নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত সাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী—২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ জন (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং শিশু ৪ হাজার ৭৮৫টি (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাজার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি, তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, অটোভ্যান, মিশুক, টেম্পো, লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ হাজার ৯০০টি (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২টি (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১টি (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো— ১) দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে। ২) চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। ৩) বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৪) পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৫) মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে। ৬) পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। ৭) সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া। ৮) গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে। ১০) টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। ১১) সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ১২) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

গত সাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী—২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ জন (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং শিশু ৪ হাজার ৭৮৫টি (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাজার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি, তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, অটোভ্যান, মিশুক, টেম্পো, লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ হাজার ৯০০টি (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২টি (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১টি (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো— ১) দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে। ২) চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। ৩) বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৪) পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৫) মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে। ৬) পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। ৭) সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া। ৮) গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে। ১০) টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। ১১) সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ১২) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত সাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী—২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ জন (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং শিশু ৪ হাজার ৭৮৫টি (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাজার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি, তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, অটোভ্যান, মিশুক, টেম্পো, লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ হাজার ৯০০টি (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২টি (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১টি (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো— ১) দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে। ২) চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। ৩) বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৪) পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৫) মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে। ৬) পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। ৭) সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া। ৮) গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে। ১০) টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। ১১) সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ১২) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

গত সাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী—২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, নিহতের মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০৩ জন (১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ) এবং শিশু ৪ হাজার ৭৮৫টি (১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ)। ১১ হাজার ৬৬৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ হাজার ৫৯৩ জন, যা মোট নিহতের ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৩৫৮ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৫৮৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১ জন নিহত, ৫৮২ জন আহত এবং ৩৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১ হাজার ২২৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪০৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১১ হাজার ৫৯৩ জন (৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), বাসযাত্রী ১ হাজার ৯১৫ জন (৫ দশমিক ৪১ শতাংশ), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি ইত্যাদি) ২ হাজার ৫১১ জন (৭ দশমিক ০৯ শতাংশ), প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ১ হাজার ৫৪৪ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী ৬ হাজার ৮০ জন (১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ২ হাজার ৩৫৭ জন (৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১ হাজার ২৬ জন (২ দশমিক ৮৯ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৯৪২টি (৩৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১১ হাজার ৬৯৮টি (৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫ হাজার ৬৩টি (১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩ হাজার ৯৭৪টি (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৬টি (শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর ৬ হাজার ৮৪৩টি (২০ দশমিক ৯০ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ হাজার ১৬৭টি (৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮ হাজার ৬৩১টি (২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৪ হাজার ৩৩৬টি (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭৫৬টি (২ দশমিক ৩০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলিলরি, তেলবাহী ট্যাংকার, বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মোটরবাইক ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, অটোভ্যান, মিশুক, টেম্পো, লেগুনা ইত্যাদি) ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-টমটম) ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ১ হাজার ৮৫৩টি (৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ), সকালে ৯ হাজার ৬১৪টি (২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ), দুপুরে ৫ হাজার ৯০০টি (১৮ শতাংশ), বিকেলে ৬ হাজার ১৯২টি (১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ), সন্ধ্যায় ২ হাজার ৯৬১টি (৯ শতাংশ) এবং রাতে ৬ হাজার ২১৩টি (১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮ হাজার ১৭১টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬২টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২৮৫ জন নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ১২টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো— ১) দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে। ২) চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। ৩) বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৪) পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৫) মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে। ৬) পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। ৭) সড়ক এবং সড়ক পরিবহন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়া। ৮) গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে। ১০) টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। ১১) সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ১২) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার
১৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা হবে। এর আগে, ওসমান হাদির গড়া প্রতিষ্ঠান ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা হবে। এর আগে, ওসমান হাদির গড়া প্রতিষ্ঠান ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়, ‘শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং শোকসন্তপ্ত সবার প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়, ‘শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং শোকসন্তপ্ত সবার প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার
১৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, ‘যুব নেতা শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, ‘যুব নেতা শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার
১৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
২৬ মিনিট আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি আজ শোকার্ত। এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এ হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারী অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। একই সঙ্গে ছায়ানট ভবনে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছায়ানট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই সংবেদনশীল সময়ে সব ধরনের হঠকারী ও সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর এলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে একদল লোক কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এবং পরে ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাতে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডিতে ছায়নটের ভবনে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত—এমন মুহূর্তে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি আজ শোকার্ত। এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এ হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারী অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। একই সঙ্গে ছায়ানট ভবনে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছায়ানট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই সংবেদনশীল সময়ে সব ধরনের হঠকারী ও সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর এলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে একদল লোক কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এবং পরে ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাতে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডিতে ছায়নটের ভবনে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩২ হাজার ৭৩৩টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৭ হাজার ৮৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর, সংসদ ভবন এলাকার
১৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগে