আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে এমন এক প্রশ্নে—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। যদি স্বল্প সংস্কার হয় তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে। চূড়ান্ত তারিখ কি? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের উপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এরচেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কি হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টারে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশাপ্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটাদাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলাদা আলাদা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কাকে গুরুত্ব দেবে এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার সবাইকে গুরুত্ব দেবে। এখানে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পৌঁছাতে পারে। সে জন্য যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে তাদের সবার মতামত নিয়ে একটা সম্মিলিতভাবে পৌঁছে জাতির জন্য কল্যাণ হয় সেরকম সিদ্ধান্ত সরকার নেবে।
জাতীয় ঐক্যমত হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।’
আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐক্যমত গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসে। সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে। তাদের বিচার হবেই। এখানে কোন মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশ ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেস সচিব। সরকারি-আধা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। আইসিটি বিষয়, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষা, নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠ্য বইকে সরকার আরও যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা যেন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারবো সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে আমরা মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।’

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে এমন এক প্রশ্নে—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। যদি স্বল্প সংস্কার হয় তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে। চূড়ান্ত তারিখ কি? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের উপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এরচেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কি হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টারে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশাপ্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটাদাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলাদা আলাদা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কাকে গুরুত্ব দেবে এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার সবাইকে গুরুত্ব দেবে। এখানে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পৌঁছাতে পারে। সে জন্য যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে তাদের সবার মতামত নিয়ে একটা সম্মিলিতভাবে পৌঁছে জাতির জন্য কল্যাণ হয় সেরকম সিদ্ধান্ত সরকার নেবে।
জাতীয় ঐক্যমত হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।’
আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐক্যমত গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসে। সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে। তাদের বিচার হবেই। এখানে কোন মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশ ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেস সচিব। সরকারি-আধা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। আইসিটি বিষয়, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষা, নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠ্য বইকে সরকার আরও যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা যেন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারবো সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে আমরা মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে এমন এক প্রশ্নে—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। যদি স্বল্প সংস্কার হয় তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে। চূড়ান্ত তারিখ কি? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের উপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এরচেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কি হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টারে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশাপ্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটাদাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলাদা আলাদা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কাকে গুরুত্ব দেবে এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার সবাইকে গুরুত্ব দেবে। এখানে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পৌঁছাতে পারে। সে জন্য যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে তাদের সবার মতামত নিয়ে একটা সম্মিলিতভাবে পৌঁছে জাতির জন্য কল্যাণ হয় সেরকম সিদ্ধান্ত সরকার নেবে।
জাতীয় ঐক্যমত হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।’
আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐক্যমত গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসে। সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে। তাদের বিচার হবেই। এখানে কোন মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশ ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেস সচিব। সরকারি-আধা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। আইসিটি বিষয়, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষা, নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠ্য বইকে সরকার আরও যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা যেন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারবো সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে আমরা মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।’

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে এমন এক প্রশ্নে—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। যদি স্বল্প সংস্কার হয় তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে। চূড়ান্ত তারিখ কি? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের উপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এরচেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কি হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনের দিনক্ষণ ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টারে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশাপ্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটাদাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলাদা আলাদা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কাকে গুরুত্ব দেবে এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার সবাইকে গুরুত্ব দেবে। এখানে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে পৌঁছাতে পারে। সে জন্য যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে তাদের সবার মতামত নিয়ে একটা সম্মিলিতভাবে পৌঁছে জাতির জন্য কল্যাণ হয় সেরকম সিদ্ধান্ত সরকার নেবে।
জাতীয় ঐক্যমত হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।’
আওয়ামী লীগের বিচার পরে নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির এমন দাবি প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাম মজুমদার বলেন, জাতীয় ঐক্যমত গঠন কমিশনের আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসে কিংবা আদালত থেকে কোন নির্দেশনা আসে। সবগুলো বিষয় বিবেচনা করে সরকার যদি মনে করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে। তাদের বিচার হবেই। এখানে কোন মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুক নিশ্চিত থাকতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশ ত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রেস সচিব। সরকারি-আধা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। আইসিটি বিষয়, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষা, নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠ্য বইকে সরকার আরও যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়, সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে সেটা যেন আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারবো সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে আমরা মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
১০ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩৯ মিনিট আগে
বিশেষ করে আগামী ২২ জানুয়ারি বা এর পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে থাকবে না ভয়, থাকবে না বাধা— থাকবে কেবল জনগণের মুক্ত ও নির্ভীক মতপ্রকাশ। সরকার সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সুপার ক্যারাভান কেবল একটি গাড়িই নয়—এটি গণতন্ত্রের আনন্দবাণী বহনকারী বহর। এটি জানিয়ে দেবে, আপনার একটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মনে করিয়ে দেবে নিষ্ক্রিয়তা নয়, অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি, আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তা ভাবনা করে ভোট দিন।’
গণভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠককরে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন তবে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চলুন, আমরা সবাই মিলে এই গণতান্ত্রিক যাত্রাকে সফল করি। চলুন, ভোট দিই—নিজের জন্য, দেশের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, নতুন পৃথিবীর জন্য।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে থাকবে না ভয়, থাকবে না বাধা— থাকবে কেবল জনগণের মুক্ত ও নির্ভীক মতপ্রকাশ। সরকার সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সুপার ক্যারাভান কেবল একটি গাড়িই নয়—এটি গণতন্ত্রের আনন্দবাণী বহনকারী বহর। এটি জানিয়ে দেবে, আপনার একটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মনে করিয়ে দেবে নিষ্ক্রিয়তা নয়, অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি, আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তা ভাবনা করে ভোট দিন।’
গণভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠককরে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন তবে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চলুন, আমরা সবাই মিলে এই গণতান্ত্রিক যাত্রাকে সফল করি। চলুন, ভোট দিই—নিজের জন্য, দেশের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, নতুন পৃথিবীর জন্য।’

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩৯ মিনিট আগে
বিশেষ করে আগামী ২২ জানুয়ারি বা এর পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যাত্রা শুরু করা ‘ভোটের গাড়ির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ভোটের গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট।’
সবাইকে ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি—আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তা ভাবনা করে ভোট দিন।’
এ সময় গণভোটের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠক করে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন তবে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নির্বাচনী প্রচারণাকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ‘ভোটের গাড়ি’, যা মূলত এক ধরনের সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে। এ ছাড়া এই ভোটের গাড়ির মাধ্যমে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যাত্রা শুরু করা ‘ভোটের গাড়ির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ভোটের গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট।’
সবাইকে ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি—আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তা ভাবনা করে ভোট দিন।’
এ সময় গণভোটের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠক করে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন তবে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নির্বাচনী প্রচারণাকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ‘ভোটের গাড়ি’, যা মূলত এক ধরনের সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে। এ ছাড়া এই ভোটের গাড়ির মাধ্যমে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
১০ মিনিট আগে
বিশেষ করে আগামী ২২ জানুয়ারি বা এর পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে গুয়াংজু বিমানবন্দরে বিমানের সব ফ্লাইট টার্মিনাল-১-এর পরিবর্তে টার্মিনাল-৩ থেকে পরিচালিত হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গুয়াংজু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই টার্মিনাল পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের ফ্লাইটগুলো নির্ধারিত তারিখের পর থেকে নতুন টার্মিনাল ব্যবহার করবে। এ কারণে যাত্রীদের ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে, আগামী ২২ জানুয়ারি বা তার পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি সব সময় সচেষ্ট এবং এই পরিবর্তনের ফলে যাত্রীদের সাময়িক কোনো অসুবিধা হলে তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
প্রয়োজনে যাত্রীরা ঢাকায় বিমানের কল সেন্টার ১৩৬৩৬ নম্বরে অথবা গুয়াংজু অফিসের +৮৬১৯৮৬৮৬৫৩০২৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে গুয়াংজু বিমানবন্দরে বিমানের সব ফ্লাইট টার্মিনাল-১-এর পরিবর্তে টার্মিনাল-৩ থেকে পরিচালিত হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গুয়াংজু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই টার্মিনাল পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের ফ্লাইটগুলো নির্ধারিত তারিখের পর থেকে নতুন টার্মিনাল ব্যবহার করবে। এ কারণে যাত্রীদের ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে, আগামী ২২ জানুয়ারি বা তার পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি সব সময় সচেষ্ট এবং এই পরিবর্তনের ফলে যাত্রীদের সাময়িক কোনো অসুবিধা হলে তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
প্রয়োজনে যাত্রীরা ঢাকায় বিমানের কল সেন্টার ১৩৬৩৬ নম্বরে অথবা গুয়াংজু অফিসের +৮৬১৯৮৬৮৬৫৩০২৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
১০ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩৯ মিনিট আগে
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তবে আসামিপক্ষে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করে দেন।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছিলেন গ্যাং অব ফোরের সদস্য। আন্দোলন দমনে কোথায়, কীভাবে অপারেশন হবে, কী অস্ত্র ব্যবহার হবে, কীভাবে হত্যা করা হবে, কাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা বা রিমান্ডে নেওয়া হবে —এসব পরিকল্পনা করেছেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান। কারফিউ জারির জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁরা। কারফিউ দিয়ে আন্দোলনকারীদের একদম শেষ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন আনিসুল হক। তাঁরা এই পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীকেও দেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তবে আসামিপক্ষে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করে দেন।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছিলেন গ্যাং অব ফোরের সদস্য। আন্দোলন দমনে কোথায়, কীভাবে অপারেশন হবে, কী অস্ত্র ব্যবহার হবে, কীভাবে হত্যা করা হবে, কাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা বা রিমান্ডে নেওয়া হবে —এসব পরিকল্পনা করেছেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান। কারফিউ জারির জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁরা। কারফিউ দিয়ে আন্দোলনকারীদের একদম শেষ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন আনিসুল হক। তাঁরা এই পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীকেও দেন।

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একই সঙ্গে তারা বলছেন, হত্যা, খুন, দুর্নীতির অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে বলেও জানান তারা।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক্যারাভান।
১০ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩৯ মিনিট আগে
বিশেষ করে আগামী ২২ জানুয়ারি বা এর পর গুয়াংজু থেকে যাত্রা করবেন—এমন যাত্রীদের টিকিট ও বোর্ডিং পাস ভালোভাবে যাচাই করা এবং টার্মিনাল-৩-এ পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে