নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যারা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কিনা।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।
ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যারা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কিনা।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।
ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর একদিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৯ মিনিট আগে