আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৫ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৫ ঘণ্টা আগে