মনজুরুল ইসলাম ঢাকা

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো।
বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে বিমান বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উড়োজাহাজ সংস্থার বকেয়ার বড় অংশই সারচার্জ। যেমন বিমানের ৬ হাজার ৩২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বকেয়ার মধ্যে ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকাই সারচার্জ।
উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো এই সারচার্জ আন্তর্জাতিক মানে নামিয়ে আনার দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) বলছে, মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জের কারণে একবার বকেয়ার চক্রে পড়লে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জ থাকলে চালু থাকা দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোও যেকোনো পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বেবিচক বলছে, সারচার্জ কমানো সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে বেবিচকের কিছু করার নেই।
দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য এয়ারলাইনসগুলোকে বিভিন্ন অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার, নেভিগেশন, নিরাপত্তা, বিমানবন্দর ব্যবহার, বোর্ডিং ডেস্ক ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক রুটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করায় এ চার্জ বেশি গুনতে হয় দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে। এ ছাড়া উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে রাখার জন্যও অর্থ দিতে হয়। এসব অর্থ দিতে হয় বেবিচককে। কখনো এই অর্থ বকেয়া পড়লে আরোপ হয় সারচার্জ। বকেয়ার সঙ্গে মাসে ৬ শতাংশ হারে যোগ হয় সারচার্জ। এক বছর বকেয়া থাকলে সারচার্জই যোগ হয় ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বকেয়া বছর শেষে দাঁড়ায় ১৭২ টাকা। বছর পার হলে বকেয়ার পরিমাণও মোট বকেয়ার ৭২ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে।
উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো বলছে, কোনো এয়ারলাইনস একবার এই সারচার্জে আটকা পড়লে ওই অর্থ পরিশোধ করে নিয়মিত কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খায়। অতীতে দেশীয় যেসব বেসরকারি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়েছে, তার সব কটি এই সারচার্জের চক্র থেকে বের হতে পারেনি। একসময় এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও বছরের পর বছর বকেয়ার অর্থে যোগ হচ্ছে সারচার্জ। আদায় না হওয়ায় সারচার্জের বদৌলতে দিন দিন বাড়ছে বকেয়া।
২ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফার ঘোষণা দিলেও রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কাছে বেবিচক পাবে ৬ হাজার ৩২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বেবিচকের সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের মোট পাওনার মধ্যে মূল বিল ৯১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ভ্যাট ৫২৮ কোটি ৯২ লাখ, আয়কর ৫২ লাখ টাকা। বাকি ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকাই সারচার্জ। বিপুল পরিমাণ এ বকেয়া আদায়ে বিমানকে কিছুদিন পরপর চিঠি দিচ্ছে বেবিচক। বিমান নিয়মিত বিরতিতে কিছু কিছু টাকা পরিশোধও করছে। তবে তা বকেয়ার তুলনায় সামান্য। ফলে মাসে মাসে সারচার্জ যোগ হওয়ায় বকেয়া কমছে না। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর বেবিচকের সমন্বয় সভায় বকেয়া আদায়ে আবারও উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে নিয়মিত চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর কাছে বকেয়ার একটি বড় অংশই সারচার্জ। এক দশকের বেশি কার্যক্রম চালানোর পর ২০১১ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের পাওনা ছিল ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সারচার্জই ৩৩৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ বন্ধ হওয়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা ৪০৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সারচার্জ ২৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একইভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা ৩৮৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা; যার মধ্যে সারচার্জ ৩২৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বকেয়ার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বকেয়া যা আছে সেগুলো পুরোনো। ২০২০ সালের পর কোনো বকেয়া নেই। আগের বকেয়া নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে সারচার্জ নিয়ে বেবিচকের সঙ্গে বিরোধ থাকায় সারচার্জ বাদ রেখে মূল বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যে বেবিচকের সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে বেবিচকের পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত ৫-৭ বছরের তুলনায় বিমানের কাছ থেকে এখন আদায়ের পরিমাণ বেশ সন্তোষজনক। গত এক বছরে বিমান চলতি পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি বকেয়া বিলের ১০৭ কোটি টাকাও দিয়েছে। যদিও তা মোট বকেয়ার তুলনায় অনেক কম। বিমানের সঙ্গে নিয়মিত সভা করে পাওনা পরিশোধের জন্য তাগাদা অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বলেন, টিকিট বিক্রির সময় বিমানযাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি এবং প্যাসেঞ্জার সিকিউরিটি ফি আদায় করে। বিমান যা পরে বেবিচককে দেয়।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেবিচকের সারচার্জ প্রতিবেশী যেকোনো দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। যেমন ভারতে এয়ারলাইনসভেদে বার্ষিক সারচার্জ ১২-১৮, সিঙ্গাপুরে ৮, মালয়েশিয়ায় ১২, ওমানে ১০ এবং পাকিস্তানে আন্তব্যাংকিং এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর ২ শতাংশ।
দেশী এয়ারলাইনসগুলো এই মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জ কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস মিললেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ বকেয়া হলে মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ বাতিল চেয়ে বেবিচক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। ওই চিঠিতে সে সময় এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশনসহ বিভিন্ন খাতে বেবিচকের মাশুল এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে মাসে ৬ শতাংশ হারে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৭২ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়, যা ভারতের চেয়ে ৮৩ শতাংশ বেশি। সারচার্জের হার অতিরিক্ত হওয়ায় এয়ারলাইনসগুলোর একবার বকেয়ার চক্রে পড়লে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে না।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেবিচকের সারচার্জ অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। এর জাঁতাকলে পড়ছে দেশীয় এয়ারলাইনসগুলো। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত বেসরকারি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়েছে, সব কটি এই জাঁতাকলে পড়েছিল। এগুলোর কাছে বেবিচক বিপুল অর্থ পায়, যা কখনোই আদায় হবে না, কাগজেই থাকবে। ওই এয়ারলাইনসগুলোর বাজার দখল করেছে বিদেশি এয়ারলাইনস। এতে লাভের টাকাও চলে যাচ্ছে বিদেশে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এয়ারলাইনসগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে এই অসম সারচার্জ সংশোধন করা। তা না হলে দেশীয় কোনো এয়ারলাইনসই বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো।
বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে বিমান বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উড়োজাহাজ সংস্থার বকেয়ার বড় অংশই সারচার্জ। যেমন বিমানের ৬ হাজার ৩২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বকেয়ার মধ্যে ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকাই সারচার্জ।
উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো এই সারচার্জ আন্তর্জাতিক মানে নামিয়ে আনার দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) বলছে, মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জের কারণে একবার বকেয়ার চক্রে পড়লে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জ থাকলে চালু থাকা দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোও যেকোনো পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বেবিচক বলছে, সারচার্জ কমানো সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে বেবিচকের কিছু করার নেই।
দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য এয়ারলাইনসগুলোকে বিভিন্ন অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ দিতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার, নেভিগেশন, নিরাপত্তা, বিমানবন্দর ব্যবহার, বোর্ডিং ডেস্ক ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক রুটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করায় এ চার্জ বেশি গুনতে হয় দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে। এ ছাড়া উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে রাখার জন্যও অর্থ দিতে হয়। এসব অর্থ দিতে হয় বেবিচককে। কখনো এই অর্থ বকেয়া পড়লে আরোপ হয় সারচার্জ। বকেয়ার সঙ্গে মাসে ৬ শতাংশ হারে যোগ হয় সারচার্জ। এক বছর বকেয়া থাকলে সারচার্জই যোগ হয় ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বকেয়া বছর শেষে দাঁড়ায় ১৭২ টাকা। বছর পার হলে বকেয়ার পরিমাণও মোট বকেয়ার ৭২ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে।
উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো বলছে, কোনো এয়ারলাইনস একবার এই সারচার্জে আটকা পড়লে ওই অর্থ পরিশোধ করে নিয়মিত কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খায়। অতীতে দেশীয় যেসব বেসরকারি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়েছে, তার সব কটি এই সারচার্জের চক্র থেকে বের হতে পারেনি। একসময় এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও বছরের পর বছর বকেয়ার অর্থে যোগ হচ্ছে সারচার্জ। আদায় না হওয়ায় সারচার্জের বদৌলতে দিন দিন বাড়ছে বকেয়া।
২ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফার ঘোষণা দিলেও রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কাছে বেবিচক পাবে ৬ হাজার ৩২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বেবিচকের সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের মোট পাওনার মধ্যে মূল বিল ৯১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ভ্যাট ৫২৮ কোটি ৯২ লাখ, আয়কর ৫২ লাখ টাকা। বাকি ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকাই সারচার্জ। বিপুল পরিমাণ এ বকেয়া আদায়ে বিমানকে কিছুদিন পরপর চিঠি দিচ্ছে বেবিচক। বিমান নিয়মিত বিরতিতে কিছু কিছু টাকা পরিশোধও করছে। তবে তা বকেয়ার তুলনায় সামান্য। ফলে মাসে মাসে সারচার্জ যোগ হওয়ায় বকেয়া কমছে না। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর বেবিচকের সমন্বয় সভায় বকেয়া আদায়ে আবারও উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে নিয়মিত চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর কাছে বকেয়ার একটি বড় অংশই সারচার্জ। এক দশকের বেশি কার্যক্রম চালানোর পর ২০১১ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের পাওনা ছিল ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সারচার্জই ৩৩৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ বন্ধ হওয়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা ৪০৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সারচার্জ ২৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একইভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা ৩৮৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা; যার মধ্যে সারচার্জ ৩২৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বকেয়ার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বকেয়া যা আছে সেগুলো পুরোনো। ২০২০ সালের পর কোনো বকেয়া নেই। আগের বকেয়া নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে সারচার্জ নিয়ে বেবিচকের সঙ্গে বিরোধ থাকায় সারচার্জ বাদ রেখে মূল বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৭-২৮ অর্থবছরের মধ্যে বেবিচকের সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে বেবিচকের পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গত ৫-৭ বছরের তুলনায় বিমানের কাছ থেকে এখন আদায়ের পরিমাণ বেশ সন্তোষজনক। গত এক বছরে বিমান চলতি পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি বকেয়া বিলের ১০৭ কোটি টাকাও দিয়েছে। যদিও তা মোট বকেয়ার তুলনায় অনেক কম। বিমানের সঙ্গে নিয়মিত সভা করে পাওনা পরিশোধের জন্য তাগাদা অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বলেন, টিকিট বিক্রির সময় বিমানযাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি এবং প্যাসেঞ্জার সিকিউরিটি ফি আদায় করে। বিমান যা পরে বেবিচককে দেয়।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেবিচকের সারচার্জ প্রতিবেশী যেকোনো দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। যেমন ভারতে এয়ারলাইনসভেদে বার্ষিক সারচার্জ ১২-১৮, সিঙ্গাপুরে ৮, মালয়েশিয়ায় ১২, ওমানে ১০ এবং পাকিস্তানে আন্তব্যাংকিং এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর ২ শতাংশ।
দেশী এয়ারলাইনসগুলো এই মাত্রাতিরিক্ত সারচার্জ কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস মিললেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ বকেয়া হলে মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ বাতিল চেয়ে বেবিচক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় এয়ারলাইনসগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। ওই চিঠিতে সে সময় এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশনসহ বিভিন্ন খাতে বেবিচকের মাশুল এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে মাসে ৬ শতাংশ হারে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৭২ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়, যা ভারতের চেয়ে ৮৩ শতাংশ বেশি। সারচার্জের হার অতিরিক্ত হওয়ায় এয়ারলাইনসগুলোর একবার বকেয়ার চক্রে পড়লে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে না।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেবিচকের সারচার্জ অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। এর জাঁতাকলে পড়ছে দেশীয় এয়ারলাইনসগুলো। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত বেসরকারি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়েছে, সব কটি এই জাঁতাকলে পড়েছিল। এগুলোর কাছে বেবিচক বিপুল অর্থ পায়, যা কখনোই আদায় হবে না, কাগজেই থাকবে। ওই এয়ারলাইনসগুলোর বাজার দখল করেছে বিদেশি এয়ারলাইনস। এতে লাভের টাকাও চলে যাচ্ছে বিদেশে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এয়ারলাইনসগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে এই অসম সারচার্জ সংশোধন করা। তা না হলে দেশীয় কোনো এয়ারলাইনসই বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৩১ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৩৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ...
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৩৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ...
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৩১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ...
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৩১ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৩৪ মিনিট আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
২ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিভিন্ন সেবার জন্য সব এয়ারলাইনসকে চার্জ (মাশুল) দিতে হয়। কিন্তু একবার বকেয়া পড়লেই গুনতে হয় বড় অঙ্কের সারচার্জ। এর পরিমাণ মাসে ৬ শতাংশ হারে বছরে ৭২ শতাংশ, যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বকেয়ার কারণে এই সারচার্জের জাঁতাকলে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ...
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৩১ মিনিট আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৩৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগে