নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, যা আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার কেবল ১৪ শতাংশ বা ৭ ভাগের একভাগ।
তবে আইএমএফকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এনবিআর। তাদের শর্তের কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো, নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার বিষয়ে জানিয়েছে এনবিআর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে এসব নিয়ে দেন–দরবার করেছে সংস্থাটি। সেখানে অংশ নেন এনবিআরের তিন বিভাগের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯–এ উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এর জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের পক্ষে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়, তা আইএমএফও জানে। তারপরও আগামী অর্থবছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছে সংস্থাটি। এখন এনবিআরের পক্ষে থেকে অপারগতা ও প্রকৃত সক্ষমতা জানানোর পাশাপাশি রাজস্ব খাতে সংস্কারের উদ্যোগী মনোভাবও বোঝানো হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছে। সামনে আরও বৈঠক হবে। এতে আশা করা হচ্ছে যে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে আইএমএফ।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা বলেছে ৫৭০ বিলিয়ন রাজস্ব আয়ের কথা, আমরা তিন বিভাগ (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস) মিলিয়ে ৮০ বিলিয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছি। বাড়তি রাজস্ব আয়ের উপায় হিসেবে, সানসেট ক্লজ, অর্থাৎ যেসব জায়গায় কর-শুল্ক অব্যাহতি বা ছাড় দেওয়া আছে, সেগুলো যেন আর বাড়ানো না হয়, সেটার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা গুড ভাইব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এনবিআর চেয়ারম্যান স্যার ছিলেন, আমরা ভালো ব্যাকআপ পেয়েছি। উনি বলেছেন, আমরা এটা এটা করতে পারব না। তবে আমরা এও বলেছি, চিন্তা করো না। আমরা এই এই জিনিসগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আইএমএফ নিজেদের শর্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি, তারা (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা কমানোর চিন্তাভাবনা করতে পারে। তারা চিন্তা করছে, কারণ এটা প্রায় অসম্ভব।’
ওই এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাদের কিছু নীতি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো কিছু কিছু অ্যাকোমোডেট করব। সেগুলো শুধু ঋণের জন্য নয়, গুড পলিসি স্ট্রাকচারের জন্যও দরকার।’
একই বিষয়ে কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের তিন বিভাগ মিলিয়ে আমরা ৮০ বিলিয়ন অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারব বলে জানিয়েছি। এর মধ্যে কাস্টমস থেকে বেশি করার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন, আর বাকি দুই বিভাগ থেকে ৭৫ বিলিয়ন।’
ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আইএমএফ দলকে আমরা বোঝাতে সক্ষম। লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে। তবে কতটুকু কমাবে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, সেটাই পূরণ হয়নি। ফলে নতুন করে যে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা করার জন্য রাজনৈতিক ও এনবিআরে প্রশাসনিক দৃঢ়তা না থাকলে অসম্ভব হয়ে যাবে।’
আর্থিক সংকটে পড়ে দীর্ঘ আলোচনা ও সমঝোতা শেষে ২০২৩ সালে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার, অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি রাজস্ব সংস্কারের বেশ কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওইসব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে ঢাকা সফর করে। আগের মতো এবারও ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, যা আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার কেবল ১৪ শতাংশ বা ৭ ভাগের একভাগ।
তবে আইএমএফকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এনবিআর। তাদের শর্তের কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো, নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার বিষয়ে জানিয়েছে এনবিআর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে এসব নিয়ে দেন–দরবার করেছে সংস্থাটি। সেখানে অংশ নেন এনবিআরের তিন বিভাগের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯–এ উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এর জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের পক্ষে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়, তা আইএমএফও জানে। তারপরও আগামী অর্থবছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছে সংস্থাটি। এখন এনবিআরের পক্ষে থেকে অপারগতা ও প্রকৃত সক্ষমতা জানানোর পাশাপাশি রাজস্ব খাতে সংস্কারের উদ্যোগী মনোভাবও বোঝানো হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছে। সামনে আরও বৈঠক হবে। এতে আশা করা হচ্ছে যে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে আইএমএফ।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা বলেছে ৫৭০ বিলিয়ন রাজস্ব আয়ের কথা, আমরা তিন বিভাগ (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস) মিলিয়ে ৮০ বিলিয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছি। বাড়তি রাজস্ব আয়ের উপায় হিসেবে, সানসেট ক্লজ, অর্থাৎ যেসব জায়গায় কর-শুল্ক অব্যাহতি বা ছাড় দেওয়া আছে, সেগুলো যেন আর বাড়ানো না হয়, সেটার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা গুড ভাইব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এনবিআর চেয়ারম্যান স্যার ছিলেন, আমরা ভালো ব্যাকআপ পেয়েছি। উনি বলেছেন, আমরা এটা এটা করতে পারব না। তবে আমরা এও বলেছি, চিন্তা করো না। আমরা এই এই জিনিসগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আইএমএফ নিজেদের শর্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি, তারা (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা কমানোর চিন্তাভাবনা করতে পারে। তারা চিন্তা করছে, কারণ এটা প্রায় অসম্ভব।’
ওই এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাদের কিছু নীতি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো কিছু কিছু অ্যাকোমোডেট করব। সেগুলো শুধু ঋণের জন্য নয়, গুড পলিসি স্ট্রাকচারের জন্যও দরকার।’
একই বিষয়ে কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের তিন বিভাগ মিলিয়ে আমরা ৮০ বিলিয়ন অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারব বলে জানিয়েছি। এর মধ্যে কাস্টমস থেকে বেশি করার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন, আর বাকি দুই বিভাগ থেকে ৭৫ বিলিয়ন।’
ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আইএমএফ দলকে আমরা বোঝাতে সক্ষম। লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে। তবে কতটুকু কমাবে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, সেটাই পূরণ হয়নি। ফলে নতুন করে যে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা করার জন্য রাজনৈতিক ও এনবিআরে প্রশাসনিক দৃঢ়তা না থাকলে অসম্ভব হয়ে যাবে।’
আর্থিক সংকটে পড়ে দীর্ঘ আলোচনা ও সমঝোতা শেষে ২০২৩ সালে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার, অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি রাজস্ব সংস্কারের বেশ কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওইসব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে ঢাকা সফর করে। আগের মতো এবারও ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, যা আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার কেবল ১৪ শতাংশ বা ৭ ভাগের একভাগ।
তবে আইএমএফকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এনবিআর। তাদের শর্তের কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো, নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার বিষয়ে জানিয়েছে এনবিআর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে এসব নিয়ে দেন–দরবার করেছে সংস্থাটি। সেখানে অংশ নেন এনবিআরের তিন বিভাগের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯–এ উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এর জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের পক্ষে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়, তা আইএমএফও জানে। তারপরও আগামী অর্থবছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছে সংস্থাটি। এখন এনবিআরের পক্ষে থেকে অপারগতা ও প্রকৃত সক্ষমতা জানানোর পাশাপাশি রাজস্ব খাতে সংস্কারের উদ্যোগী মনোভাবও বোঝানো হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছে। সামনে আরও বৈঠক হবে। এতে আশা করা হচ্ছে যে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে আইএমএফ।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা বলেছে ৫৭০ বিলিয়ন রাজস্ব আয়ের কথা, আমরা তিন বিভাগ (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস) মিলিয়ে ৮০ বিলিয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছি। বাড়তি রাজস্ব আয়ের উপায় হিসেবে, সানসেট ক্লজ, অর্থাৎ যেসব জায়গায় কর-শুল্ক অব্যাহতি বা ছাড় দেওয়া আছে, সেগুলো যেন আর বাড়ানো না হয়, সেটার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা গুড ভাইব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এনবিআর চেয়ারম্যান স্যার ছিলেন, আমরা ভালো ব্যাকআপ পেয়েছি। উনি বলেছেন, আমরা এটা এটা করতে পারব না। তবে আমরা এও বলেছি, চিন্তা করো না। আমরা এই এই জিনিসগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আইএমএফ নিজেদের শর্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি, তারা (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা কমানোর চিন্তাভাবনা করতে পারে। তারা চিন্তা করছে, কারণ এটা প্রায় অসম্ভব।’
ওই এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাদের কিছু নীতি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো কিছু কিছু অ্যাকোমোডেট করব। সেগুলো শুধু ঋণের জন্য নয়, গুড পলিসি স্ট্রাকচারের জন্যও দরকার।’
একই বিষয়ে কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের তিন বিভাগ মিলিয়ে আমরা ৮০ বিলিয়ন অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারব বলে জানিয়েছি। এর মধ্যে কাস্টমস থেকে বেশি করার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন, আর বাকি দুই বিভাগ থেকে ৭৫ বিলিয়ন।’
ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আইএমএফ দলকে আমরা বোঝাতে সক্ষম। লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে। তবে কতটুকু কমাবে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, সেটাই পূরণ হয়নি। ফলে নতুন করে যে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা করার জন্য রাজনৈতিক ও এনবিআরে প্রশাসনিক দৃঢ়তা না থাকলে অসম্ভব হয়ে যাবে।’
আর্থিক সংকটে পড়ে দীর্ঘ আলোচনা ও সমঝোতা শেষে ২০২৩ সালে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার, অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি রাজস্ব সংস্কারের বেশ কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওইসব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে ঢাকা সফর করে। আগের মতো এবারও ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, যা আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার কেবল ১৪ শতাংশ বা ৭ ভাগের একভাগ।
তবে আইএমএফকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এনবিআর। তাদের শর্তের কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো, নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার বিষয়ে জানিয়েছে এনবিআর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফের সঙ্গে এসব নিয়ে দেন–দরবার করেছে সংস্থাটি। সেখানে অংশ নেন এনবিআরের তিন বিভাগের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯–এ উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এর জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের পক্ষে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব নয়, তা আইএমএফও জানে। তারপরও আগামী অর্থবছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নিতে বলেছে সংস্থাটি। এখন এনবিআরের পক্ষে থেকে অপারগতা ও প্রকৃত সক্ষমতা জানানোর পাশাপাশি রাজস্ব খাতে সংস্কারের উদ্যোগী মনোভাবও বোঝানো হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিষয়টা অনুধাবন করতে পেরেছে। সামনে আরও বৈঠক হবে। এতে আশা করা হচ্ছে যে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে আইএমএফ।
এ বিষয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা বলেছে ৫৭০ বিলিয়ন রাজস্ব আয়ের কথা, আমরা তিন বিভাগ (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস) মিলিয়ে ৮০ বিলিয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছি। বাড়তি রাজস্ব আয়ের উপায় হিসেবে, সানসেট ক্লজ, অর্থাৎ যেসব জায়গায় কর-শুল্ক অব্যাহতি বা ছাড় দেওয়া আছে, সেগুলো যেন আর বাড়ানো না হয়, সেটার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা গুড ভাইব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এনবিআর চেয়ারম্যান স্যার ছিলেন, আমরা ভালো ব্যাকআপ পেয়েছি। উনি বলেছেন, আমরা এটা এটা করতে পারব না। তবে আমরা এও বলেছি, চিন্তা করো না। আমরা এই এই জিনিসগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আইএমএফ নিজেদের শর্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি, তারা (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা কমানোর চিন্তাভাবনা করতে পারে। তারা চিন্তা করছে, কারণ এটা প্রায় অসম্ভব।’
ওই এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাদের কিছু নীতি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো কিছু কিছু অ্যাকোমোডেট করব। সেগুলো শুধু ঋণের জন্য নয়, গুড পলিসি স্ট্রাকচারের জন্যও দরকার।’
একই বিষয়ে কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের তিন বিভাগ মিলিয়ে আমরা ৮০ বিলিয়ন অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারব বলে জানিয়েছি। এর মধ্যে কাস্টমস থেকে বেশি করার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ ৫ বিলিয়ন, আর বাকি দুই বিভাগ থেকে ৭৫ বিলিয়ন।’
ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আইএমএফ দলকে আমরা বোঝাতে সক্ষম। লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনবে। তবে কতটুকু কমাবে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, সেটাই পূরণ হয়নি। ফলে নতুন করে যে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা করার জন্য রাজনৈতিক ও এনবিআরে প্রশাসনিক দৃঢ়তা না থাকলে অসম্ভব হয়ে যাবে।’
আর্থিক সংকটে পড়ে দীর্ঘ আলোচনা ও সমঝোতা শেষে ২০২৩ সালে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার, অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি রাজস্ব সংস্কারের বেশ কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওইসব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে ঢাকা সফর করে। আগের মতো এবারও ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে
০৯ এপ্রিল ২০২৫
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

চলমান ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রোডম্যাপ দেখতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৫৭ হাজারের বিপরীতে কেবল ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে বলে জানিয়েছে
০৯ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে