
বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চেয়ে কয়লার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে রেকর্ড ১৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অবস্থায় গ্যাস থেকে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৪ টেরাওয়াট ঘণ্টায়।
এই প্রবণতা নির্দেশ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ।
কয়লার ব্যবহার যেখানে ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমেই কমছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের ৫৯ শতাংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। ২০২১ ও ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে যদি কয়লার ব্যবহার বাড়তেই থাকে, তাহলে চলতি দশকের মধ্যেই কয়লা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে সমানতালে। দেশের গার্মেন্টস খাতেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টাই। দেশের অন্যান্য উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় জিডিপির চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি। জিডিপি বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ও অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। সে কারণে গত বছর নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সাল, অর্থাৎ চলতি বছর একই পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এমনকি কয়লা আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ আগে থেকেই ভারত থেকে ট্রাক ও ট্রেনযোগে কয়লা আমদানি করছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটি জলপথেও কয়লা আমদানি করেছে। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলারের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মোট কয়লার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আমদানি করেছে জলপথে।
কেপলারের ডেটা বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলপথে গড়ে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করেছে। অথচ ২০২৩ সালে আমদানি করেছে প্রায় দ্বিগুণ—১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন, যার ফলে কয়লা আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১২তম দেশে পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগেও এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
অ্যাম্বার বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের কার্বন নিঃসারণকে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। দেশে ২০২৩ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। সে বছর কার্বন নিঃসারণ হয়েছিল ৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের কার্বন নিঃসারণ ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে কার্বন ঘন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোটামুটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। ২০২২ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টন।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ আমদানি কোনোটাই থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ১১ টেরাওয়াট। এক বছর আগে ছিল দশমিক ৮৩ টেরাওয়াট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩০ লাখ কয়লা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ও আমদানি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে সম্ভবত কয়লাভিত্তিক উৎপাদন ও কার্বন নিঃসারণ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড তৈরি হবে। বিশ্বের বাকি অংশ কয়লা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরেও বাংলাদেশ কয়লার চাহিদার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চেয়ে কয়লার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে রেকর্ড ১৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অবস্থায় গ্যাস থেকে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৪ টেরাওয়াট ঘণ্টায়।
এই প্রবণতা নির্দেশ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ।
কয়লার ব্যবহার যেখানে ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমেই কমছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের ৫৯ শতাংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। ২০২১ ও ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে যদি কয়লার ব্যবহার বাড়তেই থাকে, তাহলে চলতি দশকের মধ্যেই কয়লা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে সমানতালে। দেশের গার্মেন্টস খাতেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টাই। দেশের অন্যান্য উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় জিডিপির চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি। জিডিপি বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ও অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। সে কারণে গত বছর নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সাল, অর্থাৎ চলতি বছর একই পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এমনকি কয়লা আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ আগে থেকেই ভারত থেকে ট্রাক ও ট্রেনযোগে কয়লা আমদানি করছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটি জলপথেও কয়লা আমদানি করেছে। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলারের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মোট কয়লার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আমদানি করেছে জলপথে।
কেপলারের ডেটা বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলপথে গড়ে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করেছে। অথচ ২০২৩ সালে আমদানি করেছে প্রায় দ্বিগুণ—১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন, যার ফলে কয়লা আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১২তম দেশে পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগেও এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
অ্যাম্বার বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের কার্বন নিঃসারণকে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। দেশে ২০২৩ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। সে বছর কার্বন নিঃসারণ হয়েছিল ৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের কার্বন নিঃসারণ ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে কার্বন ঘন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোটামুটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। ২০২২ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টন।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ আমদানি কোনোটাই থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ১১ টেরাওয়াট। এক বছর আগে ছিল দশমিক ৮৩ টেরাওয়াট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩০ লাখ কয়লা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ও আমদানি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে সম্ভবত কয়লাভিত্তিক উৎপাদন ও কার্বন নিঃসারণ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড তৈরি হবে। বিশ্বের বাকি অংশ কয়লা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরেও বাংলাদেশ কয়লার চাহিদার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চেয়ে কয়লার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে রেকর্ড ১৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অবস্থায় গ্যাস থেকে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৪ টেরাওয়াট ঘণ্টায়।
এই প্রবণতা নির্দেশ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ।
কয়লার ব্যবহার যেখানে ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমেই কমছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের ৫৯ শতাংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। ২০২১ ও ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে যদি কয়লার ব্যবহার বাড়তেই থাকে, তাহলে চলতি দশকের মধ্যেই কয়লা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে সমানতালে। দেশের গার্মেন্টস খাতেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টাই। দেশের অন্যান্য উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় জিডিপির চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি। জিডিপি বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ও অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। সে কারণে গত বছর নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সাল, অর্থাৎ চলতি বছর একই পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এমনকি কয়লা আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ আগে থেকেই ভারত থেকে ট্রাক ও ট্রেনযোগে কয়লা আমদানি করছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটি জলপথেও কয়লা আমদানি করেছে। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলারের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মোট কয়লার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আমদানি করেছে জলপথে।
কেপলারের ডেটা বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলপথে গড়ে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করেছে। অথচ ২০২৩ সালে আমদানি করেছে প্রায় দ্বিগুণ—১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন, যার ফলে কয়লা আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১২তম দেশে পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগেও এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
অ্যাম্বার বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের কার্বন নিঃসারণকে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। দেশে ২০২৩ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। সে বছর কার্বন নিঃসারণ হয়েছিল ৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের কার্বন নিঃসারণ ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে কার্বন ঘন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোটামুটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। ২০২২ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টন।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ আমদানি কোনোটাই থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ১১ টেরাওয়াট। এক বছর আগে ছিল দশমিক ৮৩ টেরাওয়াট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩০ লাখ কয়লা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ও আমদানি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে সম্ভবত কয়লাভিত্তিক উৎপাদন ও কার্বন নিঃসারণ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড তৈরি হবে। বিশ্বের বাকি অংশ কয়লা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরেও বাংলাদেশ কয়লার চাহিদার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চেয়ে কয়লার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে রেকর্ড ১৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অবস্থায় গ্যাস থেকে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৪ টেরাওয়াট ঘণ্টায়।
এই প্রবণতা নির্দেশ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ।
কয়লার ব্যবহার যেখানে ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমেই কমছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের ৫৯ শতাংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। ২০২১ ও ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে যদি কয়লার ব্যবহার বাড়তেই থাকে, তাহলে চলতি দশকের মধ্যেই কয়লা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে সমানতালে। দেশের গার্মেন্টস খাতেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টাই। দেশের অন্যান্য উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় জিডিপির চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি। জিডিপি বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ও অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। সে কারণে গত বছর নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সাল, অর্থাৎ চলতি বছর একই পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এমনকি কয়লা আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ আগে থেকেই ভারত থেকে ট্রাক ও ট্রেনযোগে কয়লা আমদানি করছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটি জলপথেও কয়লা আমদানি করেছে। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলারের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মোট কয়লার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আমদানি করেছে জলপথে।
কেপলারের ডেটা বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলপথে গড়ে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করেছে। অথচ ২০২৩ সালে আমদানি করেছে প্রায় দ্বিগুণ—১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন, যার ফলে কয়লা আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১২তম দেশে পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগেও এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
অ্যাম্বার বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের কার্বন নিঃসারণকে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। দেশে ২০২৩ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। সে বছর কার্বন নিঃসারণ হয়েছিল ৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের কার্বন নিঃসারণ ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে কার্বন ঘন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোটামুটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। ২০২২ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টন।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ আমদানি কোনোটাই থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ১১ টেরাওয়াট। এক বছর আগে ছিল দশমিক ৮৩ টেরাওয়াট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩০ লাখ কয়লা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ও আমদানি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে সম্ভবত কয়লাভিত্তিক উৎপাদন ও কার্বন নিঃসারণ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড তৈরি হবে। বিশ্বের বাকি অংশ কয়লা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরেও বাংলাদেশ কয়লার চাহিদার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
৪২ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৬ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। মুসলিমদের কাছে যিশুখ্রিষ্ট হজরত ঈসা (আ.) হিসেবে পরিচিত। ঈসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হওয়া আসমানি কিতাবের নাম ইঞ্জিল শরিফ। তবে দুই ধর্মের বিশ্বাসে কিছু তফাতও রয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপন করবে।
বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ও গির্জা উৎসবের সাজে সাজানো হয়। এ দিন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
অনেক পরিবার তাদের বাড়িতে তৈরি করে প্রতীকী গোয়ালঘর। বিদেশি অতিথিদের বিবেচনায় তারকা হোটেলগুলো ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গ দিয়ে সাজানো হয়।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহামতি যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত এবং শান্তি, সত্য ও ন্যায়ের প্রচারক। তাঁর আদর্শ ভালোবাসা, সেবা ও ক্ষমার শিক্ষা দেয়। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বড়দিন সবার জীবনে আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেন, বড়দিন শান্তি, ন্যায় ও মানবমুক্তির বার্তা বহন করে। যিশুখ্রিষ্টের মানবসেবা, ভালোবাসা ও ক্ষমার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বড়দিন উদ্যাপন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করবে। বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আতশবাজি, পটকা ও ফানুস নিষিদ্ধ
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুভ বড়দিন ভাবগম্ভীর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৮ ধারার ক্ষমতাবলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বড়দিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। মুসলিমদের কাছে যিশুখ্রিষ্ট হজরত ঈসা (আ.) হিসেবে পরিচিত। ঈসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হওয়া আসমানি কিতাবের নাম ইঞ্জিল শরিফ। তবে দুই ধর্মের বিশ্বাসে কিছু তফাতও রয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপন করবে।
বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ও গির্জা উৎসবের সাজে সাজানো হয়। এ দিন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
অনেক পরিবার তাদের বাড়িতে তৈরি করে প্রতীকী গোয়ালঘর। বিদেশি অতিথিদের বিবেচনায় তারকা হোটেলগুলো ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গ দিয়ে সাজানো হয়।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহামতি যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত এবং শান্তি, সত্য ও ন্যায়ের প্রচারক। তাঁর আদর্শ ভালোবাসা, সেবা ও ক্ষমার শিক্ষা দেয়। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বড়দিন সবার জীবনে আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেন, বড়দিন শান্তি, ন্যায় ও মানবমুক্তির বার্তা বহন করে। যিশুখ্রিষ্টের মানবসেবা, ভালোবাসা ও ক্ষমার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বড়দিন উদ্যাপন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করবে। বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আতশবাজি, পটকা ও ফানুস নিষিদ্ধ
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুভ বড়দিন ভাবগম্ভীর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৮ ধারার ক্ষমতাবলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বড়দিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ
০৫ এপ্রিল ২০২৪
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৬ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন।
খোদা বখশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন জানিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে শেষ দিকে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন ওঠে। ওই পদে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন ছিল।
সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল খোদা বখশ চৌধুরীর। কিন্তু এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও এভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী সি আর আবরারকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আমিনুল।


প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন।
খোদা বখশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন জানিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে শেষ দিকে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন ওঠে। ওই পদে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন ছিল।
সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল খোদা বখশ চৌধুরীর। কিন্তু এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও এভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী সি আর আবরারকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আমিনুল।


বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ
০৫ এপ্রিল ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
৪২ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৬ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার থাকা শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আক্তারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
যাত্রাবাড়ীতে তাইম হত্যায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। যাতে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারদের হাজিরের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান ও তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসাইন। আর পলাতক রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারী জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন ও এডিসি এস এম শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মো. মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুল হক মামুন, এসআই (নিরস্ত্র) সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদৎ আলী।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার থাকা শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আক্তারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
যাত্রাবাড়ীতে তাইম হত্যায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। যাতে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারদের হাজিরের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান ও তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসাইন। আর পলাতক রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারী জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন ও এডিসি এস এম শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মো. মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুল হক মামুন, এসআই (নিরস্ত্র) সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদৎ আলী।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ
০৫ এপ্রিল ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
৪২ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ
০৫ এপ্রিল ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে প্রাচীন ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি।
৪২ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৬ ঘণ্টা আগে