অর্ণব সান্যাল

যেকোনো ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নেই নিন্দা ও ন্যায়বিচার দাবি করা একজন সচেতন মানুষের কর্তব্য। যদি তিনি শুধু নারী বা পুরুষ না হয়ে মানুষ হয়ে থাকেন এবং অন্যের দুঃখ-কষ্টে সমব্যথী হন। তবে আমাদের সমাজে এখনো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অপরাধের অভিযোগ উঠলে উল্টো অপরাধের শিকারকেই কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা চলে। এমন একটি সমাজ আর কত দিন অপরাধীকে আড়াল করার কাজ করে যাবে?
হ্যাঁ, শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, অপরাধ বলতে আসলে নারী নির্যাতনকেই বোঝানো হচ্ছে। আর নারীদের প্রতি নিপীড়নের ক্ষেত্রে অগ্রভাগে আছে যৌন নির্যাতন ও হয়রানি। নারীদের প্রতি এমন অপরাধের বিষয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এই সমাজে একটি নির্দিষ্ট ঘরানার দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেটি হলো, ভিকটিমের ‘ত্রুটি’ খুঁজে বের করার চেষ্টা। সেটি এতটাই প্রবলভাবে করা হয় যে, কখনো কখনো ওই ঘরানার আলোচনায় ঢুকলে মনে হতে পারে, ‘ঠিকই আছে, ধর্ষণই তো করা উচিত’!
অর্থাৎ, নারীর প্রতি ধর্ষণের মতো একটি চূড়ান্ত মাত্রার অপরাধের পক্ষে একধরনের সাফাই গাওয়ার প্রবণতা আমাদের সমাজে প্রবলভাবে বিদ্যমান। এটি হয়তো আগেও ছিল। বর্তমানে মার্ক জাকারবার্গ নিজের যেকোনো ধরনের মতামত প্রকাশের ‘সুযোগ’ করে দেওয়ায়, সেটি চোখে পড়ছে বেশি।
একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের একটি বড় অংশই এমন কার্যকলাপে অংশ নেবে, সেটি অস্বাভাবিক নয়। বিশ্বজুড়ে ধর্ষণের ইতিহাস বেশ লম্বা। সব সময়ই এ ধরনের মনোভাব, ধর্ষণের ঘটনাকে অপরাধের মাত্রায় লঘু হিসেবে দেখানো এবং ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। যখন থেকে ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে, সেই প্রাচীন গ্রিসের সময় থেকে শুরু করে এই ঘৃণ্য অপরাধের বর্ণনা বা লিপিবদ্ধ করার কাজটি মূলত পুরুষেরাই করে গেছে। ফলে বিতর্ক আছেই যে, আদতেই নারীর প্রতি নিপীড়নের সঠিক ইতিহাস আমরা জানি কি না। কারণ, একজন পুরুষ তাঁর বা তাঁর সম্বন্ধীয় অপরাধ বেশ কিছুটা লঘু করে শোনাবেন, সেটি ভেবে নেওয়াই তো স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের অধ্যাপক শ্যারন ব্লক এক নিবন্ধে বলেছিলেন, ‘নারীদের সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় সেসব ধর্ষণের ঘটনাকেই ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, যেগুলোয় পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ অর্থাৎ, নিজে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে পুরুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীর প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় উদাসীন আচরণ করেছে। ঠিক যেমনটা এ দেশে ঘটে। নারীর প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে, প্রথমেই তার চরিত্র নিয়ে টানাটানি করা শুরু হয়। চলে নানামুখী বিশ্লেষণ। ভাব দেখে মনে হয়, যাঁরা টানাটানিটা করছেন, তাঁদের চরিত্র পুষ্পময়!
আলোচনা করা যাবে না, তা নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অন্তত অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত—দুই পক্ষের প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজে সেটা একপেশে হয়ে থাকে। তাই কোনো নারী হয়রানি ও অপরাধের শিকার হলে, শুরুতেই প্রশ্ন তোলা হয়, ‘উনি সেখানে ওই সময় গেল কেন?’
এবার এমন সামাজিক প্রবণতার সঙ্গে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনার সংখ্যা মেলান। এ দেশে এই হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শুধু ধর্ষণের প্রসঙ্গে আসি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ২৪৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর মারা গেছেন ৪৬ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। আর এর বাইরে ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে আরও ২৮৬ জন নারীর ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, ধর্ষণের মতো অপরাধ করার (সেটি সফল হোক বা ব্যর্থ) ঘটনা দেড় হাজারের বেশি, তা-ও ১১ মাসে। পুরো বছরের পরিসংখ্যানে তা আরও বাড়বে বৈ কমবে না।
সহস্রাধিক ধর্ষণের ঘটনা এবারই কিন্তু প্রথম নয়। গত বছরও দেশে ধর্ষণের ঘটনা এমনই ছিল। অথচ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা থাকলেও প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে আসছে, কখনো কখনো জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। আর তখনই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুৎসিত রূপ নিজ মহিমায় নখদন্ত নিয়ে হাজির হয়। এবং বুঝিয়ে দেয়, কেন এ সমাজে ধর্ষণ বন্ধ হয় না। কারণ, সমাজে অনেকেই আছেন, যাঁদের মন্তব্য শুনলে মনে হয়, সুযোগের অভাবেই তাঁরা ধর্ষক নন!
প্রশ্ন তোলাই যায় যে, কই দেখলেন এত সম্ভাব্য ধর্ষক? উত্তর জানতে স্রেফ একটি কাজ করুন। আপনার পরিবারের মা-বোন-স্ত্রী ও অন্য নারী সদস্যদের শুধু একটিবার জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা রাস্তাঘাটে কত ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন? কী সংখ্যক কটু মন্তব্য শোনেন? কতবার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারী পুরুষেরা শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন? বিশ্বাস করুন, এসবের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। এ দেশের নারীরা সেগুলো মুখ ফুটে বলেন না। তবে প্রত্যেক নারীর মনে এসব তিক্ত ও অপমানজনক অভিজ্ঞতা ঘাপটি মেরে থাকে। এ ধরনের হয়রানির কোনো ‘কারণ’ আপনি খুঁজে পাবেন না, যেগুলোকে আশ্রয় করে পুরুষের দোষ লঘু করে দেখাতে পারবেন। সেসব শোনার পরও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় ভিকটিমের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে পারেন কি না, পরীক্ষা করে দেখবেন। বুঝে যাবেন, সম্ভাব্য ধর্ষকের সংখ্যা আসলে কত!
সম্প্রতি ওঠা কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টিও একটু ভেবে দেখুন। সেখানে অভিযোগ করা নারীর ‘চরিত্র’ নিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে। পুলিশ যেমন কিছু বক্তব্য দিয়েছে, তেমনি কিছু সংবাদমাধ্যম তা নিয়ে সংবাদও প্রচার করেছে। তা করা যেতেই পারে। তবে সেসবের উপস্থাপন ছিল অনেকটাই অভিযোগবিরোধী। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অপরাধের নানান মাত্রা থাকতেই পারে, অভিযোগ মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু কক্সবাজারের ঘটনায় একপর্যায়ে অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় অপরাধ করেছেন, তা স্বীকার করেই অভিযোগকারীর দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা দেখা গেছে এবং তাঁর অভিযোগের ফাঁকফোকর ফলাও করে প্রচারের কাজ করা হয়েছে। অন্তত যে সমাজে বছরে সহস্রাধিক ধর্ষণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসে, সেই সমাজে ধর্ষণের অভিযোগ করার ক্ষেত্রে এটি ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, তখন অভিযোগ করার আগেই একজন ভিকটিম মনে করতে পারেন, তাতে তো ঝামেলাই বেশি। ফলে অনেক ঘটনায় ন্যায়বিচার চাওয়ার আবেদন কমে আসতে পারে। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি সাধারণ নাগরিকের আস্থাহীনতা তৈরি হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বরং সবাই ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে সুযোগের অভাবে ‘ভালো মানুষ’। আর ধর্ষণের ঘটনা সামনে এলে শুধু দেখা যাবে হাততালির উৎসব!
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

যেকোনো ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নেই নিন্দা ও ন্যায়বিচার দাবি করা একজন সচেতন মানুষের কর্তব্য। যদি তিনি শুধু নারী বা পুরুষ না হয়ে মানুষ হয়ে থাকেন এবং অন্যের দুঃখ-কষ্টে সমব্যথী হন। তবে আমাদের সমাজে এখনো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অপরাধের অভিযোগ উঠলে উল্টো অপরাধের শিকারকেই কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা চলে। এমন একটি সমাজ আর কত দিন অপরাধীকে আড়াল করার কাজ করে যাবে?
হ্যাঁ, শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, অপরাধ বলতে আসলে নারী নির্যাতনকেই বোঝানো হচ্ছে। আর নারীদের প্রতি নিপীড়নের ক্ষেত্রে অগ্রভাগে আছে যৌন নির্যাতন ও হয়রানি। নারীদের প্রতি এমন অপরাধের বিষয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এই সমাজে একটি নির্দিষ্ট ঘরানার দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেটি হলো, ভিকটিমের ‘ত্রুটি’ খুঁজে বের করার চেষ্টা। সেটি এতটাই প্রবলভাবে করা হয় যে, কখনো কখনো ওই ঘরানার আলোচনায় ঢুকলে মনে হতে পারে, ‘ঠিকই আছে, ধর্ষণই তো করা উচিত’!
অর্থাৎ, নারীর প্রতি ধর্ষণের মতো একটি চূড়ান্ত মাত্রার অপরাধের পক্ষে একধরনের সাফাই গাওয়ার প্রবণতা আমাদের সমাজে প্রবলভাবে বিদ্যমান। এটি হয়তো আগেও ছিল। বর্তমানে মার্ক জাকারবার্গ নিজের যেকোনো ধরনের মতামত প্রকাশের ‘সুযোগ’ করে দেওয়ায়, সেটি চোখে পড়ছে বেশি।
একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের একটি বড় অংশই এমন কার্যকলাপে অংশ নেবে, সেটি অস্বাভাবিক নয়। বিশ্বজুড়ে ধর্ষণের ইতিহাস বেশ লম্বা। সব সময়ই এ ধরনের মনোভাব, ধর্ষণের ঘটনাকে অপরাধের মাত্রায় লঘু হিসেবে দেখানো এবং ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। যখন থেকে ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে, সেই প্রাচীন গ্রিসের সময় থেকে শুরু করে এই ঘৃণ্য অপরাধের বর্ণনা বা লিপিবদ্ধ করার কাজটি মূলত পুরুষেরাই করে গেছে। ফলে বিতর্ক আছেই যে, আদতেই নারীর প্রতি নিপীড়নের সঠিক ইতিহাস আমরা জানি কি না। কারণ, একজন পুরুষ তাঁর বা তাঁর সম্বন্ধীয় অপরাধ বেশ কিছুটা লঘু করে শোনাবেন, সেটি ভেবে নেওয়াই তো স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের অধ্যাপক শ্যারন ব্লক এক নিবন্ধে বলেছিলেন, ‘নারীদের সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় সেসব ধর্ষণের ঘটনাকেই ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, যেগুলোয় পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ অর্থাৎ, নিজে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে পুরুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীর প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় উদাসীন আচরণ করেছে। ঠিক যেমনটা এ দেশে ঘটে। নারীর প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে, প্রথমেই তার চরিত্র নিয়ে টানাটানি করা শুরু হয়। চলে নানামুখী বিশ্লেষণ। ভাব দেখে মনে হয়, যাঁরা টানাটানিটা করছেন, তাঁদের চরিত্র পুষ্পময়!
আলোচনা করা যাবে না, তা নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অন্তত অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত—দুই পক্ষের প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজে সেটা একপেশে হয়ে থাকে। তাই কোনো নারী হয়রানি ও অপরাধের শিকার হলে, শুরুতেই প্রশ্ন তোলা হয়, ‘উনি সেখানে ওই সময় গেল কেন?’
এবার এমন সামাজিক প্রবণতার সঙ্গে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনার সংখ্যা মেলান। এ দেশে এই হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শুধু ধর্ষণের প্রসঙ্গে আসি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ২৪৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর মারা গেছেন ৪৬ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। আর এর বাইরে ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে আরও ২৮৬ জন নারীর ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, ধর্ষণের মতো অপরাধ করার (সেটি সফল হোক বা ব্যর্থ) ঘটনা দেড় হাজারের বেশি, তা-ও ১১ মাসে। পুরো বছরের পরিসংখ্যানে তা আরও বাড়বে বৈ কমবে না।
সহস্রাধিক ধর্ষণের ঘটনা এবারই কিন্তু প্রথম নয়। গত বছরও দেশে ধর্ষণের ঘটনা এমনই ছিল। অথচ ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা থাকলেও প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে আসছে, কখনো কখনো জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। আর তখনই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুৎসিত রূপ নিজ মহিমায় নখদন্ত নিয়ে হাজির হয়। এবং বুঝিয়ে দেয়, কেন এ সমাজে ধর্ষণ বন্ধ হয় না। কারণ, সমাজে অনেকেই আছেন, যাঁদের মন্তব্য শুনলে মনে হয়, সুযোগের অভাবেই তাঁরা ধর্ষক নন!
প্রশ্ন তোলাই যায় যে, কই দেখলেন এত সম্ভাব্য ধর্ষক? উত্তর জানতে স্রেফ একটি কাজ করুন। আপনার পরিবারের মা-বোন-স্ত্রী ও অন্য নারী সদস্যদের শুধু একটিবার জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা রাস্তাঘাটে কত ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন? কী সংখ্যক কটু মন্তব্য শোনেন? কতবার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারী পুরুষেরা শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন? বিশ্বাস করুন, এসবের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। এ দেশের নারীরা সেগুলো মুখ ফুটে বলেন না। তবে প্রত্যেক নারীর মনে এসব তিক্ত ও অপমানজনক অভিজ্ঞতা ঘাপটি মেরে থাকে। এ ধরনের হয়রানির কোনো ‘কারণ’ আপনি খুঁজে পাবেন না, যেগুলোকে আশ্রয় করে পুরুষের দোষ লঘু করে দেখাতে পারবেন। সেসব শোনার পরও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় ভিকটিমের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে পারেন কি না, পরীক্ষা করে দেখবেন। বুঝে যাবেন, সম্ভাব্য ধর্ষকের সংখ্যা আসলে কত!
সম্প্রতি ওঠা কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টিও একটু ভেবে দেখুন। সেখানে অভিযোগ করা নারীর ‘চরিত্র’ নিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে। পুলিশ যেমন কিছু বক্তব্য দিয়েছে, তেমনি কিছু সংবাদমাধ্যম তা নিয়ে সংবাদও প্রচার করেছে। তা করা যেতেই পারে। তবে সেসবের উপস্থাপন ছিল অনেকটাই অভিযোগবিরোধী। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অপরাধের নানান মাত্রা থাকতেই পারে, অভিযোগ মিথ্যাও হতে পারে। কিন্তু কক্সবাজারের ঘটনায় একপর্যায়ে অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় অপরাধ করেছেন, তা স্বীকার করেই অভিযোগকারীর দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা দেখা গেছে এবং তাঁর অভিযোগের ফাঁকফোকর ফলাও করে প্রচারের কাজ করা হয়েছে। অন্তত যে সমাজে বছরে সহস্রাধিক ধর্ষণের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসে, সেই সমাজে ধর্ষণের অভিযোগ করার ক্ষেত্রে এটি ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, তখন অভিযোগ করার আগেই একজন ভিকটিম মনে করতে পারেন, তাতে তো ঝামেলাই বেশি। ফলে অনেক ঘটনায় ন্যায়বিচার চাওয়ার আবেদন কমে আসতে পারে। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি সাধারণ নাগরিকের আস্থাহীনতা তৈরি হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বরং সবাই ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে সুযোগের অভাবে ‘ভালো মানুষ’। আর ধর্ষণের ঘটনা সামনে এলে শুধু দেখা যাবে হাততালির উৎসব!
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বর
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বর
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বর
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, নারী নির্যাতনের সাফাই গাওয়া আমাদের অস্বস্তিকর সামাজিক প্রবণতা জাতীয় জীবনেও প্রবেশ করছে কি না। যদি তা-ই হয়, তবে হয়তো সামনের বছরের শেষেও সহস্রাধিক ধর্ষণের পরিসংখ্যান নিয়ে সালতামামি লিখে যেতে হবে। সংখ্যা তখন ধর্ষণের পরিমাণ জানাবে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে-আমাকে আর বদলাতে পারবে না; বর
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে