Ajker Patrika

ভোট, বিরোধী দল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩: ৩৯
ভোট, বিরোধী দল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে আজ সোমবার নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদে বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, বিএনপি এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

এ সময় এক বিদেশি সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে জানতে চান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। এটি নির্ভর করছে আপনার এবং আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সরকারের ওপর।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ খুবই চমৎকার। তারা আমার কথা শোনে, যদি আমি তাদের কিছু বলি, কোনো অনুরোধ করি। কিছু বিরোধী আছে, এটা খুবই স্বাভাবিক, এটা থাকবেই। আপনারা জানেন, আমি প্রতিশোধপরায়ণ না, আমি কখনো কারও ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি খুবই খোলা মনের, আমি খুবই উদার।’

বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন শেখ হাসিনাকে বলেন, ২০১৮ সালের পর আপনি প্রধান বিরোধী দলকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালকের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। আপনার সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সীমিত করেছে—মানবাধিকারকর্মীরা এমন সমালোচনা করছেন। আপনি কি এখনো বিশ্বাস করেন, কোনো বিরোধী দল ছাড়া বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এটা বোঝায় না যে সেখানে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, জনগণ অংশ নিয়েছে কি নেয়নি।’

ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে দলটির (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা কী করেছে; তারা আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। মাত্র কিছুদিন আগে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছিল এবং নারী-শিশুসহ মানুষ হত্যা করেছে। এটা কি গণতন্ত্র? হ্যাঁ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু যখন সাধারণ মানুষকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমি জানি না এটি কী রাজনীতি! এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কারোরই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা উচিত না। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এটা শুধু একটা ঘটনা নয়। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। আমরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারা চেষ্টা করেছে, বাধা দিয়েছে, জনগণ যাতে ভোট দিতে না যায়। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি। কারণ, আমাদের জনগণ এখন তাদের অধিকার নিয়ে খুবই সচেতন। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার। গণতন্ত্রের যদি আলাদা কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এটা জনগণের অধিকার। যখন জনগণ অংশগ্রহণ করে, তারা তাদের সরকারের জন্য ভোট দেয়। সুতরাং জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়।’

ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক দেবাদ্বীপ পুরোহিত বলেন, ‘আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন বাংলাদেশে আপনার বিরোধী দলেরও প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন?’

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি কি বলছেন, আমার উচিত একটি বিরোধী দল গঠন করা? আমি তা করতে পারি? আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। আমরা আমাদের দলকে সংগঠিত করেছি। সুতরাং বিরোধীদেরও তাদের নিজেদের দলকে সংগঠিত করতে হবে। তারা যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য কে দায়ী? আপনি যদি আমাকে বলেন বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করতে। যদি আপনি চান, আমরা সেটা করতে পারি। কিন্তু সেটা সত্যিকারের বিরোধী দল হবে না।’

বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একটি দল হয়তো অংশগ্রহণ করেনি। কারণ, তারা কখনোই করতে চায় না। সে দলগুলো মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি হয়। ফলে তারা নিজেরা চলতে পারে না, নিজেদের জনসমর্থন থাকে না। সেই জন্য নির্বাচনকে ভয় পায়।’

বিজয়কে জনগণের বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিজয়টা আমার বিজয় না। আমি মনে করি জনগণের বিজয়।’ বিদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে, সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরও সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে, শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত