Ajker Patrika

এক হচ্ছে স্বরাষ্ট্রের দুই বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ২৪
এক হচ্ছে স্বরাষ্ট্রের দুই বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ একত্রীকরণে বিভাগের কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনয়ন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে জনস্বার্থে একত্রিতকরণে প্রধান উপদেষ্টা অনুশাসন প্রদান করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের একত্রীকরণের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কাজের সুবিধার যুক্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এর পর থেকে সুযোগ-সুবিধা ও দায়িত্বকে কেন্দ্র করে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মরতদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়। এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আগের মতো একটি বিভাগে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে। এতে আর্থিক ব্যয়ও অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আরও জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আবার এক বিভাগে রূপান্তর করতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে সুরক্ষা সেবা বিভাগেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দায়িত্ব পাওয়ার পরে সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে আগের মতো একটি বিভাগে রূপান্তরিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, দুই বিভাগ একীভূত হলে কাজের সুবিধা হবে। এতে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য দূর হবে এবং কাজের গতি বাড়বে।

২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি জারি হওয়া এ-বিষয়ক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে দুটি বিভাগ গঠন করেছেন। দুই বিভাগে দুজন সচিব থাকবেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড, তদন্ত সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আর সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে রয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং ব্যবস্থা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে পদায়নের সুযোগ পাওয়া না-পাওয়া এবং এক বিভাগের কর্মীদের পদায়নের দায়িত্ব অন্য বিভাগের হাতে থাকার মতো বিষয়ে দুই বিভাগের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। বাইরে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস রয়েছে।

২০১৪ সালে বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যুর কাজটি পররাষ্ট্র থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা হয়। এর তিন বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুই বিভাগে বিভক্ত করা হলে বিদেশে পাসপোর্ট অফিসে কাজ করার সুযোগ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পাসপোর্ট ইস্যুর কাজটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ করে বলে এ বিভাগের কর্মীরাই বিদেশের পাসপোর্ট অফিসে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আসছেন। একপর্যায়ে উভয় বিভাগের কর্মীদের সমান হারে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে পরিপত্র জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলায় জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষে রায় হয়। এর আলোকে উভয় বিভাগের মধ্যে সমহারে বিদেশে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল করে।

সংশ্লিষ্ট অনেকে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই ভাগে ভাগ হওয়ায় কর্মকর্তাদের সুবিধা হলেও কর্মচারীদের সমস্যা হয়। সহায়ক জনবলের ঘাটতি পূরণে মন্ত্রণালয়ে অন্তত ৪০-৪৫ জন পুলিশ সদস্যের পদায়ন হয়েছিল। এতে কর্মচারীদের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ রয়েছে। বিক্ষুব্ধদের মত হচ্ছে, দুই বিভাগ একত্র হলে অতিরিক্ত সহায়ক জনবলের প্রয়োজন হবে না।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবার অধীনে থাকা পাসপোর্ট ফেরিভিকেশন ও ইমিগ্রেশনে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ পুলিশের পদায়নের দায়িত্বে রয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। এটি উভয় বিভাগের মধ্যে অস্বস্তি ও অসন্তোষের অন্যতম কারণ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্গানোগ্রামে অতিরিক্ত সচিবের পদ রয়েছে একটি। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনে ব্যাপকভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত সচিবের পদ রয়েছে ১৫টি। এসব অতিরিক্ত সচিবের অধীনে সহায়ক জনবল দেওয়ার জন্যই মূলত পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এখন আর কোনো মন্ত্রণালয়ই অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী চলছে না। কাজের পরিধি বাড়ায় জনবলেরও প্রয়োজন বেড়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের সচিব একজন হলে অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকবে না।

কাজের সুবিধার যুক্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ—এ দুই বিভাগে বিভক্ত করা হয়। কিন্তু বিভাগ ভাগ হলেও সেখানে ৮০ ভাগ ক্ষমতাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের হাতে রয়ে যায়। সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী ও অধ্যাপক পদে বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ওপর ন্যস্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা করে আসছে সেবা বিভাগ। এই নিয়ে বিভাগ দুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লাগেজ সুরক্ষায় শাহজালালে বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবহার বাড়াল বিমান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১২
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের কোনো অংশ কর্তন করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে যাত্রী বা এয়ারলাইনসের পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী এ ধরনের লাগেজ ক্ষতির দায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিংবা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করে থাকেন। পাশাপাশি কিছু অসাধু চক্রের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে যাত্রীদের সম্পত্তি সুরক্ষা, লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং দায়ী স্টেশন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আজ রোববার থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার কার্যকর করেছে।

বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, যাত্রীদের মালপত্র সুরক্ষা জোরদার করতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দেহে বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়। এই উদ্যোগে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় বর্তমানে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকেও এই ক্যামেরাভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আজ এই সম্প্রসারিত কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) ও যুগ্মসচিব বদরুল হাসান লিটন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বডি ওর্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে।’

বদরুল হাসান বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের সার্বিক যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জাতীয় কমিটির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজশাহী ছাড়ার পর থেমে থেমে যায় মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী ছাড়ার পর থেমে থেমে যায় মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

আজ রোববার সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজারসহ পূর্বাঞ্চর রেলের ছয় রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছে, যা গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

বিভিন্ন রেলসেতুর মাশুল বাড়িয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ উল্লেখ করে নাগরিক সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নিয়ে ছয় রুটে গত ১৩ বছরে পাঁচ দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের আগে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ইসির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৭
নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি প্রথম সাক্ষাৎ।

বৈঠকে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনীর প্রধানদের আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান।

বৈঠকে ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা হতে পারে।

এদিকে আজ বেলা আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান বা তাঁদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র‍্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধানেরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে বেসমেন্টে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।

নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা

সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন-পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে।

নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে আলাদা আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান। ছবি : আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে (এএইচসিআই) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম আইভিএসি বা আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম আজ রোববার, অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভিসা সেন্টার পুনরায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত