তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা



জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে