মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে ১৫ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তবে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশকে শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমশক্তি হিসেবে প্রতিবন্ধী নারীদের অংশগ্রহণ তো আরও হতাশাজনক—মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ডিজঅ্যাবিলিটি ইনসাইটস ফ্রম লেবার ফোর্স সার্ভে-২০২২ (ডিআইএলএফএস) ’-এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তি এখনো সীমিত; বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও আয়—সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে। জরিপের তথ্যগুলো দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে না পারলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে শ্রমবাজার থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে।
গত ১৬ জুন বিবিএসের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপের জন্য প্রথমে মোট ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক নমুনা ইউনিট (পিএসইউ) এবং প্রতিটি পিএসইউ থেকে ২৪টি পরিবার নির্বাচন করা হয়। সারা দেশে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্যের আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান বলেন, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এতে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, শিল্প ও পেশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান, চাকরির ধরন, অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, তরুণদের শ্রমশক্তি, শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ হার, গড় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, মাসিক উপার্জন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সমীর মল্লিক, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান), সমাজসেবা অধিদপ্তর
জরিপে দেখানো হয়েছে, দেশে ১৫ বছর এবং এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ১২ হাজার পুরুষ এবং ১৫ লাখ ৬৭ হাজার নারী। অর্থাৎ, মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ নারী। এর মধ্যে শহরে বাস করে ৮ লাখ ৭৮ হাজার এবং গ্রামে ২৫ লাখ ১ হাজার জন। জরিপে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ অনেক কম। প্রতিবন্ধী নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের হার ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ।
শিক্ষায় চিত্র আরও হতাশার
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পুরুষদের মধ্যে প্রশিক্ষণের হার কিছুটা বেশি (শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ) হলেও নারীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। কৃষি, গার্মেন্টস ও বিদেশি ভাষা—এই তিন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। নারীরা সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অকৃষি কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে। প্রশিক্ষণের বড় অংশই আসছে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।
কর্মসংস্থানে বৈষম্য
জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গড় মাসিক আয় ১০ হাজার ৪৭০ টাকা। শহরে এই আয় ১১ হাজার ৫৫২ টাকা এবং গ্রামে ৯ হাজার ৪১৭ টাকা। নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ের ব্যবধানও স্পষ্ট—প্রতিবন্ধী নারীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী পুরুষেরা বেশি আয় করছেন। সপ্তাহে কাজের গড় সময়ও কম। প্রতিবন্ধী পুরুষেরা সপ্তাহে গড়ে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করেন আর প্রতিবন্ধী নারীরা করেন মাত্র ৩১ ঘণ্টা। শহরে এই সময় কিছুটা বেশি হলেও গ্রামাঞ্চলে তা আরও কম। জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাত্র ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। পুরুষদের এই হার ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ হলেও নারীদের মধ্যে তা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ মাত্র। বাকিরা সবাই অনানুষ্ঠানিক খাতেই কর্মরত।
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুসারে শিশুসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার জন। এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণে পিছিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পেশাগত কোনো প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, যার মধ্যে পুরুষ শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নারী শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রশিক্ষণের মধ্যে কৃষি ও পোশাক খাত সর্বাধিক জনপ্রিয়। নারীদের মধ্যে অকৃষিকাজ, স্বাস্থ্যসেবা ও গার্মেন্টস খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের হার তুলনামূলক বেশি।
জরিপ অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা থেকে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণে এনজিও ও বেসরকারি উৎসে নির্ভরতা তুলনামূলক বেশি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিবিএসের প্রতিবন্ধী জরিপ আরও বাস্তবতার নিরিখে হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বেকারের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃত অবস্থার চিত্র নয়। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ খুঁজতে যান না, তাঁদের তথ্য এই জরিপে নেই। যাঁরা কাজ খুঁজেছেন বা কাজ করছেন, তাঁদের কথা তুলে ধরা হলে দেখবেন, বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি।
দেশে ১৫ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তবে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশকে শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমশক্তি হিসেবে প্রতিবন্ধী নারীদের অংশগ্রহণ তো আরও হতাশাজনক—মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ডিজঅ্যাবিলিটি ইনসাইটস ফ্রম লেবার ফোর্স সার্ভে-২০২২ (ডিআইএলএফএস) ’-এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তি এখনো সীমিত; বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও আয়—সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে। জরিপের তথ্যগুলো দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে না পারলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে শ্রমবাজার থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে।
গত ১৬ জুন বিবিএসের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপের জন্য প্রথমে মোট ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক নমুনা ইউনিট (পিএসইউ) এবং প্রতিটি পিএসইউ থেকে ২৪টি পরিবার নির্বাচন করা হয়। সারা দেশে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্যের আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান বলেন, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এতে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, শিল্প ও পেশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান, চাকরির ধরন, অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, তরুণদের শ্রমশক্তি, শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ হার, গড় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, মাসিক উপার্জন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সমীর মল্লিক, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান), সমাজসেবা অধিদপ্তর
জরিপে দেখানো হয়েছে, দেশে ১৫ বছর এবং এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ১২ হাজার পুরুষ এবং ১৫ লাখ ৬৭ হাজার নারী। অর্থাৎ, মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ নারী। এর মধ্যে শহরে বাস করে ৮ লাখ ৭৮ হাজার এবং গ্রামে ২৫ লাখ ১ হাজার জন। জরিপে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ অনেক কম। প্রতিবন্ধী নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের হার ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ।
শিক্ষায় চিত্র আরও হতাশার
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পুরুষদের মধ্যে প্রশিক্ষণের হার কিছুটা বেশি (শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ) হলেও নারীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। কৃষি, গার্মেন্টস ও বিদেশি ভাষা—এই তিন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। নারীরা সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অকৃষি কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে। প্রশিক্ষণের বড় অংশই আসছে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।
কর্মসংস্থানে বৈষম্য
জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গড় মাসিক আয় ১০ হাজার ৪৭০ টাকা। শহরে এই আয় ১১ হাজার ৫৫২ টাকা এবং গ্রামে ৯ হাজার ৪১৭ টাকা। নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ের ব্যবধানও স্পষ্ট—প্রতিবন্ধী নারীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী পুরুষেরা বেশি আয় করছেন। সপ্তাহে কাজের গড় সময়ও কম। প্রতিবন্ধী পুরুষেরা সপ্তাহে গড়ে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করেন আর প্রতিবন্ধী নারীরা করেন মাত্র ৩১ ঘণ্টা। শহরে এই সময় কিছুটা বেশি হলেও গ্রামাঞ্চলে তা আরও কম। জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাত্র ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। পুরুষদের এই হার ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ হলেও নারীদের মধ্যে তা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ মাত্র। বাকিরা সবাই অনানুষ্ঠানিক খাতেই কর্মরত।
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুসারে শিশুসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার জন। এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণে পিছিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পেশাগত কোনো প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, যার মধ্যে পুরুষ শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নারী শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রশিক্ষণের মধ্যে কৃষি ও পোশাক খাত সর্বাধিক জনপ্রিয়। নারীদের মধ্যে অকৃষিকাজ, স্বাস্থ্যসেবা ও গার্মেন্টস খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের হার তুলনামূলক বেশি।
জরিপ অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা থেকে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণে এনজিও ও বেসরকারি উৎসে নির্ভরতা তুলনামূলক বেশি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিবিএসের প্রতিবন্ধী জরিপ আরও বাস্তবতার নিরিখে হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বেকারের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃত অবস্থার চিত্র নয়। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ খুঁজতে যান না, তাঁদের তথ্য এই জরিপে নেই। যাঁরা কাজ খুঁজেছেন বা কাজ করছেন, তাঁদের কথা তুলে ধরা হলে দেখবেন, বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি।
জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা পর্যায়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর শাহবাগ ও অন্য ৬৩ জেলার প্রতিটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে এই স্মৃতিস্তম্ভ। ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট ব্যাসের এই স্তম্ভে থাকছে গত বছরের জুলাইয়ের স্লোগান, কবিতা ও
৫ মিনিট আগেবাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের সময়কার সহিংস দমন অভিযানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন অডিওপ্রমাণ সামনে এনেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা নিজেই আন্দোলনকারীদের দমন করার জন্য সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন এই তথ্য প্রকাশের পর সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক
৩ ঘণ্টা আগেসাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
৩ ঘণ্টা আগেঢাকায় একটি ‘চায়না টাউন’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতা প্রসারে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই প্রস্তাব রাখেন।
৫ ঘণ্টা আগে