শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন ও হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অন্যদিকে পাহাড়ে সহিংসতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য পাহাড় অশান্ত হয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শুধু পাহাড় নয়, সমতলের আইনশৃঙ্খলাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা, যা নির্বাচন সামনে রেখে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬১৩ জন খুন হয়েছে। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৫১১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৭৭৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৯৪ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪১ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়াতে পারেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন দল বা জোটের প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘাত-সংঘর্ষ হতে পারে। তৃতীয় কোনো শক্তিও নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগও নির্বাচন বানচাল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে তথ্য পাচ্ছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ৩৪৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮৩ জন নিহত এবং চার হাজার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ১৮টি সহিংস ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অন্তত ১০টি সহিংসতার ঘটনায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবেই সহিংসতা ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব থেকেই সহিংসতা বাড়ছে। নেতৃত্ব ধরে রাখতে পেশিশক্তির প্রয়োগ এখন রাজনৈতিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। দল ও রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে এ সহিংসতা কমবে না, বরং ভোটের আগে আরও বাড়তে পারে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর একধরনের আইন অমান্যের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মানুষকে সম্পৃক্ত না করলে ভবিষ্যতে সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গত আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দুই দফায় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি সহিংসতার ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। নেতা-কর্মীদের সংযম ও শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবুও যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত ও বিব্রত। দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আর এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বিএনপি বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি শক্তি প্রদর্শনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। হুট করে সেটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসতে চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে পারেনি। নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে বলছেন, নির্বাচন ঠেকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুতর আকার নিতে পারে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন ও হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অন্যদিকে পাহাড়ে সহিংসতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য পাহাড় অশান্ত হয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শুধু পাহাড় নয়, সমতলের আইনশৃঙ্খলাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা, যা নির্বাচন সামনে রেখে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬১৩ জন খুন হয়েছে। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৫১১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৭৭৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৯৪ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪১ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়াতে পারেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন দল বা জোটের প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘাত-সংঘর্ষ হতে পারে। তৃতীয় কোনো শক্তিও নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগও নির্বাচন বানচাল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে তথ্য পাচ্ছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ৩৪৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮৩ জন নিহত এবং চার হাজার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ১৮টি সহিংস ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অন্তত ১০টি সহিংসতার ঘটনায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবেই সহিংসতা ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব থেকেই সহিংসতা বাড়ছে। নেতৃত্ব ধরে রাখতে পেশিশক্তির প্রয়োগ এখন রাজনৈতিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। দল ও রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে এ সহিংসতা কমবে না, বরং ভোটের আগে আরও বাড়তে পারে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর একধরনের আইন অমান্যের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মানুষকে সম্পৃক্ত না করলে ভবিষ্যতে সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গত আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দুই দফায় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি সহিংসতার ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। নেতা-কর্মীদের সংযম ও শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবুও যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত ও বিব্রত। দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আর এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বিএনপি বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি শক্তি প্রদর্শনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। হুট করে সেটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসতে চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে পারেনি। নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে বলছেন, নির্বাচন ঠেকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুতর আকার নিতে পারে।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন ও হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অন্যদিকে পাহাড়ে সহিংসতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য পাহাড় অশান্ত হয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শুধু পাহাড় নয়, সমতলের আইনশৃঙ্খলাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা, যা নির্বাচন সামনে রেখে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬১৩ জন খুন হয়েছে। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৫১১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৭৭৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৯৪ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪১ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়াতে পারেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন দল বা জোটের প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘাত-সংঘর্ষ হতে পারে। তৃতীয় কোনো শক্তিও নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগও নির্বাচন বানচাল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে তথ্য পাচ্ছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ৩৪৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮৩ জন নিহত এবং চার হাজার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ১৮টি সহিংস ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অন্তত ১০টি সহিংসতার ঘটনায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবেই সহিংসতা ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব থেকেই সহিংসতা বাড়ছে। নেতৃত্ব ধরে রাখতে পেশিশক্তির প্রয়োগ এখন রাজনৈতিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। দল ও রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে এ সহিংসতা কমবে না, বরং ভোটের আগে আরও বাড়তে পারে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর একধরনের আইন অমান্যের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মানুষকে সম্পৃক্ত না করলে ভবিষ্যতে সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গত আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দুই দফায় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি সহিংসতার ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। নেতা-কর্মীদের সংযম ও শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবুও যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত ও বিব্রত। দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আর এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বিএনপি বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি শক্তি প্রদর্শনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। হুট করে সেটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসতে চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে পারেনি। নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে বলছেন, নির্বাচন ঠেকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুতর আকার নিতে পারে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে বিক্ষোভ, অবরোধ, আগুন ও হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার জন্য পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অন্যদিকে পাহাড়ে সহিংসতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন মন্তব্য পাহাড় অশান্ত হয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
শুধু পাহাড় নয়, সমতলের আইনশৃঙ্খলাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা, যা নির্বাচন সামনে রেখে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬১৩ জন খুন হয়েছে। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৫১১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৭৭৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৯৪ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪১ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়াতে পারেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন দল বা জোটের প্রার্থীদের মধ্যেও সংঘাত-সংঘর্ষ হতে পারে। তৃতীয় কোনো শক্তিও নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগও নির্বাচন বানচাল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে তথ্য পাচ্ছে তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ৩৪৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮৩ জন নিহত এবং চার হাজার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ১৮টি সহিংস ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে অন্তত ১০টি সহিংসতার ঘটনায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবেই সহিংসতা ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব থেকেই সহিংসতা বাড়ছে। নেতৃত্ব ধরে রাখতে পেশিশক্তির প্রয়োগ এখন রাজনৈতিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। দল ও রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে এ সহিংসতা কমবে না, বরং ভোটের আগে আরও বাড়তে পারে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর একধরনের আইন অমান্যের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মানুষকে সম্পৃক্ত না করলে ভবিষ্যতে সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গত আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দুই দফায় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে।
এসব বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি সহিংসতার ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। নেতা-কর্মীদের সংযম ও শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবুও যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত ও বিব্রত। দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আর এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বিএনপি বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি শক্তি প্রদর্শনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। হুট করে সেটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা সেই ধারা থেকে বের হয়ে আসতে চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে পারেনি। নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে বলছেন, নির্বাচন ঠেকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে আরও গুরুতর আকার নিতে পারে।’

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩৭ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একদিকে মব সৃষ্টি, মাজার ভাঙা, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩৭ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে