Ajker Patrika

ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর আশ্বাস মার্কিন রাষ্ট্রদূতের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর আশ্বাস মার্কিন রাষ্ট্রদূতের 

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বিশেষ করে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বেবিচক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতকে একটি সময়বদ্ধ পরিকল্পনার মাধ্যমে এফএএ ক্যাটাগরি-১ বাস্তবায়নের জন্য দূতাবাসের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ রোববার বেবিচকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনাকালে দুই দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জেলজীবন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ‘আপোসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।

দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তার রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।

কণ্টকাকীর্ণ জেলজীবন

বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বন্দিদশায়। মোট পাঁচবার কারাবরণ করা এই নেত্রীর জেলজীবন ছিল আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১. এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সেই দিনগুলো

১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসার পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর—এই তিন দফায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও সেসব ক্ষেত্রে তাকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে এই গ্রেপ্তারগুলোই তাঁকে ‘আপোসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

২. ২০০৭: মইনুল রোডের বাড়ি থেকে সংসদ ভবনের সাব-জেল

এক-এগারো-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তাঁকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে বন্দি রাখা হয়।

জেলখানায় দুই ঈদ: এই কারাবাসকালে তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—উভয় উৎসবই নির্জন প্রকোষ্ঠে পালন করেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।

সন্তানদের বন্দিত্ব ও শোক: সেই সময় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোও কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখার অনুমতি পান। প্রায় ৩৭২ দিন বন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

৩. ২০১৮-২০২৪: নাজিমুদ্দিন রোডের নির্জনতা ও দীর্ঘ অসুস্থতা

বেগম জিয়ার জেলজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।

একমাত্র বন্দি: একটি বিশাল পরিত্যক্ত কারাগারে তিনি ছিলেন একমাত্র বন্দি। সেখানে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

শর্তসাপেক্ষ মুক্তি ও গৃহবন্দিত্ব: ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারীর সময় সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফিরোজা বাসভবনে থাকলেও সেটি ছিল মূলত এক ধরনের গৃহবন্দিত্ব। সেখানে বাইরের কারও সাথে দেখা করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত।

জুলাই বিপ্লব ও সম্মানজনক মুক্তি

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। এরপরই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে তার দণ্ড মওকুফ করা হয়। দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর তিনি সব মামলা থেকে সসম্মানে খালাস পান। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে গেছেন যে, তিনি একটি স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন।

রাজনৈতিক উত্তরাধিকার

বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নারী শিক্ষা প্রসারে উপবৃত্তি চালু, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় তার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৬
মঙ্গলবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং
মঙ্গলবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক যাত্রায় তাঁর অনন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

দেশের এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে একজন ‘অভিভাবকের’ মৃত্যুতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে কখনো হারেননি খালেদা জিয়া, লড়েছেন মোট ২৩ আসনে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যতবারই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ততবারই বিজয়ী হয়েছেন। ফেনী থেকে বগুড়া, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম—তাঁর জনপ্রিয়তা দেশের প্রতিটি প্রান্তেই প্রমাণিত হয়েছে। ৫টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিটিতেই বিজয়ী হওয়ার এই কীর্তি দেশের ইতিহাসে বিরল।

নির্বাচনের পরিক্রমা: ১৯৯১ থেকে ২০০৮

১৯৯১: প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে লড়ে সব কটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হন।

আসনস: বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ ও চট্টগ্রাম-৮

ফলাফল: এই জয়ের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিল।

১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি): স্বল্পস্থায়ী ষষ্ঠ সংসদ

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে অংশগ্রহণ করে। সেই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।

আসন: ফেনী-১ ও ২, বগুড়া-৭, সিরাজগঞ্জ-২ ও রাজশাহী-২।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এই সংসদেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয় এবং মাত্র ১১ দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করে গণতন্ত্রের নতুন পথ প্রশস্ত করেন।

১৯৯৬ (জুন): প্রতিকূল পরিবেশেও অটুট জনপ্রিয়তা

১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও খালেদা জিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব হয়নি।

আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ ও চট্টগ্রাম-১।

ফলাফল: পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতেই তিনি বিজয়ী হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভূমিকা পালন করেন।

২০০১: রেকর্ড ভোটে বিজয় ও তৃতীয় মেয়াদ

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।

আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, খুলনা-২, ফেনী-১ ও লক্ষ্মীপুর-২।

পরিসংখ্যান: এই নির্বাচনে তিনি প্রতিটি আসনে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পান। বিশেষ করে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ২,২৭,৩৫৫ ভোট (৭৮.৯%) পেয়েছিলেন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।

২০০৮: আইনি সীমাবদ্ধতা ও নিরঙ্কুশ আধিপত্য

২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন একজনের জন্য সর্বোচ্চ তিনটি আসনে লড়ার বিধান করলে তিনি বাধ্য হয়ে আসন সংখ্যা কমিয়ে আনেন।

আসন: বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১।

ফলাফল: বরাবরের মতো তিনটি আসনেই তিনি বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হন। বগুড়া-৬ আসনে তিনি ১,৯৩,৭৯২ ভোট এবং বগুড়া-৭ আসনে ২,৩২,৭১৬ ভোট পান।

কেন তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী?

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, খালেদা জিয়ার এই দীর্ঘকালীন অজেয় থাকার মূলে রয়েছে তাঁর ‘আপসহীন’ রাজনৈতিক অবস্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন: ‘খালেদা জিয়া কখনোই অসংযত কথা বলেননি। তাঁর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আচরণ ও দৃঢ়তা ভোটের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলত। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে টেলিভিশনে দেওয়া তাঁর একটি ভাষণ তৎকালীন সব রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছিল।’

এক নজরে বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস:

khaleda-election

জনগণের প্রতি অটল অঙ্গীকার এবং দেশপ্রেম তাঁকে দল-মতনির্বিশেষে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এক অপরাজেয় নেত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার আপসহীন ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে: রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৭
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর আপসহীন ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির মুহূর্তে আমি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

দেশবাসীকে মরহুমার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত