Ajker Patrika

ঈদযাত্রায় ৬ বছরে এবার সড়কে সর্বোচ্চ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদযাত্রায় ৬ বছরে এবার সড়কে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ঢাকা: এ বছরের ঈদযাত্রায় গত ছয় বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর গত ৭ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ দিন সময়কালকে ঈদযাত্রার সময় ধরা হয়েছে। যদিও আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদের আগে এবং পরে মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৪ দিনকে ঈদযাত্রার সময় হিসেবে ধরত । এ সময়ে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত এবং ৬২২ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় অন্যান্য যানবাহনে ঢাকা ছেড়েছেন মানুষ। ফলে এবারও দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৪৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ১৯৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৫.২৮ শতাংশ।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ছয় বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তা ছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে। মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের যাতায়াতে এত বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে সড়কে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকারে রূপ নেবে'।

সংগঠনটির হিসাবে, ২০১৬ সালে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১২১টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৮৬ জন ও আহত হয়েছিলেন ৭৪৬ জন। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০৫টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৪ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৮ জন। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৭৭টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩৯ জন ও আহত হয়েছিলেন ১২৬৫ জন। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৩২টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৩ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৯ জন। ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৪৯টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৬৮ জন ও আহত হয়েছিলেন ২৮৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক বলেন , বাংলাদেশের সড়ক নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাস্তবে মানসম্মত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না। সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সরকারের সংস্থা বিআরটিএ'র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। একই সঙ্গে দক্ষ চালক তৈরিতে নেই কোণ উদ্যোগ। যে কাউকেই দিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন,' মহাসড়কে ছোট যানবাহন চালাচল বন্ধ করতে হবে। মহাসড়কে একাধিক লেন রাখতে হবে।
সড়কে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বেপরোয়া মনোভাব দূর করতে হবে চালকদের। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে হলে পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার ক্ষেত্রে আরও সচেতন করে তুলতে হবে'।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

বাসস, ঢাকা  
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগিরই মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবার উদ্ধার। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওই সব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরবর্তীকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে সে নির্দেশনা দিয়েছি।’

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’

বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান এবং বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে গত ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সে দিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

‘সুনির্দিষ্টভাবে কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে পুলিশ থেকে ইতিমধ্যেই একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যারা যারা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার সেটা তারা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৬
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিকভাবে এসব লেনদেন সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এসব তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব অর্থ মানিলন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই সিআইডি এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার করা বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই সিআইডি গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যায়, প্রধান আসামি ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা একাধিক চেক বইয়ে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থের উল্লেখ রয়েছে। যদিও এসব লেনদেন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি, তবুও এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।

সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে আরও উঠে এসেছে, ফয়সাল ও তাঁর সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সাল ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।

সিআইডি জানিয়েছে, এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়েও একাধিক তদন্ত দল কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের দপ্তর থেকে ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি জানা যায়। এর পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আসা দুই ব্যক্তির একজনের গুলিতে আহত হন।

ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান আসামি ফয়সাল দেশে থাকলে যাতে বিদেশ গমন করতে না পারে সে জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

এদিকে অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের অবস্থান সম্পর্কে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। ফয়সাল দেশের বাইরে চলে গেছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী পাঁচ দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী

পৌষের শুরুতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক, মাঠ ও জনপদ। গতকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা মিশে সাধারণ মানুষের জীবনে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকবে।

শীতের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহাসড়ক ও নদীপথে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও নৌযান সংশ্লিষ্টদের। শীতের কারণে ফুটপাতে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষ ও ছিন্নমূলদের কষ্টও বেড়েছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ১২০ ঘণ্টা অর্থাৎ পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। শীত তীব্রতা প্রকট না হলেও চলতি সপ্তাহে শীত কিছুটা বাড়বে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং কুয়াশার প্রবণতা বাড়বে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশা আরও ঘন হতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বরেও শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে বড় কোনো আবহাওয়াগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত