Ajker Patrika

সরকারি সহায়তার চাল

ভুয়াদের হাতে বরাদ্দের কার্ড, তালিকায় নেই ৩০% জেলে

  • ভিজিএফের চাল বরাদ্দে অনিয়ম
  • সহায়তা না পেয়ে কষ্টে জেলেরা
  • তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদের তাগিদ
  • নির্ধারিত প্যাকেটে সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ
সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে। প্রজনন মৌসুমে বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। উপার্জন বন্ধ থাকার সময় সঞ্চয় না থাকলে বা ফুরিয়ে গেলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয় দরিদ্র মৎস্যজীবীদের।

দেশের প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে জেলে হচ্ছেন যাঁরা পেশাগতভাবে নদী, সাগরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে মৎস্য আহরণ করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৯২০ জন। তবে এ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় ৩০ শতাংশ প্রকৃত জেলে নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। উপকূলের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বঙ্গোপসাগরের মাছের গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির প্রধান প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন দেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরা বন্ধ থাকত। তবে এ বছর তা পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বিপণন নিষিদ্ধ থাকে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস সারা দেশে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এর বাইরে জাটকা সংরক্ষণে ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোয় আলাদা করে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এভাবে বছরজুড়ে বিধিনিষেধের জালে আটকে থাকেন দেশের জেলেরা। মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় নিবন্ধিত জেলেদের একাংশকে মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দিয়ে থাকে সরকার। গভীর সমুদ্রে ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রথম ৪২ দিনের জন্য ৫৬ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা স্লুইসগেটসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জেলে শাহাদাত হোসেন (৩৫)। বছরের বড় অংশ তিনি ট্রলারে করে নদী ও সাগরে মাছ ধরেন। মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় বেকার থাকেন কিংবা অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করেন। এতে টেনেটুনে চলে অসুস্থ মা, স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ের সংসার। শৈশব থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও সরকারের জেলের তালিকায় শাহাদাতের নাম নেই। ফলে তিনি কর্মহীন সময়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো সহযোগিতা পান না। শাহাদাত বলেন, ‘বেকার সময়ে ঘরে খোরাকির চাল থাকে না। বউ-বাচ্চা লই কষ্ট করি।’ শাহাদাতের অভিযোগ, জীবনে কখনো মাছ ধরেননি এমনও অনেকে জেলে হিসেবে নিবন্ধন নিয়ে সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন।

সোনাদিয়া ইউনিয়নের নিবন্ধিত জেলে তালিকা যাচাই করে শাহাদাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে ২ হাজার ৭১ জন। এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ অন্য পেশাজীবী হয়েও জেলে হিসেবে তালিকভুক্ত হয়েছেন। এমন ব্যক্তিদের একজন চরচেঙ্গা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী হোসেন আলী। আর্থিকভাবে সচ্ছল এই ব্যক্তি মৎস্যজীবী না হয়েও নিয়মিত জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চালসহ সব সুবিধা পান। ব্যবসায়ী হোসেন আলী মুঠোফোনে আজকের পত্রিকার কাছে জেলে কার্ড থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘স্যারেরা (মৎস্য কর্মকর্তা) অনেক আগে করে দিয়েছেন।’

হাতিয়া পৌরসভার চৌমুহনী বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক মৎস্যজীবী না হয়েও জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবার উপজেলার দক্ষিণ রাজেরহাওলা জেলে গ্রামের মৎস্যজীবী প্রাণকৃষ্ণ জলদাসকে জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হননি। প্রাণকৃষ্ণ বলেন, ‘আন্ডা জন্মের থেকে জ্যাইল্লা। আঁর জ্যাইল্লা কার্ড নাই। মাছ ধরন বন্ধ থাইকলে বউ-মাইয়া লই কষ্ট করন লাগে।’

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, হাতিয়া উপজেলায় ২৬ হাজার জেলে রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। দ্বীপ উপজেলাটির বিভিন্ন জেলেপাড়ার অন্তত ৫০ জন জেলের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ভুয়ার ভিড়ে প্রকৃত জেলেদের তালিকায় জায়গা হচ্ছে না।

অন্য পেশার লোকদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, ‘আমরা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।’

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জেলে রয়েছেন। নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে অন্তত আড়াই হাজার প্রকৃত জেলে। দক্ষিণ চরমোন্তাজে মান্তা জনগোষ্ঠীর প্রায় দেড় শ মৎস্যজীবী পরিবার আছে। এ জনগোষ্ঠীর জেলেদের বড় অংশ নিবন্ধনের বাইরে। মান্তা গোষ্ঠীর জেলে মো. হারুন সরদার জানান, তাঁরা নৌকাতেই বাস করেন। মাছ ধরে পেট চালান। কিন্তু তাঁকে জেলে হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়নি।

নিবন্ধিত জেলের তালিকায় নাম রয়েছে রাঙ্গাবালি উপজেলার মধ্য চরমোন্তাজের বাসিন্দা মো. হারেজ খানের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি সারের ডিলার ও গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তি। উপজেলার দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের মো. হারুন ফরাজী ও আলমাস ফরাজী নিবন্ধিত জেলে হিসেবে তালিকাভূক্ত। তারাও গ্রামের অবস্থাপন্ন ব্যক্তি। এর মধ্যে আলমাস ফরাজীর স্ত্রী সাবেক ইউপি মেম্বার।

তালিকায় নাম না ওঠা মৎস্যজীবীদের দেখা মিলল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের জলদাসপাড়াতেও। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখানকার স্বল্পসংখ্যক জেলেই নিবন্ধিত। জলদাসপাড়ার জেলে কৃষ্ণদুলাল জলদাস ও কৃষ্ণদাস মাঝি জানালেন, তালিকায় নাম না থাকায় তাঁরা সরকারি বরাদ্দ পান না।

উপকূলের মৎস্যজীবীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীর কোনো সংজ্ঞা নেই। এখনো ৩০ শতাংশ জেলে নিবন্ধিত নয়। আবার তালিকায় অন্য পেশার লোকও ঢুকেছেন। কোনো কোনো জেলে নিবন্ধনের পরে পেশা বদল করেছেন। এ জন্য নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা প্রতিবছর হালনাগাদ করা উচিত।’

চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ১২ লাখ ২৭ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা (ভিজিএফ চাল) দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ৩৮ হাজার জেলে পরিবারকে। এর ভিত্তিতে বলা যায়, সরকারি হিসাবে নিবন্ধিত হয়েও কয়েক লাখ জেলে এ সহযোগিতা পাননি।

জানতে চাইলে ‘খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্ক’ (খানি) বাংলাদেশের সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, ‘অনেক প্রকৃত জেলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় নেই। যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত সহায়তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। সুরক্ষা কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও পরিধিও বাড়াতে হবে।’

সম্প্রতি ঈদুল আজহার আগে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাটকা ধরা বন্ধে প্রতি দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ হলেও জেলেরা পেয়েছেন ৪০ কেজি। সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রথম ৪২ দিনের জন্য ৫৬ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও নিবন্ধিত নির্দিষ্ট সংখ্যক জেলে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য অফিসসংশ্লিষ্ট একজন বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় বেশিসংখ্যক জেলেকে চাল দেওয়ার জন্য পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। এতে তালিকায় না থাকা অনেক জেলেও চাল পেয়েছেন।

বরগুনার তালতলীতে ৮০ কেজি চালের জায়গায় জেলেরা ৭৫ কেজি করে পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মৎস্য গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন ছুতায় কম দিয়ে জেলেদের ঠকানো হয়। এ জন্য নির্ধারিত প্যাকেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ সহায়তা দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্য হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রকৃত জেলেরা তালিকায় আসবে। অন্য পেশাজীবীরা বাদ পড়বে। আর জেলেরা বরাদ্দ অনুযায়ী চাল পাবে। একজনের চাল দুজনকে ভাগ করে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার রাঙ্গাবালি ও চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।

গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুমের মামলায় হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।

তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।

পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৩
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’

এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত