নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান একেবারে ভিন্ন।
ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মতামত জমা দিয়েছে। এখন সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপ বসতে যাচ্ছে কমিশন। সংলাপের দিন, তারিখ এবং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশন আজ রোববার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশন- সংশ্লিষ্ট একজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বৈঠক করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। কাল (রোববার) বিকেলে আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসব। প্যানেলের পরামর্শ নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরি করতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। চলতি সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের বসার ইচ্ছা আছে।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে কমিশনে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দল নির্বাচনের আগেই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছে। বিএনপি ও দলটির সমমনা দলগুলোর চাওয়া নির্বাচিত সংসদ এসে সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবে। একই সঙ্গে তারা এই সনদকে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। তাদের পরিষ্কার কথা, এমন কোনো দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না।
জানা গেছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের পাশাপাশি এর স্বীকৃতি নিয়েও অবস্থান পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত খসড়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হলে খারাপ নজির স্থাপিত হবে।
আবার জুলাই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে জামায়াত ও এনসিপির। এ ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির দাবি গণপরিষদ নির্বাচনের (গণভোট) মাধ্যমে সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার। অবশ্য, গণভোটে সায় নেই জামায়াতের। তারা চায় অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন।
ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি তার লিখিত মতামতে বলেছে, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ওপরে কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। সমঝোতার দলিল সংবিধানের ওপর প্রাধান্য পেতে পারে না। অবশ্য দলটি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। দলটি মনে করে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না এমনটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।
বাস্তবায়নের সময়কাল প্রশ্নে সালাউদ্দিনের বক্তব্য বলেন, ‘আমরা বলেছি, অধ্যাদেশ বা বিধি জারি করে যেসগুলো সম্ভব সরকার চাইলে এখনই করতে পারে। তবে, সংবিধানের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অন্য কোনোভাবে সংবিধান সংশোধন করা উচিত হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার সনদের খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্যের বিষয়েও কমিশনের সুপারিশেও একমত পোষণ করেছে। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে দলটি সমর্থন জানিয়েছে।
তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে। গণভোট সময় সাপেক্ষে হওয়ায় দলটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, তাঁরা সনদের অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত ও অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করার সুপারিশ করেছে।
সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের দল গণভোটের বিরোধী। কারণ এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তারা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছেন।
এনসিপি তাদের মতামতে কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের কথা বলেছে। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে। এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবনা কমিশন না জানালে, সেটি দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। ব্যর্থ কোনো সনদে এনসিপির স্বাক্ষর করা অর্থহীন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান একেবারে ভিন্ন।
ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মতামত জমা দিয়েছে। এখন সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপ বসতে যাচ্ছে কমিশন। সংলাপের দিন, তারিখ এবং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশন আজ রোববার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশন- সংশ্লিষ্ট একজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বৈঠক করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। কাল (রোববার) বিকেলে আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসব। প্যানেলের পরামর্শ নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরি করতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। চলতি সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের বসার ইচ্ছা আছে।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে কমিশনে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দল নির্বাচনের আগেই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছে। বিএনপি ও দলটির সমমনা দলগুলোর চাওয়া নির্বাচিত সংসদ এসে সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবে। একই সঙ্গে তারা এই সনদকে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। তাদের পরিষ্কার কথা, এমন কোনো দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না।
জানা গেছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের পাশাপাশি এর স্বীকৃতি নিয়েও অবস্থান পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত খসড়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হলে খারাপ নজির স্থাপিত হবে।
আবার জুলাই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে জামায়াত ও এনসিপির। এ ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির দাবি গণপরিষদ নির্বাচনের (গণভোট) মাধ্যমে সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার। অবশ্য, গণভোটে সায় নেই জামায়াতের। তারা চায় অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন।
ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি তার লিখিত মতামতে বলেছে, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ওপরে কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। সমঝোতার দলিল সংবিধানের ওপর প্রাধান্য পেতে পারে না। অবশ্য দলটি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। দলটি মনে করে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না এমনটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।
বাস্তবায়নের সময়কাল প্রশ্নে সালাউদ্দিনের বক্তব্য বলেন, ‘আমরা বলেছি, অধ্যাদেশ বা বিধি জারি করে যেসগুলো সম্ভব সরকার চাইলে এখনই করতে পারে। তবে, সংবিধানের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অন্য কোনোভাবে সংবিধান সংশোধন করা উচিত হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার সনদের খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্যের বিষয়েও কমিশনের সুপারিশেও একমত পোষণ করেছে। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে দলটি সমর্থন জানিয়েছে।
তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে। গণভোট সময় সাপেক্ষে হওয়ায় দলটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, তাঁরা সনদের অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত ও অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করার সুপারিশ করেছে।
সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের দল গণভোটের বিরোধী। কারণ এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তারা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছেন।
এনসিপি তাদের মতামতে কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের কথা বলেছে। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে। এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবনা কমিশন না জানালে, সেটি দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। ব্যর্থ কোনো সনদে এনসিপির স্বাক্ষর করা অর্থহীন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান একেবারে ভিন্ন।
ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মতামত জমা দিয়েছে। এখন সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপ বসতে যাচ্ছে কমিশন। সংলাপের দিন, তারিখ এবং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশন আজ রোববার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশন- সংশ্লিষ্ট একজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বৈঠক করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। কাল (রোববার) বিকেলে আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসব। প্যানেলের পরামর্শ নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরি করতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। চলতি সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের বসার ইচ্ছা আছে।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে কমিশনে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দল নির্বাচনের আগেই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছে। বিএনপি ও দলটির সমমনা দলগুলোর চাওয়া নির্বাচিত সংসদ এসে সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবে। একই সঙ্গে তারা এই সনদকে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। তাদের পরিষ্কার কথা, এমন কোনো দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না।
জানা গেছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের পাশাপাশি এর স্বীকৃতি নিয়েও অবস্থান পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত খসড়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হলে খারাপ নজির স্থাপিত হবে।
আবার জুলাই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে জামায়াত ও এনসিপির। এ ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির দাবি গণপরিষদ নির্বাচনের (গণভোট) মাধ্যমে সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার। অবশ্য, গণভোটে সায় নেই জামায়াতের। তারা চায় অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন।
ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি তার লিখিত মতামতে বলেছে, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ওপরে কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। সমঝোতার দলিল সংবিধানের ওপর প্রাধান্য পেতে পারে না। অবশ্য দলটি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। দলটি মনে করে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না এমনটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।
বাস্তবায়নের সময়কাল প্রশ্নে সালাউদ্দিনের বক্তব্য বলেন, ‘আমরা বলেছি, অধ্যাদেশ বা বিধি জারি করে যেসগুলো সম্ভব সরকার চাইলে এখনই করতে পারে। তবে, সংবিধানের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অন্য কোনোভাবে সংবিধান সংশোধন করা উচিত হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার সনদের খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্যের বিষয়েও কমিশনের সুপারিশেও একমত পোষণ করেছে। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে দলটি সমর্থন জানিয়েছে।
তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে। গণভোট সময় সাপেক্ষে হওয়ায় দলটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, তাঁরা সনদের অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত ও অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করার সুপারিশ করেছে।
সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের দল গণভোটের বিরোধী। কারণ এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তারা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছেন।
এনসিপি তাদের মতামতে কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের কথা বলেছে। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে। এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবনা কমিশন না জানালে, সেটি দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। ব্যর্থ কোনো সনদে এনসিপির স্বাক্ষর করা অর্থহীন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান একেবারে ভিন্ন।
ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মতামত জমা দিয়েছে। এখন সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপ বসতে যাচ্ছে কমিশন। সংলাপের দিন, তারিখ এবং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশন আজ রোববার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশন- সংশ্লিষ্ট একজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বৈঠক করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। কাল (রোববার) বিকেলে আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসব। প্যানেলের পরামর্শ নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরি করতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। চলতি সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের বসার ইচ্ছা আছে।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে কমিশনে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দল নির্বাচনের আগেই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছে। বিএনপি ও দলটির সমমনা দলগুলোর চাওয়া নির্বাচিত সংসদ এসে সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবে। একই সঙ্গে তারা এই সনদকে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। তাদের পরিষ্কার কথা, এমন কোনো দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না।
জানা গেছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের পাশাপাশি এর স্বীকৃতি নিয়েও অবস্থান পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত খসড়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হলে খারাপ নজির স্থাপিত হবে।
আবার জুলাই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে জামায়াত ও এনসিপির। এ ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির দাবি গণপরিষদ নির্বাচনের (গণভোট) মাধ্যমে সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার। অবশ্য, গণভোটে সায় নেই জামায়াতের। তারা চায় অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন।
ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি তার লিখিত মতামতে বলেছে, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ওপরে কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। সমঝোতার দলিল সংবিধানের ওপর প্রাধান্য পেতে পারে না। অবশ্য দলটি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। দলটি মনে করে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না এমনটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।
বাস্তবায়নের সময়কাল প্রশ্নে সালাউদ্দিনের বক্তব্য বলেন, ‘আমরা বলেছি, অধ্যাদেশ বা বিধি জারি করে যেসগুলো সম্ভব সরকার চাইলে এখনই করতে পারে। তবে, সংবিধানের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অন্য কোনোভাবে সংবিধান সংশোধন করা উচিত হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার সনদের খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্যের বিষয়েও কমিশনের সুপারিশেও একমত পোষণ করেছে। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে দলটি সমর্থন জানিয়েছে।
তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে। গণভোট সময় সাপেক্ষে হওয়ায় দলটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, তাঁরা সনদের অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত ও অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করার সুপারিশ করেছে।
সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের দল গণভোটের বিরোধী। কারণ এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তারা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছেন।
এনসিপি তাদের মতামতে কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের কথা বলেছে। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে। এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবনা কমিশন না জানালে, সেটি দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। ব্যর্থ কোনো সনদে এনসিপির স্বাক্ষর করা অর্থহীন।’

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
২৪ আগস্ট ২০২৫
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে