Ajker Patrika

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যক্রম নিয়ে তৈরি করা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের সুপারিশ, জুলাই জাতীয় সনদ ছাড়াও ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ার সময় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর দেওয়া মতামত, আলোচনার সারসংক্ষেপ, কমিশনের অন্যান্য নথিপত্র ও কমিশনের করা জনমত জরিপের ফলাফল রয়েছে।

প্রতিবেদনের সব খণ্ড reform.gov.bd ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  

 ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অক্টোবর থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

এর মধ্যে প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

অপর পাঁচটি কমিশনের প্রধানদের এই কমিশনের সদস্য হিসেবে রাখা হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের অপারগতার কারণে ওই দুই কমিশনের জ্যেষ্ঠ দুজন সদস্যকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে কয়েক ধাপের ধারাবাহিক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ।

এরপর গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়। এরই মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ জারি করে। এ আদেশের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তৈরি আট খণ্ডের প্রতিবেদনের পাশাপাশি ১১টি সংস্কার কমিশনের সব প্রতিবেদনও ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন বিভিন্ন ব্রিজে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ পন্টেজ চার্জ আরোপ করায় বিভিন্ন রুটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ১১টি ব্রিজে অভিন্ন পন্টেজ চার্জ বা ভাড়ার দূরত্ব আরোপ করা হচ্ছে। ২০ ডিসেম্বর বর্ধিত এ ভাড়া কার্যকর হবে।

এর মধ্যে কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে এসি বার্থে ভাড়া ২ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ হাজার ৬৪৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ভাড়া বেড়েছে ২১৪ টাকা।

আজ মঙ্গলবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত রেললাইনের ওপরে ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের কোনো সেতু বা স্থাপনা থাকলে সেটির জন্য ‘পন্টেজ চার্জ’ আদায় করা হয়। এটি যাত্রীদের ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ভাড়ার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা (বিরতিযুক্ত আন্তনগর ট্রেন) রুটে আগে দূরত্ব ছিল ৩৪৬ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগে ভাড়া ছিল ৪০৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪৫০ টাকা। প্রথম শ্রেণির সিটের ভাড়া ৬২১ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৭৭৭ থেকে বেড়ে ৮৫৭, এসি সিট ৯৩২ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩০ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৪৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫৯১ টাকা করা হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা (নন-স্টপ ট্রেন) রুটে আগে দূরত্ব ছিল ৩৪৬ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগে ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪৯৫ টাকা। এসি চেয়ার ৮৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯৪৩ টাকা, এসি সিট ১ হাজার ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৩৩ টাকা হয়েছে।

কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার (নন-স্টপ ট্রেন) রুটে আগে দূরত্ব ছিল ৫৩৫ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৫৮৩ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগে ভাড়া ছিল ৬৯৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৭৫৪ টাকা। এসি চেয়ার ১ হাজার ৩২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ১ হাজার ৫৯০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৭২৮ এবং এসি বার্থ ২ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬৪৪ টাকা করা হয়েছে।

ঢাকা-সিলেট-ঢাকা (বিরতিযুক্ত আন্তনগর ট্রেন) রুটে আগে দূরত্ব ছিল ৩১৯ কিলোমিটার, নতুন দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। এই রুটের ট্রেনে শোভন চেয়ারে আগে ভাড়া ছিল ৩৭৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪১০ টাকা। প্রথম শ্রেণির সিটের ভাড়া ৫৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩৩ টাকা, এসি চেয়ার ৭১৯ থেকে বেড়ে ৭৮৮, এসি সিট ৮৬৩ থেকে বেড়ে ৯৪৩ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৩৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪৬৫ টাকা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে পন্টেজ চার্জ আরোপের ফলে বর্ধিত ভাড়া এর আগেই কার্যকর করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া সমন্বয় করা হলে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যমান ভাড়ায় সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হজযাত্রীদের প্লেনের টিকিটে ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের হজযাত্রীদের আর বিমান টিকিট কেনার সময় অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক গুনতে হবে না। হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে গমনকারী যাত্রীদের টিকিটে আরোপিত আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে সংস্থাটি জানিয়েছে, সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

বর্তমানে সৌদি আরবগামী প্রতিটি বিমান টিকিটে পাঁচ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। হজযাত্রীদের সহায়তার অংশ হিসেবে এ খরচ তুলে নেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের টিকিটে এই করছাড় প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার দিয়েছে এনবিআর। করোনাভাইরাস মহামারি ও পরবর্তী সময়ে বিমান ভাড়ার ঊর্ধ্বগতির সময়ও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

এনবিআর জানায়, সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রির সময়ই ট্রাভেল ট্যাক্স ও আবগারি শুল্ক সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। তবে ধর্মীয় যাত্রীদের জন্য এই শুল্ক ছাড় দেওয়া সরকারের পূর্ববর্তী নীতিরই ধারাবাহিকতা।

এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, হজযাত্রীদের যাত্রা যেন ব্যয়বহুল না হয়, সে বিবেচনায় শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি রাজস্ব প্রবাহে খুব বড় প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু লাখো মানুষের ধর্মীয় পালন সহজ হবে।

তিনি বলেন, বিমান সংস্থাগুলোকেও নির্দেশ দেওয়া হবে যেন শুল্ক প্রত্যাহারের সুবিধাটি পরিষ্কারভাবে টিকিটের ইনভয়েসে প্রতিফলিত হয়। অনেক সময় এজেন্সিগুলো যাত্রীদের ঠিকভাবে তথ্য দেয় না।

তথ্য বলছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করতে পারবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, বিমান ভাড়া এখনো তুলনামূলক বেশি। তার ওপর আবগারি শুল্ক যুক্ত থাকলে হজযাত্রার খরচ আরও বাড়ত। সরকার ছাড় দেওয়ায় হজযাত্রীদের ব্যয় কিছুটা হলেও কমবে, যা অনেক পরিবারকে হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এ ধরনের করনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থির করা দরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। ছবি সংগৃহীত
সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। ছবি সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের আয়কর নথির জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম।

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ চেয়ে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সরকার বলেন, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আছে।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৮ টাকা সন্দেহজনক জমা এবং ৬ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার ৪৮৭ টাকা সন্দেহজনক উত্তোলনসহ মোট ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৫ টাকা মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধে মামলা হয়েছে।

তদন্তের স্বার্থে এনামুর রহমানের ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন; যা ঢাকার কর অঞ্চল-১০-এ রক্ষিত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিবারসহ সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ফাইল ছবি
পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, তাঁর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, ভাই প্রণব কুমার সরকার ও ভাইয়ের স্ত্রী শাহানারা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম।

পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি বলেন, বিপ্লব কুমার সরকার ও অন্যদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিজীবী হয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত আয়ের উৎস আড়াল করার অভিযোগ রয়েছে। নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ২১টি ব্যাংকের ৩২৫টি, দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তিনটি, সাতটি ব্রোকারেজ হাউসের ১৩টিসহ মোট ৩৪১টি হিসাবের মাধ্যমে ৩০ কোটি ৭২ লাখ টাকা জমা ও ৩০ কোটি ১৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তাঁরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করা ও নামে-বেনামে সম্পত্তি ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব কুমার সরকার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। এ জন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁদের দেশত্যাগ রহিত করা আবশ্যক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত