নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে। এখন তিনি জনগণ থেকে শতভাগ বিচ্ছিন্ন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন বদরুদ্দীন উমর। প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই রোববার সকালে মারা যান তিনি। তাঁর সাক্ষ্যের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
বদরুদ্দীন উমর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দিতে বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। এই যে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলা হয়, সেটি নিয়ে আমি নিজেও নিশ্চিত না—এই কথাটি আসলে কী বোঝায়। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়—সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। সাধারণ মানুষ চেয়েছিল দু’বেলা খেতে, নিরাপদ জীবন, একটা সম্মানজনক চাকরি, আর একটু নিরাপত্তা। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন ভাবছিল, কীভাবে তারা সুযোগ নিয়ে সম্পদ বানাবে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা বাস্তবে লড়াই করেছিল, তারা ছিল সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাদের মধ্যে অনেকেই তখন পলায়নপর ছিল। তাহলে প্রশ্ন হলো—‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলতে কার চেতনার কথা বোঝানো হচ্ছে? শেখ হাসিনা যখন এটি উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না। বরং এটা এক ধরনের দলীয় রেটোরিক, যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক চর্চার কোনো সুযোগ দেননি। শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে শেখ মুজিবুর রহমানই মুক্তির একমাত্র পুরুষ, একমাত্র নেতা—এইরকম একটা ‘ঐতিহাসিক মিথ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ বাস্তবতা হলো, ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ শেখ মুজিব রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে পড়েন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন এবং সেই নয় মাস যুদ্ধ সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতেন না।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, যদি একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো, তাহলে আওয়ামী লীগ কয়টি আসন পেত তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শেখ হাসিনা ‘চেতনা’ দিয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক জমিদারি কায়েম করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে কংক্রিটাইজ বা বাস্তবায়িত করার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি। তার জন্য এটি শুধু একটি রেটোরিকাল অস্ত্র। এত বেপরোয়া হয়ে তো বাংলাদেশে আর কাউকে এইভাবে কাজ করতে দেখা যায় না। শেখ মুজিব বেপরোয়া ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার শাসন শৈলী ও শেখ হাসিনার শাসন শৈলীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। কারণ হাজার হলেও, শেখ মুজিব জনগণের মধ্য থেকে উঠে এসেছিলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পরিপক্বতা তাঁর ছিল। আর শেখ হাসিনা যেন ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। তিনি ‘বাপের বেটি’ হিসেবে নেতৃত্বে এসেছেন, কিন্তু শেখ মুজিবের চিন্তা-চেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি। বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, যখন শেখ হাসিনা বলেন—তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখন সেটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিকৃতি বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁর শাসনামলে এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। যেসব তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’ তার শাসনামলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তারাই এই বিকৃত ইতিহাসের বাহক। তা ছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষা ও গবেষণায় শেখ মুজিবকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। এই অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা—সে ইতিহাস হোক, মতামত হোক, গবেষণা হোক—সবই দমন করা হয়েছে। কেউ ভিন্ন কিছু বললে, তাঁর চাকরি যায়, উন্নতি বন্ধ হয়, হয়রানি হয়—কখনো কখনো জীবন পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের বর্ণনায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ একটি দলীয়, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, একমুখী বয়ানে পরিণত হয়েছে—যা গণতন্ত্র, সত্য ও ইতিহাসের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। আওয়ামী লীগ সরাসরি ধর্মীয় বৈষম্যের রাজনীতি খুব বেশি করেনি বটে, কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই। জামায়াতে ইসলামীর বা বিএনপির লোকজন এভাবে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেনি, যতটা করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। পাকিস্তানি আমলে যে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ ছিল, স্বাধীনতার পর সেটি বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে, আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে ‘অর্পিত সম্পত্তি আইন’ নামে রূপান্তর করে বহাল রাখে। যার ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি লুটপাট অব্যাহত থাকে। ধর্মনিরপেক্ষতা দাবি করলেও অর্থনৈতিক স্তরে আওয়ামী লীগ ছিল চরম সাম্প্রদায়িক—হিন্দুদের অর্থ-সম্পদ দখল করাকে তারা একটি কাঠামোগত ও ব্যবস্থাগত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতা খুব বেশি ব্যবহার না করলেও, অর্থনৈতিক লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে এটি ব্যবহার করেছে। সমাজের প্রভাবশালী এলিট, সিভিল সোসাইটি, আমলাতন্ত্র, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসায়ী মহল—সবাইকে দমন ও পুরস্কারের নীতিতে নিয়ন্ত্রণ করেছে। যারা সরকারের অনুগত তাঁদের দেওয়া হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। যারা বিরোধিতা করেছে, তাঁদের করা হয়েছে বরখাস্ত, বঞ্চিত, এমনকি কারাবন্দী। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে—যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি। এর ফলে প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো যে ধ্বংস হয়ে গেছে, তার প্রমাণ ২০২৪ সালে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি আগস্টের শুরুতে সামরিক বাহিনী পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়—কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল যে, এই সরকারের দিন শেষ।
তিনি আরও বলেন, এখনো প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী মহলে আওয়ামী লীগের অনুগতরা রয়ে গেছে। তারা খোলাখুলি না বললেও নীরবভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ ‘কোনো দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয়’ বললেও বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ এখন আর একটি সাধারণ রাজনৈতিক দল নয়। এটি একপ্রকার ভারতীয় স্ট্র্যাটেজিক এজেন্টের মতো কাজ করছে। শেখ হাসিনার সরকারের শাসন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। শেখ মুজিব ভারতপন্থী হলেও তিনি ভারতের নির্দেশে চলতেন না। কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণভাবে ভারতের নকশায় নির্মিত। এই অবস্থায়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা রাজনৈতিক নীতির প্রশ্ন নয় বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে পরিণত হয়েছে। এ দলটির কার্যক্রম বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে। এটি একটি ‘ভারত ঘেঁষা’ কাঠামোগত এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, যার ফলে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে। এখন তিনি জনগণ থেকে শতভাগ বিচ্ছিন্ন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন বদরুদ্দীন উমর। প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার আগেই রোববার সকালে মারা যান তিনি। তাঁর সাক্ষ্যের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করতে পারেন।
বদরুদ্দীন উমর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দিতে বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আড়ালে কর্তৃত্ববাদী শাসন আর লুটপাট। এই যে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলা হয়, সেটি নিয়ে আমি নিজেও নিশ্চিত না—এই কথাটি আসলে কী বোঝায়। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলে সবাই বলে যাচ্ছে, কিন্তু এই চেতনার প্রকৃত অর্থ কী, তা কখনো স্পষ্ট করা হয়নি। যদি চেতনা বলতে বোঝানো হয়, ১৯৭১ সালে মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছিল, কী পেতে চেয়েছিল, তাহলে বলা যায়—সাধারণ মানুষের চেতনা আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চেতনার মধ্যে কোনো মিল ছিল না। সাধারণ মানুষ চেয়েছিল দু’বেলা খেতে, নিরাপদ জীবন, একটা সম্মানজনক চাকরি, আর একটু নিরাপত্তা। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন ভাবছিল, কীভাবে তারা সুযোগ নিয়ে সম্পদ বানাবে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা বাস্তবে লড়াই করেছিল, তারা ছিল সাধারণ ছাত্র, কৃষক-শ্রমিকের সন্তান, মধ্যবিত্ত তরুণেরা। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী বা ছাত্রনেতাদের কারও যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা ছিল না। তাদের মধ্যে অনেকেই তখন পলায়নপর ছিল। তাহলে প্রশ্ন হলো—‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বলতে কার চেতনার কথা বোঝানো হচ্ছে? শেখ হাসিনা যখন এটি উচ্চারণ করেন, তখন তিনি এমনভাবে বলেন যেন তাঁর চেতনা আর জনগণের চেতনা একই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর ‘চেতনা’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না। বরং এটা এক ধরনের দলীয় রেটোরিক, যার মাধ্যমে তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক চর্চার কোনো সুযোগ দেননি। শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে শেখ মুজিবুর রহমানই মুক্তির একমাত্র পুরুষ, একমাত্র নেতা—এইরকম একটা ‘ঐতিহাসিক মিথ’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ বাস্তবতা হলো, ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ শেখ মুজিব রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে পড়েন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন এবং সেই নয় মাস যুদ্ধ সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতেন না।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, যদি একটি সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো, তাহলে আওয়ামী লীগ কয়টি আসন পেত তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শেখ হাসিনা ‘চেতনা’ দিয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক জমিদারি কায়েম করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে কংক্রিটাইজ বা বাস্তবায়িত করার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি। তার জন্য এটি শুধু একটি রেটোরিকাল অস্ত্র। এত বেপরোয়া হয়ে তো বাংলাদেশে আর কাউকে এইভাবে কাজ করতে দেখা যায় না। শেখ মুজিব বেপরোয়া ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার শাসন শৈলী ও শেখ হাসিনার শাসন শৈলীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। কারণ হাজার হলেও, শেখ মুজিব জনগণের মধ্য থেকে উঠে এসেছিলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পরিপক্বতা তাঁর ছিল। আর শেখ হাসিনা যেন ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’। তিনি শুধু শেখ মুজিবের কন্যা হওয়াতেই ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর নিজের কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি বা ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ছিল না। তিনি ‘বাপের বেটি’ হিসেবে নেতৃত্বে এসেছেন, কিন্তু শেখ মুজিবের চিন্তা-চেতনার কিছুই তিনি ধারণ করেননি। বরং হাসিনা দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছেন।
বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, যখন শেখ হাসিনা বলেন—তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখন সেটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিকৃতি বলে মনে হয়। কিন্তু তাঁর শাসনামলে এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। যেসব তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’ তার শাসনামলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তারাই এই বিকৃত ইতিহাসের বাহক। তা ছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাঠ্যবই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস পর্যন্ত এককভাবে উপস্থাপন করা হয়। স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষা ও গবেষণায় শেখ মুজিবকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যেন তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ইতিহাস। এই অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা—সে ইতিহাস হোক, মতামত হোক, গবেষণা হোক—সবই দমন করা হয়েছে। কেউ ভিন্ন কিছু বললে, তাঁর চাকরি যায়, উন্নতি বন্ধ হয়, হয়রানি হয়—কখনো কখনো জীবন পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের বর্ণনায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ একটি দলীয়, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, একমুখী বয়ানে পরিণত হয়েছে—যা গণতন্ত্র, সত্য ও ইতিহাসের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের আরেকটি দমনমূলক কৌশল ছিল সাম্প্রদায়িকতার বয়ানকে ব্যবহার করা। আওয়ামী লীগ সরাসরি ধর্মীয় বৈষম্যের রাজনীতি খুব বেশি করেনি বটে, কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট শুরু হয়েছে এবং এসব কাজ করেছে মূলত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই। জামায়াতে ইসলামীর বা বিএনপির লোকজন এভাবে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেনি, যতটা করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। পাকিস্তানি আমলে যে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ ছিল, স্বাধীনতার পর সেটি বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে, আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে ‘অর্পিত সম্পত্তি আইন’ নামে রূপান্তর করে বহাল রাখে। যার ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি লুটপাট অব্যাহত থাকে। ধর্মনিরপেক্ষতা দাবি করলেও অর্থনৈতিক স্তরে আওয়ামী লীগ ছিল চরম সাম্প্রদায়িক—হিন্দুদের অর্থ-সম্পদ দখল করাকে তারা একটি কাঠামোগত ও ব্যবস্থাগত প্রক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতা খুব বেশি ব্যবহার না করলেও, অর্থনৈতিক লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে এটি ব্যবহার করেছে। সমাজের প্রভাবশালী এলিট, সিভিল সোসাইটি, আমলাতন্ত্র, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসায়ী মহল—সবাইকে দমন ও পুরস্কারের নীতিতে নিয়ন্ত্রণ করেছে। যারা সরকারের অনুগত তাঁদের দেওয়া হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। যারা বিরোধিতা করেছে, তাঁদের করা হয়েছে বরখাস্ত, বঞ্চিত, এমনকি কারাবন্দী। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে দুর্নীতি সাংগঠনিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতা কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে—যার স্কেল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি। এর ফলে প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো যে ধ্বংস হয়ে গেছে, তার প্রমাণ ২০২৪ সালে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি আগস্টের শুরুতে সামরিক বাহিনী পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়—কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল যে, এই সরকারের দিন শেষ।
তিনি আরও বলেন, এখনো প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী মহলে আওয়ামী লীগের অনুগতরা রয়ে গেছে। তারা খোলাখুলি না বললেও নীরবভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ ‘কোনো দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয়’ বললেও বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ এখন আর একটি সাধারণ রাজনৈতিক দল নয়। এটি একপ্রকার ভারতীয় স্ট্র্যাটেজিক এজেন্টের মতো কাজ করছে। শেখ হাসিনার সরকারের শাসন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। শেখ মুজিব ভারতপন্থী হলেও তিনি ভারতের নির্দেশে চলতেন না। কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণভাবে ভারতের নকশায় নির্মিত। এই অবস্থায়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা রাজনৈতিক নীতির প্রশ্ন নয় বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে পরিণত হয়েছে। এ দলটির কার্যক্রম বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে। এটি একটি ‘ভারত ঘেঁষা’ কাঠামোগত এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, যার ফলে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

সদ্য প্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন সেটি তার পারিবারিক সম্পত্তি। এই চেতনা একসময় কাজ করেছে—মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, আবেগে ভেসেছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে, তার দমননীতি ও নির্যাতনের ফলে এই চেতনা ধরা পড়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে