আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, এই ফোরামটি এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহুপাক্ষিকতার অধীনে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন তীব্র হচ্ছে। ঋণের বোঝা অসহনীয়। মানবিক সংকট বাড়ছে। উন্নয়ন সহযোগিতার রাজনৈতিক সদিচ্ছা দুর্বল হচ্ছে। বিশ্ব সম্মিলিত পদক্ষেপের এক উদ্বেগজনক ঘাটতির সম্মুখীন।
বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ও জিডিপির ৫৫ শতাংশ ধারণকারী এশিয়া এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন নিয়ম, প্রবিধান ও প্রযুক্তি শাসন ও অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছে। এক দশক আগে যে অনুমানগুলো নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রেখেছিল, সেগুলো এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা এর আগে কখনোই এত বেশি অনুভূত হয়নি।
২০০৭ সালে আমি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-তে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে আমার অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করার জন্য যোগ দিয়েছিলাম। আজ, আমি আপনাদের সামনে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় দাঁড়িয়েছি। আজ আমি এমন এক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি যা গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে একটি ঐতিহাসিক রূপান্তর লাভ করেছে। বিশ্ব নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এক জাতিকে দেখেছে। আমাদের যুবসমাজ ও নাগরিকেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যতিক্রমী দৃঢ়তা ও শক্তির পরিচয় দিয়েছে। জন আস্থা পুনরুদ্ধারে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের জাতির মৌলিক পরিবর্তন ঘটবে।
মাননীয় মহোদয়গণ,
এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা বহুবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যা অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সাদৃশ্যপূর্ণ। বিশেষ করে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারের অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য বিঘ্ন অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণ পরিশোধের খরচ এশিয়ার ঋণ সংকটকে আরও গভীর করছে।
২০৩০ এজেন্ডার প্রতি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি থাকার পরও, অগ্রগতি ধীর। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। উন্নয়নশীল এশীয় দেশগুলো বার্ষিক ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এসডিজি অর্থায়ন ঘাটতির সম্মুখীন। এসডিজি অর্থায়নের বাইরেও, এশিয়ার টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে বৃহৎ আকারের বিনিয়োগের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ দুর্নীতি ও অবৈধ আর্থিক প্রবাহের শিকার হয়েছে। এই দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আনুমানিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক ক্ষতি হয়, যা তারা যে মোট ওডিএ (বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা) পায় তার কয়েকগুণ বেশি। সম্পদ পুনরুদ্ধার ও প্রত্যাবর্তনের জন্য এশিয়ার একটি বহুপক্ষীয় মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
খাদ্য নিরাপত্তা ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারের বাজেট, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। খাদ্য সরবরাহ চেইন শক্তিশালী করা অপরিহার্য।
জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে নিট-আমদানিনির্ভর (যেসব দেশের আমদানি রপ্তানির চেয়ে বেশি) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হলে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ঋণ সংকট দেখা দেয়। আমাদের টেকসই জ্বালানি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
মানবপুঁজি উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুশিক্ষিত, দক্ষ কর্মীবাহিনী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে চালিত করে। যেসব দেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করে, তারা উন্নত অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা দেখতে পায়। আমাদের যুবকদের ভবিষ্যতের চাকরির জন্য প্রস্তুত করতে ডিজিটাল শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করতে হবে।
বিশিষ্ট সুধীজন,
আমরা আত্মঘাতী অর্থনৈতিক মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে রাখার কারণে আমাদের সভ্যতা হুমকির মুখে। প্রভাবশালী অর্থনৈতিক মডেল সীমাহীন ভোগের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি বৃদ্ধির নামে অতিরিক্ত সম্পদ আহরণ এবং পরিবেশের অবক্ষয়কে ন্যায্যতা দেয়। আমাদের অবশ্যই টেকসই অর্থনৈতিক মডেলের দিকে ঝুঁকতে হবে যা লাভের চেয়ে মানুষ ও গ্রহকে অগ্রাধিকার দেয়।
জলবায়ু সংকট মানবজাতির জন্য অস্তিত্বগত হুমকি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, জলবায়ু দুর্যোগ-সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ক্ষতি ইতিমধ্যেই বিশাল, যা ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পদ স্থানান্তর করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ সীমিত করছে। আমাদের নতুন, অতিরিক্ত, সহজলভ্য, বিদেশি উন্নয়ন সহায়তার বাইরে, অ-ঋণ সৃষ্টিকারী, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন, যা অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে একটি ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করবে।
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও প্রযুক্তিতে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি একটি সতর্ক বার্তা ছিল, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গভীর বৈষম্যকে তুলে ধরেছে। এশিয়ার মহামারি চুক্তির চলমান আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া উচিত।
উপাত্তভিত্তিক প্রযুক্তি, রোবোটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতি বিশ্বকে নতুন আকার দিচ্ছে। উন্নত অর্থনীতির তুলনায় এশিয়ায় কম সক্ষমতা, সামর্থ্য এবং সম্পদ সংস্থান ডিজিটাল বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ডেটা সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। যদি প্রযুক্তি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে বিকশিত হয়, তবে এটি অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এশিয়াকে ডিজিটাল বিভাজন কমাতে হবে এবং প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও ইনকিউবেশনে আঞ্চলিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
সম্মানিত নারী ও ভদ্রমহোদয়গণ,
এশিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, তার ভাষা, ঐতিহ্য, দর্শন এবং রীতিনীতির সমৃদ্ধ চিত্র, মানব সভ্যতার স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতার প্রমাণ। ইসলাম, কনফুসিয়ানিজম, বৌদ্ধধর্ম এবং হিন্দুধর্মের দর্শন, অন্যদের মধ্যে, বিশ্ব চিন্তাভাবনাকে রূপ দিয়েছে, নৈতিকতা, শাসন এবং মানব আত্মা সম্পর্কে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে।
এশিয়া তার বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করেই সমৃদ্ধ হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রাণবন্ত আদান-প্রদান কেবল এই অঞ্চলকেই প্রভাবিত করেনি, বিশ্বকেও রূপ দিয়েছে। আজ, এশিয়ার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তার বিশ্বব্যাপী প্রভাবের চালিকাশক্তি। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ, পূর্বপুরুষদের প্রজ্ঞার প্রতি শ্রদ্ধা এবং অত্যাধুনিক উদ্ভাবনের পাশাপাশি, একটি গতিশীল শক্তি তৈরি করে যা এই অঞ্চলকে তার গভীর ঐতিহাসিক শিকড়কে সম্মান জানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
এশিয়ার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিশাল সম্ভাবনা উপস্থাপন করেছে। একটি ক্রমবর্ধমান কর্মীবাহিনী, বিশেষ করে তরুণেরা, উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতাকে এগিয়ে নিতে পারে। আমাদের অবশ্যই তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার ও সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য অর্থায়নের সুযোগ দিতে হবে। মানবপুঁজি এবং শিক্ষাব্যবস্থায় এমন বিনিয়োগ করতে হবে যা ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাকরির বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এশিয়ার ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলকতাকে রূপ দেবে।
এশিয়ায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখনো কম। নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান। আমাদের অবশ্যই নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথে বাধা দূর করতে হবে এবং সুযোগের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের বহু-সংকটময় বিশ্বে, যুদ্ধ এবং সংঘাত অধিকার ক্ষুণ্ন করে এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে। গাজায় গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দার পরেও অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের সংকট কেবল আরব বা মুসলিমদের উদ্বেগের বিষয় নয়, এটি একটি মানবিক সমস্যা। ইউক্রেনের অব্যাহত উত্তেজনা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মিয়ানমারের দীর্ঘস্থায়ী সংকট আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১২ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা উল্লেখযোগ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত খরচ বহন করে চলেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতি সংহতি জানাতে শিবির পরিদর্শন করেছেন। যদিও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তবে এশিয়ার নেতাদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হতে হবে।
বিশিষ্ট সুধীজন,
এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে, এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। এই ফোরামে, এশিয়াকে চারটি মূল ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।
প্রথমত, আর্থিক সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি টেকসই অর্থায়ন প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে। আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের নির্ভরযোগ্য তহবিলের প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য সহযোগিতা। এশিয়া এখনো সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এই দুর্বল সমন্বয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। আমাদের অবিলম্বে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।
তৃতীয়ত, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা। আমাদের সম্পদ-সাশ্রয়ী চাষাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক টেকসই কৃষি সমাধান এবং পুনর্জন্মমূলক ও জলবায়ু-স্মার্ট কৃষিতে উদ্ভাবন সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত, প্রযুক্তি সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা পুনরুদ্ধারমূলক, বিতরণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। আমাদের জ্ঞান, ডেটা শেয়ার করতে হবে এবং প্রযুক্তি ইনকিউবেশন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল সমাধানের ওপর সহযোগিতা অগ্রগতিকে চালিত করবে।
অবশেষে, মেধা সম্পদ এবং যুব শক্তিকে একত্রিত করা আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে। আমাদের একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করতে হবে: একটি আত্ম-সংরক্ষণকারী এবং আত্ম-পুনর্বিন্যাসকারী সমাজরে দিকে এগিয়ে যেতে হলে। আমাদের ‘শূন্য-বর্জ্য’ জীবনযাত্রার নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
ভোগ কেবল প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের অর্থনীতির সামাজিক ব্যবসার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, যা ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবসার ভবিষ্যতের পথ নির্দেশক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে; যেখানে উদ্ভাবন, উদ্দেশ্য এবং দায়িত্ব একত্রিত হয়। বোয়াও ফোরাম এবং এশিয়ার অন্যান্য অনুরূপ উদ্যোগের মাধ্যমে যুব ও উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা উচিত যাতে এশিয়া আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান হয়।
আমি সব সময় বলি, প্রতিটি যুবক-যুবতীর ‘থ্রি-জিরো বা তিন-শূন্য’ ধারণা সংবলিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেড়ে ওঠা উচিত—শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে শূন্য বেকারত্ব। এটাই সেই অভিন্ন ভবিষ্যৎ, যা আমাদের এশিয়ায় একসঙ্গে তৈরি করতে হবে।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, এই ফোরামটি এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহুপাক্ষিকতার অধীনে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন তীব্র হচ্ছে। ঋণের বোঝা অসহনীয়। মানবিক সংকট বাড়ছে। উন্নয়ন সহযোগিতার রাজনৈতিক সদিচ্ছা দুর্বল হচ্ছে। বিশ্ব সম্মিলিত পদক্ষেপের এক উদ্বেগজনক ঘাটতির সম্মুখীন।
বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ও জিডিপির ৫৫ শতাংশ ধারণকারী এশিয়া এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন নিয়ম, প্রবিধান ও প্রযুক্তি শাসন ও অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছে। এক দশক আগে যে অনুমানগুলো নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রেখেছিল, সেগুলো এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা এর আগে কখনোই এত বেশি অনুভূত হয়নি।
২০০৭ সালে আমি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-তে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে আমার অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করার জন্য যোগ দিয়েছিলাম। আজ, আমি আপনাদের সামনে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকায় দাঁড়িয়েছি। আজ আমি এমন এক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি যা গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে একটি ঐতিহাসিক রূপান্তর লাভ করেছে। বিশ্ব নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এক জাতিকে দেখেছে। আমাদের যুবসমাজ ও নাগরিকেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যতিক্রমী দৃঢ়তা ও শক্তির পরিচয় দিয়েছে। জন আস্থা পুনরুদ্ধারে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শুরু করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের জাতির মৌলিক পরিবর্তন ঘটবে।
মাননীয় মহোদয়গণ,
এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা বহুবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যা অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সাদৃশ্যপূর্ণ। বিশেষ করে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারের অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং বাণিজ্য বিঘ্ন অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণ পরিশোধের খরচ এশিয়ার ঋণ সংকটকে আরও গভীর করছে।
২০৩০ এজেন্ডার প্রতি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি থাকার পরও, অগ্রগতি ধীর। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। উন্নয়নশীল এশীয় দেশগুলো বার্ষিক ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এসডিজি অর্থায়ন ঘাটতির সম্মুখীন। এসডিজি অর্থায়নের বাইরেও, এশিয়ার টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে বৃহৎ আকারের বিনিয়োগের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ দুর্নীতি ও অবৈধ আর্থিক প্রবাহের শিকার হয়েছে। এই দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আনুমানিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক ক্ষতি হয়, যা তারা যে মোট ওডিএ (বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা) পায় তার কয়েকগুণ বেশি। সম্পদ পুনরুদ্ধার ও প্রত্যাবর্তনের জন্য এশিয়ার একটি বহুপক্ষীয় মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
খাদ্য নিরাপত্তা ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারের বাজেট, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। খাদ্য সরবরাহ চেইন শক্তিশালী করা অপরিহার্য।
জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে নিট-আমদানিনির্ভর (যেসব দেশের আমদানি রপ্তানির চেয়ে বেশি) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হলে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ঋণ সংকট দেখা দেয়। আমাদের টেকসই জ্বালানি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
মানবপুঁজি উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুশিক্ষিত, দক্ষ কর্মীবাহিনী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে চালিত করে। যেসব দেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করে, তারা উন্নত অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা দেখতে পায়। আমাদের যুবকদের ভবিষ্যতের চাকরির জন্য প্রস্তুত করতে ডিজিটাল শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করতে হবে।
বিশিষ্ট সুধীজন,
আমরা আত্মঘাতী অর্থনৈতিক মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে রাখার কারণে আমাদের সভ্যতা হুমকির মুখে। প্রভাবশালী অর্থনৈতিক মডেল সীমাহীন ভোগের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি বৃদ্ধির নামে অতিরিক্ত সম্পদ আহরণ এবং পরিবেশের অবক্ষয়কে ন্যায্যতা দেয়। আমাদের অবশ্যই টেকসই অর্থনৈতিক মডেলের দিকে ঝুঁকতে হবে যা লাভের চেয়ে মানুষ ও গ্রহকে অগ্রাধিকার দেয়।
জলবায়ু সংকট মানবজাতির জন্য অস্তিত্বগত হুমকি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, জলবায়ু দুর্যোগ-সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ক্ষতি ইতিমধ্যেই বিশাল, যা ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পদ স্থানান্তর করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ সীমিত করছে। আমাদের নতুন, অতিরিক্ত, সহজলভ্য, বিদেশি উন্নয়ন সহায়তার বাইরে, অ-ঋণ সৃষ্টিকারী, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রয়োজন, যা অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে একটি ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করবে।
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও প্রযুক্তিতে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি একটি সতর্ক বার্তা ছিল, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গভীর বৈষম্যকে তুলে ধরেছে। এশিয়ার মহামারি চুক্তির চলমান আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া উচিত।
উপাত্তভিত্তিক প্রযুক্তি, রোবোটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতি বিশ্বকে নতুন আকার দিচ্ছে। উন্নত অর্থনীতির তুলনায় এশিয়ায় কম সক্ষমতা, সামর্থ্য এবং সম্পদ সংস্থান ডিজিটাল বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ডেটা সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। যদি প্রযুক্তি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে বিকশিত হয়, তবে এটি অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এশিয়াকে ডিজিটাল বিভাজন কমাতে হবে এবং প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও ইনকিউবেশনে আঞ্চলিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
সম্মানিত নারী ও ভদ্রমহোদয়গণ,
এশিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, তার ভাষা, ঐতিহ্য, দর্শন এবং রীতিনীতির সমৃদ্ধ চিত্র, মানব সভ্যতার স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতার প্রমাণ। ইসলাম, কনফুসিয়ানিজম, বৌদ্ধধর্ম এবং হিন্দুধর্মের দর্শন, অন্যদের মধ্যে, বিশ্ব চিন্তাভাবনাকে রূপ দিয়েছে, নৈতিকতা, শাসন এবং মানব আত্মা সম্পর্কে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে।
এশিয়া তার বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করেই সমৃদ্ধ হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রাণবন্ত আদান-প্রদান কেবল এই অঞ্চলকেই প্রভাবিত করেনি, বিশ্বকেও রূপ দিয়েছে। আজ, এশিয়ার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তার বিশ্বব্যাপী প্রভাবের চালিকাশক্তি। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ, পূর্বপুরুষদের প্রজ্ঞার প্রতি শ্রদ্ধা এবং অত্যাধুনিক উদ্ভাবনের পাশাপাশি, একটি গতিশীল শক্তি তৈরি করে যা এই অঞ্চলকে তার গভীর ঐতিহাসিক শিকড়কে সম্মান জানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
এশিয়ার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিশাল সম্ভাবনা উপস্থাপন করেছে। একটি ক্রমবর্ধমান কর্মীবাহিনী, বিশেষ করে তরুণেরা, উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতাকে এগিয়ে নিতে পারে। আমাদের অবশ্যই তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার ও সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য অর্থায়নের সুযোগ দিতে হবে। মানবপুঁজি এবং শিক্ষাব্যবস্থায় এমন বিনিয়োগ করতে হবে যা ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাকরির বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এশিয়ার ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলকতাকে রূপ দেবে।
এশিয়ায় নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখনো কম। নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান। আমাদের অবশ্যই নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথে বাধা দূর করতে হবে এবং সুযোগের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের বহু-সংকটময় বিশ্বে, যুদ্ধ এবং সংঘাত অধিকার ক্ষুণ্ন করে এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে। গাজায় গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দার পরেও অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের সংকট কেবল আরব বা মুসলিমদের উদ্বেগের বিষয় নয়, এটি একটি মানবিক সমস্যা। ইউক্রেনের অব্যাহত উত্তেজনা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মিয়ানমারের দীর্ঘস্থায়ী সংকট আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১২ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা উল্লেখযোগ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত খরচ বহন করে চলেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতি সংহতি জানাতে শিবির পরিদর্শন করেছেন। যদিও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তবে এশিয়ার নেতাদের অবশ্যই তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হতে হবে।
বিশিষ্ট সুধীজন,
এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে, এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। এই ফোরামে, এশিয়াকে চারটি মূল ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।
প্রথমত, আর্থিক সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি টেকসই অর্থায়ন প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে। আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের নির্ভরযোগ্য তহবিলের প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য সহযোগিতা। এশিয়া এখনো সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এই দুর্বল সমন্বয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। আমাদের অবিলম্বে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।
তৃতীয়ত, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা। আমাদের সম্পদ-সাশ্রয়ী চাষাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক টেকসই কৃষি সমাধান এবং পুনর্জন্মমূলক ও জলবায়ু-স্মার্ট কৃষিতে উদ্ভাবন সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত, প্রযুক্তি সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা পুনরুদ্ধারমূলক, বিতরণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। আমাদের জ্ঞান, ডেটা শেয়ার করতে হবে এবং প্রযুক্তি ইনকিউবেশন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল সমাধানের ওপর সহযোগিতা অগ্রগতিকে চালিত করবে।
অবশেষে, মেধা সম্পদ এবং যুব শক্তিকে একত্রিত করা আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে। আমাদের একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করতে হবে: একটি আত্ম-সংরক্ষণকারী এবং আত্ম-পুনর্বিন্যাসকারী সমাজরে দিকে এগিয়ে যেতে হলে। আমাদের ‘শূন্য-বর্জ্য’ জীবনযাত্রার নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
ভোগ কেবল প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের অর্থনীতির সামাজিক ব্যবসার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, যা ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবসার ভবিষ্যতের পথ নির্দেশক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে; যেখানে উদ্ভাবন, উদ্দেশ্য এবং দায়িত্ব একত্রিত হয়। বোয়াও ফোরাম এবং এশিয়ার অন্যান্য অনুরূপ উদ্যোগের মাধ্যমে যুব ও উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা উচিত যাতে এশিয়া আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত স্থান হয়।
আমি সব সময় বলি, প্রতিটি যুবক-যুবতীর ‘থ্রি-জিরো বা তিন-শূন্য’ ধারণা সংবলিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেড়ে ওঠা উচিত—শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে শূন্য বেকারত্ব। এটাই সেই অভিন্ন ভবিষ্যৎ, যা আমাদের এশিয়ায় একসঙ্গে তৈরি করতে হবে।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৩৮ মিনিট আগে
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অন্তবর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।
বৈঠক অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
এদিকে দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অন্তবর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।
বৈঠক অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
এদিকে দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে...
২৭ মার্চ ২০২৫
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এসব কথা জানানো হয়। শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর অবদান, তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং তাঁর প্রতি জনগণের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলতি মাসে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় মনোবল সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারাল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসা খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে।
ড. ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়ার বহু কর্ম ও সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। তিনি মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া ভীষণভাবে সফল ছিলেন। তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর আপসহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবাস করতে হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এসব কথা জানানো হয়। শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর অবদান, তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং তাঁর প্রতি জনগণের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলতি মাসে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় মনোবল সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারাল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসা খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে।
ড. ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়ার বহু কর্ম ও সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। তিনি মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া ভীষণভাবে সফল ছিলেন। তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর আপসহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাঁকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবাস করতে হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে...
২৭ মার্চ ২০২৫
ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৩৮ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে...
২৭ মার্চ ২০২৫
ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৩৮ মিনিট আগে
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে বড় চারটি খাতে...
২৭ মার্চ ২০২৫
ইতিমধ্য বৈঠকে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৩৮ মিনিট আগে
জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
১০ ঘণ্টা আগে