রেজা করিম, ঢাকা

সমমনাদের নিয়ে বিএনপির সরকার পতনের জমানো আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে ২০২৩ সালের শেষভাগে। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই বিদায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। এর ফলে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে থাকে। ক্ষমতায় ফিরতে বিএনপিকে অন্তত আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে— নেতা-কর্মীদের মনে এ ধারণা প্রায় পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর আগেই কোটা সংস্কারের আন্দোলন দলটির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কোটার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে বিদায়ী বছরে বিএনপিতে স্বস্তি ফিরেছে; প্রশস্ত হয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা স্বস্তির আকাশে কালো মেঘ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই দলটি, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত কোনো স্বস্তিই ‘বিশেষ কিছু নয়’ বলে মনে করছেন নেতারা।
এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, বিদায়ী বছরে আমাদের প্রাপ্তি এটাই। তবে চারিদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি, এত এত মানুষ প্রাণ দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে, তার মূল্য দিতে হবে। আমরা চাই নতুন বছরে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।’
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় বিএনপির। পট পরিবর্তনের পরের দিনই (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশে কারামুক্ত হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর একে একে কারামুক্ত হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান নেওয়া দলটির নেতা-কর্মীরাও দেশে ফিরতে থাকেন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন দলটির পছন্দের লোকেরা।

বিগত সময়ের চেয়ে সভা ও সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। দল গোছানোর পাশাপাশি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে দেশব্যাপী কাজ করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে বিএনপি জনগণের ভোট বিজয়ী হবে বলে বিশ্বাস করেন তাঁরা। বলা চলে, ক্ষমতা ও বিএনপির মাঝে এখন শুধুই নির্বাচন। দলের বাইরেও আছে এই আলোচনা। কিন্তু সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে। এরই মধ্যে নীতি নির্ধারকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রায় ৫ মাস মাস হতে চললেও রোডম্যাপ না দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই ঘোষণায় অনেকটাই হতাশ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে’ টালবাহানা হিসেবে দেখছে দলটির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, সংস্কারে আপত্তি নেই, কিন্তু গণতন্ত্রে উত্তরণের স্বার্থে নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচিত সরকার না থাকলে নানা ষড়যন্ত্র হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার বলেছেন, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না।
নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিএনপির জন্য বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগবিহীন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির সমকক্ষ কোনো দল নেই। তাদের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থেকে নির্যাতিত হিসেবে দলটির প্রতি ভোটারদের একধরণের সহানুভূতিও আছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনে তারাই ভাল করবে এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা দলটির জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভিতরে তো চাপ আছেই। অন্যদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে প্রভাবশালী জায়গাগুলোতে দলটি (জামায়াত) তাদের অবস্থান সুসংহত করতে পেরেছে। অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলাপও আছে। সব মিলিয়ে এসব বিষয় বিএনপির জন্য অবশ্যই ভাবনার। এ অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, পটপরিবর্তনের পর এরই মধ্যে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দখল-চাদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে নেতা-কর্মীদের অপকর্ম আরও বেড়ে যাবে। তাতে করে জনসমর্থন কমার সম্ভাবনা তৈরি হবে। অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা নিয়েও কথা বলছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, পরিবর্তিত সময়ে শুধু শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে আস্থায় নেওয়া কঠিন। জনগণ যাতে বিশ্বাস করে যে, ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি সত্যি সত্যি ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে, সেভাবে কৌশল ঠিক করতে হবে। এটাও বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
অস্বস্তির মধ্যেও বিএনপির জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাপার হলো— পট পরিবর্তনের পর নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বক্তৃতায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে পরিপক্ক রাজনীতিকের পরিচয় এনে দিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তারেক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ নেই— এটি ভাবা যাবে না। অতীতের যে কোনো নির্বাচনের থেকে এই নির্বাচন হবে অনেক-অনেক কঠিন। তাই নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দল। আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তাবনা ও দলীয় নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। এবারের নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বিএনপিকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-তরুণদের সম্ভাব্য নতুন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে।
একই সঙ্গে বিএনপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ।
নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে পারাকে ২০২৪ এর বড় অর্জন হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে গণতন্ত্র পুঃনপ্রতিষ্ঠায় নতুন বছরে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে চায় বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
গত দেড় দশক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকে কারাগাভোগ ও আত্মগোপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২০২৪। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচনের ভোট বর্জনে সফল হয় বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে শরীক দল ও সংগঠনে ভাঙনের চেষ্টা বিফল করে দেওয়া আরেকটি বড় অর্জন বলে মনে করে দলটি।

সমমনাদের নিয়ে বিএনপির সরকার পতনের জমানো আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে ২০২৩ সালের শেষভাগে। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই বিদায়ী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। এর ফলে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে থাকে। ক্ষমতায় ফিরতে বিএনপিকে অন্তত আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে— নেতা-কর্মীদের মনে এ ধারণা প্রায় পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর আগেই কোটা সংস্কারের আন্দোলন দলটির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কোটার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে বিদায়ী বছরে বিএনপিতে স্বস্তি ফিরেছে; প্রশস্ত হয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা স্বস্তির আকাশে কালো মেঘ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই দলটি, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত কোনো স্বস্তিই ‘বিশেষ কিছু নয়’ বলে মনে করছেন নেতারা।
এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, বিদায়ী বছরে আমাদের প্রাপ্তি এটাই। তবে চারিদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি, এত এত মানুষ প্রাণ দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে, তার মূল্য দিতে হবে। আমরা চাই নতুন বছরে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক।’
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় বিএনপির। পট পরিবর্তনের পরের দিনই (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশে কারামুক্ত হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর একে একে কারামুক্ত হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান নেওয়া দলটির নেতা-কর্মীরাও দেশে ফিরতে থাকেন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন দলটির পছন্দের লোকেরা।

বিগত সময়ের চেয়ে সভা ও সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। দল গোছানোর পাশাপাশি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে দেশব্যাপী কাজ করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে বিএনপি জনগণের ভোট বিজয়ী হবে বলে বিশ্বাস করেন তাঁরা। বলা চলে, ক্ষমতা ও বিএনপির মাঝে এখন শুধুই নির্বাচন। দলের বাইরেও আছে এই আলোচনা। কিন্তু সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে। এরই মধ্যে নীতি নির্ধারকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রায় ৫ মাস মাস হতে চললেও রোডম্যাপ না দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই ঘোষণায় অনেকটাই হতাশ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে’ টালবাহানা হিসেবে দেখছে দলটির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, সংস্কারে আপত্তি নেই, কিন্তু গণতন্ত্রে উত্তরণের স্বার্থে নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচিত সরকার না থাকলে নানা ষড়যন্ত্র হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার বলেছেন, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না।
নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিএনপির জন্য বিপদ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগবিহীন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির সমকক্ষ কোনো দল নেই। তাদের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থেকে নির্যাতিত হিসেবে দলটির প্রতি ভোটারদের একধরণের সহানুভূতিও আছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনে তারাই ভাল করবে এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা দলটির জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভিতরে তো চাপ আছেই। অন্যদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে প্রভাবশালী জায়গাগুলোতে দলটি (জামায়াত) তাদের অবস্থান সুসংহত করতে পেরেছে। অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলাপও আছে। সব মিলিয়ে এসব বিষয় বিএনপির জন্য অবশ্যই ভাবনার। এ অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, পটপরিবর্তনের পর এরই মধ্যে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দখল-চাদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে নেতা-কর্মীদের অপকর্ম আরও বেড়ে যাবে। তাতে করে জনসমর্থন কমার সম্ভাবনা তৈরি হবে। অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা নিয়েও কথা বলছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, পরিবর্তিত সময়ে শুধু শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে আস্থায় নেওয়া কঠিন। জনগণ যাতে বিশ্বাস করে যে, ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি সত্যি সত্যি ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে, সেভাবে কৌশল ঠিক করতে হবে। এটাও বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
অস্বস্তির মধ্যেও বিএনপির জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাপার হলো— পট পরিবর্তনের পর নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বক্তৃতায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে পরিপক্ক রাজনীতিকের পরিচয় এনে দিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তারেক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ নেই— এটি ভাবা যাবে না। অতীতের যে কোনো নির্বাচনের থেকে এই নির্বাচন হবে অনেক-অনেক কঠিন। তাই নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দল। আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তাবনা ও দলীয় নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। এবারের নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বিএনপিকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-তরুণদের সম্ভাব্য নতুন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে।
একই সঙ্গে বিএনপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ।
নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে পারাকে ২০২৪ এর বড় অর্জন হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে গণতন্ত্র পুঃনপ্রতিষ্ঠায় নতুন বছরে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে চায় বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
গত দেড় দশক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকে কারাগাভোগ ও আত্মগোপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২০২৪। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচনের ভোট বর্জনে সফল হয় বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনে শরীক দল ও সংগঠনে ভাঙনের চেষ্টা বিফল করে দেওয়া আরেকটি বড় অর্জন বলে মনে করে দলটি।

সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়।
২৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়। কেউ আবার সমাবেশে ঢুকতে না পেরে শেষমেশ এসে দাঁড়িয়েছেন হাসপাতালের গেটের সামনে—একটাই উদ্দেশ্য, তারেক রহমানকে কাছ থেকে একনজর দেখা।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থেকে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় এসেছেন বাকলিয়া শ্রমিক দলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ আলম। সকাল ৯টায় ঢাকায় পৌঁছে কমলাপুর থেকে যান ৩০০ ফুটে। সেখানে মঞ্চের কাছে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে চলে আসেন এভারকেয়ারের সামনে। তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশে মঞ্চের এলাকায় ঢুকতে পারি নাই। কাছাকাছি গেছিলাম। পরে এখানে আইসা বসছি, যাতে এখান থেকে একনজর দেখতে পারি।’
তাঁর পাশেই ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস। কথা বলতে গিয়ে বারবারই ফিরে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার কথায়। তিনি বলেন, ‘আমার নেতা ১৭-১৮ বছর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে পারে নাই। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যে কর্মসূচি দিয়েছেন, সব পালন করছি। আজ বাস্তবে উনাকে দেশে আসতে দেখতেছি, এইটা ১৭ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে পারতেছি না। কিন্তু এই ক্লিনিকটা দেখলেই মনে হয়, উনি এখানেই আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা চাই উনি সুস্থ হয়ে আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসুক।’
এভারকেয়ারের সামনে ভিড় করা মানুষদের মধ্যে শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নন, রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারাও। রামপুরা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক পদে নাই। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাই, দেশটা যেন সুন্দরভাবে চলে। দুর্নীতি যেন না থাকে, স্বাধীনতার সুফলটা যেন মানুষ পায়।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রত্যাশা আর উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। জামায়াতের রাজনীতির উত্থান, নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা—সবকিছুর উত্তর সময়ই দেবে বলে মনে করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) আসছেন, এখন দেখাই যাবে উনি কীভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করেন।’
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষগুলোর অনেকেই জানেন না, আদৌ তারেক রহমানকে দেখতে পাবেন কি না। তবু তাঁরা অপেক্ষায় আছেন। কেউ বসে আছেন ফুটপাতে, কেউ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। তাঁদের প্রত্যাশা একটাই, ১৭ বছর পর দেশে ফেরা নেতাকে অন্তত একনজর দেখা। এই অপেক্ষা যেন শুধু একজন নেতাকে দেখার অপেক্ষা নয়, বরং দীর্ঘ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর নতুন অধ্যায়ের শুরু দেখার প্রতীক্ষা।

সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়। কেউ আবার সমাবেশে ঢুকতে না পেরে শেষমেশ এসে দাঁড়িয়েছেন হাসপাতালের গেটের সামনে—একটাই উদ্দেশ্য, তারেক রহমানকে কাছ থেকে একনজর দেখা।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থেকে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় এসেছেন বাকলিয়া শ্রমিক দলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ আলম। সকাল ৯টায় ঢাকায় পৌঁছে কমলাপুর থেকে যান ৩০০ ফুটে। সেখানে মঞ্চের কাছে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে চলে আসেন এভারকেয়ারের সামনে। তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশে মঞ্চের এলাকায় ঢুকতে পারি নাই। কাছাকাছি গেছিলাম। পরে এখানে আইসা বসছি, যাতে এখান থেকে একনজর দেখতে পারি।’
তাঁর পাশেই ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস। কথা বলতে গিয়ে বারবারই ফিরে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার কথায়। তিনি বলেন, ‘আমার নেতা ১৭-১৮ বছর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে পারে নাই। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যে কর্মসূচি দিয়েছেন, সব পালন করছি। আজ বাস্তবে উনাকে দেশে আসতে দেখতেছি, এইটা ১৭ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে পারতেছি না। কিন্তু এই ক্লিনিকটা দেখলেই মনে হয়, উনি এখানেই আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা চাই উনি সুস্থ হয়ে আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসুক।’
এভারকেয়ারের সামনে ভিড় করা মানুষদের মধ্যে শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নন, রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারাও। রামপুরা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক পদে নাই। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাই, দেশটা যেন সুন্দরভাবে চলে। দুর্নীতি যেন না থাকে, স্বাধীনতার সুফলটা যেন মানুষ পায়।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রত্যাশা আর উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। জামায়াতের রাজনীতির উত্থান, নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা—সবকিছুর উত্তর সময়ই দেবে বলে মনে করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) আসছেন, এখন দেখাই যাবে উনি কীভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করেন।’
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষগুলোর অনেকেই জানেন না, আদৌ তারেক রহমানকে দেখতে পাবেন কি না। তবু তাঁরা অপেক্ষায় আছেন। কেউ বসে আছেন ফুটপাতে, কেউ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। তাঁদের প্রত্যাশা একটাই, ১৭ বছর পর দেশে ফেরা নেতাকে অন্তত একনজর দেখা। এই অপেক্ষা যেন শুধু একজন নেতাকে দেখার অপেক্ষা নয়, বরং দীর্ঘ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর নতুন অধ্যায়ের শুরু দেখার প্রতীক্ষা।

২০২৪ সাল বিএনপির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের মিশ্রণে পূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্ব, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, এবং নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবির্ভাব দলটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে সপরিবারে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাল সবুজ রঙের একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে তিনি রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চের দিকে।
এই দিনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্রেমে। দেশে ফেরা উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সাতটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। প্রতিটি পোস্টে ফুটে ওঠে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার অনুভূতি, আবেগ ও কৃতজ্ঞতার ভাষা।

দিনের শুরুতেই, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে। বিমানে বসা একটি ছবি—সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ক্যাপশন, ‘ফেরা।’ যেন একটি শব্দেই বলা হলো দীর্ঘ অপেক্ষার গল্প।
এরপর সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে আসে আরেকটি ছবি। বিমানের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা দৃশ্যের সঙ্গে লেখা—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩ শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’ সংখ্যার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পেল নির্বাসনের দীর্ঘ সময়ের ভার।

সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে নিজের ও স্ত্রী জুবাইদা রহমানের দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘অবশেষে সিলেটে, বাংলাদেশের মাটিতে!’ দেশের মাটিতে প্রথম পা রাখার মুহূর্তটি যেন আলাদা গুরুত্ব পায় এই পোস্টে। দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে বিমানবন্দরে প্রবেশের একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘অবশেষে প্রিয় দেশের মাটিতে!’ —একই অনুভূতি, কিন্তু আরও দৃঢ় উচ্চারণে।
এর কিছুক্ষণ পর, দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তারেক রহমান। সেখানে লেখা, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন।’ এটি শুধু সৌজন্য নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে বলে মনে করছেন অনেকে।

দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে আসে দিনের সবচেয়ে আবেগঘন দৃশ্য। খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করার একটি ভিডিও। ক্যাপশন, ‘খালি পায়ে দেশের মাটিতে।’ প্রতীকী এই মুহূর্তে ফুটে ওঠে শিকড়ের টান ও আত্মিক সংযোগ।
সবশেষে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের সংবর্ধনা মঞ্চে যাওয়ার একাধিক ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ দীর্ঘ যাত্রার শেষে সমর্থন ও ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবেই ধরা পড়ে এই পোস্ট।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে সপরিবারে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাল সবুজ রঙের একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে তিনি রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনা মঞ্চের দিকে।
এই দিনের প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্রেমে। দেশে ফেরা উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সাতটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। প্রতিটি পোস্টে ফুটে ওঠে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার অনুভূতি, আবেগ ও কৃতজ্ঞতার ভাষা।

দিনের শুরুতেই, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে। বিমানে বসা একটি ছবি—সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ক্যাপশন, ‘ফেরা।’ যেন একটি শব্দেই বলা হলো দীর্ঘ অপেক্ষার গল্প।
এরপর সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে আসে আরেকটি ছবি। বিমানের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা দৃশ্যের সঙ্গে লেখা—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩ শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’ সংখ্যার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পেল নির্বাসনের দীর্ঘ সময়ের ভার।

সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে নিজের ও স্ত্রী জুবাইদা রহমানের দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘অবশেষে সিলেটে, বাংলাদেশের মাটিতে!’ দেশের মাটিতে প্রথম পা রাখার মুহূর্তটি যেন আলাদা গুরুত্ব পায় এই পোস্টে। দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে বিমানবন্দরে প্রবেশের একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘অবশেষে প্রিয় দেশের মাটিতে!’ —একই অনুভূতি, কিন্তু আরও দৃঢ় উচ্চারণে।
এর কিছুক্ষণ পর, দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তারেক রহমান। সেখানে লেখা, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন।’ এটি শুধু সৌজন্য নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে বলে মনে করছেন অনেকে।

দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে আসে দিনের সবচেয়ে আবেগঘন দৃশ্য। খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করার একটি ভিডিও। ক্যাপশন, ‘খালি পায়ে দেশের মাটিতে।’ প্রতীকী এই মুহূর্তে ফুটে ওঠে শিকড়ের টান ও আত্মিক সংযোগ।
সবশেষে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের সংবর্ধনা মঞ্চে যাওয়ার একাধিক ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ দীর্ঘ যাত্রার শেষে সমর্থন ও ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবেই ধরা পড়ে এই পোস্ট।

২০২৪ সাল বিএনপির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের মিশ্রণে পূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্ব, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, এবং নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবির্ভাব দলটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়।
২৮ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
জাইমা রহমানের শেয়ার করা সেই সেলফিতে দেখা যায় তিনি ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে তাঁর আসনের পাশেই রেখেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন ভারতীয় অনুবাদক অনুরাভা সিনহা।
পেঙ্গুইন মূলত একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু ব্যবসায়িক ও ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তারা ভারত থেকে বই মুদ্রণ ও সরবরাহ করে থাকে।
আলোচিত এই সংকলনটি মূলত বাংলা সাহিত্যের এক শতাব্দীর সেরা ছোটগল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ। সংকলনটিতে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা উঠে এসেছে। এতে স্থান পেয়েছে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ এবং সামাজিক বাস্তবতার নিখুঁত চিত্র।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত ধরে বাংলায় ছোটগল্পের আগমন ঘটেছিল এবং বাঙালি লেখকেরা দ্রুতই এই শিল্পরূপটিকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর মধ্যে অসংখ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রসারের ফলে লাখ লাখ মানুষ এই গল্পগুলো পরম আগ্রহে পড়তে শুরু করে।
লেখকেরা তাঁদের সময়ের অস্থিরতাকে ধারণ করে এক প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে শব্দের এই ক্ষুধার প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। এই গল্পগুলোতে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় সংঘাত, পিতৃতন্ত্র, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এই পরিবর্তনশীল ভৌগোলিক সীমানার মাঝে লেখকেরাও অন্তর্মুখী হয়েছেন, নতুন সাহিত্যশৈলী উদ্ভাবন করেছেন এবং সামাজিক বাস্তববাদ, রাজনৈতিক কথাসাহিত্য ও অন্তরঙ্গ পারিবারিক আখ্যানের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেছেন।

ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো এই সংকলনটি এক শতাব্দীর অসাধারণ সব গল্পকে একত্র করেছে। গোপনে মাছ খাওয়া এক নারী থেকে শুরু করে এক বয়স্ক ফুটবলারের দুঃখ, মধ্যবিত্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধির উদ্বেগ থেকে পরশপাথর খুঁজে পাওয়া এক আইনজীবী—এটি এমন এক সংগ্রহ, যা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা ও আনন্দকে শিল্পে রূপ দেওয়ার মহিমা প্রচার করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
জাইমা রহমানের শেয়ার করা সেই সেলফিতে দেখা যায় তিনি ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে তাঁর আসনের পাশেই রেখেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন ভারতীয় অনুবাদক অনুরাভা সিনহা।
পেঙ্গুইন মূলত একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু ব্যবসায়িক ও ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তারা ভারত থেকে বই মুদ্রণ ও সরবরাহ করে থাকে।
আলোচিত এই সংকলনটি মূলত বাংলা সাহিত্যের এক শতাব্দীর সেরা ছোটগল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ। সংকলনটিতে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা উঠে এসেছে। এতে স্থান পেয়েছে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ এবং সামাজিক বাস্তবতার নিখুঁত চিত্র।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত ধরে বাংলায় ছোটগল্পের আগমন ঘটেছিল এবং বাঙালি লেখকেরা দ্রুতই এই শিল্পরূপটিকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর মধ্যে অসংখ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রসারের ফলে লাখ লাখ মানুষ এই গল্পগুলো পরম আগ্রহে পড়তে শুরু করে।
লেখকেরা তাঁদের সময়ের অস্থিরতাকে ধারণ করে এক প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে শব্দের এই ক্ষুধার প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। এই গল্পগুলোতে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় সংঘাত, পিতৃতন্ত্র, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এই পরিবর্তনশীল ভৌগোলিক সীমানার মাঝে লেখকেরাও অন্তর্মুখী হয়েছেন, নতুন সাহিত্যশৈলী উদ্ভাবন করেছেন এবং সামাজিক বাস্তববাদ, রাজনৈতিক কথাসাহিত্য ও অন্তরঙ্গ পারিবারিক আখ্যানের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেছেন।

ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো এই সংকলনটি এক শতাব্দীর অসাধারণ সব গল্পকে একত্র করেছে। গোপনে মাছ খাওয়া এক নারী থেকে শুরু করে এক বয়স্ক ফুটবলারের দুঃখ, মধ্যবিত্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধির উদ্বেগ থেকে পরশপাথর খুঁজে পাওয়া এক আইনজীবী—এটি এমন এক সংগ্রহ, যা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা ও আনন্দকে শিল্পে রূপ দেওয়ার মহিমা প্রচার করে।

২০২৪ সাল বিএনপির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের মিশ্রণে পূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্ব, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, এবং নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবির্ভাব দলটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়।
২৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’
তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রথমেই তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’
তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রথমেই তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

২০২৪ সাল বিএনপির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের মিশ্রণে পূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্ব, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, এবং নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবির্ভাব দলটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সকাল গড়িয়ে দুপুর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনের চিত্র আর দশটা দিনের মতো নয়। দল বেঁধে আসা মানুষের চোখেমুখে একধরনের উত্তেজনা, চাপা আবেগ। কেউ ঢাকায় এসেছেন ভোরের ট্রেনে, আবার কেউ গত রাত থেকেই ঘুরছেন বিমানবন্দরে, ৩০০ ফুট এলাকায়।
২৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। রাজনীতির বাইরে ও ভেতরে—এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ছিল আবেগ, কৌতূহল ও আলোচনার ঢেউ।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে