শাহজালালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়া ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নিজেদের স্টাফ নিয়োগ করে কাজ চালাতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। এতে এয়ারলাইনসের পরিচালন ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে টিকিটের মূল্যে।
শুধু যাত্রীসেবা নয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দুর্বলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কার্গো পরিবহন ব্যবসাও। দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইনসের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকেরা কার্গোর বড় একটি অংশ সড়কপথে ভারতের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায় প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য। এয়ারলাইনসগুলোর অভিযোগ, সেবা দিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান বিমানের সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর যে সার্ভিস লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) রয়েছে, তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে না, যা সেবার জন্য এয়ারলাইনসগুলো থেকে নেওয়া ফির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। উল্টো উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানামা করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জনবল নিয়োগ নিতে হচ্ছে। এটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কাও তৈরি করছে।
কাতার এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপক (কার্গো) সুহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘আমরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করি। এ জন্য বিমানবন্দরে আমাদের ৮২ জন স্টাফ রাখতে হয়েছে। অথচ পুরো কাজটা করার কথা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার বিমানের। তারা অর্থ নিয়েও সেবা দিচ্ছে না। আমরা চাই, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হোক।’
এয়ারলাইনস অপারেটরস কমিটির (এওসি) ঢাকার চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইনস বাড়ছে। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফি প্রতিবেশী দেশ এমনকি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর চার্জ থেকেও অনেক বেশি। বিমানের শিফট পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। তারা পর্যাপ্ত চেক-ইন কাউন্টার, গেট, র্যাম্প, লোডিং স্টাফ দিতে পারছে না। এত চার্জ দেওয়ার পরও প্রতিটি বিদেশি এয়ারলাইনসকে বিমানবন্দরের নানা কাজের জন্য কমবেশি ৭০ জন করে নিজস্ব জনবল নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলোর অপারেশনাল ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, টিকিটের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৩৬টি বিদেশি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস, ৮টি কার্গো এয়ারলাইনস, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইনস, হেলিকপ্টারসহ ১৩টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবন্দরের ১ এবং ২ নম্বর টার্মিনাল সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিমানবন্দর ৯৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল করেছে। নতুন টার্মিনাল অর্থাৎ তৃতীয় টার্মিনালের ফলে যাত্রী হ্যান্ডেলের সক্ষমতা দুই কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। এ ছাড়া কার্গো সক্ষমতা ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
ভবিষ্যতের এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর অপারেশন একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে জাপানি কনসোর্টিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। টার্মিনাল অপারেশনের একটি বড় অংশ হলো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিং। চুক্তি অনুযায়ী, জাপানি কনসোর্টিয়াম নির্ধারণ করবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাদের মাধ্যমে করা হবে। যদিও সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য ন্যস্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে বর্তমান একচেটিয়া ব্যবস্থা ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে সুযোগ দিলে সেবা উন্নত হবে এবং দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্য বিবেচনায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে তৃতীয় টার্মিনালের সার্বিক সেবা বিশ্লেষণ করতে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনকে (আইএফসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আইএফসি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে, টার্মিনাল-৩-এর আকার এবং গুরুত্বের কারণে ন্যূনতম দুটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানি থাকা উচিত। বিমানের (জাতীয় এয়ারলাইনস হিসেবে) একটি বড় অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি হওয়া উচিত; যার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় টার্মিনাল-৩-এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথিতযশা কোম্পানি ডি-নাটা (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল (সুইজারল্যান্ড), মেনজিস এভিয়েশন (যুক্তরাজ্য) এবং সেলেবির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বেবিচক।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএফসির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডি-নাটা, সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং মেনজিস এভিয়েশন টার্মিনাল-৩-এ কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে মেনজিস এভিয়েশন ইউকে বেবিচকের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সুইসপোর্টও বেবিচকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই দ্রুততম সময়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে টার্মিনাল-১ এবং ২-এ বিমানের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা দেখে টার্মিনাল-৩-এর হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করেন, সেবায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। বর্তমান মনোপলি ব্যবস্থার পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ দিলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিমানের সেবার মানও বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম জানান, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে বিমান। এ বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে, তা বলা যায় না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, ‘টার্মিনাল-৩ চালু হলে একসঙ্গে ২০টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে ৩ হাজার ৮৭৮ জনবল লাগবে। তবে বর্তমান জনবল রয়েছে ২ হাজার ৪৯৪ জন। আরও ১ হাজার ৩৮৪ জনকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিল এভিয়েশন আমাদের নিয়মিত মনিটরিং করছে। আমরা ডিটেইল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছি। আশা করছি থার্ড টার্মিনালে আমরা সবাইকে কাঙ্ক্ষিত সার্ভিস দিতে পারব।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘এত দিন বিমানের যে সার্ভিসটা পেয়ে আসছি, সেটা যে লেভেলের হওয়া উচিত ছিল, সেই লেভেলের না। আমরা এসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বা নিতে হবে, সেগুলো আমরা আলোচনা করছি। টার্মিনাল-৩-এ যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়া ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নিজেদের স্টাফ নিয়োগ করে কাজ চালাতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। এতে এয়ারলাইনসের পরিচালন ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে টিকিটের মূল্যে।
শুধু যাত্রীসেবা নয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দুর্বলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কার্গো পরিবহন ব্যবসাও। দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইনসের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকেরা কার্গোর বড় একটি অংশ সড়কপথে ভারতের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায় প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য। এয়ারলাইনসগুলোর অভিযোগ, সেবা দিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান বিমানের সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর যে সার্ভিস লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) রয়েছে, তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে না, যা সেবার জন্য এয়ারলাইনসগুলো থেকে নেওয়া ফির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। উল্টো উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানামা করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জনবল নিয়োগ নিতে হচ্ছে। এটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কাও তৈরি করছে।
কাতার এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপক (কার্গো) সুহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘আমরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করি। এ জন্য বিমানবন্দরে আমাদের ৮২ জন স্টাফ রাখতে হয়েছে। অথচ পুরো কাজটা করার কথা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার বিমানের। তারা অর্থ নিয়েও সেবা দিচ্ছে না। আমরা চাই, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হোক।’
এয়ারলাইনস অপারেটরস কমিটির (এওসি) ঢাকার চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইনস বাড়ছে। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফি প্রতিবেশী দেশ এমনকি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর চার্জ থেকেও অনেক বেশি। বিমানের শিফট পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। তারা পর্যাপ্ত চেক-ইন কাউন্টার, গেট, র্যাম্প, লোডিং স্টাফ দিতে পারছে না। এত চার্জ দেওয়ার পরও প্রতিটি বিদেশি এয়ারলাইনসকে বিমানবন্দরের নানা কাজের জন্য কমবেশি ৭০ জন করে নিজস্ব জনবল নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলোর অপারেশনাল ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, টিকিটের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৩৬টি বিদেশি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস, ৮টি কার্গো এয়ারলাইনস, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইনস, হেলিকপ্টারসহ ১৩টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবন্দরের ১ এবং ২ নম্বর টার্মিনাল সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিমানবন্দর ৯৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল করেছে। নতুন টার্মিনাল অর্থাৎ তৃতীয় টার্মিনালের ফলে যাত্রী হ্যান্ডেলের সক্ষমতা দুই কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। এ ছাড়া কার্গো সক্ষমতা ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
ভবিষ্যতের এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর অপারেশন একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে জাপানি কনসোর্টিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। টার্মিনাল অপারেশনের একটি বড় অংশ হলো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিং। চুক্তি অনুযায়ী, জাপানি কনসোর্টিয়াম নির্ধারণ করবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাদের মাধ্যমে করা হবে। যদিও সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য ন্যস্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে বর্তমান একচেটিয়া ব্যবস্থা ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে সুযোগ দিলে সেবা উন্নত হবে এবং দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্য বিবেচনায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে তৃতীয় টার্মিনালের সার্বিক সেবা বিশ্লেষণ করতে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনকে (আইএফসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আইএফসি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে, টার্মিনাল-৩-এর আকার এবং গুরুত্বের কারণে ন্যূনতম দুটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানি থাকা উচিত। বিমানের (জাতীয় এয়ারলাইনস হিসেবে) একটি বড় অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি হওয়া উচিত; যার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় টার্মিনাল-৩-এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথিতযশা কোম্পানি ডি-নাটা (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল (সুইজারল্যান্ড), মেনজিস এভিয়েশন (যুক্তরাজ্য) এবং সেলেবির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বেবিচক।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএফসির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডি-নাটা, সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং মেনজিস এভিয়েশন টার্মিনাল-৩-এ কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে মেনজিস এভিয়েশন ইউকে বেবিচকের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সুইসপোর্টও বেবিচকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই দ্রুততম সময়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে টার্মিনাল-১ এবং ২-এ বিমানের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা দেখে টার্মিনাল-৩-এর হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করেন, সেবায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। বর্তমান মনোপলি ব্যবস্থার পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ দিলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিমানের সেবার মানও বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম জানান, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে বিমান। এ বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে, তা বলা যায় না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, ‘টার্মিনাল-৩ চালু হলে একসঙ্গে ২০টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে ৩ হাজার ৮৭৮ জনবল লাগবে। তবে বর্তমান জনবল রয়েছে ২ হাজার ৪৯৪ জন। আরও ১ হাজার ৩৮৪ জনকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিল এভিয়েশন আমাদের নিয়মিত মনিটরিং করছে। আমরা ডিটেইল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছি। আশা করছি থার্ড টার্মিনালে আমরা সবাইকে কাঙ্ক্ষিত সার্ভিস দিতে পারব।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘এত দিন বিমানের যে সার্ভিসটা পেয়ে আসছি, সেটা যে লেভেলের হওয়া উচিত ছিল, সেই লেভেলের না। আমরা এসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বা নিতে হবে, সেগুলো আমরা আলোচনা করছি। টার্মিনাল-৩-এ যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’
শাহজালালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়া ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নিজেদের স্টাফ নিয়োগ করে কাজ চালাতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। এতে এয়ারলাইনসের পরিচালন ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে টিকিটের মূল্যে।
শুধু যাত্রীসেবা নয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দুর্বলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কার্গো পরিবহন ব্যবসাও। দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইনসের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকেরা কার্গোর বড় একটি অংশ সড়কপথে ভারতের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায় প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য। এয়ারলাইনসগুলোর অভিযোগ, সেবা দিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান বিমানের সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর যে সার্ভিস লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) রয়েছে, তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে না, যা সেবার জন্য এয়ারলাইনসগুলো থেকে নেওয়া ফির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। উল্টো উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানামা করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জনবল নিয়োগ নিতে হচ্ছে। এটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কাও তৈরি করছে।
কাতার এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপক (কার্গো) সুহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘আমরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করি। এ জন্য বিমানবন্দরে আমাদের ৮২ জন স্টাফ রাখতে হয়েছে। অথচ পুরো কাজটা করার কথা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার বিমানের। তারা অর্থ নিয়েও সেবা দিচ্ছে না। আমরা চাই, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হোক।’
এয়ারলাইনস অপারেটরস কমিটির (এওসি) ঢাকার চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইনস বাড়ছে। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফি প্রতিবেশী দেশ এমনকি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর চার্জ থেকেও অনেক বেশি। বিমানের শিফট পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। তারা পর্যাপ্ত চেক-ইন কাউন্টার, গেট, র্যাম্প, লোডিং স্টাফ দিতে পারছে না। এত চার্জ দেওয়ার পরও প্রতিটি বিদেশি এয়ারলাইনসকে বিমানবন্দরের নানা কাজের জন্য কমবেশি ৭০ জন করে নিজস্ব জনবল নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলোর অপারেশনাল ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, টিকিটের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৩৬টি বিদেশি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস, ৮টি কার্গো এয়ারলাইনস, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইনস, হেলিকপ্টারসহ ১৩টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবন্দরের ১ এবং ২ নম্বর টার্মিনাল সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিমানবন্দর ৯৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল করেছে। নতুন টার্মিনাল অর্থাৎ তৃতীয় টার্মিনালের ফলে যাত্রী হ্যান্ডেলের সক্ষমতা দুই কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। এ ছাড়া কার্গো সক্ষমতা ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
ভবিষ্যতের এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর অপারেশন একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে জাপানি কনসোর্টিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। টার্মিনাল অপারেশনের একটি বড় অংশ হলো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিং। চুক্তি অনুযায়ী, জাপানি কনসোর্টিয়াম নির্ধারণ করবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাদের মাধ্যমে করা হবে। যদিও সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য ন্যস্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে বর্তমান একচেটিয়া ব্যবস্থা ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে সুযোগ দিলে সেবা উন্নত হবে এবং দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্য বিবেচনায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে তৃতীয় টার্মিনালের সার্বিক সেবা বিশ্লেষণ করতে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনকে (আইএফসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আইএফসি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে, টার্মিনাল-৩-এর আকার এবং গুরুত্বের কারণে ন্যূনতম দুটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানি থাকা উচিত। বিমানের (জাতীয় এয়ারলাইনস হিসেবে) একটি বড় অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি হওয়া উচিত; যার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় টার্মিনাল-৩-এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথিতযশা কোম্পানি ডি-নাটা (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল (সুইজারল্যান্ড), মেনজিস এভিয়েশন (যুক্তরাজ্য) এবং সেলেবির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বেবিচক।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএফসির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডি-নাটা, সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং মেনজিস এভিয়েশন টার্মিনাল-৩-এ কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে মেনজিস এভিয়েশন ইউকে বেবিচকের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সুইসপোর্টও বেবিচকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই দ্রুততম সময়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে টার্মিনাল-১ এবং ২-এ বিমানের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা দেখে টার্মিনাল-৩-এর হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করেন, সেবায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। বর্তমান মনোপলি ব্যবস্থার পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ দিলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিমানের সেবার মানও বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম জানান, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে বিমান। এ বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে, তা বলা যায় না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, ‘টার্মিনাল-৩ চালু হলে একসঙ্গে ২০টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে ৩ হাজার ৮৭৮ জনবল লাগবে। তবে বর্তমান জনবল রয়েছে ২ হাজার ৪৯৪ জন। আরও ১ হাজার ৩৮৪ জনকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিল এভিয়েশন আমাদের নিয়মিত মনিটরিং করছে। আমরা ডিটেইল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছি। আশা করছি থার্ড টার্মিনালে আমরা সবাইকে কাঙ্ক্ষিত সার্ভিস দিতে পারব।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘এত দিন বিমানের যে সার্ভিসটা পেয়ে আসছি, সেটা যে লেভেলের হওয়া উচিত ছিল, সেই লেভেলের না। আমরা এসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বা নিতে হবে, সেগুলো আমরা আলোচনা করছি। টার্মিনাল-৩-এ যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়া ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নিজেদের স্টাফ নিয়োগ করে কাজ চালাতে হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলোকে। এতে এয়ারলাইনসের পরিচালন ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে টিকিটের মূল্যে।
শুধু যাত্রীসেবা নয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দুর্বলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কার্গো পরিবহন ব্যবসাও। দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইনসের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকেরা কার্গোর বড় একটি অংশ সড়কপথে ভারতের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায় প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য। এয়ারলাইনসগুলোর অভিযোগ, সেবা দিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান বিমানের সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর যে সার্ভিস লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) রয়েছে, তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে না, যা সেবার জন্য এয়ারলাইনসগুলো থেকে নেওয়া ফির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। উল্টো উড়োজাহাজে মালামাল ওঠানামা করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জনবল নিয়োগ নিতে হচ্ছে। এটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কাও তৈরি করছে।
কাতার এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপক (কার্গো) সুহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ‘আমরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টন পণ্য রপ্তানি করি। এ জন্য বিমানবন্দরে আমাদের ৮২ জন স্টাফ রাখতে হয়েছে। অথচ পুরো কাজটা করার কথা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার বিমানের। তারা অর্থ নিয়েও সেবা দিচ্ছে না। আমরা চাই, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হোক।’
এয়ারলাইনস অপারেটরস কমিটির (এওসি) ঢাকার চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইনস বাড়ছে। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ফি প্রতিবেশী দেশ এমনকি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর চার্জ থেকেও অনেক বেশি। বিমানের শিফট পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। তারা পর্যাপ্ত চেক-ইন কাউন্টার, গেট, র্যাম্প, লোডিং স্টাফ দিতে পারছে না। এত চার্জ দেওয়ার পরও প্রতিটি বিদেশি এয়ারলাইনসকে বিমানবন্দরের নানা কাজের জন্য কমবেশি ৭০ জন করে নিজস্ব জনবল নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলোর অপারেশনাল ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, টিকিটের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।
জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ৩৬টি বিদেশি কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস, ৮টি কার্গো এয়ারলাইনস, ৪টি দেশীয় এয়ারলাইনস, হেলিকপ্টারসহ ১৩টি এভিয়েশন প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবন্দরের ১ এবং ২ নম্বর টার্মিনাল সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিমানবন্দর ৯৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল করেছে। নতুন টার্মিনাল অর্থাৎ তৃতীয় টার্মিনালের ফলে যাত্রী হ্যান্ডেলের সক্ষমতা দুই কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। এ ছাড়া কার্গো সক্ষমতা ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
ভবিষ্যতের এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর অপারেশন একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে জাপানি কনসোর্টিয়ামের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। টার্মিনাল অপারেশনের একটি বড় অংশ হলো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিং। চুক্তি অনুযায়ী, জাপানি কনসোর্টিয়াম নির্ধারণ করবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাদের মাধ্যমে করা হবে। যদিও সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য ন্যস্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে বর্তমান একচেটিয়া ব্যবস্থা ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে সুযোগ দিলে সেবা উন্নত হবে এবং দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্য বিবেচনায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে তৃতীয় টার্মিনালের সার্বিক সেবা বিশ্লেষণ করতে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনকে (আইএফসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আইএফসি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে, টার্মিনাল-৩-এর আকার এবং গুরুত্বের কারণে ন্যূনতম দুটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানি থাকা উচিত। বিমানের (জাতীয় এয়ারলাইনস হিসেবে) একটি বড় অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি হওয়া উচিত; যার পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় টার্মিনাল-৩-এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথিতযশা কোম্পানি ডি-নাটা (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল (সুইজারল্যান্ড), মেনজিস এভিয়েশন (যুক্তরাজ্য) এবং সেলেবির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বেবিচক।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আইএফসির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডি-নাটা, সুইসপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং মেনজিস এভিয়েশন টার্মিনাল-৩-এ কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে মেনজিস এভিয়েশন ইউকে বেবিচকের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সুইসপোর্টও বেবিচকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই দ্রুততম সময়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে টার্মিনাল-১ এবং ২-এ বিমানের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা দেখে টার্মিনাল-৩-এর হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনা কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করেন, সেবায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। বর্তমান মনোপলি ব্যবস্থার পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দক্ষ অপারেটর নিয়োগ দিলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিমানের সেবার মানও বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম জানান, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে বিমান। এ বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে, তা বলা যায় না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, ‘টার্মিনাল-৩ চালু হলে একসঙ্গে ২০টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে ৩ হাজার ৮৭৮ জনবল লাগবে। তবে বর্তমান জনবল রয়েছে ২ হাজার ৪৯৪ জন। আরও ১ হাজার ৩৮৪ জনকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সিভিল এভিয়েশন আমাদের নিয়মিত মনিটরিং করছে। আমরা ডিটেইল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছি। আশা করছি থার্ড টার্মিনালে আমরা সবাইকে কাঙ্ক্ষিত সার্ভিস দিতে পারব।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘এত দিন বিমানের যে সার্ভিসটা পেয়ে আসছি, সেটা যে লেভেলের হওয়া উচিত ছিল, সেই লেভেলের না। আমরা এসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বা নিতে হবে, সেগুলো আমরা আলোচনা করছি। টার্মিনাল-৩-এ যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪৪ মিনিট আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪৪ মিনিট আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। তাদের অভিযোগ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এ ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৪৪ মিনিট আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে