আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক রেস্তোরাঁ, কারখানাসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাজের জায়গায় গিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোরকে নগণ্য পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেখেছেন।
রাজধানীতে কায়িক শ্রমনির্ভর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। অভাবের তাড়নায় ছোট ছোট হাতগুলো ধরেছে ঝাড়ু, তেলকালিমাখা যন্ত্রপাতি কিংবা লোহা কাটার ভারী যন্ত্র।
মালিটোলার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতে দেখা যায় মাত্র ১১ বছর বয়সী সুলতানকে। পরনে মলিন জামাকাপড়, অনবরত পানিতে ভিজে ভিজে সিঁটিয়ে যাওয়া হাতের তালু। সকাল ৮টায় কাজ শুরু হয় সুলতানের, শেষ হয় রাত ১১টায়; যার অর্থ দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার পালা। থালাবাসন ধোয়া, ঝাড়ু দেওয়া, খাবার পরিবেশনসহ সব ধরনের কাজই করতে হয় তাকে। মাসজুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সুলতান বেতন পায় ৬ হাজার টাকা। একজন পূর্ণবয়স্ক কর্মীকে দিতে হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন। এমনই আরেকজনের সঙ্গে কথা হয় নীলক্ষেত মোড়-সংলগ্ন বাবুপুরার এক রেস্তোরাঁয়। আলভি নামের ১৩ বছরের কিশোরটি দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে মাসে বেতন পায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বয়সে নবীন আলভির কাছে অবশ্য তা মোটেই খারাপ নয়। এই প্রতিবেদককে সে বলল, ‘আমাকে ভালোই বেতন দেয় তারা। থাকা-খাওয়াসহ সাড়ে সাত হাজার টাকা পাই মাসে।’
ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে কাজ করে ১২ বছরের কিশোর দিদার হোসেন। কথা বলার সময় আপাদমস্তক ধুলো আর তেলকালিমাখা চেহারায় ছিল সে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা যন্ত্রাংশ তৈরি আর মেরামত করে মাসে তার আয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। দিদার জানাল, মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা এখানে কাজ করতে পাঠান। কারখানার মালিক সম্পর্কে তার মামা হলেও দুই বছর ধরে পারিশ্রমিক বাড়েনি।
ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের পুরোনো ও পরিত্যক্ত মালপত্রের কারখানায় কাজ করে অনেক শিশু-কিশোর। তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। নাম জানাতে আপত্তি তার, বয়স জিজ্ঞেস করে জানা যায় ১৪ বছর। হাতের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষতচিহ্ন। ছেলেটির কাজ হলো ভারী যন্ত্র দিয়ে জাহাজের লোহা কেটে টুকরো বা সমান করা। বড় লোহার খণ্ড হাত ফসকে পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। খুব ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য বড়দের মাসিক মজুরি যেখানে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে এই কিশোরকে দেওয়া হয় মাত্র ৮ হাজার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭ জন শিশুশ্রমিক আছে। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯। বর্তমান শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছরের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দুই লাখের মতো কমেছে।
বিদ্যমান আইনে (শ্রম আইন, ২০০৬) বলা হয়েছে, কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুকে নিয়োগ করা বা কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে সক্ষমতা থাকা সাপেক্ষে কোনো কিশোরকে তার পিতা-মাতার অনুমতিতে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। এই আইনে ১৪ বছর পূর্ণ হওয়া কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সীরা কিশোর হিসেবে বিবেচিত। কিশোরদের অনুমোদিত কর্মঘণ্টার ব্যাপারে বলা হয়েছে, অধিকালসহ কারখানার ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না একজন কিশোরকে দিয়ে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে শিশু-কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ কোনোভাবেই থাকতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, সব খাতেই শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো শিশুশ্রমমুক্ত হলেও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো এখনো মুক্ত হতে পারেনি। নতুনভাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। আশা করি, এটি কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমরা শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
এ বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মী লায়লা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারিদ্র্যের দোহাই দিয়ে শিশুশ্রমকে বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও শিশুশ্রম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একটি শিশুকে এক মিনিটও যেন শ্রমিকের কাজ করতে না হয়।’

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন ও প্রচার থাকা সত্ত্বেও জনবহুল এই দেশের শ্রম খাতে লাখো শিশু কর্মরত। তাদের অনেকে কঠিন পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে কাজের ধরন ও কর্মঘণ্টাসংক্রান্ত আইনের বিধিনিষেধ মানা হয় না বললেই চলে। মূলত অনেক কম পারিশ্রমিকে খাটানোর সুযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ..
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৫ ঘণ্টা আগে