
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনার পতনের এক দফা আন্দোলন সফল হয়েছে। কয়েক শ মানুষের প্রাণহানির পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পতন হয়েছে তাঁর কর্তৃত্ববাদী সরকারের। তবে সামনের দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সেই ঘটনায় প্রায় চার দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক বিশ্লেষণে বলছে, এই অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রধান পাঁচটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও এই সরকারে সামরিক বাহিনীর বড় প্রভাব থাকবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকের আশঙ্কা, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ হলে সরকারে নিজেদের কর্তৃত্ব দৃঢ় করার সুযোগ পাবে সেনাবাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী সরকারে সক্রিয় ভূমিকা ও রাজনীতির কেন্দ্রে থাকার বিষয়ে অতটা আগ্রহী নয়, যেমনটা কয়েক দশক আগে দেখা গিয়েছিল।’
আইনশৃঙ্খলা
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপরো। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাঁর দলের নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হচ্ছে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার খবরও পাওয়া গেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী ও কূটনীতিকেরা এসব হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্মৃতি সিং বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বাক্স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পথ তৈরি করা। একই সঙ্গে নতুন করে যাতে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সরকারকে সহযোগিতা করে, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হয়ে আসবে।
অর্থনীতি
নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ; কিন্তু এর পরও দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই সমানভাবে পায়নি।
সাম্প্রতিক অস্থিরতা দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাতকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। সহিংসতার সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বাংলাদেশে পোশাক কারখানা আছে সাড়ে ৩ হাজার। দেশটির বার্ষিক সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক রপ্তানি থেকে।
বিশ্বের শীর্ষ খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান হুলা গ্লোবাল জানিয়েছে, কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশের বদলে অন্য দেশে দিয়েছে তারা।
নির্বাচন
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের মাধ্যমে—যে নির্বাচনটি বিরোধীরা বয়কট করেছিল—শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, সেই নির্বাচন দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই অগ্রহণযোগ্য ছিল। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক টমাস কিনের মতে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল, তার একটি বড় কারণ এটি।
সংস্থাটি বলছে, গত ১৫ বছরে দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, কবে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবেন, সেসব সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।
ন্যায়বিচার
শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আন্দোলন দমনে ব্যর্থ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে পুলিশপ্রধান এবং একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার ছাত্র-জনতা ছাড়াও রাজনৈতিক বন্দীদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের মতে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে কাজ শুরু করবে বলে আশা করছি এবং নতুন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি হবে, যেই ব্যবস্থার ওপর আস্থা থাকবে মানুষের। একই সঙ্গে সরকার জনগণকে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।’
ক্রাইসিস গ্রুপের টমাস কিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো দায়িত্ব নিতে হবে নতুন সরকারকে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনার পতনের এক দফা আন্দোলন সফল হয়েছে। কয়েক শ মানুষের প্রাণহানির পর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পতন হয়েছে তাঁর কর্তৃত্ববাদী সরকারের। তবে সামনের দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সেই ঘটনায় প্রায় চার দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক বিশ্লেষণে বলছে, এই অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রধান পাঁচটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও এই সরকারে সামরিক বাহিনীর বড় প্রভাব থাকবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকের আশঙ্কা, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ হলে সরকারে নিজেদের কর্তৃত্ব দৃঢ় করার সুযোগ পাবে সেনাবাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী সরকারে সক্রিয় ভূমিকা ও রাজনীতির কেন্দ্রে থাকার বিষয়ে অতটা আগ্রহী নয়, যেমনটা কয়েক দশক আগে দেখা গিয়েছিল।’
আইনশৃঙ্খলা
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপরো। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাঁর দলের নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হচ্ছে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার খবরও পাওয়া গেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী ও কূটনীতিকেরা এসব হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্মৃতি সিং বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বাক্স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পথ তৈরি করা। একই সঙ্গে নতুন করে যাতে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সরকারকে সহযোগিতা করে, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হয়ে আসবে।
অর্থনীতি
নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ; কিন্তু এর পরও দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই সমানভাবে পায়নি।
সাম্প্রতিক অস্থিরতা দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাতকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। সহিংসতার সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বাংলাদেশে পোশাক কারখানা আছে সাড়ে ৩ হাজার। দেশটির বার্ষিক সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক রপ্তানি থেকে।
বিশ্বের শীর্ষ খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক অস্থিরতার মধ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান হুলা গ্লোবাল জানিয়েছে, কিছু ক্রয়াদেশ বাংলাদেশের বদলে অন্য দেশে দিয়েছে তারা।
নির্বাচন
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের মাধ্যমে—যে নির্বাচনটি বিরোধীরা বয়কট করেছিল—শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, সেই নির্বাচন দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই অগ্রহণযোগ্য ছিল। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক টমাস কিনের মতে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল, তার একটি বড় কারণ এটি।
সংস্থাটি বলছে, গত ১৫ বছরে দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, কবে নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবেন, সেসব সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।
ন্যায়বিচার
শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আন্দোলন দমনে ব্যর্থ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে পুলিশপ্রধান এবং একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার ছাত্র-জনতা ছাড়াও রাজনৈতিক বন্দীদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের মতে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে কাজ শুরু করবে বলে আশা করছি এবং নতুন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি হবে, যেই ব্যবস্থার ওপর আস্থা থাকবে মানুষের। একই সঙ্গে সরকার জনগণকে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।’
ক্রাইসিস গ্রুপের টমাস কিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো দায়িত্ব নিতে হবে নতুন সরকারকে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়
০৯ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়
০৯ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩৩ মিনিট আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়
০৯ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেখ হাসিনার পতন ও তাঁর দেশত্যাগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী একটি সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হবে বেসামরিক নেতৃত্বে। তবে এই সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব কতটা থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়
০৯ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
৩৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগে