Ajker Patrika

নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। উনি তো যখন নির্বাচনের কথা বলেন, তখন তো ডিসেম্বর বাদ দেন না, তা নিয়েই বলেন। ওনার মুখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখটা শোনার জন্য অপেক্ষা করেন। সরকারের প্রাধিকারের মধ্যে সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার, তা ছাড়া দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা যেকোনো সরকারের প্রাধিকারের মধ্যে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৃশ্যমান বৈঠক তারিখ ঠিক হলে সবাই জানতে পারবেন। কিন্তু আলাপ-আলোচনা চলছে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী যেভাবে তৈরি হওয়ার দরকার তা হয়নি, তাহলে সরকারের ভাবনা কী—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ প্রশাসন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সাহস দেখিয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি। কিন্তু তাদের উত্তরণ হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির গণপরিষদ নির্বাচন এবং বিএনপিসহ অন্য দলের জাতীয় নির্বাচন, এখানে সরকারের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে। নির্বাচন গণপরিষদ হবে, নাকি সংসদ, নাকি স্থানীয়, নাকি অন্য কিছু হবে—এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে করবে। একেকটা রাজনৈতিক দল একেক ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়। এটা সরকারের বিষয় না।

জুলাই ঘোষণাপত্রের তেমন অগ্রগতির হয়নি বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের মতামত পাঠিয়েছে, কিন্তু সব দল পাঠায়নি।

‘মব জাস্টিস ও মোরাল পুলিশিং’য়ের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান শক্ত বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের অবস্থায় এখনো আমরা ফেরত আনতে পারিনি, আসেনি। সে ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। সরকারে অবস্থান স্পষ্ট এটার সুযোগ নেই। মোহাম্মদপুরের ঘটনা নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে, এটার ব্যাপারে উভয় পক্ষ পুলিশের সামনে আপসনামায় স্বাক্ষর করেছে, তাই ওটাকে চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করতে গণ্য করতে হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা সরকার সমর্থন করে না।’ কেউ মব জাস্টিসের মুখোমুখি হলে সরকার তার পাশে দাঁড়াবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মোহাম্মদপুরের ঘটনায় উভয় পক্ষই মনে করছে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটেছে। এটাকে তারা অপরাধ হিসেবে নিচ্ছে না। উভয় পক্ষ মীমাংসা করে নিয়েছে। আর এগোতে চাচ্ছে না।

আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অতিরিক্ত হিসেবে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামগঞ্জের মানুষেরা চিকিৎসা পায় না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক যাতে নিশ্চিত করা যায়, এ জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ বর্তমানে ওমান ও কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনে সরকার। নতুন করে সরকার সৌদি আরব থেকে এলএনজি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জ্বালানি উপদেষ্টা (ফাওজুল কবির খান) সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, সেখানে এরামকো (এলএনজি কোম্পানি) সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বাজারে যে দামে দেয়, তার চেয়ে কম দামে বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহে সম্মত হয়েছে।

৮ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৩৫ সিদ্ধান্তের মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৬৮ দশমিক ১৬। যেটা বেশ ভালো।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে, এদের সংখ্যাও আসলে খুবই কম, ১২ হাজার ৫০০ মানুষের জন্য এককালীন সুবিধা হিসেবে থাকবে। শুধু স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যে এককালীন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে এটা বিবেচনা করা হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কোটার সঙ্গে তুলনীয় নয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অ্যাকশন প্ল্যান করেছে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে কথা বলেছি। বেইজিংয়ের মতো শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ১০ বছর সময় লেগেছে, খুব ভালো মানে যেতে ওদের ১৫ বছর লেগেছে। আমাদের ৩০-৩৫ ভাগ বায়ুদূষণ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে, সেখানে সীমান্তের পাশে অনেক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে। আমরা প্রথমে লক্ষ্য স্থির করেছি ধুলাদূষণ কমাতে। ঢাকার আশপাশের ইটভাটার ম্যাপ নৌবাহিনীর সহায়তায় করেছি। চেষ্টা করব আগামী বছর এই ইটভাটাগুলো চালু না থাকে। আমিন বাজার, ধামরাই, সাভারকে ব্রিকফিল্ড জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকার রোড ডিভাইডারগুলো সবুজায়ন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩১
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত