নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার ‘অনন্ত দুর্দশা: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অভিযুক্তদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে অভিযুক্ত ১ হাজার ৪৮৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়— রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকেরাই এই আইনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৪৬৪ জন (৩১.২২ %), সাংবাদিক ৪৪২ জন (২৯.৭৪ %), শিক্ষার্থী ১৩৫ জন (৯.০৮ %) ও শিক্ষক ৫৯ জন (৩.৯৭ %)। পেশা অনুযায়ী মোট গ্রেপ্তার ৫৬৩ জন। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ১৪১ জন, সাংবাদিক ৯৫ জন, শিক্ষার্থী ১০০ জন, শিক্ষক ৪২ জন (মাদ্রাসার শিক্ষক ১৭ জন)।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৭ হাজার ১টি। তবে সিজিএসের গবেষণায় অক্টোবর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দায়েরকৃত ১ হাজার ৪১০টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ সব মামলার তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায়—প্রতিটি মামলায় গড় আসামি ৩ দশমিক ১২ জন। তাহলে ৭ হাজার ১টি মামলার মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ২১ হাজার ৮৬৭ জন। প্রতিটি মামলায় গড়ে ১ দশমিক ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মোট হিসেব দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭ হাজার ৫৪২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে অভিযোগকারী ৮৪৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়—অভিযোগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৩৩৩ জন (২৫৯ জন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট), আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৫২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে প্রধানমন্ত্রীর মানহানির জন্য মামলা হয়েছে ১৯০টি, যার মধ্যে অভিযুক্তের সংখ্যা ৪৬৪ জন, গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬১ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ৩১টি মামলা করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক কর্তৃক মামলা হয় ১৫৯টি।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুনভাবে এসেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এটা আমাদের বন্দী করে ফেলছে। বাংলাদেশ এখন শৃঙ্খলিত বাংলাদেশ। ৭ তারিখে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের পর কর্তৃত্ববাদী সরকারের দরকার এ রকম একটা আইন যার মাধ্যমে সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি সম্প্রসারণ করা সম্ভব।’
আলোচক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনগুলো সামগ্রিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আইনের কাজ ৷ সরকারকে রক্ষা করার অথবা সরকারি দলকে রক্ষা করার কোনো আইন মানুষের উপকারে আসে না। গণতান্ত্রিক দেশে সার্বভৌম দেশে এমন আইন চলতে পারে না।
আলোচকেরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার সুরক্ষা আইন নামে নতুনভাবে এসেছে। দুটোর মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেহেতু বাতিল হয়েছে তাই এই আইনে অভিযুক্ত সবাইকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, যে আইন দেশে নেই, সেই আইনের অধীনে মামলা কীভাবে চলে। এই মামলা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আইনে আছে, রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করা যাবে না। দেবতার যদি সমালোচনা করা যায়, ধর্মবিশ্বাসের যদি বিরোধিতা করা যায়, তাহলে রাজনৈতিক নেতার কেন সমালোচনা করা যাবে না।
ওয়েবিনারে ডিএসএ মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা, মামলাগুলোর তথ্য জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা, সব মামলার সত্যতা খুঁজে বের করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন, যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত, বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার ‘অনন্ত দুর্দশা: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অভিযুক্তদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে অভিযুক্ত ১ হাজার ৪৮৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়— রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকেরাই এই আইনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার।
এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৪৬৪ জন (৩১.২২ %), সাংবাদিক ৪৪২ জন (২৯.৭৪ %), শিক্ষার্থী ১৩৫ জন (৯.০৮ %) ও শিক্ষক ৫৯ জন (৩.৯৭ %)। পেশা অনুযায়ী মোট গ্রেপ্তার ৫৬৩ জন। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ১৪১ জন, সাংবাদিক ৯৫ জন, শিক্ষার্থী ১০০ জন, শিক্ষক ৪২ জন (মাদ্রাসার শিক্ষক ১৭ জন)।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৭ হাজার ১টি। তবে সিজিএসের গবেষণায় অক্টোবর ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দায়েরকৃত ১ হাজার ৪১০টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ সব মামলার তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায়—প্রতিটি মামলায় গড় আসামি ৩ দশমিক ১২ জন। তাহলে ৭ হাজার ১টি মামলার মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ২১ হাজার ৮৬৭ জন। প্রতিটি মামলায় গড়ে ১ দশমিক ০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মোট হিসেব দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭ হাজার ৫৪২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে অভিযোগকারী ৮৪৬ জনের পেশা শনাক্ত করে দেখা যায়—অভিযোগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ৩৩৩ জন (২৫৯ জন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট), আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৫২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিএসএতে প্রধানমন্ত্রীর মানহানির জন্য মামলা হয়েছে ১৯০টি, যার মধ্যে অভিযুক্তের সংখ্যা ৪৬৪ জন, গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬১ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ৩১টি মামলা করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক কর্তৃক মামলা হয় ১৫৯টি।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুনভাবে এসেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এটা আমাদের বন্দী করে ফেলছে। বাংলাদেশ এখন শৃঙ্খলিত বাংলাদেশ। ৭ তারিখে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের পর কর্তৃত্ববাদী সরকারের দরকার এ রকম একটা আইন যার মাধ্যমে সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি সম্প্রসারণ করা সম্ভব।’
আলোচক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনগুলো সামগ্রিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আইনের কাজ ৷ সরকারকে রক্ষা করার অথবা সরকারি দলকে রক্ষা করার কোনো আইন মানুষের উপকারে আসে না। গণতান্ত্রিক দেশে সার্বভৌম দেশে এমন আইন চলতে পারে না।
আলোচকেরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার সুরক্ষা আইন নামে নতুনভাবে এসেছে। দুটোর মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেহেতু বাতিল হয়েছে তাই এই আইনে অভিযুক্ত সবাইকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, যে আইন দেশে নেই, সেই আইনের অধীনে মামলা কীভাবে চলে। এই মামলা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আইনে আছে, রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করা যাবে না। দেবতার যদি সমালোচনা করা যায়, ধর্মবিশ্বাসের যদি বিরোধিতা করা যায়, তাহলে রাজনৈতিক নেতার কেন সমালোচনা করা যাবে না।
ওয়েবিনারে ডিএসএ মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা, মামলাগুলোর তথ্য জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা, সব মামলার সত্যতা খুঁজে বের করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন, যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত, বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
১৮ মিনিট আগে
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ আজ (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।’
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে। ”’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে। টেলিফোনে আলাপকালে সম্পাদকদের ও সংবাদমাধ্যমগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।’
খুব শিগগিরই এই সম্পাদকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।’
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে। ”’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে। টেলিফোনে আলাপকালে সম্পাদকদের ও সংবাদমাধ্যমগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।’
খুব শিগগিরই এই সম্পাদকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিব
০২ জানুয়ারি ২০২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
১৮ মিনিট আগে
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ আজ (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে থাকেন ছাত্র-জনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষোভ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট, বয়কট’—স্লোগান দিতে থাকেন।
হাদি মারা যাওয়ার খবর ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতার বিভিন্ন অংশ সেখানে যোগ দেয়। আজ সকাল থেকেও ছাত্র-জনতা শাহবাগে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন।
এ দিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে’—আজ বেলা ৩টায় শাহবাগে আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দেয় ডাকসু, ইসলামি ছাত্রশিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গতকাল রাতে শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কার্যত একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-তরুণ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জীবন আজ হুমকির মুখে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্পটে আপনারা নেমে এসেছিলেন—যেমন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ঢাকায় যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ সব জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করুন।’ শাহবাগে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদে উত্তাল হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় আততায়ীর গুলিতে আহত হন। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা এখন এক উত্তাল ও থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে থাকেন ছাত্র-জনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষোভ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট, বয়কট’—স্লোগান দিতে থাকেন।
হাদি মারা যাওয়ার খবর ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতার বিভিন্ন অংশ সেখানে যোগ দেয়। আজ সকাল থেকেও ছাত্র-জনতা শাহবাগে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন।
এ দিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে’—আজ বেলা ৩টায় শাহবাগে আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দেয় ডাকসু, ইসলামি ছাত্রশিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গতকাল রাতে শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কার্যত একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-তরুণ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জীবন আজ হুমকির মুখে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।’
নাহিদ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্পটে আপনারা নেমে এসেছিলেন—যেমন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ঢাকায় যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ সব জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করুন।’ শাহবাগে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদে উত্তাল হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় আততায়ীর গুলিতে আহত হন। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা এখন এক উত্তাল ও থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিব
০২ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ আজ (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১২ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিব
০২ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
১৮ মিনিট আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ আজ (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে আজ বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে আজ বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশের বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এক্ষেত্রে প্রধান শিকার হয়েছেন বিরোধীরা। এই আইনে এরপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিব
০২ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদা ইউনূস। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে এই আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
১৮ মিনিট আগে
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে