Ajker Patrika

আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৪: ০২
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সপ্তম দিনে কথা বলছেন আলী রীয়াজ। ছবি: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সপ্তম দিনে কথা বলছেন আলী রীয়াজ। ছবি: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘গত সাত দিন ধরে আমরা আলোচনা করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি হলেও সত্যি কথা হচ্ছে, আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি।’

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সপ্তম দিনের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই অগ্রগতির জায়গাটা অর্জন করা দরকার এই কারণে, আমরা কেউই চাই না আগের জায়গাটায় ফিরে যেতে। এটা আগামীকাল, আগামী দিনের বিষয় না। এটা দীর্ঘদিনের বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হব। যে ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী শাসনকে তৈরি করেছে, তার কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আমাদের করতে হবে। এই সংকল্প থেকে সবকিছু পাশে রেখে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। সেই রক্তের ওপর পা রেখে আমরা এখানে এসেছি।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন আপনাদের প্রতিপক্ষ না। কমিশন আপনাদেরই অংশ, আমরা একটা দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। আপনাদের অবস্থানের কারণে কমিশনের নমনীয়তা প্রকাশিত হয়েছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই, আপনারাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। আপনাদের মধ্য দিয়েই এক সময় দেশ শাসিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল সেখান থেকে কমিশন আলোচনার মধ্য দিয়ে সরে এসেছে। স্থায়ী কমিটিগুলোর বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাব ছিল এক রকম, কিন্তু আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এক জায়গায় এসেছি, সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। উচ্চকক্ষের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি, ১০৫ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। আপনারা এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সংগতভাবে কমিশন এই জায়গা থেকে সরে এসে ১০০ জন সদস্যের উচ্চকক্ষ তৈরির বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি, অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। আরও আলোচনা করব।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আর একদিন পর জুলাই মাস। কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা আন্তরিক থাকতে চাই। জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে পারি। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। আমরা আশা করেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই সকলে মিলে সনদে স্বাক্ষর করতে পারব। সেটা কতটা সম্ভব হবে তা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় যাব না। তবে এটা আমরা বলতে পারি জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়ার একটা পরিণতির দিকে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে এগিয়ে যেন কোনো ধরনের সংবিধান সংশোধন না হয়, সেটা সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার। ব্যক্তির ক্ষমতা সীমিত করা প্রয়োজন হচ্ছে এই কারণে, শেষ পর্যন্ত শাসনের ক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যক্তিতান্ত্রিকতা তৈরি হয়েছিল এবং তার আশঙ্কাকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারছি না। সাংবিধানিকভাবে এ রক্ষাকবচগুলো আমাদের তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’

গত বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।

আজকের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া, উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। শুরুতে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কমিটির কাঠামো ও ক্ষমতার বিষয়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করে দলগুলোর সামনে।

এর মধ্যে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে একজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। যার বিরোধিতা করেন এনসিপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। পরে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘ফ্লোরের সেন্টিমেন্ট যদি একজনের নাম প্রস্তাবের বিষয় আলোচনা হয় তাহলে আমরা সেটা করতে পারি।’

প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি বলবৎ রাখার প্রস্তাব করেন। তবে সেটার বিরোধিতা করেন বক্তব্য দেওয়া কয়েকজন। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পদে শূন্যতা সৃষ্টির মত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়োগ করার জন্য কমিটি বলবৎ রাখার প্রস্তাব। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই সরকারের হাতে নিয়োগ করার প্রস্তাব করেন।

এখন পর্যন্ত আলোচনায় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে এখন পর্যন্ত বিরোধিতা করে এনডিএম ও এনপিপি। তবে পক্ষে কথা বলেছে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাসদ (মার্কসবাদী, সিপিবি, বাসদ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়নি।)

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ দাবি করেছেন, একটি দলকে ইঙ্গিত করে এ কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামল একমাত্র ফ্যাসিবাদী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের বা অন্যদের ক্ষমতায় সময় সে পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভবিষ্যতে কোনো একটি দলকে ইঙ্গিত করে এমন কমিটি করা উচিত হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০০
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

পরে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে ব্যক্তি অন্যূন পাঁচ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে ট্রাইবুন্যাল তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।

সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তাঁর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়াও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। অন্যদিক, জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।

এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং ওই অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।

হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ/দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত
আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া এই আসামি ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে কমিশন কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাঁর ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সম্পৃক্ততা পায় সংস্থাটি।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন নির্দেশনাটি স্বরাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্র ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় এসব কার্যালয়ে নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্রের সুরক্ষাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এই অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৭
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

ওবায়দুল কাদের ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন নিখিল, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এখন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিলে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচারকাজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত