আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ (ইউএন চার্টার) এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র থেকে উদ্ভূত।
কাজের ক্ষেত্র
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) কাজ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বহুমুখী। এটির লক্ষ্য হলো সবার জন্য মানবাধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। এই সংস্থার প্রধান প্রধান কাজের ক্ষেত্রগুলো হলো:
সর্বজনীন মানবাধিকার: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।
মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব: বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, আন্তর্জাতিক ও জাতীয়—উভয় স্তরেই মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘ ব্যবস্থার কার্যক্রম সমন্বয়: পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে মানবাধিকার-সংক্রান্ত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত ও সমন্বয় করা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রচার: রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলো অনুমোদন এবং সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা।
নতুন মানদণ্ড তৈরি: নতুন মানবাধিকার মানদণ্ড এবং দলিল তৈরিতে সহায়তা করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমর্থন: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা এবং চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোকে, যেমন—মানবাধিকার কাউন্সিল এবং বিভিন্ন চুক্তি সংস্থা, বাস্তব ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া: মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: সংঘাত বা অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে—এমন পরিস্থিতি প্রশমিত করতে প্রতিরোধমূলক মানবাধিকার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
জাতীয় মানবাধিকার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা: সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান (এনএইচআরআই) প্রতিষ্ঠা ও সমর্থন করা।
ক্ষেত্রভিত্তিক কার্যক্রম ও অভিযান: মাঠপর্যায়ে উপস্থিতির মাধ্যমে সংস্থাটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে প্রায়ই কারিগরি সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণ দেয়।
শিক্ষা ও অ্যাডভোকেসি: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং জড়িত থাকার জন্য গবেষণা, শিক্ষা এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
সরকারকে সহায়তা: বিচার প্রশাসন, আইন সংস্কার, মানবাধিকার চুক্তি অনুমোদন এবং মানবাধিকার শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহায়তা দেওয়া।
মানবাধিকারের মূলধারা: সংস্থাটি জাতিসংঘের সমস্ত কর্মসূচিতে মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে, যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার–জাতিসংঘের তিনটি স্তম্ভ–একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয়।
ওএইচসিএইচআরের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। এ ছাড়া নিউইয়র্ক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, দেশীয় কার্যালয় এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনে মানবাধিকার শাখাগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি বজায় রাখে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার সংস্থা।
নিউইয়র্ক কার্যালয় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে মানবাধিকারের নিয়মাবলি কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে।
আর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো বৃহত্তর অঞ্চলগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে। এর মধ্যে রয়েছে—পূর্ব আফ্রিকা (আদ্দিস আবাবা), দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রিটোরিয়া), পশ্চিম আফ্রিকা (ডাকার), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ব্যাংকক), প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (সুভা), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (বৈরুত), মধ্য এশিয়া (বিশকেক), ইউরোপ (ব্রাসেলস), মধ্য আমেরিকা (পানামা সিটি), দক্ষিণ আমেরিকা (সান্তিয়াগো দে চিলি)।
দেশীয় এবং স্বতন্ত্র কার্যালয় রয়েছে প্রায় ১৮টি (বাড়ে কমে)। এই কার্যালয়গুলো স্বাগতিক সরকারগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাধারণত মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রচার, পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের ম্যান্ডেট থাকে। দেশীয় কার্যালয় রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: বুর্কিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ বা সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার কর্মকর্তাদেরও সহায়তা করে এই সংস্থা। যেমন—আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, হাইতি, ইরাক, কোসোভো, লিবিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান—এসব দেশে শাখাগুলো সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করে।
এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর সরাসরি সরকার, নাগরিক সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মাঠপর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপন ও নানামুখি আপত্তি
ঢাকায় কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মধ্যে সম্প্রতি তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের আপত্তির প্রধান কারণ হলো, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করে, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করলে তা সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে। বিশেষ করে এলজিবিটি অধিকারের ইস্যুটি বারবার সামনে এসেছে।
বিশেষ করে, হেফাজতে ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, অতীতেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের অজুহাতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তাই, তারা এই ধরনের কার্যালয় স্থাপনে রাজি নয়।
এ ছাড়া এনসিপির নেতা সারজিস আলমও আপত্তির কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাশক্তির অন্যায় আগ্রাসন, হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওএইচসিএইচআর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়া এবং তাঁর ভাষায় পশ্চিমে দাবি অনুযায়ী, মুসলিমদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সমালোচকেরা মনে করেন, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হলে তা দেশের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
আপত্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে—
কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মনে করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ করতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এই কার্যালয় দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ করেছে, যা এই ক্ষেত্রেও হতে পারে বলে তারা মনে করে।
এসব উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যাসহ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই কার্যালয় কোনো হস্তক্ষেপমূলক সংস্থা হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘ওএইচসিএইচআর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন—পূর্ববর্তী সরকারের সময় সংঘটিত অপরাধ—প্রতিরোধ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই কাজ করবে। এটি কোনো সামাজিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হবে না, যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায়।’
এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সরকার মনে করে, এই ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় যদি থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধের তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচার হতো।
আরও খবর পড়ুন:

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ (ইউএন চার্টার) এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র থেকে উদ্ভূত।
কাজের ক্ষেত্র
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) কাজ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বহুমুখী। এটির লক্ষ্য হলো সবার জন্য মানবাধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। এই সংস্থার প্রধান প্রধান কাজের ক্ষেত্রগুলো হলো:
সর্বজনীন মানবাধিকার: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।
মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব: বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, আন্তর্জাতিক ও জাতীয়—উভয় স্তরেই মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘ ব্যবস্থার কার্যক্রম সমন্বয়: পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে মানবাধিকার-সংক্রান্ত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত ও সমন্বয় করা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রচার: রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলো অনুমোদন এবং সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা।
নতুন মানদণ্ড তৈরি: নতুন মানবাধিকার মানদণ্ড এবং দলিল তৈরিতে সহায়তা করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমর্থন: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা এবং চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোকে, যেমন—মানবাধিকার কাউন্সিল এবং বিভিন্ন চুক্তি সংস্থা, বাস্তব ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া: মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: সংঘাত বা অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে—এমন পরিস্থিতি প্রশমিত করতে প্রতিরোধমূলক মানবাধিকার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
জাতীয় মানবাধিকার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা: সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান (এনএইচআরআই) প্রতিষ্ঠা ও সমর্থন করা।
ক্ষেত্রভিত্তিক কার্যক্রম ও অভিযান: মাঠপর্যায়ে উপস্থিতির মাধ্যমে সংস্থাটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে প্রায়ই কারিগরি সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণ দেয়।
শিক্ষা ও অ্যাডভোকেসি: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং জড়িত থাকার জন্য গবেষণা, শিক্ষা এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
সরকারকে সহায়তা: বিচার প্রশাসন, আইন সংস্কার, মানবাধিকার চুক্তি অনুমোদন এবং মানবাধিকার শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহায়তা দেওয়া।
মানবাধিকারের মূলধারা: সংস্থাটি জাতিসংঘের সমস্ত কর্মসূচিতে মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে, যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার–জাতিসংঘের তিনটি স্তম্ভ–একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয়।
ওএইচসিএইচআরের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। এ ছাড়া নিউইয়র্ক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, দেশীয় কার্যালয় এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনে মানবাধিকার শাখাগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি বজায় রাখে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার সংস্থা।
নিউইয়র্ক কার্যালয় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে মানবাধিকারের নিয়মাবলি কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে।
আর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো বৃহত্তর অঞ্চলগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে। এর মধ্যে রয়েছে—পূর্ব আফ্রিকা (আদ্দিস আবাবা), দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রিটোরিয়া), পশ্চিম আফ্রিকা (ডাকার), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ব্যাংকক), প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (সুভা), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (বৈরুত), মধ্য এশিয়া (বিশকেক), ইউরোপ (ব্রাসেলস), মধ্য আমেরিকা (পানামা সিটি), দক্ষিণ আমেরিকা (সান্তিয়াগো দে চিলি)।
দেশীয় এবং স্বতন্ত্র কার্যালয় রয়েছে প্রায় ১৮টি (বাড়ে কমে)। এই কার্যালয়গুলো স্বাগতিক সরকারগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাধারণত মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রচার, পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের ম্যান্ডেট থাকে। দেশীয় কার্যালয় রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: বুর্কিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ বা সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার কর্মকর্তাদেরও সহায়তা করে এই সংস্থা। যেমন—আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, হাইতি, ইরাক, কোসোভো, লিবিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান—এসব দেশে শাখাগুলো সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করে।
এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর সরাসরি সরকার, নাগরিক সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মাঠপর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপন ও নানামুখি আপত্তি
ঢাকায় কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মধ্যে সম্প্রতি তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের আপত্তির প্রধান কারণ হলো, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করে, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করলে তা সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে। বিশেষ করে এলজিবিটি অধিকারের ইস্যুটি বারবার সামনে এসেছে।
বিশেষ করে, হেফাজতে ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, অতীতেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের অজুহাতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তাই, তারা এই ধরনের কার্যালয় স্থাপনে রাজি নয়।
এ ছাড়া এনসিপির নেতা সারজিস আলমও আপত্তির কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাশক্তির অন্যায় আগ্রাসন, হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওএইচসিএইচআর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়া এবং তাঁর ভাষায় পশ্চিমে দাবি অনুযায়ী, মুসলিমদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সমালোচকেরা মনে করেন, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হলে তা দেশের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
আপত্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে—
কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মনে করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ করতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এই কার্যালয় দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ করেছে, যা এই ক্ষেত্রেও হতে পারে বলে তারা মনে করে।
এসব উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যাসহ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই কার্যালয় কোনো হস্তক্ষেপমূলক সংস্থা হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘ওএইচসিএইচআর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন—পূর্ববর্তী সরকারের সময় সংঘটিত অপরাধ—প্রতিরোধ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই কাজ করবে। এটি কোনো সামাজিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হবে না, যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায়।’
এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সরকার মনে করে, এই ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় যদি থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধের তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচার হতো।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ (ইউএন চার্টার) এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র থেকে উদ্ভূত।
কাজের ক্ষেত্র
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) কাজ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বহুমুখী। এটির লক্ষ্য হলো সবার জন্য মানবাধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। এই সংস্থার প্রধান প্রধান কাজের ক্ষেত্রগুলো হলো:
সর্বজনীন মানবাধিকার: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।
মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব: বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, আন্তর্জাতিক ও জাতীয়—উভয় স্তরেই মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘ ব্যবস্থার কার্যক্রম সমন্বয়: পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে মানবাধিকার-সংক্রান্ত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত ও সমন্বয় করা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রচার: রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলো অনুমোদন এবং সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা।
নতুন মানদণ্ড তৈরি: নতুন মানবাধিকার মানদণ্ড এবং দলিল তৈরিতে সহায়তা করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমর্থন: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা এবং চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোকে, যেমন—মানবাধিকার কাউন্সিল এবং বিভিন্ন চুক্তি সংস্থা, বাস্তব ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া: মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: সংঘাত বা অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে—এমন পরিস্থিতি প্রশমিত করতে প্রতিরোধমূলক মানবাধিকার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
জাতীয় মানবাধিকার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা: সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান (এনএইচআরআই) প্রতিষ্ঠা ও সমর্থন করা।
ক্ষেত্রভিত্তিক কার্যক্রম ও অভিযান: মাঠপর্যায়ে উপস্থিতির মাধ্যমে সংস্থাটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে প্রায়ই কারিগরি সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণ দেয়।
শিক্ষা ও অ্যাডভোকেসি: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং জড়িত থাকার জন্য গবেষণা, শিক্ষা এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
সরকারকে সহায়তা: বিচার প্রশাসন, আইন সংস্কার, মানবাধিকার চুক্তি অনুমোদন এবং মানবাধিকার শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহায়তা দেওয়া।
মানবাধিকারের মূলধারা: সংস্থাটি জাতিসংঘের সমস্ত কর্মসূচিতে মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে, যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার–জাতিসংঘের তিনটি স্তম্ভ–একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয়।
ওএইচসিএইচআরের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। এ ছাড়া নিউইয়র্ক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, দেশীয় কার্যালয় এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনে মানবাধিকার শাখাগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি বজায় রাখে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার সংস্থা।
নিউইয়র্ক কার্যালয় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে মানবাধিকারের নিয়মাবলি কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে।
আর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো বৃহত্তর অঞ্চলগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে। এর মধ্যে রয়েছে—পূর্ব আফ্রিকা (আদ্দিস আবাবা), দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রিটোরিয়া), পশ্চিম আফ্রিকা (ডাকার), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ব্যাংকক), প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (সুভা), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (বৈরুত), মধ্য এশিয়া (বিশকেক), ইউরোপ (ব্রাসেলস), মধ্য আমেরিকা (পানামা সিটি), দক্ষিণ আমেরিকা (সান্তিয়াগো দে চিলি)।
দেশীয় এবং স্বতন্ত্র কার্যালয় রয়েছে প্রায় ১৮টি (বাড়ে কমে)। এই কার্যালয়গুলো স্বাগতিক সরকারগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাধারণত মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রচার, পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের ম্যান্ডেট থাকে। দেশীয় কার্যালয় রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: বুর্কিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ বা সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার কর্মকর্তাদেরও সহায়তা করে এই সংস্থা। যেমন—আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, হাইতি, ইরাক, কোসোভো, লিবিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান—এসব দেশে শাখাগুলো সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করে।
এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর সরাসরি সরকার, নাগরিক সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মাঠপর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপন ও নানামুখি আপত্তি
ঢাকায় কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মধ্যে সম্প্রতি তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের আপত্তির প্রধান কারণ হলো, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করে, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করলে তা সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে। বিশেষ করে এলজিবিটি অধিকারের ইস্যুটি বারবার সামনে এসেছে।
বিশেষ করে, হেফাজতে ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, অতীতেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের অজুহাতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তাই, তারা এই ধরনের কার্যালয় স্থাপনে রাজি নয়।
এ ছাড়া এনসিপির নেতা সারজিস আলমও আপত্তির কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাশক্তির অন্যায় আগ্রাসন, হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওএইচসিএইচআর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়া এবং তাঁর ভাষায় পশ্চিমে দাবি অনুযায়ী, মুসলিমদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সমালোচকেরা মনে করেন, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হলে তা দেশের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
আপত্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে—
কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মনে করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ করতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এই কার্যালয় দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ করেছে, যা এই ক্ষেত্রেও হতে পারে বলে তারা মনে করে।
এসব উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যাসহ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই কার্যালয় কোনো হস্তক্ষেপমূলক সংস্থা হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘ওএইচসিএইচআর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন—পূর্ববর্তী সরকারের সময় সংঘটিত অপরাধ—প্রতিরোধ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই কাজ করবে। এটি কোনো সামাজিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হবে না, যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায়।’
এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সরকার মনে করে, এই ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় যদি থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধের তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচার হতো।
আরও খবর পড়ুন:

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ (ইউএন চার্টার) এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র থেকে উদ্ভূত।
কাজের ক্ষেত্র
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) কাজ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বহুমুখী। এটির লক্ষ্য হলো সবার জন্য মানবাধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। এই সংস্থার প্রধান প্রধান কাজের ক্ষেত্রগুলো হলো:
সর্বজনীন মানবাধিকার: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।
মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব: বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, আন্তর্জাতিক ও জাতীয়—উভয় স্তরেই মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘ ব্যবস্থার কার্যক্রম সমন্বয়: পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে মানবাধিকার-সংক্রান্ত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত ও সমন্বয় করা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রচার: রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলো অনুমোদন এবং সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা।
নতুন মানদণ্ড তৈরি: নতুন মানবাধিকার মানদণ্ড এবং দলিল তৈরিতে সহায়তা করা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমর্থন: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা এবং চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোকে, যেমন—মানবাধিকার কাউন্সিল এবং বিভিন্ন চুক্তি সংস্থা, বাস্তব ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া: মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: সংঘাত বা অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে—এমন পরিস্থিতি প্রশমিত করতে প্রতিরোধমূলক মানবাধিকার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
জাতীয় মানবাধিকার অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা: সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান (এনএইচআরআই) প্রতিষ্ঠা ও সমর্থন করা।
ক্ষেত্রভিত্তিক কার্যক্রম ও অভিযান: মাঠপর্যায়ে উপস্থিতির মাধ্যমে সংস্থাটি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে প্রায়ই কারিগরি সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণ দেয়।
শিক্ষা ও অ্যাডভোকেসি: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং জড়িত থাকার জন্য গবেষণা, শিক্ষা এবং অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
সরকারকে সহায়তা: বিচার প্রশাসন, আইন সংস্কার, মানবাধিকার চুক্তি অনুমোদন এবং মানবাধিকার শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহায়তা দেওয়া।
মানবাধিকারের মূলধারা: সংস্থাটি জাতিসংঘের সমস্ত কর্মসূচিতে মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে, যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার–জাতিসংঘের তিনটি স্তম্ভ–একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয়।
ওএইচসিএইচআরের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। এ ছাড়া নিউইয়র্ক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, দেশীয় কার্যালয় এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনে মানবাধিকার শাখাগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি বজায় রাখে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার সংস্থা।
নিউইয়র্ক কার্যালয় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে মানবাধিকারের নিয়মাবলি কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে।
আর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো বৃহত্তর অঞ্চলগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে। এর মধ্যে রয়েছে—পূর্ব আফ্রিকা (আদ্দিস আবাবা), দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রিটোরিয়া), পশ্চিম আফ্রিকা (ডাকার), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ব্যাংকক), প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (সুভা), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (বৈরুত), মধ্য এশিয়া (বিশকেক), ইউরোপ (ব্রাসেলস), মধ্য আমেরিকা (পানামা সিটি), দক্ষিণ আমেরিকা (সান্তিয়াগো দে চিলি)।
দেশীয় এবং স্বতন্ত্র কার্যালয় রয়েছে প্রায় ১৮টি (বাড়ে কমে)। এই কার্যালয়গুলো স্বাগতিক সরকারগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাধারণত মানবাধিকার সুরক্ষা, প্রচার, পর্যবেক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের ম্যান্ডেট থাকে। দেশীয় কার্যালয় রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: বুর্কিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ বা সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার কর্মকর্তাদেরও সহায়তা করে এই সংস্থা। যেমন—আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, হাইতি, ইরাক, কোসোভো, লিবিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান—এসব দেশে শাখাগুলো সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ করে।
এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওএইচসিএইচআর সরাসরি সরকার, নাগরিক সমাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মাঠপর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপন ও নানামুখি আপত্তি
ঢাকায় কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মধ্যে সম্প্রতি তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের আপত্তির প্রধান কারণ হলো, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করে, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করলে তা সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে। বিশেষ করে এলজিবিটি অধিকারের ইস্যুটি বারবার সামনে এসেছে।
বিশেষ করে, হেফাজতে ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, অতীতেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের অজুহাতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। তাই, তারা এই ধরনের কার্যালয় স্থাপনে রাজি নয়।
এ ছাড়া এনসিপির নেতা সারজিস আলমও আপত্তির কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাশক্তির অন্যায় আগ্রাসন, হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওএইচসিএইচআর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়া এবং তাঁর ভাষায় পশ্চিমে দাবি অনুযায়ী, মুসলিমদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সমালোচকেরা মনে করেন, এই ধরনের কার্যালয় স্থাপন করা হলে তা দেশের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
আপত্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে—
কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মনে করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ করতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এই কার্যালয় দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ করেছে, যা এই ক্ষেত্রেও হতে পারে বলে তারা মনে করে।
এসব উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যাসহ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই কার্যালয় কোনো হস্তক্ষেপমূলক সংস্থা হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘ওএইচসিএইচআর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন—পূর্ববর্তী সরকারের সময় সংঘটিত অপরাধ—প্রতিরোধ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতেই কাজ করবে। এটি কোনো সামাজিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হবে না, যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায়।’
এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সরকার মনে করে, এই ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় যদি থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধের তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচার হতো।
আরও খবর পড়ুন:

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
১৯ জুলাই ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
১৯ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
১৯ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
১৯ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে