মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও। নিবন্ধন করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ এবং ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কর্মসূচির বিষয়েও নাগরিকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এখন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার নিবন্ধনের কাজ।
মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার পর নানা সীমাবদ্ধতা সামনে আসছে। ইসি থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রে গিয়েও ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে। ফলে অনেকেই ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন কেন্দ্রে যাচ্ছেন। তবে ভোটার হওয়ার জন্য জন্মসনদসহ যত নথি লাগে, নিবন্ধন কেন্দ্রে তা যাচাই করার সময় নেই। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৩০টির মতো উপকরণ নগদ অর্থে কিনতে হয়। সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় আপাতত নিজের টাকায় এগুলো কিনতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
নিবন্ধনের কাজে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা। মাঠপর্যায়ে ল্যাপটপ এবং আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়ার যেসব যন্ত্র পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগ পুরোনো। কোনোটি কোনোটি কাজের মধ্যে ‘হ্যাং’ (অচল) হয়ে পড়ছে। ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কর্মকর্তাদের কারও কারও দিনের কাজ শেষ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।
ঢাকা অঞ্চলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের জন্য সময় কম দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি পুরোনো। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেশির ভাগ নতুন ও অদক্ষ।
ফরিদপুর অঞ্চলের একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, একটি কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৬০০ জনের নিবন্ধনের জন্য এক দিন, এক হাজার জন হলে দুই দিন সময় দেওয়া হয়। তিনি ১২টি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০টিই পুরোনো।
সরেজমিন অভিজ্ঞতা
১৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা দেশের কয়েকটি স্থানে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান। সেখানে তাঁরা কাজের ধীরগতি, যান্ত্রিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির মতো বিভিন্ন সমস্যার চিত্র দেখেন।
পুরোনো ঢাকার কোর্ট হাউস স্ট্রিটে অবস্থিত রাজার দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুটি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচজন কর্মী দেওয়ার কথা ছিল। আছে মাত্র দুজন।’
রাজার দেউরী বিদ্যালয়ের নিবন্ধন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদকের কথা হয় শিপ্ত কর্মকারের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা হ্যাং হয়ে গিয়েছিল। পরে ল্যাপটপ রিস্টার্ট করে ছবি তুলেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে সূত্রাপুরের কাপ্তান বাজারে অবস্থিত নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার নিবন্ধন করতে আসা মানুষে মাঠ পরিপূর্ণ। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারলাম।’
নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, হাত ঘামে এমন নারীদের আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না যন্ত্র। কলেজশিক্ষার্থী সুমাইয়া ওয়াহিদ নওশিন জানান, হাত ঘামায় শুধু আঙুলের ছাপ দিতে তাঁর সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
যাত্রাবাড়ী সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে উপস্থিত নিবন্ধনে আগ্রহী কয়েকজন লোকবল বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন। সজল নামের এক যুবক জানান, সকাল ৮টায় এসেও তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় অবস্থিত জয়পাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে নিবন্ধন করতে আসা তাজেল হোসেন বলেন, ‘৯টা ওয়ার্ডের লোকজনের ছবি একসঙ্গে তোলার জন্য অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা আশিকুল রহমান জানান, কম্পিউটার ও ডিভাইসে লিখতে হয় বলে একটু সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া কম্পিউটারে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজশাহী নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালাজান নেসা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হতে আসা সাফিয়া খাতুন বলেন, চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পা ব্যথা করছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বললেন, ভোটারের বায়োমেট্রিক, স্বাক্ষর নেওয়া, ছবি তোলা ছাড়াও নামসহ ২০ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট হালকা হয়ে যাওয়া কিংবা ঘামের কারণে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ নারীর আঙুলের ছাপ নিতে সমস্যা হচ্ছে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা নতুন বলে তাঁরাও কাজে কিছুটা সময় বেশি নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হিসেবে সন্তানের নিবন্ধন করাতে এসেছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। একজন অপারেটর বলেন, বায়োমেট্রিক গ্রহণে একটু সময় লাগছে। অনেকের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ায় মেশিন একবারে নিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ জানান, আগে ডিভাইসের সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে গেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে বায়োমেট্রিক গ্রহণে।
সোমবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে ওপরতলা থেকে নিচতলায় বারবার ওঠানামা করতে দেখা যায় নতুন ভোটার হতে আসা তরুণ নাহিদ হোসেনকে। কথা বলে বোঝা গেল, লেখাপড়া না জানা নাহিদ হোসেন কোথায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে নির্বাচন অফিসের সামনে নাহিদ বলেন, দায়িত্বরত একজনকে কাগজপত্র দেখালে তিনি তা ফটোকপি করতে বলেন। ফটোকপি করার পর দোতলায় যেতে বলা হয়। সেখান থেকে আবার নিচতলায় যেতে বলা হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, সেখানে তাঁর নামের নিবন্ধন হবে না। নাহিদকে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। তবে বারবার ফোন দিয়েও তা বন্ধ পেয়ে হতাশ নাহিদ ফিরে যান।
বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে হতাশ হয়ে এসে ফিরে যাওয়া রংপুর নগরীর নুরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান, গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্তত ১০ জনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির কথা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিনুর আলম বলেন, নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। কারণ, এখানে কোনো ডিভাইস নেই। বাদ পড়া ব্যক্তিরা ১৯ থেকে ২০ মার্চ কেরামতিয়া হাইস্কুলে এলে নিবন্ধন করে দেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক; ঢাকা ও ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা; চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা এবং কারিগরি সমস্যার সমাধান করা না হলে নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর কয়েক দিন আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ছোট ছোট দু-একটি আর্থিক বরাদ্দ আমরা দিয়েছি। মূল বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। দুজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেনও। আশা করছি, খুব শিগগির তা হয়ে যাবে। তখন মাঠপর্যায়ের বরাদ্দটা দেওয়া হবে।’
পুরোনো যন্ত্র এবং কম সময়ে কাজ করার চাপের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আসলেই এগুলো ঘটছে। একজন মানুষ যদি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন, তিনি কি পরের দিন পুরো উদ্যমে কাজ করতে পারবেন? এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও। নিবন্ধন করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ এবং ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কর্মসূচির বিষয়েও নাগরিকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এখন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার নিবন্ধনের কাজ।
মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার পর নানা সীমাবদ্ধতা সামনে আসছে। ইসি থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রে গিয়েও ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে। ফলে অনেকেই ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন কেন্দ্রে যাচ্ছেন। তবে ভোটার হওয়ার জন্য জন্মসনদসহ যত নথি লাগে, নিবন্ধন কেন্দ্রে তা যাচাই করার সময় নেই। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৩০টির মতো উপকরণ নগদ অর্থে কিনতে হয়। সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় আপাতত নিজের টাকায় এগুলো কিনতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
নিবন্ধনের কাজে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা। মাঠপর্যায়ে ল্যাপটপ এবং আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়ার যেসব যন্ত্র পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগ পুরোনো। কোনোটি কোনোটি কাজের মধ্যে ‘হ্যাং’ (অচল) হয়ে পড়ছে। ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কর্মকর্তাদের কারও কারও দিনের কাজ শেষ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।
ঢাকা অঞ্চলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের জন্য সময় কম দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি পুরোনো। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেশির ভাগ নতুন ও অদক্ষ।
ফরিদপুর অঞ্চলের একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, একটি কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৬০০ জনের নিবন্ধনের জন্য এক দিন, এক হাজার জন হলে দুই দিন সময় দেওয়া হয়। তিনি ১২টি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০টিই পুরোনো।
সরেজমিন অভিজ্ঞতা
১৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা দেশের কয়েকটি স্থানে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান। সেখানে তাঁরা কাজের ধীরগতি, যান্ত্রিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির মতো বিভিন্ন সমস্যার চিত্র দেখেন।
পুরোনো ঢাকার কোর্ট হাউস স্ট্রিটে অবস্থিত রাজার দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুটি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচজন কর্মী দেওয়ার কথা ছিল। আছে মাত্র দুজন।’
রাজার দেউরী বিদ্যালয়ের নিবন্ধন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদকের কথা হয় শিপ্ত কর্মকারের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা হ্যাং হয়ে গিয়েছিল। পরে ল্যাপটপ রিস্টার্ট করে ছবি তুলেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে সূত্রাপুরের কাপ্তান বাজারে অবস্থিত নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার নিবন্ধন করতে আসা মানুষে মাঠ পরিপূর্ণ। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারলাম।’
নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, হাত ঘামে এমন নারীদের আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না যন্ত্র। কলেজশিক্ষার্থী সুমাইয়া ওয়াহিদ নওশিন জানান, হাত ঘামায় শুধু আঙুলের ছাপ দিতে তাঁর সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
যাত্রাবাড়ী সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে উপস্থিত নিবন্ধনে আগ্রহী কয়েকজন লোকবল বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন। সজল নামের এক যুবক জানান, সকাল ৮টায় এসেও তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় অবস্থিত জয়পাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে নিবন্ধন করতে আসা তাজেল হোসেন বলেন, ‘৯টা ওয়ার্ডের লোকজনের ছবি একসঙ্গে তোলার জন্য অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা আশিকুল রহমান জানান, কম্পিউটার ও ডিভাইসে লিখতে হয় বলে একটু সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া কম্পিউটারে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজশাহী নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালাজান নেসা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হতে আসা সাফিয়া খাতুন বলেন, চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পা ব্যথা করছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বললেন, ভোটারের বায়োমেট্রিক, স্বাক্ষর নেওয়া, ছবি তোলা ছাড়াও নামসহ ২০ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট হালকা হয়ে যাওয়া কিংবা ঘামের কারণে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ নারীর আঙুলের ছাপ নিতে সমস্যা হচ্ছে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা নতুন বলে তাঁরাও কাজে কিছুটা সময় বেশি নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হিসেবে সন্তানের নিবন্ধন করাতে এসেছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। একজন অপারেটর বলেন, বায়োমেট্রিক গ্রহণে একটু সময় লাগছে। অনেকের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ায় মেশিন একবারে নিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ জানান, আগে ডিভাইসের সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে গেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে বায়োমেট্রিক গ্রহণে।
সোমবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে ওপরতলা থেকে নিচতলায় বারবার ওঠানামা করতে দেখা যায় নতুন ভোটার হতে আসা তরুণ নাহিদ হোসেনকে। কথা বলে বোঝা গেল, লেখাপড়া না জানা নাহিদ হোসেন কোথায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে নির্বাচন অফিসের সামনে নাহিদ বলেন, দায়িত্বরত একজনকে কাগজপত্র দেখালে তিনি তা ফটোকপি করতে বলেন। ফটোকপি করার পর দোতলায় যেতে বলা হয়। সেখান থেকে আবার নিচতলায় যেতে বলা হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, সেখানে তাঁর নামের নিবন্ধন হবে না। নাহিদকে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। তবে বারবার ফোন দিয়েও তা বন্ধ পেয়ে হতাশ নাহিদ ফিরে যান।
বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে হতাশ হয়ে এসে ফিরে যাওয়া রংপুর নগরীর নুরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান, গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্তত ১০ জনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির কথা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিনুর আলম বলেন, নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। কারণ, এখানে কোনো ডিভাইস নেই। বাদ পড়া ব্যক্তিরা ১৯ থেকে ২০ মার্চ কেরামতিয়া হাইস্কুলে এলে নিবন্ধন করে দেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক; ঢাকা ও ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা; চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা এবং কারিগরি সমস্যার সমাধান করা না হলে নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর কয়েক দিন আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ছোট ছোট দু-একটি আর্থিক বরাদ্দ আমরা দিয়েছি। মূল বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। দুজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেনও। আশা করছি, খুব শিগগির তা হয়ে যাবে। তখন মাঠপর্যায়ের বরাদ্দটা দেওয়া হবে।’
পুরোনো যন্ত্র এবং কম সময়ে কাজ করার চাপের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আসলেই এগুলো ঘটছে। একজন মানুষ যদি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন, তিনি কি পরের দিন পুরো উদ্যমে কাজ করতে পারবেন? এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও। নিবন্ধন করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ এবং ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কর্মসূচির বিষয়েও নাগরিকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এখন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার নিবন্ধনের কাজ।
মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার পর নানা সীমাবদ্ধতা সামনে আসছে। ইসি থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রে গিয়েও ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে। ফলে অনেকেই ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন কেন্দ্রে যাচ্ছেন। তবে ভোটার হওয়ার জন্য জন্মসনদসহ যত নথি লাগে, নিবন্ধন কেন্দ্রে তা যাচাই করার সময় নেই। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৩০টির মতো উপকরণ নগদ অর্থে কিনতে হয়। সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় আপাতত নিজের টাকায় এগুলো কিনতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
নিবন্ধনের কাজে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা। মাঠপর্যায়ে ল্যাপটপ এবং আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়ার যেসব যন্ত্র পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগ পুরোনো। কোনোটি কোনোটি কাজের মধ্যে ‘হ্যাং’ (অচল) হয়ে পড়ছে। ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কর্মকর্তাদের কারও কারও দিনের কাজ শেষ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।
ঢাকা অঞ্চলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের জন্য সময় কম দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি পুরোনো। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেশির ভাগ নতুন ও অদক্ষ।
ফরিদপুর অঞ্চলের একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, একটি কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৬০০ জনের নিবন্ধনের জন্য এক দিন, এক হাজার জন হলে দুই দিন সময় দেওয়া হয়। তিনি ১২টি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০টিই পুরোনো।
সরেজমিন অভিজ্ঞতা
১৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা দেশের কয়েকটি স্থানে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান। সেখানে তাঁরা কাজের ধীরগতি, যান্ত্রিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির মতো বিভিন্ন সমস্যার চিত্র দেখেন।
পুরোনো ঢাকার কোর্ট হাউস স্ট্রিটে অবস্থিত রাজার দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুটি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচজন কর্মী দেওয়ার কথা ছিল। আছে মাত্র দুজন।’
রাজার দেউরী বিদ্যালয়ের নিবন্ধন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদকের কথা হয় শিপ্ত কর্মকারের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা হ্যাং হয়ে গিয়েছিল। পরে ল্যাপটপ রিস্টার্ট করে ছবি তুলেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে সূত্রাপুরের কাপ্তান বাজারে অবস্থিত নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার নিবন্ধন করতে আসা মানুষে মাঠ পরিপূর্ণ। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারলাম।’
নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, হাত ঘামে এমন নারীদের আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না যন্ত্র। কলেজশিক্ষার্থী সুমাইয়া ওয়াহিদ নওশিন জানান, হাত ঘামায় শুধু আঙুলের ছাপ দিতে তাঁর সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
যাত্রাবাড়ী সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে উপস্থিত নিবন্ধনে আগ্রহী কয়েকজন লোকবল বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন। সজল নামের এক যুবক জানান, সকাল ৮টায় এসেও তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় অবস্থিত জয়পাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে নিবন্ধন করতে আসা তাজেল হোসেন বলেন, ‘৯টা ওয়ার্ডের লোকজনের ছবি একসঙ্গে তোলার জন্য অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা আশিকুল রহমান জানান, কম্পিউটার ও ডিভাইসে লিখতে হয় বলে একটু সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া কম্পিউটারে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজশাহী নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালাজান নেসা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হতে আসা সাফিয়া খাতুন বলেন, চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পা ব্যথা করছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বললেন, ভোটারের বায়োমেট্রিক, স্বাক্ষর নেওয়া, ছবি তোলা ছাড়াও নামসহ ২০ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট হালকা হয়ে যাওয়া কিংবা ঘামের কারণে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ নারীর আঙুলের ছাপ নিতে সমস্যা হচ্ছে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা নতুন বলে তাঁরাও কাজে কিছুটা সময় বেশি নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হিসেবে সন্তানের নিবন্ধন করাতে এসেছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। একজন অপারেটর বলেন, বায়োমেট্রিক গ্রহণে একটু সময় লাগছে। অনেকের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ায় মেশিন একবারে নিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ জানান, আগে ডিভাইসের সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে গেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে বায়োমেট্রিক গ্রহণে।
সোমবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে ওপরতলা থেকে নিচতলায় বারবার ওঠানামা করতে দেখা যায় নতুন ভোটার হতে আসা তরুণ নাহিদ হোসেনকে। কথা বলে বোঝা গেল, লেখাপড়া না জানা নাহিদ হোসেন কোথায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে নির্বাচন অফিসের সামনে নাহিদ বলেন, দায়িত্বরত একজনকে কাগজপত্র দেখালে তিনি তা ফটোকপি করতে বলেন। ফটোকপি করার পর দোতলায় যেতে বলা হয়। সেখান থেকে আবার নিচতলায় যেতে বলা হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, সেখানে তাঁর নামের নিবন্ধন হবে না। নাহিদকে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। তবে বারবার ফোন দিয়েও তা বন্ধ পেয়ে হতাশ নাহিদ ফিরে যান।
বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে হতাশ হয়ে এসে ফিরে যাওয়া রংপুর নগরীর নুরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান, গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্তত ১০ জনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির কথা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিনুর আলম বলেন, নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। কারণ, এখানে কোনো ডিভাইস নেই। বাদ পড়া ব্যক্তিরা ১৯ থেকে ২০ মার্চ কেরামতিয়া হাইস্কুলে এলে নিবন্ধন করে দেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক; ঢাকা ও ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা; চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা এবং কারিগরি সমস্যার সমাধান করা না হলে নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর কয়েক দিন আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ছোট ছোট দু-একটি আর্থিক বরাদ্দ আমরা দিয়েছি। মূল বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। দুজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেনও। আশা করছি, খুব শিগগির তা হয়ে যাবে। তখন মাঠপর্যায়ের বরাদ্দটা দেওয়া হবে।’
পুরোনো যন্ত্র এবং কম সময়ে কাজ করার চাপের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আসলেই এগুলো ঘটছে। একজন মানুষ যদি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন, তিনি কি পরের দিন পুরো উদ্যমে কাজ করতে পারবেন? এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও। নিবন্ধন করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ এবং ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কর্মসূচির বিষয়েও নাগরিকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এখন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার নিবন্ধনের কাজ।
মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার পর নানা সীমাবদ্ধতা সামনে আসছে। ইসি থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রে গিয়েও ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে। ফলে অনেকেই ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন কেন্দ্রে যাচ্ছেন। তবে ভোটার হওয়ার জন্য জন্মসনদসহ যত নথি লাগে, নিবন্ধন কেন্দ্রে তা যাচাই করার সময় নেই। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৩০টির মতো উপকরণ নগদ অর্থে কিনতে হয়। সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় আপাতত নিজের টাকায় এগুলো কিনতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
নিবন্ধনের কাজে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা। মাঠপর্যায়ে ল্যাপটপ এবং আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়ার যেসব যন্ত্র পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগ পুরোনো। কোনোটি কোনোটি কাজের মধ্যে ‘হ্যাং’ (অচল) হয়ে পড়ছে। ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কর্মকর্তাদের কারও কারও দিনের কাজ শেষ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে।
ঢাকা অঞ্চলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের জন্য সময় কম দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি পুরোনো। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেশির ভাগ নতুন ও অদক্ষ।
ফরিদপুর অঞ্চলের একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, একটি কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৬০০ জনের নিবন্ধনের জন্য এক দিন, এক হাজার জন হলে দুই দিন সময় দেওয়া হয়। তিনি ১২টি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০টিই পুরোনো।
সরেজমিন অভিজ্ঞতা
১৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা দেশের কয়েকটি স্থানে নিবন্ধনপ্রক্রিয়ার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান। সেখানে তাঁরা কাজের ধীরগতি, যান্ত্রিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির মতো বিভিন্ন সমস্যার চিত্র দেখেন।
পুরোনো ঢাকার কোর্ট হাউস স্ট্রিটে অবস্থিত রাজার দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুটি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঁচজন কর্মী দেওয়ার কথা ছিল। আছে মাত্র দুজন।’
রাজার দেউরী বিদ্যালয়ের নিবন্ধন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদকের কথা হয় শিপ্ত কর্মকারের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা হ্যাং হয়ে গিয়েছিল। পরে ল্যাপটপ রিস্টার্ট করে ছবি তুলেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে সূত্রাপুরের কাপ্তান বাজারে অবস্থিত নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার নিবন্ধন করতে আসা মানুষে মাঠ পরিপূর্ণ। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারলাম।’
নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, হাত ঘামে এমন নারীদের আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না যন্ত্র। কলেজশিক্ষার্থী সুমাইয়া ওয়াহিদ নওশিন জানান, হাত ঘামায় শুধু আঙুলের ছাপ দিতে তাঁর সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
যাত্রাবাড়ী সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে উপস্থিত নিবন্ধনে আগ্রহী কয়েকজন লোকবল বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন। সজল নামের এক যুবক জানান, সকাল ৮টায় এসেও তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে।
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় অবস্থিত জয়পাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে নিবন্ধন করতে আসা তাজেল হোসেন বলেন, ‘৯টা ওয়ার্ডের লোকজনের ছবি একসঙ্গে তোলার জন্য অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
ছবি তোলার দায়িত্বে থাকা আশিকুল রহমান জানান, কম্পিউটার ও ডিভাইসে লিখতে হয় বলে একটু সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া কম্পিউটারে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
রাজশাহী নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালাজান নেসা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হতে আসা সাফিয়া খাতুন বলেন, চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পা ব্যথা করছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার রায় বললেন, ভোটারের বায়োমেট্রিক, স্বাক্ষর নেওয়া, ছবি তোলা ছাড়াও নামসহ ২০ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট হালকা হয়ে যাওয়া কিংবা ঘামের কারণে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ নারীর আঙুলের ছাপ নিতে সমস্যা হচ্ছে। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা নতুন বলে তাঁরাও কাজে কিছুটা সময় বেশি নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার হিসেবে সন্তানের নিবন্ধন করাতে এসেছিলেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। একজন অপারেটর বলেন, বায়োমেট্রিক গ্রহণে একটু সময় লাগছে। অনেকের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ায় মেশিন একবারে নিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ জানান, আগে ডিভাইসের সমস্যা থাকলেও তা ঠিক হয়ে গেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে বায়োমেট্রিক গ্রহণে।
সোমবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে ওপরতলা থেকে নিচতলায় বারবার ওঠানামা করতে দেখা যায় নতুন ভোটার হতে আসা তরুণ নাহিদ হোসেনকে। কথা বলে বোঝা গেল, লেখাপড়া না জানা নাহিদ হোসেন কোথায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে নির্বাচন অফিসের সামনে নাহিদ বলেন, দায়িত্বরত একজনকে কাগজপত্র দেখালে তিনি তা ফটোকপি করতে বলেন। ফটোকপি করার পর দোতলায় যেতে বলা হয়। সেখান থেকে আবার নিচতলায় যেতে বলা হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, সেখানে তাঁর নামের নিবন্ধন হবে না। নাহিদকে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। তবে বারবার ফোন দিয়েও তা বন্ধ পেয়ে হতাশ নাহিদ ফিরে যান।
বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে হতাশ হয়ে এসে ফিরে যাওয়া রংপুর নগরীর নুরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান, গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্তত ১০ জনের সঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির কথা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিনুর আলম বলেন, নির্বাচন অফিসে ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। কারণ, এখানে কোনো ডিভাইস নেই। বাদ পড়া ব্যক্তিরা ১৯ থেকে ২০ মার্চ কেরামতিয়া হাইস্কুলে এলে নিবন্ধন করে দেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক; ঢাকা ও ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা; চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যন্ত্রপাতির স্বল্পতা এবং কারিগরি সমস্যার সমাধান করা না হলে নির্ধারিত সময়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর কয়েক দিন আগে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ছোট ছোট দু-একটি আর্থিক বরাদ্দ আমরা দিয়েছি। মূল বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। দুজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেনও। আশা করছি, খুব শিগগির তা হয়ে যাবে। তখন মাঠপর্যায়ের বরাদ্দটা দেওয়া হবে।’
পুরোনো যন্ত্র এবং কম সময়ে কাজ করার চাপের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আসলেই এগুলো ঘটছে। একজন মানুষ যদি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন, তিনি কি পরের দিন পুরো উদ্যমে কাজ করতে পারবেন? এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম অপরিকল্পিতভাবে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধনের কাজ শুরু হলেও এখনো মাঠপর্যায়ে কোনো আর্থিক বরাদ্দ দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রয়েছে পুরোনো যন্ত্রপাতির সমস্যা আর জনবলের অভাবও।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে