Ajker Patrika

শ্রমবাজারে নেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা

মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
শ্রমবাজারে নেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা

দেশে ১৫ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তবে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশকে শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমশক্তি হিসেবে প্রতিবন্ধী নারীদের অংশগ্রহণ তো আরও হতাশাজনক—মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ডিজঅ্যাবিলিটি ইনসাইটস ফ্রম লেবার ফোর্স সার্ভে-২০২২ (ডিআইএলএফএস) ’-এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তি এখনো সীমিত; বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও আয়—সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে। জরিপের তথ্যগুলো দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে না পারলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে শ্রমবাজার থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে।

গত ১৬ জুন বিবিএসের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপের জন্য প্রথমে মোট ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক নমুনা ইউনিট (পিএসইউ) এবং প্রতিটি পিএসইউ থেকে ২৪টি পরিবার নির্বাচন করা হয়। সারা দেশে মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্যের আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

জরিপের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান বলেন, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এতে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, শিল্প ও পেশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান, চাকরির ধরন, অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, তরুণদের শ্রমশক্তি, শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ হার, গড় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, মাসিক উপার্জন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সমীর মল্লিক, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান), সমাজসেবা অধিদপ্তর

জরিপে দেখানো হয়েছে, দেশে ১৫ বছর এবং এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ১২ হাজার পুরুষ এবং ১৫ লাখ ৬৭ হাজার নারী। অর্থাৎ, মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ নারী। এর মধ্যে শহরে বাস করে ৮ লাখ ৭৮ হাজার এবং গ্রামে ২৫ লাখ ১ হাজার জন। জরিপে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ অনেক কম। প্রতিবন্ধী নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের হার ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ।

শিক্ষায় চিত্র আরও হতাশার

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬৩ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পুরুষদের মধ্যে প্রশিক্ষণের হার কিছুটা বেশি (শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ) হলেও নারীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। কৃষি, গার্মেন্টস ও বিদেশি ভাষা—এই তিন খাতে সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। নারীরা সবচেয়ে বেশি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অকৃষি কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে। প্রশিক্ষণের বড় অংশই আসছে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।

কর্মসংস্থানে বৈষম্য

জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গড় মাসিক আয় ১০ হাজার ৪৭০ টাকা। শহরে এই আয় ১১ হাজার ৫৫২ টাকা এবং গ্রামে ৯ হাজার ৪১৭ টাকা। নারী ও পুরুষের মধ্যে আয়ের ব্যবধানও স্পষ্ট—প্রতিবন্ধী নারীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী পুরুষেরা বেশি আয় করছেন। সপ্তাহে কাজের গড় সময়ও কম। প্রতিবন্ধী পুরুষেরা সপ্তাহে গড়ে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করেন আর প্রতিবন্ধী নারীরা করেন মাত্র ৩১ ঘণ্টা। শহরে এই সময় কিছুটা বেশি হলেও গ্রামাঞ্চলে তা আরও কম। জাতীয়ভাবে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাত্র ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। পুরুষদের এই হার ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ হলেও নারীদের মধ্যে তা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ মাত্র। বাকিরা সবাই অনানুষ্ঠানিক খাতেই কর্মরত।

এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুসারে শিশুসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার জন। এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা দিচ্ছে। কর্মমুখী করতে দেশের ৬টি বিভাগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রয়োজনে আর দুটি বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণে পিছিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এখনো নিরক্ষর। মাত্র শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পেশাগত কোনো প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, যার মধ্যে পুরুষ শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নারী শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রশিক্ষণের মধ্যে কৃষি ও পোশাক খাত সর্বাধিক জনপ্রিয়। নারীদের মধ্যে অকৃষিকাজ, স্বাস্থ্যসেবা ও গার্মেন্টস খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের হার তুলনামূলক বেশি।

জরিপ অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা থেকে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী নারীদের প্রশিক্ষণে এনজিও ও বেসরকারি উৎসে নির্ভরতা তুলনামূলক বেশি।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিবিএসের প্রতিবন্ধী জরিপ আরও বাস্তবতার নিরিখে হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিবেদনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বেকারের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃত অবস্থার চিত্র নয়। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজ খুঁজতে যান না, তাঁদের তথ্য এই জরিপে নেই। যাঁরা কাজ খুঁজেছেন বা কাজ করছেন, তাঁদের কথা তুলে ধরা হলে দেখবেন, বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত