

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আইনশৃঙ্খলা। এই মুহূর্তে কে দায়িত্বে আছেন এবং এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী?
ড. ইউনূস: অবশ্যই আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মূলত প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) পদত্যাগের দাবির মধ্য দিয়ে এবং অবশেষে সেই দাবি অর্জিত হয়েছে। আজ তারা (জনগণ) উদ্যাপন করছে। এ ধরনে উদ্যাপন আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যখন আমরা পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।
আজ আমরা একধরনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। তাই কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই এ ধরনের উদ্যাপন চলছে। লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। আজ তারা তাদের স্বাধীনতা উদ্যাপন করছে। কারণ, আমরা যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, তা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছি। যারা তাদের (জনগণকে) নির্যাতন করেছে, তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে, দুর্নীতি করেছে, তাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার কী মনে হয় না, সামনে আরও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে? এটি কী আপনার দুশ্চিন্তার কারণ নয়?
ড. ইউনূস: আমি আশা করি, এই অস্থিতিশীলতা শেষ করা সম্ভব। এই অস্থিতিশীলতা সেখানেই ফেরত পাঠানো সম্ভব, যেখান থেকে তা এসেছে। আর এই অস্থিতিশীলতার—যেটা শেখ হাসিনা সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি হয়েছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্যই। আমরা জানি, স্থিতিশীলতার চূড়ান্ত লক্ষ্য, চূড়ান্ত ওষুধ হলো গণতন্ত্র, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। এই প্রথম আমরা একটি প্রকৃত ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি, যা এই বিপ্লবের অন্যতম মূল ধারণা ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অবশ্যই গণতন্ত্র আনতে হবে। এ বিষয়ে দ্বিমতের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের আগে অন্তর্বর্তীকালে বাংলাদেশে ইসলামপন্থা ও কট্টরপন্থার উদ্ভব হতে পারে—এটি কি দুশ্চিন্তার বিষয় নয়? নইলে কী কারণে ছাত্ররা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙবে? তারা কি উসকানি দিচ্ছে না? এটি কি স্রেফ শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের ক্ষোভ?
ড. ইউনূস: এর জন্য হাসিনাই দায়ী। তিনিই দেশকে তাঁর পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছেন। তিনি দেশে একটি তিক্ত আবহ তৈরি করেছেন। তাই তারা (জনগণ) যা করছে, সে বিষয়ে কোনো অনুতাপ তাদের নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা করেছেন, সেগুলোর কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারবে? আমরা একটু আগেই আমাদের প্রতিনিধি মারফত খবর পেলাম, মানুষ পুলিশ স্টেশন লুট করে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছে।
ড. ইউনূস: এ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্যই হলো আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। যেটা শেখ হাসিনা করতে পারেননি। যে কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সরকারের পতন হয়েছে। তিনি যদি আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারতেন, তাহলে এমনটা ঘটত না। এটি মূলত হাসিনা সরকারেরই ধারাবাহিকতার ফসল।
এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, মানুষ যেন উদ্যাপন শেষে নিজ নিজ ঘরে, কাজে ও ব্যবসায় ফিরে যায় এবং তারা যেন আগের চেয়ে আরও স্বাধীন ও নতুন উপায়ে নিজেদের কাজগুলো করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন: হাসিনার ব্যাপারে কী বলবেন? তিনি এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। আমরা জানি না, তিনি সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন কি না। কিছু কিছু খবরে বলা হচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যেও যেতে পারেন। আমরা জানি না যুক্তরাজ্য সেই প্রস্তাব বা আবেদন গ্রহণ করবে কি না। এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী? কোন দেশ তাঁকে আশ্রয় দিতে পারে?
ড. ইউনূস: এ বিষয়ে আমার একেবারেই কোনো ধারণা নেই। আপনার কাছ থেকেই আমি শুনলাম যে তিনি ভারতে আছেন। আমি তো সরকারে নেই। এ বিষয়ে আমার কারও সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি।
প্রশ্ন: তাঁর (হাসিনা) সরকারের অন্যান্য নেতার ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? আমরা জেনেছি, ঢাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের অন্য সদস্যরাও লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন আক্রমণ-হামলার। এটি কি ব্যাপক উদ্বেগের বিষয় নয়?
ড. ইউনূস: এটি অবশ্যই খুবই উদ্বেগের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে হবে। যে রাগ-ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে, তা প্রশমন করে তারা যাতে অতি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন: অধ্যাপক ইউনূস, আপনি জানেন আমরা যারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি, তাদের মতে—বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সময়টা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। কারা এই আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করছে? এখানে কী কোনো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জড়িত আছে? অন্যান্য গোষ্ঠীও কি বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি চেষ্টা করছে? ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি যদি জানতে চাই যে, বিষয়টি কি পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে? এমন আশঙ্কা আছে কি?
ড. ইউনূস: আমি যতগুলো সাক্ষাৎকার দিয়েছি সবখানেই বলেছি, আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন, তাহলে তা চারপাশে ছড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে মিয়ানমার, সেভেন সিস্টার্স এবং পশ্চিমবঙ্গ—সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে। আমি আনন্দিত যে, বিষয়টি উপলব্ধি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি দরজা খুলে দেবেন। কারণ এই পরিস্থিতির কারণে যারা বাংলাদেশ থেকে যাবেন তাঁদের তো গ্রহণ করতে হবে।
যদি এই অস্থিতিশীলতা মাসের পর মাস চলতে থাকে, তাহলে এটি কেবল সর্বত্র ছড়িয়েই পড়বে না; মানুষ যে ক্ষোভ বহন করে যেখানে যাবে সেই ক্ষোভ সেখানেই ছড়িয়ে পড়বে এবং সেখান থেকে তারা বাংলাদেশে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করবে। এটি মোটেও একটি সুখকর বিষয় হবে না। বিষয়টি হবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো।
আমরা দেখছি, এখন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রায়ই গোলা আসছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এটি আরও বাড়বে এবং দুই দেশই একটি নোংরা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, বাংলাদেশে এখন লাখো রোহিঙ্গা আছে। তারা তাদের দেশে ফিরে যেতে চাইবে। তাই বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত না হয়, তাহলে কেউই ভালো থাকবে না। বাংলাদেশ সমস্যায় পড়লে বাকিরাও সমস্যায় পড়বে।
এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলো ছিল অর্থহীন। তারা সেখানে যায়নি, কারণ তাদের বিবেচনায় এসব নির্বাচনই হয়নি। এই অবস্থান থেকেই আমাদের নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসছে, গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে। এই দায়িত্ব তাদেরও নিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এই অন্তর্বর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবারও সিস্টেমেটিক হামলার শিকার হতে পারে?
ড. ইউনূস: অন্তর্বর্তী সময়ে কী হবে আমি জানি না। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে তাদের কণ্ঠস্বর থাকবে, তাদের আওয়াজ আমলে নেওয়া হবে। ভারতে যেমনটা নেওয়া হয়—সংখ্যালঘুরা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আইনশৃঙ্খলা। এই মুহূর্তে কে দায়িত্বে আছেন এবং এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী?
ড. ইউনূস: অবশ্যই আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মূলত প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) পদত্যাগের দাবির মধ্য দিয়ে এবং অবশেষে সেই দাবি অর্জিত হয়েছে। আজ তারা (জনগণ) উদ্যাপন করছে। এ ধরনে উদ্যাপন আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যখন আমরা পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।
আজ আমরা একধরনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। তাই কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই এ ধরনের উদ্যাপন চলছে। লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। আজ তারা তাদের স্বাধীনতা উদ্যাপন করছে। কারণ, আমরা যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, তা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছি। যারা তাদের (জনগণকে) নির্যাতন করেছে, তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে, দুর্নীতি করেছে, তাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার কী মনে হয় না, সামনে আরও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে? এটি কী আপনার দুশ্চিন্তার কারণ নয়?
ড. ইউনূস: আমি আশা করি, এই অস্থিতিশীলতা শেষ করা সম্ভব। এই অস্থিতিশীলতা সেখানেই ফেরত পাঠানো সম্ভব, যেখান থেকে তা এসেছে। আর এই অস্থিতিশীলতার—যেটা শেখ হাসিনা সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি হয়েছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্যই। আমরা জানি, স্থিতিশীলতার চূড়ান্ত লক্ষ্য, চূড়ান্ত ওষুধ হলো গণতন্ত্র, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। এই প্রথম আমরা একটি প্রকৃত ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি, যা এই বিপ্লবের অন্যতম মূল ধারণা ছিল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অবশ্যই গণতন্ত্র আনতে হবে। এ বিষয়ে দ্বিমতের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের আগে অন্তর্বর্তীকালে বাংলাদেশে ইসলামপন্থা ও কট্টরপন্থার উদ্ভব হতে পারে—এটি কি দুশ্চিন্তার বিষয় নয়? নইলে কী কারণে ছাত্ররা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙবে? তারা কি উসকানি দিচ্ছে না? এটি কি স্রেফ শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের ক্ষোভ?
ড. ইউনূস: এর জন্য হাসিনাই দায়ী। তিনিই দেশকে তাঁর পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছেন। তিনি দেশে একটি তিক্ত আবহ তৈরি করেছেন। তাই তারা (জনগণ) যা করছে, সে বিষয়ে কোনো অনুতাপ তাদের নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা করেছেন, সেগুলোর কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারবে? আমরা একটু আগেই আমাদের প্রতিনিধি মারফত খবর পেলাম, মানুষ পুলিশ স্টেশন লুট করে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছে।
ড. ইউনূস: এ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্যই হলো আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। যেটা শেখ হাসিনা করতে পারেননি। যে কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সরকারের পতন হয়েছে। তিনি যদি আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারতেন, তাহলে এমনটা ঘটত না। এটি মূলত হাসিনা সরকারেরই ধারাবাহিকতার ফসল।
এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, মানুষ যেন উদ্যাপন শেষে নিজ নিজ ঘরে, কাজে ও ব্যবসায় ফিরে যায় এবং তারা যেন আগের চেয়ে আরও স্বাধীন ও নতুন উপায়ে নিজেদের কাজগুলো করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন: হাসিনার ব্যাপারে কী বলবেন? তিনি এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। আমরা জানি না, তিনি সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন কি না। কিছু কিছু খবরে বলা হচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যেও যেতে পারেন। আমরা জানি না যুক্তরাজ্য সেই প্রস্তাব বা আবেদন গ্রহণ করবে কি না। এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী? কোন দেশ তাঁকে আশ্রয় দিতে পারে?
ড. ইউনূস: এ বিষয়ে আমার একেবারেই কোনো ধারণা নেই। আপনার কাছ থেকেই আমি শুনলাম যে তিনি ভারতে আছেন। আমি তো সরকারে নেই। এ বিষয়ে আমার কারও সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি।
প্রশ্ন: তাঁর (হাসিনা) সরকারের অন্যান্য নেতার ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? আমরা জেনেছি, ঢাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের অন্য সদস্যরাও লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন আক্রমণ-হামলার। এটি কি ব্যাপক উদ্বেগের বিষয় নয়?
ড. ইউনূস: এটি অবশ্যই খুবই উদ্বেগের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে হবে। যে রাগ-ক্ষোভের কারণে মানুষ এমনটা করছে, তা প্রশমন করে তারা যাতে অতি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন: অধ্যাপক ইউনূস, আপনি জানেন আমরা যারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি, তাদের মতে—বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সময়টা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। কারা এই আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করছে? এখানে কী কোনো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জড়িত আছে? অন্যান্য গোষ্ঠীও কি বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি চেষ্টা করছে? ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি যদি জানতে চাই যে, বিষয়টি কি পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে? এমন আশঙ্কা আছে কি?
ড. ইউনূস: আমি যতগুলো সাক্ষাৎকার দিয়েছি সবখানেই বলেছি, আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন, তাহলে তা চারপাশে ছড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে মিয়ানমার, সেভেন সিস্টার্স এবং পশ্চিমবঙ্গ—সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে। আমি আনন্দিত যে, বিষয়টি উপলব্ধি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি দরজা খুলে দেবেন। কারণ এই পরিস্থিতির কারণে যারা বাংলাদেশ থেকে যাবেন তাঁদের তো গ্রহণ করতে হবে।
যদি এই অস্থিতিশীলতা মাসের পর মাস চলতে থাকে, তাহলে এটি কেবল সর্বত্র ছড়িয়েই পড়বে না; মানুষ যে ক্ষোভ বহন করে যেখানে যাবে সেই ক্ষোভ সেখানেই ছড়িয়ে পড়বে এবং সেখান থেকে তারা বাংলাদেশে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করবে। এটি মোটেও একটি সুখকর বিষয় হবে না। বিষয়টি হবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো।
আমরা দেখছি, এখন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রায়ই গোলা আসছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এটি আরও বাড়বে এবং দুই দেশই একটি নোংরা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, বাংলাদেশে এখন লাখো রোহিঙ্গা আছে। তারা তাদের দেশে ফিরে যেতে চাইবে। তাই বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত না হয়, তাহলে কেউই ভালো থাকবে না। বাংলাদেশ সমস্যায় পড়লে বাকিরাও সমস্যায় পড়বে।
এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই-তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলো ছিল অর্থহীন। তারা সেখানে যায়নি, কারণ তাদের বিবেচনায় এসব নির্বাচনই হয়নি। এই অবস্থান থেকেই আমাদের নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসছে, গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে। এই দায়িত্ব তাদেরও নিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এই অন্তর্বর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবারও সিস্টেমেটিক হামলার শিকার হতে পারে?
ড. ইউনূস: অন্তর্বর্তী সময়ে কী হবে আমি জানি না। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে তাদের কণ্ঠস্বর থাকবে, তাদের আওয়াজ আমলে নেওয়া হবে। ভারতে যেমনটা নেওয়া হয়—সংখ্যালঘুরা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৫ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগু
০৭ আগস্ট ২০২৪
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৫ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগু
০৭ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৫ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগু
০৭ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের দুই তৃতীয়াংশই তরুণ-যুবক। তাই আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা সন্তুষ্ট এবং তারা আইন মেনে চলা সুনাগরিক। তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের দেশে গণতন্ত্র আছে এবং সেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়। এই তরুণ প্রজন্ম জীবনেও ভোট দিতে পারেনি। তাদের চোখের সামনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগু
০৭ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৫ ঘণ্টা আগে