
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবনে সাধারণের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি গণভবনে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস। সেখানে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে দেড় হাজার মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার বেশি) মূল্যের সোনার প্রলেপযুক্ত কলম। এটি জার্মানির মন্টব্ল্যাঙ্ক কোম্পানির প্রস্তুতকৃত। এই কোম্পানি কলম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহুল পণ্য তৈরি করে।
কলম ছাড়াও গণভবনের ধ্বংসস্তূপে যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির নথি পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক-সংশ্লিষ্ট নথিও। বিদেশি অতিথিদের দেওয়ার উপহারও পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দেওয়া উপহারও।
দ্য টাইমসের ওয়েবসাইটে গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলাই অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়ার পর তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপ এখনো বিদ্যমান। গণভবনের ধ্বংসস্তূপ আর ধুলোবালির মধ্যে দেড় হাজার ডলারের সোনার প্রলেপযুক্ত কলমের পাশেই পাওয়া গেছে কয়েকটি হীরা যাচাইয়ের সনদ। এর পাশে পড়ে ছিল কিছু কাগজ। সেখানে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকাতে ব্রিটিশ এক আইনজীবীর আইনি পরামর্শপত্র। কাগজগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে বিদেশি একটি ব্যাংকে হিসাব খোলার আবেদনপত্র। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত কিছু কূটনৈতিক পত্রও রয়েছে সেখানে।
দ্য টাইমসের সাংবাদিকেরা গত শনিবার গণভবনে ঢোকার সুযোগ পান। ১৮ একর জমির ওপর নির্মিত এই কমপ্লেক্সে একটি লেক রয়েছে। এই লেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে বড়শি ফেলতেন মাছ ধরতে। গণভবনের ভেতরে সিঁড়ির ওপরে পাওয়া গেছে টিউলিপ সিদ্দিক-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র। টিউলিপ যুক্তরাজ্যের হ্যামস্পিড অ্যান্ড কিলবার্ন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর দল লেবার পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দেওয়া একটি ধন্যবাদপত্র রয়েছে সেখানে। এ ছাড়া নিজ সংসদীয় এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রার খরচ কমাতে টিউলিপ কী কী করেছেন, সে সম্পর্কিত ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনও রয়েছে।
দ্য টাইমস জানায়, গণ-অভ্যুত্থানের পর গণভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখানে যে জাদুঘরটি করার কাজ চলছে, তা আগামী আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। বর্তমানে এই কমপ্লেক্সের নিরাপত্তায় আনসার বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
গণভবনে প্রবেশ করতেই সোনালি রঙের কিছু চেয়ার পড়ে। কাছেই ছিল দাঁতের চিকিৎসার জন্য একটি চেয়ার, ম্যাসাজ নিতে চামড়ার আবরণের চেয়ার এবং একটি ট্রেডমিল। গণভবনের বাগানে ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে সাদাকালো একটি ছবি, যাতে বহু বছর আগে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শিশুকন্যা শেখ হাসিনা ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন।
গণভবনের প্রথম তলায়ই শেখ হাসিনার শয়নকক্ষ। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও কিছু জিনিস অক্ষত রয়েছে। এই কক্ষেই একটি কোনায় ধুলোবালিতে মাখামাখি হয়ে রয়েছে হীরা যাচাইয়ে বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকার কয়েকটি সনদ। শয়নকক্ষের পাশেই শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রান্নাঘর। সেখানে এমন কিছু জিনিস পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশে পাওয়াই যায় না। করিডরের মাথার দিকের কক্ষটি ব্যবহার করতেন টিউলিপ সিদ্দিকের ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। সেখানে ববির জাতিসংঘের বিজনেস কার্ড পাওয়া গেছে। আর পাওয়া গেছে তাঁর মোবাইল ফোন বিল।
গণ-অভ্যুত্থানে গণভবনে লুটের পর অনেকেই অনেক জিনিস ফেরত দিয়ে গেছেন। সেগুলো একটি জায়গায় মজুত করা হয়েছে। ওই মজুতের মধ্যে দেশি-বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার রয়েছে। তার মধ্যে পাওয়া গেছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দেওয়া একটি স্কার্ফ, যা তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় শেখ হাসিনাকে দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তৎকালীন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কটেখ। তিনি শেখ হাসিনাকে একটি সোনার স্যুভেনির দিয়েছিলেন। সেটাও রয়েছে ওই স্তূপে। মজুতে পাওয়া গেছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর দেওয়া চীনা টি-সেটও। যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী অলোক শর্মা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন ২০২১ সালে। তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উপহার দিয়েছিলেন চায়ের পেয়ালা।
শেখ হাসিনার সাবেক এক উপদেষ্টার মালিকানাধীন ডেইলি অবজারভারের দেওয়া একটি ছবিও পাওয়া গেছে গণভবনে। সেই ছবিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। একই কক্ষে ধুলোবালির মধ্যে পড়ে ছিল আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ইংরেজি দৈনিক ‘আওয়ার টাইম’-এর একটি কপি। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই কপির প্রধান খবরের শিরোনাম ছিল ‘পিএম শেখ হাসিনা ইজ অন দ্য লিস্ট অব পাওয়ারফুল উইমেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)’।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবনে সাধারণের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি গণভবনে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস। সেখানে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে দেড় হাজার মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার বেশি) মূল্যের সোনার প্রলেপযুক্ত কলম। এটি জার্মানির মন্টব্ল্যাঙ্ক কোম্পানির প্রস্তুতকৃত। এই কোম্পানি কলম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহুল পণ্য তৈরি করে।
কলম ছাড়াও গণভবনের ধ্বংসস্তূপে যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির নথি পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক-সংশ্লিষ্ট নথিও। বিদেশি অতিথিদের দেওয়ার উপহারও পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দেওয়া উপহারও।
দ্য টাইমসের ওয়েবসাইটে গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলাই অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়ার পর তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপ এখনো বিদ্যমান। গণভবনের ধ্বংসস্তূপ আর ধুলোবালির মধ্যে দেড় হাজার ডলারের সোনার প্রলেপযুক্ত কলমের পাশেই পাওয়া গেছে কয়েকটি হীরা যাচাইয়ের সনদ। এর পাশে পড়ে ছিল কিছু কাগজ। সেখানে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকাতে ব্রিটিশ এক আইনজীবীর আইনি পরামর্শপত্র। কাগজগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে বিদেশি একটি ব্যাংকে হিসাব খোলার আবেদনপত্র। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত কিছু কূটনৈতিক পত্রও রয়েছে সেখানে।
দ্য টাইমসের সাংবাদিকেরা গত শনিবার গণভবনে ঢোকার সুযোগ পান। ১৮ একর জমির ওপর নির্মিত এই কমপ্লেক্সে একটি লেক রয়েছে। এই লেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে বড়শি ফেলতেন মাছ ধরতে। গণভবনের ভেতরে সিঁড়ির ওপরে পাওয়া গেছে টিউলিপ সিদ্দিক-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র। টিউলিপ যুক্তরাজ্যের হ্যামস্পিড অ্যান্ড কিলবার্ন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর দল লেবার পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দেওয়া একটি ধন্যবাদপত্র রয়েছে সেখানে। এ ছাড়া নিজ সংসদীয় এলাকায় মানুষের জীবনযাত্রার খরচ কমাতে টিউলিপ কী কী করেছেন, সে সম্পর্কিত ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনও রয়েছে।
দ্য টাইমস জানায়, গণ-অভ্যুত্থানের পর গণভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখানে যে জাদুঘরটি করার কাজ চলছে, তা আগামী আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। বর্তমানে এই কমপ্লেক্সের নিরাপত্তায় আনসার বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
গণভবনে প্রবেশ করতেই সোনালি রঙের কিছু চেয়ার পড়ে। কাছেই ছিল দাঁতের চিকিৎসার জন্য একটি চেয়ার, ম্যাসাজ নিতে চামড়ার আবরণের চেয়ার এবং একটি ট্রেডমিল। গণভবনের বাগানে ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে সাদাকালো একটি ছবি, যাতে বহু বছর আগে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শিশুকন্যা শেখ হাসিনা ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন।
গণভবনের প্রথম তলায়ই শেখ হাসিনার শয়নকক্ষ। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও কিছু জিনিস অক্ষত রয়েছে। এই কক্ষেই একটি কোনায় ধুলোবালিতে মাখামাখি হয়ে রয়েছে হীরা যাচাইয়ে বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকার কয়েকটি সনদ। শয়নকক্ষের পাশেই শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রান্নাঘর। সেখানে এমন কিছু জিনিস পাওয়া গেছে, যা বাংলাদেশে পাওয়াই যায় না। করিডরের মাথার দিকের কক্ষটি ব্যবহার করতেন টিউলিপ সিদ্দিকের ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। সেখানে ববির জাতিসংঘের বিজনেস কার্ড পাওয়া গেছে। আর পাওয়া গেছে তাঁর মোবাইল ফোন বিল।
গণ-অভ্যুত্থানে গণভবনে লুটের পর অনেকেই অনেক জিনিস ফেরত দিয়ে গেছেন। সেগুলো একটি জায়গায় মজুত করা হয়েছে। ওই মজুতের মধ্যে দেশি-বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহার রয়েছে। তার মধ্যে পাওয়া গেছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দেওয়া একটি স্কার্ফ, যা তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় শেখ হাসিনাকে দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তৎকালীন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কটেখ। তিনি শেখ হাসিনাকে একটি সোনার স্যুভেনির দিয়েছিলেন। সেটাও রয়েছে ওই স্তূপে। মজুতে পাওয়া গেছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর দেওয়া চীনা টি-সেটও। যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী অলোক শর্মা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন ২০২১ সালে। তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উপহার দিয়েছিলেন চায়ের পেয়ালা।
শেখ হাসিনার সাবেক এক উপদেষ্টার মালিকানাধীন ডেইলি অবজারভারের দেওয়া একটি ছবিও পাওয়া গেছে গণভবনে। সেই ছবিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। একই কক্ষে ধুলোবালির মধ্যে পড়ে ছিল আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ইংরেজি দৈনিক ‘আওয়ার টাইম’-এর একটি কপি। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই কপির প্রধান খবরের শিরোনাম ছিল ‘পিএম শেখ হাসিনা ইজ অন দ্য লিস্ট অব পাওয়ারফুল উইমেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)’।

গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩৮ মিনিট আগে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবন এবং ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন— মো. কাশেম ফারুকি, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। শনাক্তকৃত বাকি সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে একদল লোক প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে যায়। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। ডেইলি স্টার ভবনে অগ্নিসংযোগের পর ভেতরে ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন।
পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে হামলার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তোপখানা সড়কে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গতকালের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন, আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবন এবং ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন— মো. কাশেম ফারুকি, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। শনাক্তকৃত বাকি সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে একদল লোক প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে যায়। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। ডেইলি স্টার ভবনে অগ্নিসংযোগের পর ভেতরে ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন।
পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে হামলার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তোপখানা সড়কে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গতকালের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন, আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবন
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩৮ মিনিট আগে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘ওয়াশ ইন এডুকেশন অ্যান্ড হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ সার্ভে ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিবিএসের এসডিজি সেলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আলমগীর হোসেন প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি (ওআইসি) ফারুক আদরিয়ান ডুমন।
জরিপের তথ্য বলছে, দেশের মাত্র ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ বিদ্যালয়ে প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি উন্নত শৌচাগার রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শৌচাগার থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলোর মান ও ব্যবহারযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ৯০ দশমিক ৬ শতাংশ বিদ্যালয়ে অন্তত একটি করে শৌচাগার রয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
নিরাপদভাবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে, এমন বিদ্যালয়ের হার ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়; মাত্র ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড পূরণ করছে।
জরিপে বলা হয়, উন্নত পানির উৎসে প্রবেশগম্যতার দিক থেকে দেশের বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নত পানির উৎসে প্রবেশাধিকার আছে। মৌলিক পানি সেবার মানদণ্ড; অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণের ভেতরে উন্নত পানির উৎস থাকতে হবে—এই শর্ত পূরণ করতে পেরেছে এমন বিদ্যালয়ের হার ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই হার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী পানির সুবিধার চিত্র হতাশাজনক। দেশের ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীবান্ধব উন্নত পানির পয়েন্ট রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে এই হার ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। জরিপে উঠে এসেছে, ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি) অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আর্থিক বরাদ্দ অত্যন্ত সীমিত। মাত্র ১১ দশমিক ১ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওয়াশ খাতে নির্দিষ্ট বাজেট রয়েছে।
হাত ধোয়ার সুবিধা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে থাকলেও পানি ও সাবানের অভাবে মৌলিক সেবার মানদণ্ড পূরণ করছে ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ বিদ্যালয় এবং মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
নারীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও বড় ঘাটতির চিত্র পাওয়া গেছে। মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ বিদ্যালয়ে কিশোরীদের জন্য পৃথক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার রয়েছে। আর মাসিককালীন মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়, এমন বিদ্যালয়ের হার মাত্র ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ঘাটতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষায় লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্য আরও তীব্র করে তুলছে।
জরিপে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য–উভয় খাতের ওয়াশ অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ। গত এক বছরে ২৪ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ জলবায়ু সহনশীল ওয়াশ ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতনতা ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত সীমিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার বলেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে সীমিত সম্পদের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’–এসডিজির এই মূলমন্ত্র বাস্তবায়নে পরিসংখ্যানের কোনো বিকল্প নেই।
বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অর্জন অনেক দেশের তুলনায় ভালো। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘ওয়াশ ইন এডুকেশন অ্যান্ড হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ সার্ভে ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিবিএসের এসডিজি সেলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আলমগীর হোসেন প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। দেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি (ওআইসি) ফারুক আদরিয়ান ডুমন।
জরিপের তথ্য বলছে, দেশের মাত্র ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ বিদ্যালয়ে প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি উন্নত শৌচাগার রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শৌচাগার থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলোর মান ও ব্যবহারযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের ৯০ দশমিক ৬ শতাংশ বিদ্যালয়ে অন্তত একটি করে শৌচাগার রয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
নিরাপদভাবে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে, এমন বিদ্যালয়ের হার ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়; মাত্র ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড পূরণ করছে।
জরিপে বলা হয়, উন্নত পানির উৎসে প্রবেশগম্যতার দিক থেকে দেশের বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নত পানির উৎসে প্রবেশাধিকার আছে। মৌলিক পানি সেবার মানদণ্ড; অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণের ভেতরে উন্নত পানির উৎস থাকতে হবে—এই শর্ত পূরণ করতে পেরেছে এমন বিদ্যালয়ের হার ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই হার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী পানির সুবিধার চিত্র হতাশাজনক। দেশের ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীবান্ধব উন্নত পানির পয়েন্ট রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে এই হার ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। জরিপে উঠে এসেছে, ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি) অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আর্থিক বরাদ্দ অত্যন্ত সীমিত। মাত্র ১১ দশমিক ১ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওয়াশ খাতে নির্দিষ্ট বাজেট রয়েছে।
হাত ধোয়ার সুবিধা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে থাকলেও পানি ও সাবানের অভাবে মৌলিক সেবার মানদণ্ড পূরণ করছে ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ বিদ্যালয় এবং মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
নারীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও বড় ঘাটতির চিত্র পাওয়া গেছে। মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ বিদ্যালয়ে কিশোরীদের জন্য পৃথক, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার রয়েছে। আর মাসিককালীন মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়, এমন বিদ্যালয়ের হার মাত্র ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ঘাটতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষায় লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্য আরও তীব্র করে তুলছে।
জরিপে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য–উভয় খাতের ওয়াশ অবকাঠামোই ঝুঁকিপূর্ণ। গত এক বছরে ২৪ শতাংশ বিদ্যালয় এবং ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ জলবায়ু সহনশীল ওয়াশ ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতনতা ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত সীমিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার বলেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে সীমিত সম্পদের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’–এসডিজির এই মূলমন্ত্র বাস্তবায়নে পরিসংখ্যানের কোনো বিকল্প নেই।
বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অর্জন অনেক দেশের তুলনায় ভালো। এই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবন
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবন
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পাঁচ মাস আগে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর ব্যবহৃত সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের জাদুঘর করার পরিকল্পনা করেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী গণভবন
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা। ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ স্কুলে কোনো উন্নত শৌচাগারও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৩৮ মিনিট আগে
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
১২ ঘণ্টা আগে