নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। এর আওতায় আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের (গণপরিষদ) দায়িত্ব পালন করবে। এসব বিবেচনায় রেখে আজ রোববার আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
নানা অনিশ্চয়তা আর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত শুক্রবার আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় স্বাক্ষর করেনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তরুণ নেতাদের গঠন করা দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে সনদে স্বাধীনতার ঘোষণার অংশ বিলুপ্ত করাসহ আপত্তি তোলা বিষয় থাকার অভিযোগ করে স্বাক্ষর করেনি সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বাম দলগুলো। তবে সনদে স্বাক্ষরে দলগুলোকে রাজি করাতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তাদের আশা, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দলগুলো স্বাক্ষর করবে। এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকেই এনসিপির সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করছে সরকার ও কমিশন।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন এর সদস্যরা। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও এতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের হাতে থাকা প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল (আজ রোববার) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে খসড়ার আরেকটু বিস্তারিত করার বিষয়ে আলোচনা হবে।’
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন ইতিমধ্যে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশের খসড়া তৈরি করেছে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষ আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বলার কথা আছে। পরে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের স্বীকৃতি নেওয়া হবে। তবে গণভোটের দিন-তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিতে চায় কমিশন। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে খসড়া সুপারিশে আরও বলা হয়েছে যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় সংসদের পাশাপাশি তার নাম হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। অন্যদিকে জুলাই সনদের কিছু প্রস্তাব বিশেষ আদেশের মাধ্যমে এবং কিছু প্রস্তাব গণভোটে দেওয়া হবে। গণভোটে পুরো সনদের বিষয় না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশ্ন রাখার সুপারিশ করা হবে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও পরামর্শ করে প্রস্তাবগুলো আবার পরিমার্জিত করা হবে। আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দ্রুত সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে চাই।’
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ‘টেক্সট’ (লিখিত ভাষ্য) এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। ‘জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদেশটি জারি করবেন। আগামী সংসদ সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকগুলোতে এনসিপির পক্ষ থেকে বিশেষ আদেশে কী কথা থাকবে, তা জানাতে বলা হয়েছিল কমিশনকে। এনসিপির আশঙ্কা, স্বাক্ষরের পরে আদেশ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা বা সংকট তৈরি হতে পারে। এ জন্য স্বাক্ষরের আগেই আদেশের সুপারিশ সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে দেওয়ার দাবি করেছিল দলটি। অন্যদিকে আদেশের সুপারিশ সামনে এলে কোন কোন দল স্বাক্ষর করতে অনাগ্রহী হয়ে পড়বে আশঙ্কা করে কমিশন তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেনি বলে জানা গেছে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে তাদের (এনসিপির) কিছু আপত্তির জায়গা আছে। তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করি, তাঁরা স্বাক্ষর করবেন। কারণ, সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন। তদুপরি তাঁরাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শীর্ষ পর্যায়ে ছিলেন। সে ক্ষেত্রে সনদ তৈরি প্রক্রিয়ায় তাঁদের বড় ভূমিকা আছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কমিশনও চায় বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া আমরা তৈরি করার চেষ্টা করছি।’
কমিশনের পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চলছে। আগামী সোমবারের মধ্যে তাদের সঙ্গে বসতে পারব। সেখানে দলগুলোর আপত্তি শুনে বুঝতে পারব।’
শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণফোরামের দুই নেতা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা স্বাক্ষর করেননি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একাত্তরের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বিলুপ্ত করার সুপারিশ বাদ না দিলে স্বাক্ষর করবেন না তাঁরা। কমিশন পরে সনদের ভাষা সংশোধন করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাবটি বাদ দিয়েছে। কমিশন বলেছে, এ নিয়ে গণফোরামের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। দলটি আজ রোববার স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় সংসদের এলডি হলে দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। এর আওতায় আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের (গণপরিষদ) দায়িত্ব পালন করবে। এসব বিবেচনায় রেখে আজ রোববার আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
নানা অনিশ্চয়তা আর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত শুক্রবার আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় স্বাক্ষর করেনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তরুণ নেতাদের গঠন করা দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে সনদে স্বাধীনতার ঘোষণার অংশ বিলুপ্ত করাসহ আপত্তি তোলা বিষয় থাকার অভিযোগ করে স্বাক্ষর করেনি সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী বাম দলগুলো। তবে সনদে স্বাক্ষরে দলগুলোকে রাজি করাতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তাদের আশা, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দলগুলো স্বাক্ষর করবে। এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকেই এনসিপির সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করছে সরকার ও কমিশন।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন এর সদস্যরা। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও এতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের হাতে থাকা প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীকাল (আজ রোববার) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে খসড়ার আরেকটু বিস্তারিত করার বিষয়ে আলোচনা হবে।’
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন ইতিমধ্যে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশের খসড়া তৈরি করেছে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষ আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বলার কথা আছে। পরে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের স্বীকৃতি নেওয়া হবে। তবে গণভোটের দিন-তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিতে চায় কমিশন। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে খসড়া সুপারিশে আরও বলা হয়েছে যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় সংসদের পাশাপাশি তার নাম হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। অন্যদিকে জুলাই সনদের কিছু প্রস্তাব বিশেষ আদেশের মাধ্যমে এবং কিছু প্রস্তাব গণভোটে দেওয়া হবে। গণভোটে পুরো সনদের বিষয় না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রশ্ন রাখার সুপারিশ করা হবে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও পরামর্শ করে প্রস্তাবগুলো আবার পরিমার্জিত করা হবে। আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দ্রুত সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে চাই।’
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ‘টেক্সট’ (লিখিত ভাষ্য) এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। ‘জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদেশটি জারি করবেন। আগামী সংসদ সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকগুলোতে এনসিপির পক্ষ থেকে বিশেষ আদেশে কী কথা থাকবে, তা জানাতে বলা হয়েছিল কমিশনকে। এনসিপির আশঙ্কা, স্বাক্ষরের পরে আদেশ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা বা সংকট তৈরি হতে পারে। এ জন্য স্বাক্ষরের আগেই আদেশের সুপারিশ সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে দেওয়ার দাবি করেছিল দলটি। অন্যদিকে আদেশের সুপারিশ সামনে এলে কোন কোন দল স্বাক্ষর করতে অনাগ্রহী হয়ে পড়বে আশঙ্কা করে কমিশন তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেনি বলে জানা গেছে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে তাদের (এনসিপির) কিছু আপত্তির জায়গা আছে। তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করি, তাঁরা স্বাক্ষর করবেন। কারণ, সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন। তদুপরি তাঁরাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শীর্ষ পর্যায়ে ছিলেন। সে ক্ষেত্রে সনদ তৈরি প্রক্রিয়ায় তাঁদের বড় ভূমিকা আছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কমিশনও চায় বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া আমরা তৈরি করার চেষ্টা করছি।’
কমিশনের পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চলছে। আগামী সোমবারের মধ্যে তাদের সঙ্গে বসতে পারব। সেখানে দলগুলোর আপত্তি শুনে বুঝতে পারব।’
শুক্রবারের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণফোরামের দুই নেতা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা স্বাক্ষর করেননি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একাত্তরের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বিলুপ্ত করার সুপারিশ বাদ না দিলে স্বাক্ষর করবেন না তাঁরা। কমিশন পরে সনদের ভাষা সংশোধন করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাবটি বাদ দিয়েছে। কমিশন বলেছে, এ নিয়ে গণফোরামের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। দলটি আজ রোববার স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় সংসদের এলডি হলে দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিশেষ আদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সম্মতি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের বিষয়ের মধ্যে পুরো জুলাই সনদ না দিয়ে সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।
১৯ অক্টোবর ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে