নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘করিডর’ ধারণার ব্যাখ্যা করে বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আরাকানে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করেছে, সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যেন সহায়তা করে।
ড. খলিলুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি এবং বলব না। আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডরের কোনো প্রয়োজন নেই।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ আবেদনের অপেক্ষা না করেই ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এটিকে তিনি মানবিক অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, এই কাজ করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যত দিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে, আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না।’ যাঁরা করিডর নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করব, যার অস্তিত্ব নাই, সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।’
ড. খলিলুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডায় পুনরায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রায় সাত বছর ধরে ইস্যুটি প্রায় উপেক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সচিবালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একটি জাতিগোষ্ঠী নিয়ে জাতিসংঘের এমন আয়োজন বিরল।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং একটি আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত মার্চে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল, প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে কারা ফেরত যাবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা। ২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হলেও আট বছর ধরে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ড. খলিলুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিশেষ দূতের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ইঙ্গিত দেয় যে এই আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখের যাচাইকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে তারা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্য নিয়ে সমস্যা ছিল, যা তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসে নিরসন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকা লাভ করে, যা বিগত সময়ে হয়নি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দেখতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি, সেটা হলো মিয়ানমার সরকারের দখলে ৯০ ভাগ রাখাইন নেই। এর দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। এই আলোচনা একই সমান্তরালে চালু করা হয়েছে।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আরাকান আর্মি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া তাদের একটি প্রিন্সিপাল পজিশন; একই কথা মিয়ানমার সরকারও উল্লেখ করেছে। তবে আরাকান আর্মি বলেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তারা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবে। রাখাইনে যুদ্ধাবস্থা এখনো নিরসন হয়নি।’
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘রাখাইন অঞ্চলে ব্যাপক খাবার এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে একধরনের ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, খাবার এবং ওষুধ না পেয়ে তারা আমাদের দেশে চলে আসতে পারে।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং তাদেরই বাংলাদেশে চলে আসার প্রবণতা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রায় আট বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে এবং ভার ধারণের সীমার বাইরে চলে এসেছে। অতিরিক্ত শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়।
খলিলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের সীমান্তে এসে খাদ্য এবং ওষুধের সহায়তা চেয়েছেন। তাঁরা যদি আসা শুরু করেন, তাহলে বাংলাদেশকে নতুন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে, যা এড়াতে চাইছে সরকার।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে এর থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং এটি কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শঙ্কা হচ্ছে, আরাকানে যে নতুন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আমরা তাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের কোনো চিহ্ন দেখছি না।’
তিনি আরাকান আর্মিকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো প্রকার জাতিগত নিধন আমরা সহ্য করব না। তারা যদি শুধু রাখাইন দিয়ে পরিচালনা করতে চায়, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারব না।’ তিনি আশা করেন, তারা এর সদুত্তর দেবে এবং বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
পরিশেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব বিকল্প বাংলাদেশের হাতে থাকবে এবং সরকার তার সব কূটনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘করিডর’ ধারণার ব্যাখ্যা করে বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আরাকানে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করেছে, সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যেন সহায়তা করে।
ড. খলিলুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি এবং বলব না। আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডরের কোনো প্রয়োজন নেই।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ আবেদনের অপেক্ষা না করেই ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এটিকে তিনি মানবিক অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, এই কাজ করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যত দিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে, আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না।’ যাঁরা করিডর নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করব, যার অস্তিত্ব নাই, সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।’
ড. খলিলুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডায় পুনরায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রায় সাত বছর ধরে ইস্যুটি প্রায় উপেক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সচিবালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একটি জাতিগোষ্ঠী নিয়ে জাতিসংঘের এমন আয়োজন বিরল।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং একটি আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত মার্চে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল, প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে কারা ফেরত যাবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা। ২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হলেও আট বছর ধরে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ড. খলিলুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিশেষ দূতের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ইঙ্গিত দেয় যে এই আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখের যাচাইকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে তারা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্য নিয়ে সমস্যা ছিল, যা তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসে নিরসন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকা লাভ করে, যা বিগত সময়ে হয়নি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দেখতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি, সেটা হলো মিয়ানমার সরকারের দখলে ৯০ ভাগ রাখাইন নেই। এর দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। এই আলোচনা একই সমান্তরালে চালু করা হয়েছে।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আরাকান আর্মি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া তাদের একটি প্রিন্সিপাল পজিশন; একই কথা মিয়ানমার সরকারও উল্লেখ করেছে। তবে আরাকান আর্মি বলেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তারা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবে। রাখাইনে যুদ্ধাবস্থা এখনো নিরসন হয়নি।’
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘রাখাইন অঞ্চলে ব্যাপক খাবার এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে একধরনের ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, খাবার এবং ওষুধ না পেয়ে তারা আমাদের দেশে চলে আসতে পারে।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং তাদেরই বাংলাদেশে চলে আসার প্রবণতা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রায় আট বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে এবং ভার ধারণের সীমার বাইরে চলে এসেছে। অতিরিক্ত শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়।
খলিলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের সীমান্তে এসে খাদ্য এবং ওষুধের সহায়তা চেয়েছেন। তাঁরা যদি আসা শুরু করেন, তাহলে বাংলাদেশকে নতুন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে, যা এড়াতে চাইছে সরকার।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে এর থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং এটি কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শঙ্কা হচ্ছে, আরাকানে যে নতুন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আমরা তাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের কোনো চিহ্ন দেখছি না।’
তিনি আরাকান আর্মিকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো প্রকার জাতিগত নিধন আমরা সহ্য করব না। তারা যদি শুধু রাখাইন দিয়ে পরিচালনা করতে চায়, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারব না।’ তিনি আশা করেন, তারা এর সদুত্তর দেবে এবং বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
পরিশেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব বিকল্প বাংলাদেশের হাতে থাকবে এবং সরকার তার সব কূটনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবে।
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘করিডর’ ধারণার ব্যাখ্যা করে বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আরাকানে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করেছে, সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যেন সহায়তা করে।
ড. খলিলুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি এবং বলব না। আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডরের কোনো প্রয়োজন নেই।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ আবেদনের অপেক্ষা না করেই ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এটিকে তিনি মানবিক অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, এই কাজ করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যত দিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে, আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না।’ যাঁরা করিডর নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করব, যার অস্তিত্ব নাই, সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।’
ড. খলিলুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডায় পুনরায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রায় সাত বছর ধরে ইস্যুটি প্রায় উপেক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সচিবালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একটি জাতিগোষ্ঠী নিয়ে জাতিসংঘের এমন আয়োজন বিরল।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং একটি আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত মার্চে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল, প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে কারা ফেরত যাবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা। ২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হলেও আট বছর ধরে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ড. খলিলুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিশেষ দূতের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ইঙ্গিত দেয় যে এই আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখের যাচাইকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে তারা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্য নিয়ে সমস্যা ছিল, যা তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসে নিরসন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকা লাভ করে, যা বিগত সময়ে হয়নি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দেখতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি, সেটা হলো মিয়ানমার সরকারের দখলে ৯০ ভাগ রাখাইন নেই। এর দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। এই আলোচনা একই সমান্তরালে চালু করা হয়েছে।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আরাকান আর্মি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া তাদের একটি প্রিন্সিপাল পজিশন; একই কথা মিয়ানমার সরকারও উল্লেখ করেছে। তবে আরাকান আর্মি বলেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তারা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবে। রাখাইনে যুদ্ধাবস্থা এখনো নিরসন হয়নি।’
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘রাখাইন অঞ্চলে ব্যাপক খাবার এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে একধরনের ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, খাবার এবং ওষুধ না পেয়ে তারা আমাদের দেশে চলে আসতে পারে।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং তাদেরই বাংলাদেশে চলে আসার প্রবণতা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রায় আট বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে এবং ভার ধারণের সীমার বাইরে চলে এসেছে। অতিরিক্ত শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়।
খলিলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের সীমান্তে এসে খাদ্য এবং ওষুধের সহায়তা চেয়েছেন। তাঁরা যদি আসা শুরু করেন, তাহলে বাংলাদেশকে নতুন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে, যা এড়াতে চাইছে সরকার।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে এর থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং এটি কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শঙ্কা হচ্ছে, আরাকানে যে নতুন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আমরা তাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের কোনো চিহ্ন দেখছি না।’
তিনি আরাকান আর্মিকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো প্রকার জাতিগত নিধন আমরা সহ্য করব না। তারা যদি শুধু রাখাইন দিয়ে পরিচালনা করতে চায়, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারব না।’ তিনি আশা করেন, তারা এর সদুত্তর দেবে এবং বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
পরিশেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব বিকল্প বাংলাদেশের হাতে থাকবে এবং সরকার তার সব কূটনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘করিডর’ ধারণার ব্যাখ্যা করে বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আরাকানে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করেছে, সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যেন সহায়তা করে।
ড. খলিলুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি এবং বলব না। আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডরের কোনো প্রয়োজন নেই।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার। মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ আবেদনের অপেক্ষা না করেই ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এটিকে তিনি মানবিক অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, এই কাজ করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যত দিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে, আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না।’ যাঁরা করিডর নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করব, যার অস্তিত্ব নাই, সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।’
ড. খলিলুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডায় পুনরায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রায় সাত বছর ধরে ইস্যুটি প্রায় উপেক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক গাজা ও ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সচিবালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একটি জাতিগোষ্ঠী নিয়ে জাতিসংঘের এমন আয়োজন বিরল।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং একটি আন্তর্জাতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত মার্চে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল, প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে কারা ফেরত যাবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা। ২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হলেও আট বছর ধরে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ড. খলিলুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিশেষ দূতের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ইঙ্গিত দেয় যে এই আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখের যাচাইকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে তারা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্য নিয়ে সমস্যা ছিল, যা তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বসে নিরসন করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকা লাভ করে, যা বিগত সময়ে হয়নি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দেখতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি, সেটা হলো মিয়ানমার সরকারের দখলে ৯০ ভাগ রাখাইন নেই। এর দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। এই আলোচনা একই সমান্তরালে চালু করা হয়েছে।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আরাকান আর্মি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া তাদের একটি প্রিন্সিপাল পজিশন; একই কথা মিয়ানমার সরকারও উল্লেখ করেছে। তবে আরাকান আর্মি বলেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তারা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবে। রাখাইনে যুদ্ধাবস্থা এখনো নিরসন হয়নি।’
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘রাখাইন অঞ্চলে ব্যাপক খাবার এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে একধরনের ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, খাবার এবং ওষুধ না পেয়ে তারা আমাদের দেশে চলে আসতে পারে।’
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, রোহিঙ্গারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং তাদেরই বাংলাদেশে চলে আসার প্রবণতা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রায় আট বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে এবং ভার ধারণের সীমার বাইরে চলে এসেছে। অতিরিক্ত শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়।
খলিলুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের সীমান্তে এসে খাদ্য এবং ওষুধের সহায়তা চেয়েছেন। তাঁরা যদি আসা শুরু করেন, তাহলে বাংলাদেশকে নতুন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে, যা এড়াতে চাইছে সরকার।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে এর থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং এটি কোনো যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শঙ্কা হচ্ছে, আরাকানে যে নতুন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আমরা তাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের কোনো চিহ্ন দেখছি না।’
তিনি আরাকান আর্মিকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোনো প্রকার জাতিগত নিধন আমরা সহ্য করব না। তারা যদি শুধু রাখাইন দিয়ে পরিচালনা করতে চায়, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারব না।’ তিনি আশা করেন, তারা এর সদুত্তর দেবে এবং বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
পরিশেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব বিকল্প বাংলাদেশের হাতে থাকবে এবং সরকার তার সব কূটনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবে।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৫ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১৯ মিনিট আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
২১ মে ২০২৫
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১৯ মিনিট আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
২১ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১৯ মিনিট আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
২১ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৫ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ মিনিট আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
১ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
২১ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৫ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১৯ মিনিট আগে