সংসদ নির্বাচন
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।
সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।
আগে সাধারণত ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই খসড়া তালিকার ওপর দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। এরপর শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করত ইসি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতে জনগণের তরফ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন আসতে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে কম-বেশি দেড় শ আসনে হাত দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এক উপজেলার অংশ কেটে যেমন অন্য আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়, তেমনি বিএনপির ভোট বেশি এমন কিছু আসন কার্যত বিলুপ্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে কোন আসনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তার তুলনামূলক বিবরণী তৈরি করা হয়েছে। যাতে কখন, কোন আসনে, কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে, তা বোঝা যায়।
২০০৮ সালের আগে ঢাকার দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। ২০০৮ সালে দুটি আসন মিলিয়ে একটি করা হয়েছে। ইসিতে আসা এক আবেদনে আসন দুটি পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। এ দাবি জানিয়ে ইসিতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পৃথক সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির পক্ষ থেকে ২৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইসিতে এ বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলাদা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে দুটি আলাদা আসন ছিল। যেহেতু দুটি আসনই বিএনপির ছিল, তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে দুই উপজেলাকে মিলিয়ে একটি আসন করা হয়। তাই ২০০১ বা তার আগে আমাদের আসন যেমন ছিল, তেমনটি ফেরত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি।’
মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা গঠিত। দুটি আসন এখন একটিতে পরিণত হওয়ায় দুই উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ কমেছে। এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে এত বিস্তৃত এলাকার সব অধিবাসীকে যথাযথভাবে সেবা দেওয়াও সম্ভব নয়।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছেন ঢাকার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জামাল উদ্দিন সরকার। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার নতুনভাবে তৈরি করা ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অথচ আমরা বরাবর প্রশাসনিকভাবে সাভার উপজেলার মধ্যে। উপজেলা পরিষদ, থানা এবং সব প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো সাভার উপজেলায় করতে হয়। জামাল উদ্দিন তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার—এই তিনটি ইউনিয়ন ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দিয়ে আগের মতো সাভার আসন করার দাবি জানান।
২০০৮ সালের আগে ঢাকায় ১৭টি সংসদীয় আসন ছিল। পরে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। ইসি সূত্র জানায়, এ কারণে কয়েকটি জেলার আসন কমেছে। তাই এবার ইসি শহরের আসন কমাতে চায়।
যেসব সংসদীয় আসন থেকে ইসিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।
সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।
আগে সাধারণত ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই খসড়া তালিকার ওপর দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। এরপর শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করত ইসি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতে জনগণের তরফ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন আসতে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে কম-বেশি দেড় শ আসনে হাত দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এক উপজেলার অংশ কেটে যেমন অন্য আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়, তেমনি বিএনপির ভোট বেশি এমন কিছু আসন কার্যত বিলুপ্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে কোন আসনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তার তুলনামূলক বিবরণী তৈরি করা হয়েছে। যাতে কখন, কোন আসনে, কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে, তা বোঝা যায়।
২০০৮ সালের আগে ঢাকার দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। ২০০৮ সালে দুটি আসন মিলিয়ে একটি করা হয়েছে। ইসিতে আসা এক আবেদনে আসন দুটি পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। এ দাবি জানিয়ে ইসিতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পৃথক সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির পক্ষ থেকে ২৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইসিতে এ বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলাদা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে দুটি আলাদা আসন ছিল। যেহেতু দুটি আসনই বিএনপির ছিল, তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে দুই উপজেলাকে মিলিয়ে একটি আসন করা হয়। তাই ২০০১ বা তার আগে আমাদের আসন যেমন ছিল, তেমনটি ফেরত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি।’
মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা গঠিত। দুটি আসন এখন একটিতে পরিণত হওয়ায় দুই উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ কমেছে। এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে এত বিস্তৃত এলাকার সব অধিবাসীকে যথাযথভাবে সেবা দেওয়াও সম্ভব নয়।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছেন ঢাকার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জামাল উদ্দিন সরকার। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার নতুনভাবে তৈরি করা ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অথচ আমরা বরাবর প্রশাসনিকভাবে সাভার উপজেলার মধ্যে। উপজেলা পরিষদ, থানা এবং সব প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো সাভার উপজেলায় করতে হয়। জামাল উদ্দিন তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার—এই তিনটি ইউনিয়ন ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দিয়ে আগের মতো সাভার আসন করার দাবি জানান।
২০০৮ সালের আগে ঢাকায় ১৭টি সংসদীয় আসন ছিল। পরে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। ইসি সূত্র জানায়, এ কারণে কয়েকটি জেলার আসন কমেছে। তাই এবার ইসি শহরের আসন কমাতে চায়।
যেসব সংসদীয় আসন থেকে ইসিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদ নির্বাচন
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।
সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।
আগে সাধারণত ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই খসড়া তালিকার ওপর দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। এরপর শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করত ইসি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতে জনগণের তরফ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন আসতে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে কম-বেশি দেড় শ আসনে হাত দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এক উপজেলার অংশ কেটে যেমন অন্য আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়, তেমনি বিএনপির ভোট বেশি এমন কিছু আসন কার্যত বিলুপ্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে কোন আসনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তার তুলনামূলক বিবরণী তৈরি করা হয়েছে। যাতে কখন, কোন আসনে, কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে, তা বোঝা যায়।
২০০৮ সালের আগে ঢাকার দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। ২০০৮ সালে দুটি আসন মিলিয়ে একটি করা হয়েছে। ইসিতে আসা এক আবেদনে আসন দুটি পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। এ দাবি জানিয়ে ইসিতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পৃথক সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির পক্ষ থেকে ২৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইসিতে এ বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলাদা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে দুটি আলাদা আসন ছিল। যেহেতু দুটি আসনই বিএনপির ছিল, তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে দুই উপজেলাকে মিলিয়ে একটি আসন করা হয়। তাই ২০০১ বা তার আগে আমাদের আসন যেমন ছিল, তেমনটি ফেরত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি।’
মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা গঠিত। দুটি আসন এখন একটিতে পরিণত হওয়ায় দুই উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ কমেছে। এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে এত বিস্তৃত এলাকার সব অধিবাসীকে যথাযথভাবে সেবা দেওয়াও সম্ভব নয়।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছেন ঢাকার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জামাল উদ্দিন সরকার। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার নতুনভাবে তৈরি করা ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অথচ আমরা বরাবর প্রশাসনিকভাবে সাভার উপজেলার মধ্যে। উপজেলা পরিষদ, থানা এবং সব প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো সাভার উপজেলায় করতে হয়। জামাল উদ্দিন তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার—এই তিনটি ইউনিয়ন ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দিয়ে আগের মতো সাভার আসন করার দাবি জানান।
২০০৮ সালের আগে ঢাকায় ১৭টি সংসদীয় আসন ছিল। পরে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। ইসি সূত্র জানায়, এ কারণে কয়েকটি জেলার আসন কমেছে। তাই এবার ইসি শহরের আসন কমাতে চায়।
যেসব সংসদীয় আসন থেকে ইসিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা। ইসির সূত্র জানিয়েছেন, সীমানা বদলানোর আবেদন, জনশুমারির ফল এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে যে রদবদল হতে যাচ্ছে, তাতে এবার শহরের আসন কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের আসন।
সম্প্রতি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে ইসি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত যত আবেদন জমা পড়েছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে কাজ করছে ইসির এ-সংক্রান্ত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনকারীরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন। সেখান থেকে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৬টি আসন থেকে ইসিতে ৪১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রতিদিনই আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আবেদন জমা পড়ছে। বেশির ভাগ আবেদনে ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত রোববার সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। সেখানে আবেদনগুলো নিষ্পত্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সীমানা রদবদলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা-ও আলোচিত হয়।
আগে সাধারণত ইসি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই খসড়া তালিকার ওপর দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। এরপর শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করত ইসি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতে জনগণের তরফ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন আসতে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে কম-বেশি দেড় শ আসনে হাত দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এক উপজেলার অংশ কেটে যেমন অন্য আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়, তেমনি বিএনপির ভোট বেশি এমন কিছু আসন কার্যত বিলুপ্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে কোন আসনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তার তুলনামূলক বিবরণী তৈরি করা হয়েছে। যাতে কখন, কোন আসনে, কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছে, তা বোঝা যায়।
২০০৮ সালের আগে ঢাকার দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। ২০০৮ সালে দুটি আসন মিলিয়ে একটি করা হয়েছে। ইসিতে আসা এক আবেদনে আসন দুটি পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। এ দাবি জানিয়ে ইসিতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পৃথক সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির পক্ষ থেকে ২৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইসিতে এ বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলাদা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে দুটি আলাদা আসন ছিল। যেহেতু দুটি আসনই বিএনপির ছিল, তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে দুই উপজেলাকে মিলিয়ে একটি আসন করা হয়। তাই ২০০১ বা তার আগে আমাদের আসন যেমন ছিল, তেমনটি ফেরত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি।’
মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা গঠিত। দুটি আসন এখন একটিতে পরিণত হওয়ায় দুই উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ কমেছে। এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে এত বিস্তৃত এলাকার সব অধিবাসীকে যথাযথভাবে সেবা দেওয়াও সম্ভব নয়।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছেন ঢাকার সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জামাল উদ্দিন সরকার। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার নতুনভাবে তৈরি করা ঢাকা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অথচ আমরা বরাবর প্রশাসনিকভাবে সাভার উপজেলার মধ্যে। উপজেলা পরিষদ, থানা এবং সব প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো সাভার উপজেলায় করতে হয়। জামাল উদ্দিন তেঁতুলঝোড়া, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার—এই তিনটি ইউনিয়ন ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দিয়ে আগের মতো সাভার আসন করার দাবি জানান।
২০০৮ সালের আগে ঢাকায় ১৭টি সংসদীয় আসন ছিল। পরে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। ইসি সূত্র জানায়, এ কারণে কয়েকটি জেলার আসন কমেছে। তাই এবার ইসি শহরের আসন কমাতে চায়।
যেসব সংসদীয় আসন থেকে ইসিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।

এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
২৫ মে ২০২৫
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
২৫ মে ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
২৫ মে ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচনে বর্তমানের ৩০০ আসন ব্যবস্থাই বহাল থাকবে ধরে নিয়ে বিদ্যমান আইনমত কাজ করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
২৫ মে ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে