝোতা হবে তা নিষ্পত্তি হতে সে দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ সমঝোতার শর্ত হিসেবে দুই দল থেকেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থীকে তুলে নিতে হবে।

জোট ভাঙার আভাস?

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দেন এর নেতারা।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম জানান, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের দুই দল এনসিপি ও এবি পার্টি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা করছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর রটেছে। যদিও এসব বিষয়ে জোটের আরেক শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। কাইয়ূম বলেন, খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আর এই জোটে থাকবে না।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অভিযোগ করেন, এনসিপি ও এবি পার্টি জোটের আকাঙ্ক্ষা মানছে না। তিনি বলেন, ‘এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে গেছে– এ কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাউর হওয়ার পর আমাদের দল, দলের বাইরের লোকজন, শুভানুধ্যায়ী, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে মনে করেন, তাঁদের মধ্যে একধরনের কনফিউশন (সংশয়) সৃষ্টি হয়েছে যে, জোটের অংশীদার হয়ে আমরা জামায়াতের কাছে চলে যাচ্ছি।’

কাইয়ূম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিএনপি বা জামায়াত এ মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে না। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে তারা জাতিকে বিভক্ত করছে। এই বিভাজনের কোনো অংশ আমরা হতে চাই না।’

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট ভেঙে গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে চাই বলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারছি, না এটা ভেঙে গেছে। তবে সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন খবরে যা শোনা যাচ্ছে, যদি সেগুলো সত্য হয়, তাহলে কার্যত এই জোট এক্সিস্ট (অস্তিত্বশীল থাকা) করবে না।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র মঞ্চের অংশ। সেই জোট থেকে বেরিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর এনসিপির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে যোগ দেয় দলটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেকের প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত বিএনপি

  • বিএনপির নেতা-কর্মীরা গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন
  • নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সাংগঠনিক ইউনিটগুলো
  • সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারেও ফিরেছে গতি
রেজা করিম, ঢাকা 
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেতা আছেন, তাঁর নেতৃত্বও আছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা; যাঁকে কেন্দ্র করে দলের সব ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেই নেতা সশরীরে না থাকায় একধরনের শূন্যতা ছিল বিএনপিতে। অবশেষে সেই শূন্যতা দূর হলো। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে এখন পুরোদমে উজ্জীবিত বিএনপি।

তারেক দেশে ফেরায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে আত্মবিশ্বাস। সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারেও ফিরেছে গতি।

তারেক রহমানের ফেরার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে বলেও মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। একই সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সংশয় কেটে গেছে বলছেন তাঁরা।

তারেক রহমানকে এরই মধ্যে ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারেকের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী জনাব তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে, জনগণ উজ্জীবিত হয়েছে।’

দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমান দেশে ফেরায় রাজধানী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিটগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এত দিন অনেক এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচার কার্যক্রম ছিল ধীরগতির। এখন পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশের সংখ্যা বাড়ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তাঁরা জানান, নেতৃত্বের সরাসরি উপস্থিতি নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যেমন সহায়ক হচ্ছে, তেমনি মাঠের কর্মীদের মধ্যেও কাজের তাগিদ বাড়িয়েছে। তারেক রহমান দেশে ফেরার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই নেতা-কর্মীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। গা ছাড়া দেওয়া নেতা-কর্মীরাও গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন এখন, মাঠপর্যায়ে কর্মসূচির সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন নেতারা বলছেন, প্রবাসে থেকে দল পরিচালনার কারণে অনেক সময় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হতো।

দেশে ফিরে তারেক রহমান সরাসরি দিকনির্দেশনা দিতে পারায় সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে সমন্বয় তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন-কেন্দ্রিক বার্তা, স্লোগান ও কর্মসূচি আরও গোছানোভাবে মাঠে নামানো সম্ভব হচ্ছে। তাঁরা আরও বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে দলের রাজনৈতিক বার্তা আরও স্পষ্ট ও ধারাবাহিক হচ্ছে। এত দিন প্রবাস থেকে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্য ও নির্দেশনা অনেক সময় বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হওয়ার অভিযোগ ছিল। দেশে থেকে সরাসরি বক্তব্য ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত সেই বিভ্রান্তি কমাবে এবং নির্বাচনী প্রচারে দলের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে সহায়ক হবে।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জানান, আগে অনেক সময় নির্দেশনা পৌঁছাতে দেরি হতো বা বিভ্রান্তি তৈরি হতো। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাছাকাছি থাকায় সিদ্ধান্ত দ্রুত মাঠে বাস্তবায়ন হবে। জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা, ওয়ার্ডভিত্তিক বৈঠক এবং সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা দুটিই বাড়াবে। সব মিলিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিএনপিতে যে চাঙাভাব সৃষ্টি হয়েছে, তা সাংগঠনিক দিক থেকেই নয়, নির্বাচনী প্রচারেও নতুন গতি এনেছে।

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপি শুধু নয়, দেশ সত্যিকার অর্থে একজন যোগ্য অভিভাবক পেয়েছে।’ তিনি বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় নেতা-কর্মীরা অনেক বেশি উজ্জীবিত, অনেক বেশি সাহসী। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে নতুন পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন সারা দেশের নেতা-কর্মীরা।

১৭ বছর পর, বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তাঁদের মতে, বিএনপির জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারেক রহমানের ফেরায় যে চাঙাভাব ও নির্বাচনী গতি তৈরি হয়েছে, তা দলকে সাময়িকভাবে শক্তিশালী করেছে। তবে এই গতি কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করবে দল কত দ্রুত অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারে, তার ওপর। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসায় বিএনপিতে যে চাঙাভাব তৈরি হয়েছে, তা বজায় রাখতে হলে সবার আগে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারেক রহমানকে কঠোর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সুযোগসন্ধানীদের দূরে রাখতে হবে। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।

রাত সোয়া ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সাভার বাজার পার হয় তারেক রহমানের গাড়িবহর। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্মৃতিসৌধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্মৃতিসৌধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার থেকে ফেরার সময় তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।

তারেক রহমান নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যাঁরা বিকেল থেকে কষ্ট করেছেন, আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’

এর আগে, আজ বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তাঁকে বহনকারী বাস ধীরগতিতে চলায় দীর্ঘ ৫ পাঁচ ঘণ্টা পর স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এই দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর নিরাপত্তাবেষ্টনী হয়ে ছিলেন। তাই সারা দিনের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বিএনপির মধ্যমণি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪১
জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক ফেসবুক পোস্টে মিডিয়া সেল জানায়, তারেক রহমান আজ শুক্রবার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত