Ajker Patrika

ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি: সংসদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা ফেসবুকে দিলেন মমতাজ

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৪: ০৮
ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি: সংসদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা ফেসবুকে দিলেন মমতাজ

দেশজুড়ে চলমান অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে সংসদে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন তিনি। 

শুরুতেই নিজের নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদর) আসনে উন্নয়নকাজের ফিরিস্তি দেন মমতাজ। এরপর সংসদে বিদ্যুৎ নিয়ে বক্তব্যে ‘ট্রল’ না করে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। 

মমতাজ বলেন, ‘আজকে যে কথাটা বলার জন্য লাইভে এসেছি। সাময়িক একটা কষ্টের মধ্যে সারা দেশের মানুষ পড়েছি, সেটা হলো বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ নিয়ে যেমন কষ্ট আছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নানা ধরনের কথা, আলোচনা-সমালোচনা ও প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। যেহেতু আমি এমপি, কাজ করতে হলে... আমার এলাকায় কী কী কাজ করেছি, কী কাজ করা বাকি আছে, সেগুলো বলার একটি জায়গা হলো সংসদ। সংসদে আমি অনেক বক্তব্য দেই। তার দু-একটি কথা ধরে অনেকেই এটার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন এই কষ্টের মধ্যে। কারণ বিদ্যুৎ থাকছে না, বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি। সেটা কম-বেশি। সবার ঘরেই কিন্তু আজকে এ সমস্যাটা আছে।’ 

মমতাজ বলেন, ‘এটা সাময়িক সমস্যা। আপনারা জানেন যে, বিশ্বের কী অবস্থা। কিছুদিন আগে করোনা মহামারি গেল। তারপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ তো ছোট্ট একটা দেশ। সেখানে সরকার চেষ্টা করছে, আমরাও চেষ্টা করছি। তার পরও আমাদের এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি বলব, সেটা যেন আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আছেন, আল্লাহর কাছে একটু পানাহ চাইতে পারি।’ 

আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সরকার কিন্তু চেষ্টা করছে। আপনারা জানেন, গতকালও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেছেন। সংসদে আলোচনা হচ্ছে। যে সমস্যাটা এই মুহূর্তে আছে, এটা সাময়িক। সরকার চেষ্টা করছে সাময়িক এই সমস্যা কাটিয়ে আমরা যেন আগামীতে বিদ্যুতের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি। হ্যাঁ, আমি কেন বলেছিলাম সংসদে, আপনারা জানেন, এটা তো মিথ্যা কথা নয় যে, বিদ্যুৎ যে হারে সরকার উৎপাদন করেছে, ঘরে ঘরে লাইন দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেই প্রশংসা আমিও করেছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আগে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আমি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনকালে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। একসময় এলাকায় গেলে গ্রামের মা-বোনেরা এসে বলতেন—আপা, কিছু চাই না। আমাদের বিদ্যুতের লাইন দেন, মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এই যে একটা সংকট ছিল তখন, সেটা কিন্তু আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ তখন খুশি হয়েছিল। সে জন্য সংসদে বলেছিলাম, মানুষ বিদ্যুৎ চাইত। একসময় এই চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে।’ 

মমতাজ বলেন, ‘এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলে না—আপা, দুইটা মিটার দেন, পাঁচটা মিটার দেন। মিটার দেওয়ার জায়গা আসলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই কিন্তু বাস্তব। আর সেই কথাটাই সংসদে আমি বলেছিলাম। সেটার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুলভাবে উপস্থাপন করে অনেকেই। অসাধু কিছু লোক খামোখাই দুইটা বাজে কথা ফেসবুক-ইউটিউবে বলার চেষ্টা করছেন। আমি তাঁদের বিনীতভাবে বলব, আপনারা জ্ঞানী মানুষ হয়েও ভুল ব্যাখ্যা দেন, বাজেভাবে উত্থাপন করেন। তাঁদের বিনীতভাবে বলব, দেখেন, আমার কথার সত্যতা আছে। আমি সঠিক সময়ে সঠিক কথাই বলেছিলাম। সাময়িক এই সমস্যা হবে, এটা আপনি-আমি কেউ জানতাম না।’ 

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মমতাজ বলেন, ‘আমরা কি জানতাম পাকিস্তানের এই অবস্থা হবে? শতভাগ শিক্ষিতের দেশ শ্রীলঙ্কা, সেই দেশের মানুষের এমন করুণ পরিস্থিতি হবে। আমরা কিন্তু জানতাম না। আমরা অনেক কিছুই জানি না। কখন যে কী হয়, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানেন না। যখন আমি সংসদে কথাগুলো বলেছিলাম, সত্যিই আমাদের বিদ্যুতের অবস্থা এত সুন্দর ও ভালো ছিল। সে সময় শতভাগ বিদ্যুতায়ন আমার আসনে করেছি, মানুষকে বিদ্যুতের লাইন দিতে পেরেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনকিলাব মঞ্চের কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি, সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভেতরে বিভেদ না থাকলে, জাতীয়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলা করা সম্ভব।’

আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজও তাদের সভা চলছে এবং আগামীকাল ও পরশু শাহবাগ বা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিরোধ সমাবেশের আহ্বান জানানো হতে পারে। সেখানে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—আমরা যাব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জানি, এই অপশক্তি দেশের ভেতরেও সক্রিয় এবং দেশের বাইরেও সক্রিয়। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি।’

‘আমরা ঐক্য দেখাতে চাই’—উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্যটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। একমাত্র এর মাধ্যমেই আমরা এই ধরনের জাতীয় সংকট রুখতে পারব।’

প্রার্থীদের ওপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে এবং জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যৌথ বাহিনী, সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইনশা আল্লাহ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির মাথায় নয়, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অভ্যুত্থানের বুকে বুলেট: সারজিস আলম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৬
গতকাল রাতে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলে কথা বলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলে কথা বলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বুলেট শুধু শরিফ ওসমান হাদির মাথায় নয়, এই বুলেট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়া যে অভ্যুত্থান, তার বুকে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল শুক্রবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চাচ্ছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে, ওই এজেন্টদের এটা একটা খেলা। আর হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে এই খেলা তারা শুরু করল। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে, যে পথে চলছি, সেই পথ থেকে বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি অভ্যুত্থানের আগ থেকে অভ্যুত্থানের পর পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের সিনা টান করে কথা বলে এসেছেন। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের ভয় দেখানোর জন্য হাদিকে গুলি করা হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে এই বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিচয়ে সীমান্ত দিয়ে এমন অনেক মানুষকে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে।’ 

সারজিস বলেন, ‘আমাদের সামনে শুধু নির্বাচনী লড়াই নয়, আমাদের সামনে বাংলাদেশকে রক্ষা করার লড়াই। আমাদের সামনে শুধু ভোটের লড়াই নয়, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই। আওয়ামী সন্ত্রাসী যারা ছিল, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। তাদের সঙ্গে ইন্টারনাল আপস করে, ইন্টারনাল প্রটেকশন দিয়ে এই বাংলাদেশে আগামীতে কোনো কিছু সুষ্ঠুভাবে হতে পারে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। খুনি-সন্ত্রাসী, তাদের দোসর এবং বাইরে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করছে, যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, অগ্রযাত্রা থামাতে চায়, যাদের স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে মিলছে না, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাইকে বলি, লুতুপুতু করে আগামীর বাংলাদেশে খুনিদের আশ্রয় দিয়ে কখনোই শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়। দিনে এক কথা, রাতে এক কথা, এই যদি হয় অবস্থা; তাহলে আগামীতে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেখতে গেলেন ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

হাদিকে দেখার আগে শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন বলে জানান শায়রুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসিফ মাহমুদের র‍্যালি পরিণত হলো হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ মিছিলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আসিফ মাহমুদের বিজয় মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
আসিফ মাহমুদের বিজয় মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র‍্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে। শুক্রবার বিকেলে আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানানো হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি।

প্রতিবাদ মিছিলে আসিফ মাহমুদ নিজেই ‘হাদির গায়ে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই; লাগছে গুলি হাদির গায়, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগান দেন।

এরপর হামলার শিকার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আসিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানান। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত