মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে। এসব অঞ্চলে বছরজুড়ে যতসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে, তার প্রায় অর্ধেক এসেছে গত আগস্টে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক হালনাগাদকৃত তথ্যে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৭৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন থাকা ১২২ রোগী। শুধু সদ্য শেষ হওয়া আগস্টেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ রোগী। এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বছরজুড়ে শুধু রাজধানীতে রোগী ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার। এর মধ্যে গত এক মাসে হাসপাতালে এসেছে ৩ হাজার। রাজধানীর বাইরে সারা দেশে মোট রোগী ২৩ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে গত মাসে সাড়ে ৭ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সোয়া ৪ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫০, চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৫ হাজার, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৭০০, রাজশাহী বিভাগে সোয়া ২ হাজার, রংপুর বিভাগে ২০০, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের বেশি এবং সিলেট বিভাগে ১১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৪৯ শতাংশ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৩৬ শতাংশ, খুলনায় ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৪ শতাংশ, রংপুরে ৪৬ শতাংশ, বরিশালে ২২ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৬২ শতাংশ। গত এক মাসে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুরে রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সামনের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে বর্তমানে ডেন-২ ও ডেন-৩ সংক্রমণ বেশি। তবে জিনগত গবেষণা না হওয়ায় মিউটেশন হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির পেছনে দায়ী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার বৃদ্ধি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়াতে পারে।
‘রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ কঠিন’
ডেঙ্গু রোগের অঞ্চলভিত্তিক রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া সংক্রামক এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বারবার বলা হয়েছে। দৃশ্যত সরকার ডেঙ্গুকে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা মনে করছে না। সরকারের দেখা উচিত, এডিস মশা বর্তমানে ব্যবহৃত কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কি না। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর হার বেশি। যেসব দেশ মৃত্যু ও রোগ কমিয়ে এনেছে, তারা রোগতত্ত্বের জায়গায় গুরুত্ব দিয়েছে।’
‘মশা নির্মূলে যথাযথ কার্যক্রম নেই’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যথাযথ না হওয়ায় মশা নির্মূল করা যাচ্ছে না। মশা এখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হচ্ছে। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ এবং রোগী ব্যবস্থাপনায় সদিচ্ছার অভাব থাকায় ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিবছর সংকট সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি দেশে সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। বৃষ্টির পর এডিস মশা ডিম পাড়ে, ডিম লার্ভায় পরিণত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরিণত মশায় রূপ নেয়।
সিলেটে ডেঙ্গুর বিস্তার বাইরে থেকে?
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলছেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ডেঙ্গু রোগীদের বেশির ভাগই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাশে। এখানে ডেঙ্গু মূলত ঢাকা বা অন্যান্য বিভাগ থেকে আসা রোগীর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনেও এত রোগী দেখা যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পুরো বিভাগটিই পর্যটন অঞ্চল। মূলত পর্যটকদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি।’
রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা যে কারণে নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বর্তমানে (স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কর্মসূচির) অপারেশনাল প্ল্যান না থাকায় রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা কম হচ্ছে। তবে আইইডিসিআর গবেষণা করছে। সার্ভেও কয়েকটি হয়েছে। কয়েকটি চলছে। মশা বা মাছি নির্মূলের কাজ স্থানীয় সরকারের। আমরা স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত দুই যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে ২০২৩ সালে। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন। ২০১৯ সালে প্রথম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু।

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে। এসব অঞ্চলে বছরজুড়ে যতসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে, তার প্রায় অর্ধেক এসেছে গত আগস্টে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক হালনাগাদকৃত তথ্যে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৭৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন থাকা ১২২ রোগী। শুধু সদ্য শেষ হওয়া আগস্টেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ রোগী। এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বছরজুড়ে শুধু রাজধানীতে রোগী ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার। এর মধ্যে গত এক মাসে হাসপাতালে এসেছে ৩ হাজার। রাজধানীর বাইরে সারা দেশে মোট রোগী ২৩ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে গত মাসে সাড়ে ৭ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সোয়া ৪ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫০, চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৫ হাজার, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৭০০, রাজশাহী বিভাগে সোয়া ২ হাজার, রংপুর বিভাগে ২০০, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের বেশি এবং সিলেট বিভাগে ১১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৪৯ শতাংশ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৩৬ শতাংশ, খুলনায় ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৪ শতাংশ, রংপুরে ৪৬ শতাংশ, বরিশালে ২২ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৬২ শতাংশ। গত এক মাসে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুরে রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সামনের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে বর্তমানে ডেন-২ ও ডেন-৩ সংক্রমণ বেশি। তবে জিনগত গবেষণা না হওয়ায় মিউটেশন হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির পেছনে দায়ী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার বৃদ্ধি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়াতে পারে।
‘রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ কঠিন’
ডেঙ্গু রোগের অঞ্চলভিত্তিক রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া সংক্রামক এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বারবার বলা হয়েছে। দৃশ্যত সরকার ডেঙ্গুকে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা মনে করছে না। সরকারের দেখা উচিত, এডিস মশা বর্তমানে ব্যবহৃত কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কি না। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর হার বেশি। যেসব দেশ মৃত্যু ও রোগ কমিয়ে এনেছে, তারা রোগতত্ত্বের জায়গায় গুরুত্ব দিয়েছে।’
‘মশা নির্মূলে যথাযথ কার্যক্রম নেই’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যথাযথ না হওয়ায় মশা নির্মূল করা যাচ্ছে না। মশা এখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হচ্ছে। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ এবং রোগী ব্যবস্থাপনায় সদিচ্ছার অভাব থাকায় ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিবছর সংকট সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি দেশে সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। বৃষ্টির পর এডিস মশা ডিম পাড়ে, ডিম লার্ভায় পরিণত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরিণত মশায় রূপ নেয়।
সিলেটে ডেঙ্গুর বিস্তার বাইরে থেকে?
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলছেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ডেঙ্গু রোগীদের বেশির ভাগই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাশে। এখানে ডেঙ্গু মূলত ঢাকা বা অন্যান্য বিভাগ থেকে আসা রোগীর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনেও এত রোগী দেখা যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পুরো বিভাগটিই পর্যটন অঞ্চল। মূলত পর্যটকদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি।’
রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা যে কারণে নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বর্তমানে (স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কর্মসূচির) অপারেশনাল প্ল্যান না থাকায় রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা কম হচ্ছে। তবে আইইডিসিআর গবেষণা করছে। সার্ভেও কয়েকটি হয়েছে। কয়েকটি চলছে। মশা বা মাছি নির্মূলের কাজ স্থানীয় সরকারের। আমরা স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত দুই যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে ২০২৩ সালে। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন। ২০১৯ সালে প্রথম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে। এসব অঞ্চলে বছরজুড়ে যতসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে, তার প্রায় অর্ধেক এসেছে গত আগস্টে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক হালনাগাদকৃত তথ্যে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৭৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন থাকা ১২২ রোগী। শুধু সদ্য শেষ হওয়া আগস্টেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ রোগী। এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বছরজুড়ে শুধু রাজধানীতে রোগী ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার। এর মধ্যে গত এক মাসে হাসপাতালে এসেছে ৩ হাজার। রাজধানীর বাইরে সারা দেশে মোট রোগী ২৩ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে গত মাসে সাড়ে ৭ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সোয়া ৪ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫০, চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৫ হাজার, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৭০০, রাজশাহী বিভাগে সোয়া ২ হাজার, রংপুর বিভাগে ২০০, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের বেশি এবং সিলেট বিভাগে ১১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৪৯ শতাংশ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৩৬ শতাংশ, খুলনায় ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৪ শতাংশ, রংপুরে ৪৬ শতাংশ, বরিশালে ২২ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৬২ শতাংশ। গত এক মাসে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুরে রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সামনের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে বর্তমানে ডেন-২ ও ডেন-৩ সংক্রমণ বেশি। তবে জিনগত গবেষণা না হওয়ায় মিউটেশন হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির পেছনে দায়ী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার বৃদ্ধি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়াতে পারে।
‘রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ কঠিন’
ডেঙ্গু রোগের অঞ্চলভিত্তিক রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া সংক্রামক এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বারবার বলা হয়েছে। দৃশ্যত সরকার ডেঙ্গুকে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা মনে করছে না। সরকারের দেখা উচিত, এডিস মশা বর্তমানে ব্যবহৃত কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কি না। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর হার বেশি। যেসব দেশ মৃত্যু ও রোগ কমিয়ে এনেছে, তারা রোগতত্ত্বের জায়গায় গুরুত্ব দিয়েছে।’
‘মশা নির্মূলে যথাযথ কার্যক্রম নেই’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যথাযথ না হওয়ায় মশা নির্মূল করা যাচ্ছে না। মশা এখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হচ্ছে। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ এবং রোগী ব্যবস্থাপনায় সদিচ্ছার অভাব থাকায় ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিবছর সংকট সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি দেশে সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। বৃষ্টির পর এডিস মশা ডিম পাড়ে, ডিম লার্ভায় পরিণত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরিণত মশায় রূপ নেয়।
সিলেটে ডেঙ্গুর বিস্তার বাইরে থেকে?
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলছেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ডেঙ্গু রোগীদের বেশির ভাগই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাশে। এখানে ডেঙ্গু মূলত ঢাকা বা অন্যান্য বিভাগ থেকে আসা রোগীর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনেও এত রোগী দেখা যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পুরো বিভাগটিই পর্যটন অঞ্চল। মূলত পর্যটকদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি।’
রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা যে কারণে নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বর্তমানে (স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কর্মসূচির) অপারেশনাল প্ল্যান না থাকায় রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা কম হচ্ছে। তবে আইইডিসিআর গবেষণা করছে। সার্ভেও কয়েকটি হয়েছে। কয়েকটি চলছে। মশা বা মাছি নির্মূলের কাজ স্থানীয় সরকারের। আমরা স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত দুই যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে ২০২৩ সালে। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন। ২০১৯ সালে প্রথম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু।

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে। এসব অঞ্চলে বছরজুড়ে যতসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে, তার প্রায় অর্ধেক এসেছে গত আগস্টে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রমণ-বিষয়ক হালনাগাদকৃত তথ্যে গতকাল রোববার জানানো হয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৭৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন থাকা ১২২ রোগী। শুধু সদ্য শেষ হওয়া আগস্টেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ রোগী। এ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বছরজুড়ে শুধু রাজধানীতে রোগী ভর্তি হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার। এর মধ্যে গত এক মাসে হাসপাতালে এসেছে ৩ হাজার। রাজধানীর বাইরে সারা দেশে মোট রোগী ২৩ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে গত মাসে সাড়ে ৭ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সোয়া ৪ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫০, চট্টগ্রাম বিভাগে পৌনে ৫ হাজার, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৭০০, রাজশাহী বিভাগে সোয়া ২ হাজার, রংপুর বিভাগে ২০০, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের বেশি এবং সিলেট বিভাগে ১১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৪৯ শতাংশ। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৩৬ শতাংশ, খুলনায় ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৪ শতাংশ, রংপুরে ৪৬ শতাংশ, বরিশালে ২২ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে রোগী বৃদ্ধির হার ৬২ শতাংশ। গত এক মাসে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুরে রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সামনের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ডেঙ্গুর চারটি ধরনের মধ্যে বর্তমানে ডেন-২ ও ডেন-৩ সংক্রমণ বেশি। তবে জিনগত গবেষণা না হওয়ায় মিউটেশন হচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধির পেছনে দায়ী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার বৃদ্ধি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়াতে পারে।
‘রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ কঠিন’
ডেঙ্গু রোগের অঞ্চলভিত্তিক রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা ছাড়া সংক্রামক এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বারবার বলা হয়েছে। দৃশ্যত সরকার ডেঙ্গুকে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা মনে করছে না। সরকারের দেখা উচিত, এডিস মশা বর্তমানে ব্যবহৃত কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কি না। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর হার বেশি। যেসব দেশ মৃত্যু ও রোগ কমিয়ে এনেছে, তারা রোগতত্ত্বের জায়গায় গুরুত্ব দিয়েছে।’
‘মশা নির্মূলে যথাযথ কার্যক্রম নেই’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম যথাযথ না হওয়ায় মশা নির্মূল করা যাচ্ছে না। মশা এখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হচ্ছে। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ এবং রোগী ব্যবস্থাপনায় সদিচ্ছার অভাব থাকায় ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিবছর সংকট সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি দেশে সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। বৃষ্টির পর এডিস মশা ডিম পাড়ে, ডিম লার্ভায় পরিণত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরিণত মশায় রূপ নেয়।
সিলেটে ডেঙ্গুর বিস্তার বাইরে থেকে?
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলছেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘সিলেট বিভাগের ডেঙ্গু রোগীদের বেশির ভাগই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাশে। এখানে ডেঙ্গু মূলত ঢাকা বা অন্যান্য বিভাগ থেকে আসা রোগীর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনেও এত রোগী দেখা যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পুরো বিভাগটিই পর্যটন অঞ্চল। মূলত পর্যটকদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি।’
রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা যে কারণে নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বর্তমানে (স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কর্মসূচির) অপারেশনাল প্ল্যান না থাকায় রোগতাত্ত্বিক পর্যালোচনা কম হচ্ছে। তবে আইইডিসিআর গবেষণা করছে। সার্ভেও কয়েকটি হয়েছে। কয়েকটি চলছে। মশা বা মাছি নির্মূলের কাজ স্থানীয় সরকারের। আমরা স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত দুই যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে ২০২৩ সালে। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন। ২০১৯ সালে প্রথম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা দৃশ্যত দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী। এ সংখ্যা বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আট মাসের মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ। সম্প্রতি রাজধানী এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটে রোগীর হার বেড়েছে।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে