নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশন গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি।
পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচ কমিশনের ওপর মতামত দেওয়ার জন্য একটি স্প্রেডশিট পাঠানো হয় ৩৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করে কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর কাছ থেকে মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করব। এ জন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোর প্রতি যত দ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে অনুরোধ জানাই। এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছে অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এই কমিশনের সদস্যরা হলেন—ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনাব সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান। এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস।
কমিশনের কাজে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে সাংবাদিক মনির হায়দারকে নিয়োগ করা হয়। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোকে ছকের আকারে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এসব ছকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে যুক্ত করা হয়নি। কারণ পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাঁদের সুপারিশসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ছকগুলো ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এতে মোট সুপারিশের সংখ্যা হচ্ছে ১৬৬টি। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি; নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ ২৭টি; বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি; জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি; এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।
এর আগের বৈঠকে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো—সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো—‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়টি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায়। এই ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প আছে। সেগুলো হলো, ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
কমিশন আশা করছে, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাঁদের মতামত জানাবেন। ইতিমধ্যে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা ব্যাখ্যার দরকার হয়, তবে কমিশন সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং এসব বিষয়ে আলোচনা করতে সব সময় প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানার জন্য খুব শিগগিরই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশন গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি।
পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচ কমিশনের ওপর মতামত দেওয়ার জন্য একটি স্প্রেডশিট পাঠানো হয় ৩৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করে কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর কাছ থেকে মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করব। এ জন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোর প্রতি যত দ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে অনুরোধ জানাই। এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছে অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এই কমিশনের সদস্যরা হলেন—ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনাব সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান। এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস।
কমিশনের কাজে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে সাংবাদিক মনির হায়দারকে নিয়োগ করা হয়। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোকে ছকের আকারে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এসব ছকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে যুক্ত করা হয়নি। কারণ পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে, তাঁদের সুপারিশসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ছকগুলো ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এতে মোট সুপারিশের সংখ্যা হচ্ছে ১৬৬টি। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি; নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ ২৭টি; বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি; জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি; এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।
এর আগের বৈঠকে প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো—সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো—‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়টি হলো, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায়। এই ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প আছে। সেগুলো হলো, ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
কমিশন আশা করছে, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাঁদের মতামত জানাবেন। ইতিমধ্যে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা ব্যাখ্যার দরকার হয়, তবে কমিশন সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং এসব বিষয়ে আলোচনা করতে সব সময় প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানার জন্য খুব শিগগিরই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে।
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমানো এবং শিশুধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা হবে আজ সোমবার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে এ সভা হবে। সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খ
৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারের জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার বেঞ্চ এ রুল জ
১১ ঘণ্টা আগেডিএমপি কমিশনারের ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার আহ্বানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধর্ষণ হলো ধর্ষণ, তা ৮ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেই হোক বা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ক্ষেত্রেই হোক। এত গুরুতর ও জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকতে হবে।’ নাগরিক সমাজ,
১২ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় কুচকাওয়াজ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি জানান, জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় এ বছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে