Ajker Patrika

জনপ্রশাসন সংস্কার

উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে

  • চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিধান থাকছে না।
  • সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার ডাকার নিয়ম আর নেই।
  • সভায় ছাত্র প্রতিনিধির বক্তব্য নিয়ে হট্টগোল।
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১: ৫৮
উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন কাজে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়টি তুলে দেওয়ার সুপারিশও করা হবে।

এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বিলুপ্ত করে এই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আলাদা সার্ভিসের অধীনে নেওয়ার, কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষণা করার এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন করার সুপারিশ করবে এই কমিশন।

সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং কমিশনের সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এসব তথ্য জানান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভা হয়।

দলীয় বিবেচনায় ক্যাডার পদে পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা ছাড়া আর কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষা নেবে এবং ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি পাবেন না।

উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে এটি হবে না। উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব—এই দুই পর্যায়ে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি হবে। এরপরের পর্যায়ে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে। তিনি বলেন, পরীক্ষায় যদি কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পান, তিনি তালিকায় এক নম্বরে চলে আসবেন। উপসচিবের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আসবেন।

উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করা হবে বলে জানান কমিশনের প্রধান। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হবে

শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মর্যাদার বিষয়টি মাথার রেখে তাঁদের ক্যাডার সার্ভিস থেকে বের করে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা কমিশনের অধীনে নেওয়ার প্রস্তাব করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডার নিয়ে আমরা সুপারিশ দিচ্ছি, এটা আর এভাবে ক্যাডার করে রাখা যাবে না। এই দুই ক্যাডারকে আলাদা করে বিশেষায়িত বিভাগ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এই দুটিকে ক্যাডার করা অযৌক্তিক হয়েছে। এগুলোকে আলাদা করতে হবে। স্পেশালাইজ ডিপার্টমেন্ট হিসেবে বেতন বাড়িয়ে দিতে হবে। এই দুই ডিপার্টমেন্ট ছাড়া বাকি সব ক্যাডার থাকতে পারবে। এটা আমাদের ধারণা, এখন আমরা এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব।’

এ বিষয়ে জনপ্রশাসনসচিব বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে বেরিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন আলাদা হয়েছে। সেভাবে আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে আলাদা করার পরামর্শ দেব। এতে একটা বিরাট সেগমেন্টেশন হয়ে যাবে। অন্য ক্যাডারগুলোকে নিয়ে পাঁচটি গুচ্ছ হবে।’

পুলিশ ভেরিফিকেশন উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে কমিশন

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যাপারে পুলিশের ভেরিফিকেশন একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। আমরা সুপারিশ করছি, কোথাও এটা থাকবে না। আপনি নাগরিক, পাসপোর্ট নেবেন, আপনার নাগরিক অধিকার। আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে? ইংল্যান্ডে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট চলে আসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা কমিশন আছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানি না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হলো এটা।’

বিভাগ হবে কুমিল্লা ও ফরিদপুর

জনপ্রশাসনসচিব বলেন, কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করা। ওই এলাকার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন দুটি বিভাগ করার পরামর্শ দিচ্ছে। এই দুটি বিভাগ করতে গেলে দু-একটি জেলা এই বিভাগ থেকে ওই বিভাগে দিতে হবে। সেটা তাঁরা ম্যাপ করে দিয়েছেন। নতুন দুই বিভাগ করতে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোকে এদিক-সেদিক করার সুপারিশ করবে কমিশন।

ছাত্র প্রতিনিধির বক্তব্য নিয়ে হট্টগোল

মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়। মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে খুব আশাহত হয়েছি। আপনারা (সাংবাদিক) অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক জায়গা থেকে কথা বলেছেন, অনেক ভালো কথা বলেছেন। জনপ্রশাসন সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় একটু চিন্তাভাবনা করে পড়াশোনা করে আসার দরকার ছিল। সেই জায়গায় একটু ঘাটতি দেখা গেছে।’

সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাঁর কাছে কী ঘাটতি মনে হয়েছে? এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও তর্কে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, যিনি ওই কথা বলেছেন, তিনি এখনো ছাত্র। তাঁর সার্বিক পরিস্থিতি জানা সম্ভব নয়। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার ডাকার নিয়ম আর নেই

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ ডাকার নিয়ম আর নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। সচিবালয়ে গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ভাই ও আপা ডাকা যাবে।’

সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিকালে এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘বিগত সরকার জেন্ডার চেঞ্জ করে দিয়েছিল। পুরুষ-মহিলা সবাইকে বাধ্যতামূলক স্যার ডাকতে হতো। আপনারা জানেন, গত ৫ আগস্টের (গণ-অভ্যুত্থানের সরকার পতনের) পর থেকে এটা শেষ। এখন পুরুষ অফিসারদের জনাব বা মিস্টার, নারী অফিসারদের মিস অথবা ম্যাডাম বা এমএস লিখতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই।’

বিদেশে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টকে তাঁদের নাম ধরে ডাকা হয় জানিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে বাইনেমে ডাকার কালচার নাই। ভাই তো ডাকতেই পারে। আমাকে যদি এসে কেউ ভাই বলে, সচিব হিসেবেই, আই নেভারমাইন্ড। এসি ল্যান্ড, ইউএনও, ডিসি হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা তো সমাজের অংশ, তাঁরা আসলে ভাইবোন। মাঠে এখন নারী কর্মকর্তা বেশি, তাঁরা ভালো করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাই ডাকা মানে অসম্মান করা নয়, ভাই ডাকা মানে আপন হওয়া।’ আর মেয়েদের ব্যাপারে বলি, ‘ম্যাডাম ডাকলেও খুশি, আপা ডাকলেও খুশি, সবচেয়ে খুশি হয় আপু ডাকলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র নিলেন ৩১৪৪ জন, আগামীকালই দাখিলের শেষ সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।

এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী মঙ্গলবার অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৩
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত