নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার সংসদের বৈঠকে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিলের ওপর আনা বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এখন রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর গেজেট আকারে প্রকাশিত হলে আইনটি কার্যকর হবে।
বিলের বিভিন্ন ধারার সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় সদস্যরা বলেন, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বীকৃতি সংবিধানেই দেওয়া হয়েছে। বিলের বিভিন্ন ধারায় সংবিধান স্বীকৃত এসব অধিকার খর্ব করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। একাধিক সদস্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও তল্লাশির বিধান সংশোধনের দাবি জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদ রাখার মতোই অবস্থা। আইনটি নতুন করে হচ্ছে কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসছে না। যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল অনেকটা হুবহু সেভাবেই এই আইন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ছিল, উদ্বেগের বিষয় ছিল সেগুলো রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন প্রস্তাবিত সাইবার আইনে ৭টি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি। আগের মতোই রয়ে গেছে। তার দুটি ধারায় কোনো পরিবর্তনই আনা হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে দুটি ধারা বাতিলের আহ্বান করেছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে তা বাতিল না করে সাজা ও জামিনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মোকাব্বির বলেন, এই আইনটি ভিন্নমত সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনের সবচেয়ে কার্যকর একটি হাতিয়ার। গত সাড়ে ৪ বছরে কেবল সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাংবাদিক কমিউনিটি। এই আইনের কারণে তাঁদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়েছে। এ আইনে পুলিশকে বাসাবাড়ি ও অফিসে প্রবেশ ও দেহ তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ করার সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে। অন্য কোনো আইনে পুলিশকে এত বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
আইনটি দিয়ে খুব সহজেই কাউকে হয়রানি করা যায় উল্লেখ করে মোকাব্বির খান বলেন, ‘রাষ্ট্রের যখন একজন শীর্ষ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী) একটি জনপ্রিয় লিডিং পত্রিকাকে বলতে পারেন এটি দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে ওই পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা যেতে পারে। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার সরাসরি কত বড় হস্তক্ষেপ তা সহজেই অনুমান করা যায়। যদিও হুমকির কারণ হিতে বিপরীত হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক বলেন, সাংবাদিকেরা কলম ধরেন দেশের স্বার্থে। তাঁদের বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলকে যুক্ত করার সুযোগ ছিল। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে। এ সময় তিনি সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুজন নেতাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, আইনটিতে কিছু রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকেরা বলেছেন তাঁরা সন্তুষ্ট নন। সংবিধানে বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধান হলো মূল আইন। বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো আইন তৈরি হলে তা হবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
দলটির আরেক সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, কিছু কারিগরি বিষয়ে এই আইনের দরকার। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হয়েছে খুব সামান্য। মূল মামলা হয়েছে চেতনা, অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। তিনি বলেন, সংবিধানে চিন্তা, সংবাদক্ষেত্র ও বাক্স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এগুলো থাকা অবস্থায় এই ধরনের আইন সংবিধানবিরোধী। এ আইনে অপরাধের সংজ্ঞা একই রাখা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে সাজা কমানো হয়েছে। এ আইনে গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ বাড়বে।
জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার কাছে বিতর্কিত ছিল। কিছুটা পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। এটিও স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সাংবাদিকদের বিষয়ে আলাদা সুরক্ষা রাখা প্রয়োজন ছিল। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল। মতপ্রকাশ সাংবিধানিক অধিকার। এ আইনে মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতা বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৭ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাদী ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী।
দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে ওঠার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়েরের অপরাধ ও দণ্ড নিয়ে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে এই আইনের কোনো ধারায় মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যেটার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়েরের অপরাধে অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এই ধারায় সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার পরিবর্তন এনে পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ছিল।
বিলের ৮ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা দেশের কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য মহাপরিচালকের মধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার সংসদের বৈঠকে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিলের ওপর আনা বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এখন রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর গেজেট আকারে প্রকাশিত হলে আইনটি কার্যকর হবে।
বিলের বিভিন্ন ধারার সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় সদস্যরা বলেন, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বীকৃতি সংবিধানেই দেওয়া হয়েছে। বিলের বিভিন্ন ধারায় সংবিধান স্বীকৃত এসব অধিকার খর্ব করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। একাধিক সদস্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও তল্লাশির বিধান সংশোধনের দাবি জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদ রাখার মতোই অবস্থা। আইনটি নতুন করে হচ্ছে কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসছে না। যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল অনেকটা হুবহু সেভাবেই এই আইন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ছিল, উদ্বেগের বিষয় ছিল সেগুলো রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন প্রস্তাবিত সাইবার আইনে ৭টি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি। আগের মতোই রয়ে গেছে। তার দুটি ধারায় কোনো পরিবর্তনই আনা হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে দুটি ধারা বাতিলের আহ্বান করেছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে তা বাতিল না করে সাজা ও জামিনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মোকাব্বির বলেন, এই আইনটি ভিন্নমত সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনের সবচেয়ে কার্যকর একটি হাতিয়ার। গত সাড়ে ৪ বছরে কেবল সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাংবাদিক কমিউনিটি। এই আইনের কারণে তাঁদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়েছে। এ আইনে পুলিশকে বাসাবাড়ি ও অফিসে প্রবেশ ও দেহ তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ করার সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে। অন্য কোনো আইনে পুলিশকে এত বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
আইনটি দিয়ে খুব সহজেই কাউকে হয়রানি করা যায় উল্লেখ করে মোকাব্বির খান বলেন, ‘রাষ্ট্রের যখন একজন শীর্ষ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী) একটি জনপ্রিয় লিডিং পত্রিকাকে বলতে পারেন এটি দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে ওই পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা যেতে পারে। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার সরাসরি কত বড় হস্তক্ষেপ তা সহজেই অনুমান করা যায়। যদিও হুমকির কারণ হিতে বিপরীত হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক বলেন, সাংবাদিকেরা কলম ধরেন দেশের স্বার্থে। তাঁদের বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলকে যুক্ত করার সুযোগ ছিল। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে। এ সময় তিনি সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুজন নেতাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, আইনটিতে কিছু রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকেরা বলেছেন তাঁরা সন্তুষ্ট নন। সংবিধানে বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধান হলো মূল আইন। বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো আইন তৈরি হলে তা হবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
দলটির আরেক সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, কিছু কারিগরি বিষয়ে এই আইনের দরকার। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হয়েছে খুব সামান্য। মূল মামলা হয়েছে চেতনা, অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে। তিনি বলেন, সংবিধানে চিন্তা, সংবাদক্ষেত্র ও বাক্স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এগুলো থাকা অবস্থায় এই ধরনের আইন সংবিধানবিরোধী। এ আইনে অপরাধের সংজ্ঞা একই রাখা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে সাজা কমানো হয়েছে। এ আইনে গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ বাড়বে।
জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার কাছে বিতর্কিত ছিল। কিছুটা পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। এটিও স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে সাংবাদিকদের বিষয়ে আলাদা সুরক্ষা রাখা প্রয়োজন ছিল। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল। মতপ্রকাশ সাংবিধানিক অধিকার। এ আইনে মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতা বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৭ শতাংশ মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাদী ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী।
দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে ওঠার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়েরের অপরাধ ও দণ্ড নিয়ে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে এই আইনের কোনো ধারায় মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যেটার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়েরের অপরাধে অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এই ধারায় সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার পরিবর্তন এনে পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ছিল।
বিলের ৮ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা দেশের কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য মহাপরিচালকের মধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৬ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৬ মিনিট আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন তিনি এ চিঠির বিষয়ে জানেন না।

আজ বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন তিনি এ চিঠির বিষয়ে জানেন না।

আজ বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৬ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ‘আমাদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখনো অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা অনুগ্রহ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।’
সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি আগামী শনিবার তফসিলি ব্যাংকগুলোকে খোলা রাখতে। যাতে নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশনের কোনো বিষয় থাকলে সেটা যেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা বা তাঁদের এজেন্টরা ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা? সেইগুলো নির্বাচন কমিশন দেখভাল করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটি রিটার্নিং অফিসার দেখবেন।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
ইসির ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ‘আমাদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখনো অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা অনুগ্রহ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।’
সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি আগামী শনিবার তফসিলি ব্যাংকগুলোকে খোলা রাখতে। যাতে নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশনের কোনো বিষয় থাকলে সেটা যেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা বা তাঁদের এজেন্টরা ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা? সেইগুলো নির্বাচন কমিশন দেখভাল করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটি রিটার্নিং অফিসার দেখবেন।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।
ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
ইসির ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।
প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।
জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন
জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ।
এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।
এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বিলটি আইনে পরিণত হলে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তবে এতে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
১৬ মিনিট আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
২ ঘণ্টা আগে