Ajker Patrika

জুলাই জাতীয় সনদ: দলগুলোর বিরোধ কাটছে না

  • খসড়া নিয়ে কমিশনে মতামত দিয়েছে ২৪ দল।
  • সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ পরিষ্কার।
  • বাস্তবায়ন ভোটের আগে নাকি পরে, এ নিয়েও বিরোধ।
  • তৃতীয় দফায় সংলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ২৬
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ফাইল ছবি
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ফাইল ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান একেবারে ভিন্ন।

ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মতামত জমা দিয়েছে। এখন সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপ বসতে যাচ্ছে কমিশন। সংলাপের দিন, তারিখ এবং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশন আজ রোববার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশন- সংশ্লিষ্ট একজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বৈঠক করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। কাল (রোববার) বিকেলে আমরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসব। প্যানেলের পরামর্শ নিয়ে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা তৈরি করতে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব। চলতি সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে আমাদের বসার ইচ্ছা আছে।’

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে কমিশনে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দল নির্বাচনের আগেই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছে। বিএনপি ও দলটির সমমনা দলগুলোর চাওয়া নির্বাচিত সংসদ এসে সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবে। একই সঙ্গে তারা এই সনদকে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল ছাড়া আর কিছু মনে করছে না। তাদের পরিষ্কার কথা, এমন কোনো দলিল সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না।

জানা গেছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের পাশাপাশি এর স্বীকৃতি নিয়েও অবস্থান পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত খসড়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হলে খারাপ নজির স্থাপিত হবে।

আবার জুলাই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে জামায়াত ও এনসিপির। এ ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির দাবি গণপরিষদ নির্বাচনের (গণভোট) মাধ্যমে সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার। অবশ্য, গণভোটে সায় নেই জামায়াতের। তারা চায় অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধান সংশোধন।

ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি তার লিখিত মতামতে বলেছে, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ওপরে কোনো কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না। জুলাই সনদ রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল। সমঝোতার দলিল সংবিধানের ওপর প্রাধান্য পেতে পারে না। অবশ্য দলটি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। দলটি মনে করে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই হচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল। কোনো সমঝোতা দলিলকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া যায় না এমনটা করা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে।

বাস্তবায়নের সময়কাল প্রশ্নে সালাউদ্দিনের বক্তব্য বলেন, ‘আমরা বলেছি, অধ্যাদেশ বা বিধি জারি করে যেসগুলো সম্ভব সরকার চাইলে এখনই করতে পারে। তবে, সংবিধানের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ অন্য কোনোভাবে সংবিধান সংশোধন করা উচিত হবে না।’

গত বৃহস্পতিবার সনদের খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্যের বিষয়েও কমিশনের সুপারিশেও একমত পোষণ করেছে। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে দলটি সমর্থন জানিয়েছে।

তবে, জামায়াতের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে। গণভোট সময় সাপেক্ষে হওয়ায় দলটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সনদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, তাঁরা সনদের অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত ও অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করার সুপারিশ করেছে।

সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের দল গণভোটের বিরোধী। কারণ এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তারা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছেন।

এনসিপি তাদের মতামতে কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের কথা বলেছে। দলটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছে। এনসিপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবনা কমিশন না জানালে, সেটি দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। ব্যর্থ কোনো সনদে এনসিপির স্বাক্ষর করা অর্থহীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত