রাহুল শর্মা, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এই নিয়োগ হবে উপজেলা অথবা প্রয়োজনে থানাভিত্তিক।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জারি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
বিধিমালার তথ্য বলছে, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। আর বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।
জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এত দিন নারীরা ৬০ শতাংশ কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। এটি শিক্ষকতা পেশায় নারীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। সর্বশেষ ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ এ সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটিও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার সুপারিশ করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। কিন্তু নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই সুপারিশের প্রতিফলন নেই।
এ বিষয়ে ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষক নিয়োগে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিষয়টি পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনেও রয়েছে। আমি মনে করি, বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাদ দেওয়ায় বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কর্মজীবী নারীর সংখ্যা কমছে। সুতরাং এ সময়ে সিদ্ধান্তটি কোনোভাবে কাম্য নয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষাদানে নারীরাই সবচেয়ে উপযুক্ত, এটি সর্বজনস্বীকৃত। মোটকথা, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কোটার দাবিতে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন একসময় রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই আন্দোলনের মধ্যেই হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম রেখে গত বছরের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এটি অনুসরণ করে চলেছে, যার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটা রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অবস্থার নিরিখে বিশেষ এলাকা ও জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। কারণ, চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে যোগ্য শিক্ষকই পাওয়া যায় না।
নতুন বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিতেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে। আর বাকি ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের পর চাকরিকাল ১২ বছর হতে হবে।
এর আগে প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ শতাংশের পদোন্নতি এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হতো। এ জন্য সহকারী শিক্ষকদের চাকরিকাল অন্তত ৭ বছর থাকতে হতো।
বিধিমালায় শিক্ষকদের জন্য ‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি আদেশবলে, সময়-সময়, যে পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’
এতে আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিতে যোগদানের চার বছরের মধ্যে এবং প্রধান শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বেতন গ্রেডের নিম্ন ধাপে অবনমন করা হবে।
মৌলিক প্রশিক্ষণ বলতে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অথবা বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে বর্তমানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
কবে নাগাদ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশা করছি, শিগগির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এই নিয়োগ হবে উপজেলা অথবা প্রয়োজনে থানাভিত্তিক।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জারি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
বিধিমালার তথ্য বলছে, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। আর বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।
জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এত দিন নারীরা ৬০ শতাংশ কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। এটি শিক্ষকতা পেশায় নারীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। সর্বশেষ ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ এ সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটিও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার সুপারিশ করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। কিন্তু নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই সুপারিশের প্রতিফলন নেই।
এ বিষয়ে ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষক নিয়োগে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিষয়টি পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনেও রয়েছে। আমি মনে করি, বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাদ দেওয়ায় বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কর্মজীবী নারীর সংখ্যা কমছে। সুতরাং এ সময়ে সিদ্ধান্তটি কোনোভাবে কাম্য নয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষাদানে নারীরাই সবচেয়ে উপযুক্ত, এটি সর্বজনস্বীকৃত। মোটকথা, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কোটার দাবিতে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন একসময় রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই আন্দোলনের মধ্যেই হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম রেখে গত বছরের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এটি অনুসরণ করে চলেছে, যার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটা রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অবস্থার নিরিখে বিশেষ এলাকা ও জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। কারণ, চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে যোগ্য শিক্ষকই পাওয়া যায় না।
নতুন বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিতেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে। আর বাকি ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের পর চাকরিকাল ১২ বছর হতে হবে।
এর আগে প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ শতাংশের পদোন্নতি এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হতো। এ জন্য সহকারী শিক্ষকদের চাকরিকাল অন্তত ৭ বছর থাকতে হতো।
বিধিমালায় শিক্ষকদের জন্য ‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি আদেশবলে, সময়-সময়, যে পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’
এতে আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিতে যোগদানের চার বছরের মধ্যে এবং প্রধান শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বেতন গ্রেডের নিম্ন ধাপে অবনমন করা হবে।
মৌলিক প্রশিক্ষণ বলতে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অথবা বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে বর্তমানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
কবে নাগাদ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশা করছি, শিগগির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এই নিয়োগ হবে উপজেলা অথবা প্রয়োজনে থানাভিত্তিক।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জারি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
বিধিমালার তথ্য বলছে, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। আর বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।
জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এত দিন নারীরা ৬০ শতাংশ কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। এটি শিক্ষকতা পেশায় নারীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। সর্বশেষ ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ এ সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটিও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার সুপারিশ করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। কিন্তু নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই সুপারিশের প্রতিফলন নেই।
এ বিষয়ে ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষক নিয়োগে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিষয়টি পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনেও রয়েছে। আমি মনে করি, বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাদ দেওয়ায় বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কর্মজীবী নারীর সংখ্যা কমছে। সুতরাং এ সময়ে সিদ্ধান্তটি কোনোভাবে কাম্য নয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষাদানে নারীরাই সবচেয়ে উপযুক্ত, এটি সর্বজনস্বীকৃত। মোটকথা, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কোটার দাবিতে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন একসময় রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই আন্দোলনের মধ্যেই হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম রেখে গত বছরের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এটি অনুসরণ করে চলেছে, যার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটা রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অবস্থার নিরিখে বিশেষ এলাকা ও জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। কারণ, চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে যোগ্য শিক্ষকই পাওয়া যায় না।
নতুন বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিতেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে। আর বাকি ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের পর চাকরিকাল ১২ বছর হতে হবে।
এর আগে প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ শতাংশের পদোন্নতি এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হতো। এ জন্য সহকারী শিক্ষকদের চাকরিকাল অন্তত ৭ বছর থাকতে হতো।
বিধিমালায় শিক্ষকদের জন্য ‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি আদেশবলে, সময়-সময়, যে পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’
এতে আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিতে যোগদানের চার বছরের মধ্যে এবং প্রধান শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বেতন গ্রেডের নিম্ন ধাপে অবনমন করা হবে।
মৌলিক প্রশিক্ষণ বলতে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অথবা বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে বর্তমানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
কবে নাগাদ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশা করছি, শিগগির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এই নিয়োগ হবে উপজেলা অথবা প্রয়োজনে থানাভিত্তিক।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জারি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
বিধিমালার তথ্য বলছে, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। আর বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না।
জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা পরিবর্তন করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এত দিন নারীরা ৬০ শতাংশ কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। এটি শিক্ষকতা পেশায় নারীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। সর্বশেষ ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ এ সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটিও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার সুপারিশ করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নারী শিক্ষককে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। কিন্তু নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই সুপারিশের প্রতিফলন নেই।
এ বিষয়ে ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষক নিয়োগে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিষয়টি পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনেও রয়েছে। আমি মনে করি, বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাদ দেওয়ায় বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কর্মজীবী নারীর সংখ্যা কমছে। সুতরাং এ সময়ে সিদ্ধান্তটি কোনোভাবে কাম্য নয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষাদানে নারীরাই সবচেয়ে উপযুক্ত, এটি সর্বজনস্বীকৃত। মোটকথা, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কোটার দাবিতে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন একসময় রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই আন্দোলনের মধ্যেই হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম রেখে গত বছরের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এটি অনুসরণ করে চলেছে, যার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটা রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান অবস্থার নিরিখে বিশেষ এলাকা ও জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। কারণ, চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে যোগ্য শিক্ষকই পাওয়া যায় না।
নতুন বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিতেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে। আর বাকি ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের পর চাকরিকাল ১২ বছর হতে হবে।
এর আগে প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ শতাংশের পদোন্নতি এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হতো। এ জন্য সহকারী শিক্ষকদের চাকরিকাল অন্তত ৭ বছর থাকতে হতো।
বিধিমালায় শিক্ষকদের জন্য ‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি আদেশবলে, সময়-সময়, যে পরীক্ষা ও মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’
এতে আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিতে যোগদানের চার বছরের মধ্যে এবং প্রধান শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বেতন গ্রেডের নিম্ন ধাপে অবনমন করা হবে।
মৌলিক প্রশিক্ষণ বলতে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন অথবা বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ বলে বিধিমালায় বলা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে বর্তমানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
কবে নাগাদ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশা করছি, শিগগির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীর ৬০ শতাংশ কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে পোষ্য ও পুরুষ কোটাও। শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য মোট ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
৩০ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে