তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার চালুর পর এই সেবা ভাড়ার ব্যবধানের কারণে প্রতিযোগিতাও করতে পারছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সূত্র বলছে, দুটি কোম্পানি সড়কে যে ৪২৫টি হলুদ ট্যাক্সিক্যাব নামিয়েছিল, সেগুলোর ৪০০টির ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে। একটি সূত্র বলেছে, ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়া গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশন বদলে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর হয়ে সড়কে চলছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি কোম্পানিকে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেসব ট্যাক্সিক্যাবের ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো আর সড়কের চলাচল করে না। তবে আবার ট্যাক্সিক্যাব সেবা চালুর পরিকল্পনা আমাদের আছে।’
বিআরটিএর সূত্র জানায়, ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস পরিচালনার জন্য তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেড এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ হাজার ৩০০ গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠান দুটি হলুদ ওই ট্যাক্সিক্যাব আমদানি করে। সব মিলিয়ে তারা সড়কে ৪২৫টি ক্যাব নামাতে পেরেছিল। এগুলোর মধ্যে তমার ছিল ২৫০টি। যাত্রীরা মোবাইলে কল দিয়েও এই ক্যাব ভাড়া করতে পারতেন। এই ট্যাক্সিক্যাব বেশি চলত ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিমানবন্দর এলাকায়। ভাড়া নির্ধারিত থাকায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগ তেমন পাওয়া যায়নি।
ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইন, ২০১০ অনুযায়ী, ১৫০০ সিসির ট্যাক্সিক্যাবের ইকোনমিক লাইফ ১০ বছর, ২০০০ সিসির ঊর্ধ্বে হলে ১২ বছর। হলুদ ট্যাক্সিক্যাবগুলোর সবই ছিল ১৫০০ সিসির। সে অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ গাড়ির ইকোনমিক লাইফ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তবে করোনার সময় চলাচল বন্ধ থাকায় কোম্পানির অনুরোধে সড়কে চলার মেয়াদ এক থেকে দুই বছর বাড়ানো হয়।
ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে মেয়াদ শেষে রূপান্তর হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িতে: জানা গেছে, ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে গাড়িগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সেগুলোকে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর করছে। ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইনে এই সুযোগ রয়েছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ‘ট্যাক্সিক্যাবের মেয়াদ শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত শুল্ক এবং প্রযোজ্য অন্যান্য কর পরিশোধ করে ট্যাক্সিক্যাবকে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরের অনুমতি দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে। তবে বিক্রীত গাড়ি কোনো অবস্থাতেই আর ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে ওই গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন ছিল ‘প’ শ্রেণির। বিআরটিএতে এখন মেয়াদ শেষ হওয়া গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে ‘গ’ শ্রেণিতে।
বিআরটিএর সূত্র জানায়, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেড ৬৫০টি ট্যাক্সিক্যাব চালানোর অনুমোদন নিলেও সড়কে নামিয়েছিল ২৫০টি। সব কটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কোম্পানিটি এগুলোকে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর করেছে।
আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টও ৬৫০টি ট্যাক্সিক্যাব আমদানির অনুমতি নিয়ে সড়কে নামিয়েছিল ১৭৫টি। এর মধ্যে ১৫০টির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি ২৫টির মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদোত্তীর্ণ ১৫০টির মধ্যে ৫৭টির কনভারসন (রূপান্তর) করার জন্য কাস্টম ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯৭টিও ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তরের কার্যক্রম চলছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ইকোনমিক লাইফ শেষ হলে চলাচলের যোগ্য ট্যাক্সিক্যাব প্রতিস্থাপনের জন্য মালিক কোম্পানি আবেদন করলে তাঁরা তা যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রযোজ্য ‘ফি’ নির্ধারণ ও আদায় নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেয়াতি শুল্কে আমদানি করা ট্যাক্সিক্যাবের ক্ষেত্রে এনবিআরের নির্ধারিত শুল্ক ও প্রযোজ্য অন্যান্য কর আদায় নিশ্চিত করবে। তারপর ইকোনমিক লাইফের মেয়াদ শেষ হওয়া ট্যাক্সিক্যাবের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিলের ব্যবস্থা করে। তারপর আগের রেজিস্ট্রি করা কোম্পানির নামে একটি ট্যাক্সিক্যাবের পরিবর্তে আরেকটি ট্যাক্সিক্যাব রেজিস্ট্রেশন দেয়।
সড়কে ট্যাক্সিক্যাব সেবা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না: ১৯৯০-এর দশক থেকে রাজধানীতে ট্যাক্সিক্যাব সেবা চালু হলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফলে যাত্রীরাও এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তমা কনস্ট্রাকশনের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেটের কারণে মাঠে ট্যাক্সিক্যাব টিকতে পারেনি। সবশেষে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের কারণে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস হারাতে বসেছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘পুরো বিশ্বেই ট্যাক্সিক্যাব একটি জনপ্রিয় গণপরিবহন ব্যবস্থা। সেটা আমাদের দেশে হোঁচট খেয়েছে এবং অনেকটা জাদুঘরে চলে গেছে। এই সার্ভিসকে ব্যবসাবান্ধব, জনপ্রিয় এবং যাত্রীবান্ধব করার উদ্যোগে দুর্বলতা ছিল।’
ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইন, ২০১০-এ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিআরটিএ। শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, নতুন গাইডলাইন চূড়ান্ত হলে আবার ট্যাক্সিক্যাব নামানোর বিষয়ে ভাবা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, আগে ট্যাক্সিক্যাব চলত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং শহরতলি এলাকায়। নতুন গাইডলাইনের খসড়ায় এর পরিধি বাড়িয়ে খুলনা, সিলেট, বরিশালসহ বিভাগীয় শহরগুলো অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগের গাইডলাইনে একটি কোম্পানিকে ট্যাক্সিক্যাব চালাতে হলে ন্যূনতম এক হাজার গাড়ি থাকার নিয়ম ছিল। নতুন গাইডলাইনের খসড়ায় এটি কমিয়ে ৫০০ করা হয়েছে। একটি কোম্পানির ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ও সর্বনিম্ন ৫০০ ক্যাব থাকতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার, সর্বনিম্ন ৩০০। সিলেট, খুলনা ও বরিশালের জন্য সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় ঢাকা মহানগরে সব কোম্পানি মিলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ট্যাক্সিক্যাব চলাচলের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে সর্বোচ্চ ১ হাজার।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ট্যাক্সিক্যাবের একটি নিজস্ব অ্যাপ থাকবে। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ট্যাক্সিক্যাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যাবে এবং নতুন করে ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করা হবে। ভাড়ার হার বাড়ানোর এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ বেশি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ট্যাক্সিক্যাবে সার্ভিস গাইডলাইন প্রয়োগ এবং সার্ভিসের মান উন্নয়নের জন্য পরামর্শ ও সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি স্থায়ী কমিটি থাকবে।

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার চালুর পর এই সেবা ভাড়ার ব্যবধানের কারণে প্রতিযোগিতাও করতে পারছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সূত্র বলছে, দুটি কোম্পানি সড়কে যে ৪২৫টি হলুদ ট্যাক্সিক্যাব নামিয়েছিল, সেগুলোর ৪০০টির ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে। একটি সূত্র বলেছে, ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়া গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশন বদলে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর হয়ে সড়কে চলছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি কোম্পানিকে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেসব ট্যাক্সিক্যাবের ইকোনমিক লাইফ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো আর সড়কের চলাচল করে না। তবে আবার ট্যাক্সিক্যাব সেবা চালুর পরিকল্পনা আমাদের আছে।’
বিআরটিএর সূত্র জানায়, ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস পরিচালনার জন্য তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেড এবং আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ হাজার ৩০০ গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠান দুটি হলুদ ওই ট্যাক্সিক্যাব আমদানি করে। সব মিলিয়ে তারা সড়কে ৪২৫টি ক্যাব নামাতে পেরেছিল। এগুলোর মধ্যে তমার ছিল ২৫০টি। যাত্রীরা মোবাইলে কল দিয়েও এই ক্যাব ভাড়া করতে পারতেন। এই ট্যাক্সিক্যাব বেশি চলত ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিমানবন্দর এলাকায়। ভাড়া নির্ধারিত থাকায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগ তেমন পাওয়া যায়নি।
ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইন, ২০১০ অনুযায়ী, ১৫০০ সিসির ট্যাক্সিক্যাবের ইকোনমিক লাইফ ১০ বছর, ২০০০ সিসির ঊর্ধ্বে হলে ১২ বছর। হলুদ ট্যাক্সিক্যাবগুলোর সবই ছিল ১৫০০ সিসির। সে অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ গাড়ির ইকোনমিক লাইফ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তবে করোনার সময় চলাচল বন্ধ থাকায় কোম্পানির অনুরোধে সড়কে চলার মেয়াদ এক থেকে দুই বছর বাড়ানো হয়।
ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে মেয়াদ শেষে রূপান্তর হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িতে: জানা গেছে, ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে গাড়িগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সেগুলোকে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর করছে। ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইনে এই সুযোগ রয়েছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ‘ট্যাক্সিক্যাবের মেয়াদ শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত শুল্ক এবং প্রযোজ্য অন্যান্য কর পরিশোধ করে ট্যাক্সিক্যাবকে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরের অনুমতি দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে। তবে বিক্রীত গাড়ি কোনো অবস্থাতেই আর ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
ট্যাক্সিক্যাব হিসেবে ওই গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন ছিল ‘প’ শ্রেণির। বিআরটিএতে এখন মেয়াদ শেষ হওয়া গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে ‘গ’ শ্রেণিতে।
বিআরটিএর সূত্র জানায়, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোং লিমিটেড ৬৫০টি ট্যাক্সিক্যাব চালানোর অনুমোদন নিলেও সড়কে নামিয়েছিল ২৫০টি। সব কটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কোম্পানিটি এগুলোকে ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তর করেছে।
আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টও ৬৫০টি ট্যাক্সিক্যাব আমদানির অনুমতি নিয়ে সড়কে নামিয়েছিল ১৭৫টি। এর মধ্যে ১৫০টির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি ২৫টির মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদোত্তীর্ণ ১৫০টির মধ্যে ৫৭টির কনভারসন (রূপান্তর) করার জন্য কাস্টম ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯৭টিও ব্যক্তিগত গাড়িতে রূপান্তরের কার্যক্রম চলছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর উপপরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ইকোনমিক লাইফ শেষ হলে চলাচলের যোগ্য ট্যাক্সিক্যাব প্রতিস্থাপনের জন্য মালিক কোম্পানি আবেদন করলে তাঁরা তা যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রযোজ্য ‘ফি’ নির্ধারণ ও আদায় নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেয়াতি শুল্কে আমদানি করা ট্যাক্সিক্যাবের ক্ষেত্রে এনবিআরের নির্ধারিত শুল্ক ও প্রযোজ্য অন্যান্য কর আদায় নিশ্চিত করবে। তারপর ইকোনমিক লাইফের মেয়াদ শেষ হওয়া ট্যাক্সিক্যাবের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিলের ব্যবস্থা করে। তারপর আগের রেজিস্ট্রি করা কোম্পানির নামে একটি ট্যাক্সিক্যাবের পরিবর্তে আরেকটি ট্যাক্সিক্যাব রেজিস্ট্রেশন দেয়।
সড়কে ট্যাক্সিক্যাব সেবা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না: ১৯৯০-এর দশক থেকে রাজধানীতে ট্যাক্সিক্যাব সেবা চালু হলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফলে যাত্রীরাও এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তমা কনস্ট্রাকশনের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেটের কারণে মাঠে ট্যাক্সিক্যাব টিকতে পারেনি। সবশেষে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের কারণে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস হারাতে বসেছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘পুরো বিশ্বেই ট্যাক্সিক্যাব একটি জনপ্রিয় গণপরিবহন ব্যবস্থা। সেটা আমাদের দেশে হোঁচট খেয়েছে এবং অনেকটা জাদুঘরে চলে গেছে। এই সার্ভিসকে ব্যবসাবান্ধব, জনপ্রিয় এবং যাত্রীবান্ধব করার উদ্যোগে দুর্বলতা ছিল।’
ট্যাক্সিক্যাব গাইডলাইন, ২০১০-এ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিআরটিএ। শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, নতুন গাইডলাইন চূড়ান্ত হলে আবার ট্যাক্সিক্যাব নামানোর বিষয়ে ভাবা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, আগে ট্যাক্সিক্যাব চলত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং শহরতলি এলাকায়। নতুন গাইডলাইনের খসড়ায় এর পরিধি বাড়িয়ে খুলনা, সিলেট, বরিশালসহ বিভাগীয় শহরগুলো অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগের গাইডলাইনে একটি কোম্পানিকে ট্যাক্সিক্যাব চালাতে হলে ন্যূনতম এক হাজার গাড়ি থাকার নিয়ম ছিল। নতুন গাইডলাইনের খসড়ায় এটি কমিয়ে ৫০০ করা হয়েছে। একটি কোম্পানির ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ও সর্বনিম্ন ৫০০ ক্যাব থাকতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার, সর্বনিম্ন ৩০০। সিলেট, খুলনা ও বরিশালের জন্য সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় ঢাকা মহানগরে সব কোম্পানি মিলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ট্যাক্সিক্যাব চলাচলের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে সর্বোচ্চ ১ হাজার।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ট্যাক্সিক্যাবের একটি নিজস্ব অ্যাপ থাকবে। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ট্যাক্সিক্যাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যাবে এবং নতুন করে ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করা হবে। ভাড়ার হার বাড়ানোর এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ বেশি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ট্যাক্সিক্যাবে সার্ভিস গাইডলাইন প্রয়োগ এবং সার্ভিসের মান উন্নয়নের জন্য পরামর্শ ও সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি স্থায়ী কমিটি থাকবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৭ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
১ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরে কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় হওয়া হলুদ ট্যাক্সিক্যাব এখন উধাও হয়ে গেছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল দুটি কোম্পানি। ওই ট্যাক্সিক্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের পর হলুদ ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে