সৌগত বসু, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ্বখ্যাত ভলভো বাসের অভিজ্ঞতার কথা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেঁকে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি দিক মাত্র। গত কয়েক বছর আগের অনিয়ম-দুর্নীতির জের বিআরটিসি এখনো টেনে চলেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য—যাত্রীসেবা।
আর্টিকুলেটেডে ভলভোর ছায়া
প্রচলিত বাসের প্রায় দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যের ‘আর্টিকুলেটেড’ বাসের কাঠামোর জন্য বিদেশে জনসাধারণের কাছে বেন্ডি, স্ট্রেচ, স্লিংকি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বৈধ দৈর্ঘ্যের মধ্যে থেকে এই বাসে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হওয়ায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তুলনামূলক সরু রাস্তায় চালানো কিছুটা সমস্যা হওয়ায় অবশ্য বিশ্বের অনেক শহর থেকে দুটি অংশ জুড়ে তৈরি করা এ বাস তুলে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মধ্যে বিআরটিসি ২০২২ সালে ২৭টি আবার চালু করে। বাকি বাসগুলো এখনো ডিপোতে পড়ে রয়েছে। এসব নিয়ে গত ১৫ বছরে সংস্থাটির বহরে যুক্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি বাস। এর মধ্যে কাগজে-কলমেই চালু আছে ১ হাজার ২৪৪টি। আর চারটি প্রকল্পে এসব বাস কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। এ সময়ে অনেক বাস নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কিছু ‘ভাঙারি’ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বা সময়মতো মেরামত না করায় গাড়ি অচল পড়ে থাকায় যাত্রীসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিআরটিসির আয়ে প্রভাব পড়েছে। দায়দেনা শোধে অসুবিধা ও কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সংস্থাটি।
বিআরটিসিসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন আরও ৮টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব বাসের দুটি অংশের মাঝখানে থাকা রাবারের সংযোগটি জার্মানিতে তৈরি।
চাহিদা নিতান্ত সীমিত বলে এগুলো স্থানীয় বাজারে সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রতিটি বাসের নতুন সংযোগের মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। তবে দেশি প্রযুক্তিতে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় পুরোনোগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
বিআরটিসি অনেক ঘটা করে ২০০১-০২ সালে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ভলভো কোম্পানির ৫০টি আধুনিক দোতলা বাস ঢাকার রাস্তায় নামিয়েছিল। অত্যাধুনিক বাসগুলোয় যাত্রা বেশ আরামদায়ক হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। তবে ইজারা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাসগুলো একে একে অকেজো হয়ে পড়ে।
দামি বা বিশেষ কোম্পানির গাড়ি ছাড়াও সাধারণভাবেই রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ পুরোনো। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, মিরপুর, জোয়ারসাহারা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন ডিপোতে ১৩৯টি বাস অকেজো হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে পড়ে ছিল। এ বাসগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ মেরামতযোগ্য হলেও পড়ে থেকে বাইরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সরকারি সম্পদের অপচয় হয়েছে।
তিন অর্থবছরের অনিয়ম ভোগাচ্ছে
পরিবহন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানীর তেজগাঁওসহ বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত তিন অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চালক, কন্ডাক্টর ও লিজগ্রহণকারী বাইরের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব যথাযথভাবে ব্যাংকে জমা না করায় এই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, কেবল ওই তিন অর্থবছরে বিআরটিসির মোট দুর্নীতির অঙ্ক ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে প্রাপ্য আদায়েও বিআরটিসি সমস্যায় পড়ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কল্যাণপুর বাস ডিপোর ৩৭টি দোকানের বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের ফি না জমা হয়নি। ফুলবাড়িয়া সিবিএস-২ মার্কেটের বকেয়া ভাড়া আদায়ে জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যর্থতার পেছনে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল, কল্যাণপুর, জোয়ারসাহারা, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া বাস ডিপো ও প্রধান কার্যালয় ইজারা বাবদ ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিআরটিসি। আন্তর্জাতিক রুটে শ্যামলী পরিবহন, রয়েল কোচ ও এন আর ট্রাভেলস তিন বছরে ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার রয়্যালটি ফি বকেয়া রেখেছে, যা করোনার কারণ দেখিয়ে পরিশোধ করা হয়নি।
সংস্থাটির সূত্র বলছে, সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুঁইয়া ও মো. এহসান এলাহীর সময়ের এসব দুর্নীতির দায় এখনো টানতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। বর্তমান চেয়ারম্যানের ঠিক আগে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা এই দুজনের সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিআরটিসির দেনা দাঁড়িয়েছিল ১০১ কোটি টাকা। গত চার বছরে তা থেকে ৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দেনা মেটাতে বাসভাড়া
রাজধানীর অনেক সাধারণ বাসযাত্রীর অভিযোগ, ঢাকার পথে এই সরকারি সংস্থার গাড়ি খুব বেশি রুটে দেখা যায় না। আবার হুটহাট রুট পরিবর্তনেরও নজির আছে। বিআরটিসির সূত্র বলছে, দেনা শোধের চাপের কারণে যাত্রীসেবায় কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পথে এখন তাদের ৫৫০টি গাড়ি যাত্রী পরিবহন করে। তবে এসব গাড়ি থেকে বেশি আয় হয় না। ১৭২টি গাড়ি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গত সোমবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে ১৭২টি বাসভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সত্যি বলে নিশ্চিত করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে যে পরিমাণ দেনা হয়েছে, তা শোধ করতে অর্থ দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাসভাড়া দিয়ে ভালো আয় হচ্ছে। গত মাসে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক কর্মকর্তাদের অনিয়মে বিআরটিসিতে বড় অঙ্কের বকেয়া ছিল। ২০২১ সাল থেকে তা এখন পর্যন্ত ৯ কোটিতে নামানো হয়েছে। বিভাগীয় মামলা ও চাপ প্রয়োগে পুরোনো বকেয়া আদায়ের চেষ্টা চলছে, তবে পুরোটা আদায় কঠিন। এস্টেট ডিপার্টমেন্টের জটিলতা ও অনিয়ম চরমে পৌঁছেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
লিজ আর দেওয়া হবে না
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়ার বাইরে বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির হাতেও ১৯টি বিআরটিসির বাস লিজ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন, নিয়ম ভেঙে বিআরটিসির বাস বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ লিজ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। মেয়াদ শেষ হলে আর নবায়ন করা হবে না। এসব লিজ মালিক বছরের পর বছর রাজস্ব না দিয়ে বিআরটিসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যুক্ত বাসগুলোও অবহেলায় ভাঙারিতে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক যোগাযোগ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন অর্থবছরে বিআরটিসির পরিচালনা কমিটি সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে বিআরটিসি যতই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হোক না কেন, তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। সেখানে তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ইজারা দিয়ে লাভ করা মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান আরও বলেন, বিআরটিসির যে কাঠামোগত সক্ষমতা আছে, তা দেশের অন্য কোনো বাস কোম্পানির নেই। সেটা কাজে লাগাতে হবে। বিআরটিসির একটা প্রবণতা আছে, রুট সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু অনেক রুটে দরকার মতো বাস থাকে না। এদিকে নজর দিতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪৩ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
২ ঘণ্টা আগে