Ajker Patrika

অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস: রাষ্ট্র সংস্কারে সবাইকে চায় সরকার

  • সব সংস্কার কমিশন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
  • সংস্কারে জোর অন্তর্বর্তী সরকারের, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি নির্বাচন।
  • সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে সংলাপ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮: ১৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে। তবে সব কমিশন এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়নি।

কমিশনগুলোর ইতিমধ্যে দেওয়া সুপারিশ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, কমিশনগুলোর সুপারিশে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সরকারের ইতিবাচক নানা উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলন ও নানামুখী অসহযোগিতার কারণে।

সংস্কারের উদ্যোগে সমঝোতায় আসতে সবাই চেষ্টা করবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংস্কার যদি না হয় তাহলে গণক্ষোভ ও গণরোষের জায়গাগুলো জীবিত থেকে যাবে। নির্বাচনের পরে দায়িত্ব নিলেও স্বস্তির জায়গাটা নাও থাকতে পারে। সমাজের বেশির মানুষ বলছে সংস্কার জরুরি। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগের কথা বিবেচনা করে সংস্কারে সম্মত হবে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। অন্তর্বর্তী সরকার জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানাচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু করে কমিশনগুলো। এগুলো ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদনের বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। একই সঙ্গে কমিশনগুলোর প্রধানেরা রাষ্ট্র সংস্কারে আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে সে বিষয়ে সর্বসম্মত সুপারিশমালা দেবেন।

ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সূত্র বলেছে, ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারির পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে এবং কতটুকু পরে করা যাবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে হবে নাকি আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে হবে।

কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে সংস্কারের যে বিষয়গুলো এসেছে, তার সঙ্গে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানুষ কিন্তু এগুলো চায়। মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা সরকারের বড় সফলতা। এখন সংস্কারের বাস্তবায়ন পুরোটা সরকারের হাতে নেই। অধ্যাদেশ আকারে করা গেলেও তা টিকে থাকবে নির্বাচিত সংসদের অনুমোদনের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বারবার বলছে, সেটা বাস্তব অর্থে গত ছয় মাসে দেখা যায়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। তিনি বলেন, কয়েকটি কমিশন প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেগুলোর অসংগতি নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি এবং তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে কমিশন করলেও শিক্ষা নিয়ে কমিশন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষা নিয়ে বলতে গেলে কিছুই হয়নি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে প্রশাসনে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারে পদোন্নতির ক্ষেত্রে করা সুপারিশগুলো কোনো ক্যাডার মানবে না বলে মনে করেন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল সার্ভিস, পুলিশ সার্ভিস এবং জুডিশিয়ারি সার্ভিস যদি স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে প্রথমে ঠিক করতে হবে আমরা এগুলো স্বাধীন চাই কি না। আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ওইটুকু করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট।’

বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ এবং উপজেলা পর্যায়ে আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইন করা যায় না। এই সুপারিশের সুযোগ নেই।

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের ভালো কাজ করার সদিচ্ছা আছে। কিন্তু তারা গোছাতে পারেনি। একই সঙ্গে নানা ধরনের দাবিদাওয়ায় তারা জর্জরিত। এ দুটি কারণে তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ সেভাবে পারেনি। মানুষের মধ্যে হতাশা আছে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের প্রায় সব থানা হয়ে যায় পুলিশশূন্য। অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পর কর্মক্ষমতা কমে গেছে। সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ছয় মাসে পুলিশের তেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা বিভাগের নির্বাচন ও গণভোটের গান রিলিজ করল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৪০
ভিডিও থেকে নেওয়া
ভিডিও থেকে নেওয়া

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব

বিবিসি বাংলা
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ফাইল ছবি
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ফাইল ছবি

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।

মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।

এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।

এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র‍্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।

অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার পর সাতজনের পক্ষে থাকা আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে, ভিকটিম ব্যারিস্টার আরমানের লেখা বই পড়া ও অভিযোগ-সংক্রান্ত এত বড় ভলিউম পড়তে হবে। প্রস্তুতির জন্য আমার সময় প্রয়োজন। তা ছাড়া আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’

এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র‍্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আদেশের সময় ১০ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি, এই আদালতের মাধ্যমে আমরা ইনসাফ পাব।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিচার ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে। সে কারণে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলো।

এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাবারক হোসেন তিন মাস সময় চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’

বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আদেশ দিইনি। আমরা আলোচনা করছি। আমরা কি কথা বলতে পারব না?’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনি মতামত দিয়েছেন। আপনি মতামত দিলে আসামিপক্ষ সুবিধা নেবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আপনি এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যাবেন না। আপনার কথায় আমাদের চলতে হবে? আপনি আমাদের হ্যান্ডিক্যাপ বানিয়ে রাখবেন? আপনি বসেন।’ এ সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য নিরুত্তর ছিলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য না শুনে সিদ্ধান্ত দিলে গ্রাউন্ড তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন। অপরাধের গুরুত্বের কারণে বিলম্ব ছাড়া বিচার করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কিন্তু এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আগেই আসামিপক্ষ চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে। এখন তিন সপ্তাহের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকলে তিনি মামলা ছেড়ে দেবেন। তাঁর জন্য তো আদালত বসে থাকবে না। সাতজন আসামির জন্য কি আলাদাভাবে সময় দিতে হবে? একই ঘটনা, একই অভিযোগ। মূলত আসামিপক্ষ মামলা বিলম্ব করতে চায়।’

আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য তিন মাস সময় চাই।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পাবেন।’ তাবারক হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিজিএফআইয়ের মামলায় এক মাস সময় দিয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, ‘ঠিক আছে, চার সপ্তাহ।’ এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আছে। আসামিপক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বিচার হতে না দেওয়া। এখানে গত ১৫ বছর কী হয়েছে, আমরা দেখেছি।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্যই তো আপনাদের আপত্তি। তখন যা হয়েছে, আমরা তো তা করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে বলেন, এখানে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাইপ তুলে সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আসামিরা ঘটনার সময় র‍্যাবে ছিলেন, সেই সময়কার অপরাধের বিচার হচ্ছে। তাঁরা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়, আর্মির পোশাকে এই অপরাধ করেননি।’

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর্মির বিরুদ্ধে না। এখানে সেনাবাহিনীর বিচার হচ্ছে না। আর আমরা ডিলে অ্যালাউ করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ছুরিকাঘাত করা হচ্ছে। সাক্ষীকে মেরে ফেললে আমরা বিচার করব কীভাবে?’ আইনজীবী তাবারক হোসেন হঠাৎ দাঁড়িয়ে চিফ প্রসিকিউটরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাড়াহুড়ো করছেন কেন? জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি তাবারক হোসেনকে বলেন, ‘আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আপনি দাঁড়ালেন কেন? আপনি বসেন।’ এ সময় বিচারকও আইনজীবীকে বসতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। পরে আইনজীবী তাবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুমতি নিয়ে কথা বলি। বললে আপনারা বলতে পারেন। তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) বসার কথা বলতে পারেন না। আমি উনার সিনিয়র। আমি কথা বললে উনি পেছন থেকে ডিক্টেট করেন। উনি এটা করতে পারেন না।’

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চিফ প্রসিকিউটর) কিছু রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁর কথা শেষ না হতেই তিনি (তাবারক হোসেন) কথা বলতে শুরু করেছেন।’ পরে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘একজনের কথা শেষ না করতে অন্যজন কথা বলবেন না।’ পরে আদালত সূচনা বক্তব্যের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।

এ মামলার শুনানি শেষ হলে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে থাকা গুমের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন। এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ হাস্যচ্ছলে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হ্যাপি নিউ ইয়ারও পালন করতে দেবেন না দেখছি।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের জায়গায় হ্যাপি জানাজা হয়ে যায় কি না, বলা তো যায় না।’ তখন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ওপরের দিকে ইশারা করে বলেন—মৃত্যুর ফয়সালা আসমানে হয়।

এর আগে র‍্যাবের টিএফআইয়ের মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৬
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেটটি জারি করা হয়েছে।

গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিধিমালা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন বিধিমালার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, আধুনিক ও আইনগত কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত