Ajker Patrika

সরকারি সহায়তার চাল

ভুয়াদের হাতে বরাদ্দের কার্ড, তালিকায় নেই ৩০% জেলে

  • ভিজিএফের চাল বরাদ্দে অনিয়ম
  • সহায়তা না পেয়ে কষ্টে জেলেরা
  • তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদের তাগিদ
  • নির্ধারিত প্যাকেটে সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ
সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে। প্রজনন মৌসুমে বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। উপার্জন বন্ধ থাকার সময় সঞ্চয় না থাকলে বা ফুরিয়ে গেলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয় দরিদ্র মৎস্যজীবীদের।

দেশের প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে জেলে হচ্ছেন যাঁরা পেশাগতভাবে নদী, সাগরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে মৎস্য আহরণ করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৯২০ জন। তবে এ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় ৩০ শতাংশ প্রকৃত জেলে নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। উপকূলের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বঙ্গোপসাগরের মাছের গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির প্রধান প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন দেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরা বন্ধ থাকত। তবে এ বছর তা পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বিপণন নিষিদ্ধ থাকে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস সারা দেশে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এর বাইরে জাটকা সংরক্ষণে ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোয় আলাদা করে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এভাবে বছরজুড়ে বিধিনিষেধের জালে আটকে থাকেন দেশের জেলেরা। মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় নিবন্ধিত জেলেদের একাংশকে মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দিয়ে থাকে সরকার। গভীর সমুদ্রে ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রথম ৪২ দিনের জন্য ৫৬ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা স্লুইসগেটসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জেলে শাহাদাত হোসেন (৩৫)। বছরের বড় অংশ তিনি ট্রলারে করে নদী ও সাগরে মাছ ধরেন। মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় বেকার থাকেন কিংবা অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করেন। এতে টেনেটুনে চলে অসুস্থ মা, স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ের সংসার। শৈশব থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও সরকারের জেলের তালিকায় শাহাদাতের নাম নেই। ফলে তিনি কর্মহীন সময়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো সহযোগিতা পান না। শাহাদাত বলেন, ‘বেকার সময়ে ঘরে খোরাকির চাল থাকে না। বউ-বাচ্চা লই কষ্ট করি।’ শাহাদাতের অভিযোগ, জীবনে কখনো মাছ ধরেননি এমনও অনেকে জেলে হিসেবে নিবন্ধন নিয়ে সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন।

সোনাদিয়া ইউনিয়নের নিবন্ধিত জেলে তালিকা যাচাই করে শাহাদাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে ২ হাজার ৭১ জন। এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ অন্য পেশাজীবী হয়েও জেলে হিসেবে তালিকভুক্ত হয়েছেন। এমন ব্যক্তিদের একজন চরচেঙ্গা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী হোসেন আলী। আর্থিকভাবে সচ্ছল এই ব্যক্তি মৎস্যজীবী না হয়েও নিয়মিত জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চালসহ সব সুবিধা পান। ব্যবসায়ী হোসেন আলী মুঠোফোনে আজকের পত্রিকার কাছে জেলে কার্ড থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘স্যারেরা (মৎস্য কর্মকর্তা) অনেক আগে করে দিয়েছেন।’

হাতিয়া পৌরসভার চৌমুহনী বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক মৎস্যজীবী না হয়েও জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আবার উপজেলার দক্ষিণ রাজেরহাওলা জেলে গ্রামের মৎস্যজীবী প্রাণকৃষ্ণ জলদাসকে জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হননি। প্রাণকৃষ্ণ বলেন, ‘আন্ডা জন্মের থেকে জ্যাইল্লা। আঁর জ্যাইল্লা কার্ড নাই। মাছ ধরন বন্ধ থাইকলে বউ-মাইয়া লই কষ্ট করন লাগে।’

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, হাতিয়া উপজেলায় ২৬ হাজার জেলে রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। দ্বীপ উপজেলাটির বিভিন্ন জেলেপাড়ার অন্তত ৫০ জন জেলের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ভুয়ার ভিড়ে প্রকৃত জেলেদের তালিকায় জায়গা হচ্ছে না।

অন্য পেশার লোকদের জেলে হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, ‘আমরা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।’

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জেলে রয়েছেন। নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে অন্তত আড়াই হাজার প্রকৃত জেলে। দক্ষিণ চরমোন্তাজে মান্তা জনগোষ্ঠীর প্রায় দেড় শ মৎস্যজীবী পরিবার আছে। এ জনগোষ্ঠীর জেলেদের বড় অংশ নিবন্ধনের বাইরে। মান্তা গোষ্ঠীর জেলে মো. হারুন সরদার জানান, তাঁরা নৌকাতেই বাস করেন। মাছ ধরে পেট চালান। কিন্তু তাঁকে জেলে হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়নি।

নিবন্ধিত জেলের তালিকায় নাম রয়েছে রাঙ্গাবালি উপজেলার মধ্য চরমোন্তাজের বাসিন্দা মো. হারেজ খানের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি সারের ডিলার ও গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তি। উপজেলার দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের মো. হারুন ফরাজী ও আলমাস ফরাজী নিবন্ধিত জেলে হিসেবে তালিকাভূক্ত। তারাও গ্রামের অবস্থাপন্ন ব্যক্তি। এর মধ্যে আলমাস ফরাজীর স্ত্রী সাবেক ইউপি মেম্বার।

তালিকায় নাম না ওঠা মৎস্যজীবীদের দেখা মিলল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের জলদাসপাড়াতেও। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখানকার স্বল্পসংখ্যক জেলেই নিবন্ধিত। জলদাসপাড়ার জেলে কৃষ্ণদুলাল জলদাস ও কৃষ্ণদাস মাঝি জানালেন, তালিকায় নাম না থাকায় তাঁরা সরকারি বরাদ্দ পান না।

উপকূলের মৎস্যজীবীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীর কোনো সংজ্ঞা নেই। এখনো ৩০ শতাংশ জেলে নিবন্ধিত নয়। আবার তালিকায় অন্য পেশার লোকও ঢুকেছেন। কোনো কোনো জেলে নিবন্ধনের পরে পেশা বদল করেছেন। এ জন্য নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা প্রতিবছর হালনাগাদ করা উচিত।’

চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে ১২ লাখ ২৭ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা (ভিজিএফ চাল) দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ৩৮ হাজার জেলে পরিবারকে। এর ভিত্তিতে বলা যায়, সরকারি হিসাবে নিবন্ধিত হয়েও কয়েক লাখ জেলে এ সহযোগিতা পাননি।

জানতে চাইলে ‘খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্ক’ (খানি) বাংলাদেশের সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, ‘অনেক প্রকৃত জেলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় নেই। যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত সহায়তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। সুরক্ষা কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও পরিধিও বাড়াতে হবে।’

সম্প্রতি ঈদুল আজহার আগে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাটকা ধরা বন্ধে প্রতি দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ হলেও জেলেরা পেয়েছেন ৪০ কেজি। সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রথম ৪২ দিনের জন্য ৫৬ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও নিবন্ধিত নির্দিষ্ট সংখ্যক জেলে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য অফিসসংশ্লিষ্ট একজন বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় বেশিসংখ্যক জেলেকে চাল দেওয়ার জন্য পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। এতে তালিকায় না থাকা অনেক জেলেও চাল পেয়েছেন।

বরগুনার তালতলীতে ৮০ কেজি চালের জায়গায় জেলেরা ৭৫ কেজি করে পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মৎস্য গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন ছুতায় কম দিয়ে জেলেদের ঠকানো হয়। এ জন্য নির্ধারিত প্যাকেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ সহায়তা দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্য হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রকৃত জেলেরা তালিকায় আসবে। অন্য পেশাজীবীরা বাদ পড়বে। আর জেলেরা বরাদ্দ অনুযায়ী চাল পাবে। একজনের চাল দুজনকে ভাগ করে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার রাঙ্গাবালি ও চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমান ও জাইমার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন, রোববার উঠবে কমিশনে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৫
আজ শনিবার ভোটার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ছবি তোলেন ও বায়োমেট্রিক দেন তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: মিডিয়া সেল
আজ শনিবার ভোটার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ছবি তোলেন ও বায়োমেট্রিক দেন তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: মিডিয়া সেল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।

আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।

সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’

ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

আজ শনিবার ভোটার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ছবি তোলেন ও বায়োমেট্রিক দেন তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: মিডিয়া সেল
আজ শনিবার ভোটার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ছবি তোলেন ও বায়োমেট্রিক দেন তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা জাইমা রহমান। ছবি: মিডিয়া সেল

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।

ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ দলের নেতারা আটকে যেতে পারেন তফসিলের শর্তে

তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।

পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।

কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’

কী কারণে এমন বিধান ‍যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।

তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।

রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’

প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা

সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই হামলা ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৫
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নূরুল কবির। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নূরুল কবির। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’

বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।

বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমান-জাইমার ভোটার হওয়া নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত রোববার: আখতার আহমেদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৭
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।

আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত