তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির অনুমোদন নিতেন স্থানীয় পর্যায় থেকে। কিন্তু এখন নতুন নিয়মে তাঁদের আসতে হবে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে।
সম্প্রতি জাগৃক এমন একটি অফিস আদেশ জারি করে মাঠপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করেছে। সংস্থাটির একটি পক্ষ মনে করছে, প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষমতা আর আর্থিক সুবিধা বাড়াতেই এমন আদেশ জারি করেছেন। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল উচ্চপর্যায়ের সূত্রের দাবি, স্থানীয় পর্যায়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অনিয়ম কমাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং চট্টগ্রামসহ দেশের ১৬ জেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পের মাধ্যমে জাগৃক হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে।
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভূমিসংক্রান্ত সেবা সহজ করতে উদ্যোগ নেয় জাগৃক। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস একটি অফিস আদেশ জারি করেন। সে আদেশে বলা হয়, সেবা সহজীকরণের সুবিধার্থে সব ধরনের জমি, প্লট, বাড়ি হস্তান্তর প্রথম মেয়াদে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সমাধান করা হবে। এর পর থেকে এ ধরনের সেবাগুলো ঢাকা বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি জাগৃকের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কার্যক্রম প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার আপত্তি থাকায় জনস্বার্থে নথিপত্রের জটিলতা পরিহার করতে সব নামজারি, হস্তান্তর, পুনর্নির্মাণ ও বন্ধকসংক্রান্ত কাজ জাগৃকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
জাগৃকের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালে সেবা সহজীকরণের আওতায় প্রধান কার্যালয় থেকে কাজগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ওয়ারিশ সূত্রে নামজারি, পুনর্নির্মাণ অনুমতি ইত্যাদি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্পন্ন হচ্ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্তের পর আবার হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা বাড়ল। ঢাকার বাইরে দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নড়াইল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ সব জেলার বরাদ্দগ্রহীতাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে ঢাকায় আসতে হবে।
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন আদেশ বাস্তবায়িত হলে জেলা শহর থেকে বরাদ্দগ্রহীতাদের ঢাকায় এসে কাজগুলো করতে হলে যে যাতায়াত খরচ, হোটেলভাড়া ইত্যাদি চাপবে, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রধান কার্যালয়েও কাজ আদায়ে অনেক সময় টাকা গুনতে হয়। সময়ের বিষয়টি তো আছেই। এখন যে কাজগুলো পরিচালক (ভূমি) দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি করার আদেশ হয়েছে, তা একই গ্রেডের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া গৃহায়ণের ‘সিটিজেন চার্টার’ অনুযায়ী সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন আদেশের ফলে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হবে বলেও কারও কারও আশঙ্কা।
জাগৃক থেকে সেবা নেওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে হলে কমবেশি বাড়তি টাকা গুনতে হয়। মাঠপর্যায়ের সার্ভেয়ার থেকে শীর্ষ স্তরে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কমবেশি নির্ধারিত হারে টাকা দিতে হয়। তা না হলে ফাইল নড়ে না। নানা অজুহাতে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। কোন কাজের জন্য কত টাকা দিতে হবে, তার একটা অঘোষিত দরও মোটামুটি সংশ্লিষ্টদের জানা। কিছু কর্মকর্তার লেনদেন ছাড়াই ফাইল ছাড়ার ঘটনাও ঘটে। তবে তা বিরল। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, মূলত আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিয়েই প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা আর জাগৃকের স্থায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
নতুন অফিস আদেশে স্বাক্ষর করা জাগৃকের উপপরিচালক মো. তায়েবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আসা। এখানে আমি শুধু স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা। মানুষের ভোগান্তি হবে কি হবে না, তা সিনিয়র অফিসারগণ বলতে পারবেন। আমার কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নূরুল বাসির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকের দুর্ভোগ কমানোর জন্য যে কাজগুলোর দায়িত্ব একপর্যায়ে (নির্বাহী প্রকৌশলী) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের কাছে যে বার্তা আসে তা সুখকর নয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজগুলো আনা হয়েছে। এগুলো অতীতে একসময় প্রধান কার্যালয়ের অধীনেই ছিল। আমাদের ভূমি শাখার কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুপারিশ করেছেন। সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপরও যদি মানুষের ভোগান্তি হয়, তাহলে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যেতে পারে।’

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির অনুমোদন নিতেন স্থানীয় পর্যায় থেকে। কিন্তু এখন নতুন নিয়মে তাঁদের আসতে হবে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে।
সম্প্রতি জাগৃক এমন একটি অফিস আদেশ জারি করে মাঠপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করেছে। সংস্থাটির একটি পক্ষ মনে করছে, প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষমতা আর আর্থিক সুবিধা বাড়াতেই এমন আদেশ জারি করেছেন। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল উচ্চপর্যায়ের সূত্রের দাবি, স্থানীয় পর্যায়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অনিয়ম কমাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং চট্টগ্রামসহ দেশের ১৬ জেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পের মাধ্যমে জাগৃক হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে।
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভূমিসংক্রান্ত সেবা সহজ করতে উদ্যোগ নেয় জাগৃক। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস একটি অফিস আদেশ জারি করেন। সে আদেশে বলা হয়, সেবা সহজীকরণের সুবিধার্থে সব ধরনের জমি, প্লট, বাড়ি হস্তান্তর প্রথম মেয়াদে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সমাধান করা হবে। এর পর থেকে এ ধরনের সেবাগুলো ঢাকা বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি জাগৃকের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কার্যক্রম প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার আপত্তি থাকায় জনস্বার্থে নথিপত্রের জটিলতা পরিহার করতে সব নামজারি, হস্তান্তর, পুনর্নির্মাণ ও বন্ধকসংক্রান্ত কাজ জাগৃকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
জাগৃকের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালে সেবা সহজীকরণের আওতায় প্রধান কার্যালয় থেকে কাজগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ওয়ারিশ সূত্রে নামজারি, পুনর্নির্মাণ অনুমতি ইত্যাদি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্পন্ন হচ্ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্তের পর আবার হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা বাড়ল। ঢাকার বাইরে দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নড়াইল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ সব জেলার বরাদ্দগ্রহীতাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে ঢাকায় আসতে হবে।
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন আদেশ বাস্তবায়িত হলে জেলা শহর থেকে বরাদ্দগ্রহীতাদের ঢাকায় এসে কাজগুলো করতে হলে যে যাতায়াত খরচ, হোটেলভাড়া ইত্যাদি চাপবে, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রধান কার্যালয়েও কাজ আদায়ে অনেক সময় টাকা গুনতে হয়। সময়ের বিষয়টি তো আছেই। এখন যে কাজগুলো পরিচালক (ভূমি) দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি করার আদেশ হয়েছে, তা একই গ্রেডের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া গৃহায়ণের ‘সিটিজেন চার্টার’ অনুযায়ী সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন আদেশের ফলে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হবে বলেও কারও কারও আশঙ্কা।
জাগৃক থেকে সেবা নেওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে হলে কমবেশি বাড়তি টাকা গুনতে হয়। মাঠপর্যায়ের সার্ভেয়ার থেকে শীর্ষ স্তরে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কমবেশি নির্ধারিত হারে টাকা দিতে হয়। তা না হলে ফাইল নড়ে না। নানা অজুহাতে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। কোন কাজের জন্য কত টাকা দিতে হবে, তার একটা অঘোষিত দরও মোটামুটি সংশ্লিষ্টদের জানা। কিছু কর্মকর্তার লেনদেন ছাড়াই ফাইল ছাড়ার ঘটনাও ঘটে। তবে তা বিরল। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, মূলত আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিয়েই প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা আর জাগৃকের স্থায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
নতুন অফিস আদেশে স্বাক্ষর করা জাগৃকের উপপরিচালক মো. তায়েবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আসা। এখানে আমি শুধু স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা। মানুষের ভোগান্তি হবে কি হবে না, তা সিনিয়র অফিসারগণ বলতে পারবেন। আমার কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নূরুল বাসির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকের দুর্ভোগ কমানোর জন্য যে কাজগুলোর দায়িত্ব একপর্যায়ে (নির্বাহী প্রকৌশলী) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের কাছে যে বার্তা আসে তা সুখকর নয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজগুলো আনা হয়েছে। এগুলো অতীতে একসময় প্রধান কার্যালয়ের অধীনেই ছিল। আমাদের ভূমি শাখার কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুপারিশ করেছেন। সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপরও যদি মানুষের ভোগান্তি হয়, তাহলে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যেতে পারে।’
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির অনুমোদন নিতেন স্থানীয় পর্যায় থেকে। কিন্তু এখন নতুন নিয়মে তাঁদের আসতে হবে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে।
সম্প্রতি জাগৃক এমন একটি অফিস আদেশ জারি করে মাঠপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করেছে। সংস্থাটির একটি পক্ষ মনে করছে, প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষমতা আর আর্থিক সুবিধা বাড়াতেই এমন আদেশ জারি করেছেন। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল উচ্চপর্যায়ের সূত্রের দাবি, স্থানীয় পর্যায়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অনিয়ম কমাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং চট্টগ্রামসহ দেশের ১৬ জেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পের মাধ্যমে জাগৃক হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে।
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভূমিসংক্রান্ত সেবা সহজ করতে উদ্যোগ নেয় জাগৃক। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস একটি অফিস আদেশ জারি করেন। সে আদেশে বলা হয়, সেবা সহজীকরণের সুবিধার্থে সব ধরনের জমি, প্লট, বাড়ি হস্তান্তর প্রথম মেয়াদে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সমাধান করা হবে। এর পর থেকে এ ধরনের সেবাগুলো ঢাকা বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি জাগৃকের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কার্যক্রম প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার আপত্তি থাকায় জনস্বার্থে নথিপত্রের জটিলতা পরিহার করতে সব নামজারি, হস্তান্তর, পুনর্নির্মাণ ও বন্ধকসংক্রান্ত কাজ জাগৃকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
জাগৃকের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালে সেবা সহজীকরণের আওতায় প্রধান কার্যালয় থেকে কাজগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ওয়ারিশ সূত্রে নামজারি, পুনর্নির্মাণ অনুমতি ইত্যাদি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্পন্ন হচ্ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্তের পর আবার হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা বাড়ল। ঢাকার বাইরে দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নড়াইল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ সব জেলার বরাদ্দগ্রহীতাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে ঢাকায় আসতে হবে।
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন আদেশ বাস্তবায়িত হলে জেলা শহর থেকে বরাদ্দগ্রহীতাদের ঢাকায় এসে কাজগুলো করতে হলে যে যাতায়াত খরচ, হোটেলভাড়া ইত্যাদি চাপবে, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রধান কার্যালয়েও কাজ আদায়ে অনেক সময় টাকা গুনতে হয়। সময়ের বিষয়টি তো আছেই। এখন যে কাজগুলো পরিচালক (ভূমি) দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি করার আদেশ হয়েছে, তা একই গ্রেডের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া গৃহায়ণের ‘সিটিজেন চার্টার’ অনুযায়ী সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন আদেশের ফলে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হবে বলেও কারও কারও আশঙ্কা।
জাগৃক থেকে সেবা নেওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে হলে কমবেশি বাড়তি টাকা গুনতে হয়। মাঠপর্যায়ের সার্ভেয়ার থেকে শীর্ষ স্তরে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কমবেশি নির্ধারিত হারে টাকা দিতে হয়। তা না হলে ফাইল নড়ে না। নানা অজুহাতে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। কোন কাজের জন্য কত টাকা দিতে হবে, তার একটা অঘোষিত দরও মোটামুটি সংশ্লিষ্টদের জানা। কিছু কর্মকর্তার লেনদেন ছাড়াই ফাইল ছাড়ার ঘটনাও ঘটে। তবে তা বিরল। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, মূলত আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিয়েই প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা আর জাগৃকের স্থায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
নতুন অফিস আদেশে স্বাক্ষর করা জাগৃকের উপপরিচালক মো. তায়েবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আসা। এখানে আমি শুধু স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা। মানুষের ভোগান্তি হবে কি হবে না, তা সিনিয়র অফিসারগণ বলতে পারবেন। আমার কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নূরুল বাসির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকের দুর্ভোগ কমানোর জন্য যে কাজগুলোর দায়িত্ব একপর্যায়ে (নির্বাহী প্রকৌশলী) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের কাছে যে বার্তা আসে তা সুখকর নয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজগুলো আনা হয়েছে। এগুলো অতীতে একসময় প্রধান কার্যালয়ের অধীনেই ছিল। আমাদের ভূমি শাখার কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুপারিশ করেছেন। সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপরও যদি মানুষের ভোগান্তি হয়, তাহলে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যেতে পারে।’

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির অনুমোদন নিতেন স্থানীয় পর্যায় থেকে। কিন্তু এখন নতুন নিয়মে তাঁদের আসতে হবে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে।
সম্প্রতি জাগৃক এমন একটি অফিস আদেশ জারি করে মাঠপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করেছে। সংস্থাটির একটি পক্ষ মনে করছে, প্রধান কার্যালয়ে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষমতা আর আর্থিক সুবিধা বাড়াতেই এমন আদেশ জারি করেছেন। তবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল উচ্চপর্যায়ের সূত্রের দাবি, স্থানীয় পর্যায়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অনিয়ম কমাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং চট্টগ্রামসহ দেশের ১৬ জেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পের মাধ্যমে জাগৃক হাজার হাজার মানুষের মধ্যে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে।
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভূমিসংক্রান্ত সেবা সহজ করতে উদ্যোগ নেয় জাগৃক। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস একটি অফিস আদেশ জারি করেন। সে আদেশে বলা হয়, সেবা সহজীকরণের সুবিধার্থে সব ধরনের জমি, প্লট, বাড়ি হস্তান্তর প্রথম মেয়াদে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সমাধান করা হবে। এর পর থেকে এ ধরনের সেবাগুলো ঢাকা বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি জাগৃকের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কার্যক্রম প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার আপত্তি থাকায় জনস্বার্থে নথিপত্রের জটিলতা পরিহার করতে সব নামজারি, হস্তান্তর, পুনর্নির্মাণ ও বন্ধকসংক্রান্ত কাজ জাগৃকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করা হবে।
জাগৃকের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালে সেবা সহজীকরণের আওতায় প্রধান কার্যালয় থেকে কাজগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করে জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ওয়ারিশ সূত্রে নামজারি, পুনর্নির্মাণ অনুমতি ইত্যাদি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্পন্ন হচ্ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্তের পর আবার হয়রানির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা বাড়ল। ঢাকার বাইরে দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, নড়াইল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ সব জেলার বরাদ্দগ্রহীতাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে ঢাকায় আসতে হবে।
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন আদেশ বাস্তবায়িত হলে জেলা শহর থেকে বরাদ্দগ্রহীতাদের ঢাকায় এসে কাজগুলো করতে হলে যে যাতায়াত খরচ, হোটেলভাড়া ইত্যাদি চাপবে, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রধান কার্যালয়েও কাজ আদায়ে অনেক সময় টাকা গুনতে হয়। সময়ের বিষয়টি তো আছেই। এখন যে কাজগুলো পরিচালক (ভূমি) দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি করার আদেশ হয়েছে, তা একই গ্রেডের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া গৃহায়ণের ‘সিটিজেন চার্টার’ অনুযায়ী সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন আদেশের ফলে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতাও তৈরি হবে বলেও কারও কারও আশঙ্কা।
জাগৃক থেকে সেবা নেওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে হলে কমবেশি বাড়তি টাকা গুনতে হয়। মাঠপর্যায়ের সার্ভেয়ার থেকে শীর্ষ স্তরে চেয়ারম্যান পর্যন্ত কমবেশি নির্ধারিত হারে টাকা দিতে হয়। তা না হলে ফাইল নড়ে না। নানা অজুহাতে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। কোন কাজের জন্য কত টাকা দিতে হবে, তার একটা অঘোষিত দরও মোটামুটি সংশ্লিষ্টদের জানা। কিছু কর্মকর্তার লেনদেন ছাড়াই ফাইল ছাড়ার ঘটনাও ঘটে। তবে তা বিরল। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, মূলত আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিয়েই প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা আর জাগৃকের স্থায়ী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
নতুন অফিস আদেশে স্বাক্ষর করা জাগৃকের উপপরিচালক মো. তায়েবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আসা। এখানে আমি শুধু স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা। মানুষের ভোগান্তি হবে কি হবে না, তা সিনিয়র অফিসারগণ বলতে পারবেন। আমার কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নূরুল বাসির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকের দুর্ভোগ কমানোর জন্য যে কাজগুলোর দায়িত্ব একপর্যায়ে (নির্বাহী প্রকৌশলী) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের কাছে যে বার্তা আসে তা সুখকর নয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজগুলো আনা হয়েছে। এগুলো অতীতে একসময় প্রধান কার্যালয়ের অধীনেই ছিল। আমাদের ভূমি শাখার কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুপারিশ করেছেন। সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরপরও যদি মানুষের ভোগান্তি হয়, তাহলে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যেতে পারে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩০ মিনিট আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সরকারি এই সংস্থাটির রয়েছে অনেক প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্প। বরাদ্দপ্রাপ্তরা এত দিন ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদির...
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে