Ajker Patrika

চাকরির পুরো কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চান শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১: ৪৫
চাকরির পুরো কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চান শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ১০ শতাংশ কোটা রেখে তা পুনর্বণ্টন এবং পুরো কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে গতকাল সোমবার সমাবেশ করেছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও দলনিরপেক্ষ ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্যসচিব নাহিদ হাসান। 

চার দফা দাবি হলো—২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল এবং কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অনধিক ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

সমাবেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের যদি সুযোগ-সুবিধা আরও প্রয়োজন হয়, তাহলে সেগুলো দেওয়া হোক। কিন্তু যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁরা যুদ্ধ করেছেন, সেই বৈষম্য বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশের পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। 

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকাজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করেন। পরে অবরোধ তুলে নিয়ে পুনরায় শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশ করেন তাঁরা। 

জাবির সমাবেশে বলা হয়, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রেই ফ্যাসিস্টরা ছাত্রসমাজের সঙ্গে টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল না করে পারবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। সরকারি চাকরিতে কোটা কখনোই কাম্য নয়। চাকরি কোটায় নয়, মেধায় হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের বিশেষ নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ও মাঠপর্যায়ের অফিসের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া ইসির এক চিঠিতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং সিনিয়র সচিবের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট বিদ্যমান থাকলেও নির্বাচনকালে তাঁর জন্য অতিরিক্ত আরও একটি গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট প্রয়োজন। এ ছাড়া চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের ঢাকার বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট দেওয়া প্রয়োজন।

এ ছাড়া মহাপুলিশ পরিদর্শককে দেওয়া অন্য চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারির পর দুর্বৃত্তরা লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশে মাঠপর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্র, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নির্বাচনী মালপত্রের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানালেন রোকেয়া পদকজয়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং
‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং

‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন এ বছর বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত রুবহানা রাকিব, নাবিলা ইদ্রিস, কল্পনা আক্তার ও ঋতুপর্ণা চাকমা। এ সময়ে তাঁরা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান রোকেয়া পদকজয়ীরা।

রোকেয়া পদকজয়ীরা বলেন, আপনার কাছে সংবর্ধনা পাব এ নিয়ে উৎফুল্ল ছিলাম। কিন্তু গতকালকের ঘটনা পর আমরা বিচলিত। নির্বাচনের জন্য দেশের রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে ঐক্য বাড়ানো প্রয়োজন বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমি পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। নিয়মিত হাদির চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তারাও সহায়তা করছে।’

রোকেয়া পদকজয়ী প্রত্যেকের কাছে নিজ নিজ কর্মস্থল ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

শ্রম আইনের পরিবর্তন ও শ্রম কনভেশনে স্বাক্ষর করায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত কল্পনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের পরিবর্তন ও কনভেশন-দুটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এত অল্প সময়ের মধ্যে আপনি এটা করে দিয়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ।’

কল্পনা আক্তার আরও বলেন, ‘গত সরকারের আমলে মামলা দিয়ে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। গুলশানের নাভানা টাওয়ার থেকে চশমা লুটের মতো অবাস্তব ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন করে, শ্রমিক অধিকারে কাজ করে এমন কেউ রোকেয়া পদক পাবে এটা আগে কখনো কেউ ভাবেনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কল্পনা আক্তার একজন শক্তিশালী নারী, সব সময় ন্যায্য কথা বলেন। বিশ্বজুড়ে তাঁকে সবাই সম্মান করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যা যা করার কথা ছিল এর কোনো কিছুই করা হয়নি। শ্রম অধিকার ও কনভেশন এগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল। চেষ্টা ছিল, যতটুকু পারি করে দিয়ে যাব।’ তিনি শ্রমিকদের বেতন, কর্মপরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে কল্পনা আক্তারের কাছে জানতে চেয়েছেন এবং শ্রম আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

গবেষক ড. রুবহানা রাকিবের কাছে আইসিডিডিআরবি’র (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) সার্বিক খোঁজ খবর নেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিষ্ঠান ও রোহিঙ্গারা। এ নিয়ে সরকার নিরন্তরভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার কাছেও দলের ব্যাপারে সার্বিক খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী দলের থাকা-খাওয়া-অনুশীলনের ব্যবস্থা, দলে নতুন খেলোয়াড় আসছে কি না, যারা আসছে তারা কেমন পারফর্ম করছে, এসব বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাই তোমাদের (নারী ফুটবল দল) ভক্ত। তোমাকে বহু ছেলেমেয়েরা অনুসরণ করে। তোমাকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তোমাকে সম্মানিত করার অর্থ হলো তোমাকে যারা অনুসরণ করে, তাদেরও অনুপ্রাণিত করা। আমরা চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও অনুপ্রাণিত হোক।’

মানবাধিকার ক্যাটাগরিতে রোকেয়া পদকজয়ী নাবিলা ইদ্রিসের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তুমি শুরু থেকেই তোমার দৃঢ়তার জন্য প্রশংসিত হয়েছ। মানুষের মধ্যে তুমি সাহস জুগিয়েছো। বহু মানুষকে মানবাধিকার নিয়ে সচেতন করেছ। আগামী দিনগুলোতেও যেন তোমার লড়াই অটুট থাকে।’

প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের বিচার শুরু করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নাবিলা। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত এবং বিচার এখন যে পর্যায়ে এসেছে এটি ঐতিহাসিক। আপনি না থাকলে আমরা গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার দেখতে পারতাম না।’

অনুষ্ঠানে রোকেয়া পদকজয়ী চারজনকে গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক সংগ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে তাঁর নিজের লেখা বই ‘বেলতৈল গ্রামের জরিমন, ও অন্যান্যরা’ উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৭
সুদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত

সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে যাওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির আবেই-তে সন্ত্রাসীদের হামলায় তাঁরা নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই পোস্টে বলা হয়, সুদানের আবেই-তে আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউ এন ঘাঁটি আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন শান্তিরক্ষী নিহত, ৮ জন আহত। যুদ্ধ চলমান রয়েছে।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সুদানের কোরদোফান এলাকায় জাতিসংঘের ভবনে হামলা হয়েছে। এই হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ১৪ জন শান্তিরক্ষী হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন শান্তিরক্ষী নিহত এবং ৮ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন (সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী)।

জানা যায়, উক্ত এলাকায় পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাসময়ে জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি: টিআইবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এ ষড়যন্ত্রমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে আমলাতন্ত্রের করায়ত্ত করায় গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি।

টিআইবি বলছে, বহুল প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে কীভাবে আমলাতান্ত্রিক অনমনীয়তা ও অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে জিম্মি করা হচ্ছে, অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রক্রিয়াই তার প্রমাণ। অংশীজনদের অন্ধকারে রেখে বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা মূলত কমিশন গঠনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার কর্তৃত্ববাদী চর্চারই বহিঃপ্রকাশ।

সরকারি প্রভাবের বাইরে থেকে স্বাধীন ও কার্যকর কমিশন গঠনের সম্ভাবনা পুরোপুরি নস্যাৎ হয়ে গেছে। এটিকে সংস্কারবিরোধী আমলাতান্ত্রিক স্বার্থান্বেষী চক্রের কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের বিব্রতকর দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৯ নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশের পর কিছু দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও অংশীজনেরা আশাবাদী ছিলেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল, আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কমিশন গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কিন্তু মাত্র এক মাসের মধ্যেই সেই সম্ভাবনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত ৮ ডিসেম্বর গঠিত বাছাই কমিটিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। বাছাই কমিটিতে এ ধরনের পরিবর্তন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং অতীতে মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের অকার্যকারিতার পেছনে যে সরকারি প্রভাব কাজ করেছে, সেই একই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।

বাছাই কমিটির ওপর এ আমলাতান্ত্রিক জবরদখল ও সরকারের তা মেনে নেওয়াকে চরম হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধ্যাদেশে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ প্রতিরোধে জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ গঠনের মতো প্রশংসনীয় বিধান সংযোজন করা হলেও, শুধু বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের অন্তর্ভুক্তিই কমিশনের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

এ ছাড়া কমিশনের আদেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে ‘অবহিত করা যাইবে’–এ ধরনের শব্দচয়ন যুক্ত করাসহ আরও কিছু বিধান সংযোজনের মাধ্যমে অধ্যাদেশটির ইতিবাচক সম্ভাবনাগুলো কার্যত পদদলিত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অবিলম্বে আমলাতান্ত্রিক অন্তর্ঘাতমূলক সংস্কারবিরোধী চক্রের কাছে আত্মসমর্পণের অবস্থান থেকে সরে এসে অধ্যাদেশটির ওপর আরোপিত বিতর্কিত বিধান প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের লক্ষ্যে জারি করা ৬২ নম্বর অধ্যাদেশে (৯ নভেম্বর ২০২৫) বাছাই কমিটিতে কোনো আমলাতান্ত্রিক প্রতিনিধি ছিল না। এটি কমিশনের অকার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সরকার ও অংশীজনদের সম্মিলিত স্বীকৃতিরই প্রতিফলন ছিল। তবে পরবর্তীকালে ৮ ডিসেম্বর গেজেটে প্রকাশিত সংশোধিত ৭৪ নম্বর অধ্যাদেশে, প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের অজ্ঞাতসারে একতরফাভাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করে আমলাতান্ত্রিক আধিপত্য নিশ্চিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত